যুক্তফ্রন্ট থেকে ছয়দফা-১ Flashcards
তৎকালীন পাকিস্তানের শিক্ষা আন্দোলন হয় কবে?
১৯৬২।
☑ শরীফ শিক্ষা কমিশন: ১৯৫৮ সালে কমিটি গঠন করা হয়। পূর্ব পাকিস্তান থেকে ৪ জন সদস্য ছিলেন-ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ, আব্দুল হক, আতোয়ার হোসেন, ড. এ রশিদ। এই কমিশন রিপোর্ট প্রকাশ করে ১৯৬২ সালে।
✔ ১৯৬২ সালে রিপোর্ট অনুযায়ী
-শিক্ষার মাধ্যম: ইংরেজি,
-জনগণের ভাষা: উর্দু,
-বর্ণমালা: আরবী,
-অবৈতনিক শিক্ষার ধারণাকে অবাস্তব কল্পনা বলে উল্লেখ করা হয়।
✔ এই রিপোর্ট প্রকাশের পর ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রসমাজ হরতাল ডাকে। পুলিশ গুলি চালালে বাবুল, মোস্তফা, ওয়াজিউল্ল্যাহ নিহত হন।
১৯৬৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরকে ‘শিক্ষা দিবস’ ঘোষণা করা হয়। সোহরাওয়ার্দীর পরামর্শে রিপোর্ট স্থগিত করা হয়।
বাংলাদেশের শিক্ষা দিবস কত তারিখ?
১৭ সেপ্টেম্বর।
ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশের শিক্ষা দিবস ১৭ সেপ্টেম্বর। তৎকালীন শরীফ শিক্ষা কমিশন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন ১৯৬২ সালে।
✔ ১৯৬২ সালে রিপোর্ট অনুযায়ী
-শিক্ষার মাধ্যম: ইংরেজি,
-জনগণের ভাষা: উর্দু,
-বর্ণমালা: আরবী,
-অবৈতনিক শিক্ষার ধারণাকে অবাস্তব কল্পনা বলে উল্লেখ করা হয়।
✔ এই রিপোর্ট প্রকাশের পর ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রসমাজ হরতাল ডাকে। পুলিশ গুলি চালালে বাবুল, মোস্তফা, ওয়াজিউল্ল্যাহ নিহত হন।
১৯৬৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরকে ‘শিক্ষা দিবস’ ঘোষণা করা হয়। সোহরাওয়ার্দীর পরামর্শে রিপোর্ট স্থগিত করা হয়।
কত সালে পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র রচিত হয়?
১৯৫৬।
১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ, পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র রচিত হয়। প্রথম শাসনতন্ত্রের ফলে পূর্ব বাংলার নাম হয়-পূর্ব পাকিস্তান।
পরবর্তীতে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রিপাবলিকান কোয়ালিশন সরকার হয়-১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। রিপাবলিকান কোয়ালিশন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রিসভায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারের পতন হয় ১৯৫৭ সালে। সোহরাওয়ার্দীকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয় ১৯৫৯ সালে
রিপাবলিকান কোয়ালিশন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কে?
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রিপাবলিকান কোয়ালিশন সরকার হয়-১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। রিপাবলিকান কোয়ালিশন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রিসভায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারের পতন হয় ১৯৫৭ সালে। সোহরাওয়ার্দীকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয় ১৯৫৯ সালে।
কাগমারী সম্মেলন এর সভাপতিত্ব করেন কে?
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
☑ ‘কাগমারী সম্মেলন’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
কাগমারী সাংস্কৃতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৭ সালে ৬-১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার কাগমারী নামক স্থানে। প্রধান অতিথি ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সভাপতিত্ব করেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
উক্ত সম্মেলনে ভাসানী পূর্ব পাকিস্তানে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের শোষণের প্রতিবাদে পশ্চিম পাকিস্তানকে “আসসালামু আলাইকুম” জানান।
এই সম্মেলন পরিবর্তিতে পাকিস্তানের বিভক্তি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে বিশেষ ইঙ্গিতবহ ভূমিকা রাখে।
১ম সামরিক শাসন জারি করা হয় কবে?
: ৭ অক্টোবর, ১৯৫৮।
প্রথম সামরিক শাসন ৭ অক্টোবর’৫৮, প্রেসিডেন্ট ইস্কান্দার মির্জা জারি করেন।
ইস্কান্দার মির্জা ৭ অক্টোবর ১৯৫৮ সালে পাকিস্তানের সংবিধান বাতিল করেন। পরে ২০ দিনের মাথায় আইয়ুব খান ইস্কান্দার মির্জাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন, ২৭ অক্টোবর ১৯৫৮। ২৮ অক্টোবর ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন।
সোহরাওয়ার্দীকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয় কবে?
১৯৫৯।
১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ, পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র রচিত হয়। প্রথম শাসনতন্ত্রের ফলে পূর্ব বাংলার নাম হয়-পূর্ব পাকিস্তান।
পরবর্তীতে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রিপাবলিকান কোয়ালিশন সরকার হয়-১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। রিপাবলিকান কোয়ালিশন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রিসভায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারের পতন হয় ১৯৫৭ সালে। সোহরাওয়ার্দীকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয় ১৯৫৯ সালে। সোহরাওয়ার্দী মারা যান-১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে।
নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ এর সভাপতি ছিলেন?
হোসেন সোহরাওয়ার্দী।
‘নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ এর সভাপতি ছিলেন হোসেন সোহরাওয়ার্দী।
২১ দফা কর্মসূচির প্রণেতা ছিলেন কে?
আবুল মনসুর আহমদ।
একুশ দফা ছিল যুক্তফ্রন্টের ইশতেহার। ২১ দফার প্রণেতা ছিলেন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবুল মনসুর আহমদ। একুশ দফার মধ্যে ভাষা সংক্রান্ত দফা ছিল ৫টি। যথা: ১, ১০, ১৬, ১৭, ১৮ নং দফা।
✔ একুশ দফার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফা:
০১। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দান।
০৯। দেশের সর্বত্র একযোগে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন।
১০। কেবল মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা।
১৫। বিচার বিভাগকে শাসন বিভাগ থেকে পৃথক করা।
১৬। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ‘বর্ধমান হাউস’কে আপাতত ছাত্রাবাস ও পরে বাংলার ভাষার গবেষণাগারে (বর্তমানে এটি বাংলা একাডেমি) পরিণত করা।
১৭। ৫২-এর ভাষা শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনার নির্মাণ।
১৮। ২১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা।
১৯। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্ব বাংলাকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান। দেশরক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যতীত আর সবকিছু পূর্ব বাংলার সরকারের হাতে ন্যস্ত করা। আত্নরক্ষার স্বার্থে পূর্ব বাংলায় অস্ত্র নির্মাণ কারখানা স্থানান্তর।
বাংলার মুক্তির সনদ-
ছয় দফা।
✔ ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লাগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। ছয় দফাকে বাংলার মুক্তির সনদ বলা হয়।
✔ স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজমন্ত্র তথা অঙ্কুর ছিল- ৬ দফা। ✔ ৬ দফা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর উক্তি- ‘‘সাঁকো দিলাম, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় উন্নীত হওয়ার জন্য”।
✔ ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ইশতেহার ছিল ৬ দফা। ✔ ৭ জুন ‘‘৬ দফা দিবস’’ পালিত হয়ে আসছে- ১৯৬৬ সাল থেকে। ✔ ৬ দফাকে বলা হয়- বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বা ম্যাগনাকার্টা।
কাগমারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়-
১৯৫৭ সালে।
১৯৫৭ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলার কাগমারী নামক স্থানে কাগমারি সম্মেলন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ৮ই ফেব্রুয়ারি মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি আরম্ভ হয়।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের পর পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন-
এ কে ফজলুল হক।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে যুক্তফ্রন্ট শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করে। তিনি নিজে মুখ্যমন্ত্রির দায়িত্ব ছাড়াও অর্থ, রাজস্ব ও স্বরাষ্ট্র বিভাগের দায়িত্ব নেন। মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আবু হোসেন সরকার বিচার, স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার, সৈয়দ আজিজুল হক শিক্ষা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্ব লাভ করেন।
মাত্র ৫৬ দিনের মাথায় যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার অবসান ঘটে। কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৫৪ সালের ৩০ মে পূর্ববাংলায় গভর্নরের শাসন ঘোষণা করে। যুক্তফ্রন্টের মন্ত্রিসভার মেয়াদ ছিল ৫৬ দিন।
শিক্ষা আন্দোলন হয়-
১৯৬২ সালে।
১৯৬২ সালে সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ তিন স্তরের আন্দোলন শুরু করে। এর মধ্যে শিক্ষা আন্দোলন বা শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলন অন্যতম। কতগুলো বৈষম্যমূলক রিপোর্ট এর বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ আইয়ুব খান প্রবর্তিত শিক্ষা কমিশন বা ‘শরীফ কমিশন’ বিরোধী আন্দোলন শুরু করে।
প্রাক্তন পাকিস্তানকে বিদায় জানাতে “আসসালামু আলাইকুম” জানিয়েছিলেন কে ?
মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
কাগমারী সম্মেলনে প্রাক্তন পাকিস্তানকে বিদায় জানাতে “আসসালামু আলাইকুম” জানিয়েছিলেন মাওলালা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। কাগমারী সাংস্কৃতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৫৭ সালে ৬-১০ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার কাগমারী নামক স্থানে। প্রধান অতিথি ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সভাপতিত্ব করেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
এই সম্মেলন পরিবর্তিতে পাকিস্তানের বিভক্তি এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ে বিশেষ ইঙ্গিতবহ ভূমিকা রাখে।
বাংলায় ঋণ সালিশি আইন কার আমলে প্রণীত হয়?
এ. কে. ফজলুল হক।
১৯৩৭ সালে সারা বাংলায় ঋণ সালিশি আইন চালু করা হয়। মূলত গরীব চাষিদের জমি রক্ষ্যার্থে এই আইন চালু করেন এ. কে. ফজলুল হক।