মুক্তিযুদ্ধ-৪ Flashcards

1
Q

দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কোথায়?

A

তেলিয়াপাড়া।

দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় তেলিয়াপাড়া।

ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া:

১৯৭১ সালে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপড়া চা বাগানে ৪ এপ্রিল দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৭ জন সেনা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ বৈঠকেই মুক্তিযুদ্ধের সমগ্র রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করেন মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
2
Q

মুজিবনগর সরকারের মুখ্য সচিব কে ছিলেন?

A

রুহুল কুদ্দুস।

মুজিবনগর সরকারের মুখ্য সচিব রুহুল কুদ্দুস।

☑ মুজিবনগর সরকার:

স্থান: আগরতলা (ত্রিপুরার রাজধানী)।
গঠনের সময় : ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
অন্য নাম: প্রবাসী/ অস্থায়ী সরকার /বাংলাদেশের প্রথম সরকার/Govt in Exile।

☑ মুজিবনগর সরকার শপথ:

আব্দুল মান্নান: ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সনে মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। শপথের স্থান: মুজিবনগর (পূর্বনাম মেহেরপুর ভবেরপাড়া)। শপথ বাক্য পড়ান: মেহেরপুর জেলার ভবেরপাড়া ইউনিয়নের বৈদ্যনাথ তলায় অধ্যাপক ইউসুফ আলী (চিফ হুইপ)।

☑ মুজিবনগর সরকার মন্ত্রিসভা:

✔ রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
✔ সৈয়দ নজরুল ইসলাম : মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
✔ তাজউদ্দীন আহমেদ: মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
✔ এম মনসুর আলী: মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী, অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব, শিল্প-বাণিজ্য, পরিবহন, খাদ্য, বস্ত্র মন্ত্রী।
✔ এএইচএম কামরুজ্জামান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষি, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী।
✔ খন্দকার মোশতাক: পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।

☑ মুজিবনগর সরকার মন্ত্রণালয়:

মুজিবনগর সরকারের মোট মন্ত্রণালয় ১২টি। সচিব ছিল: ১০ জন।
অর্থ সচিব ছিল: খন্দকার আসাদুজ্জামান। পররাষ্ট্রসচিব: জনাব মাহবুবুল আলম চাষী। কেবিনেট সচিব ছিলেন এইচ টি ইমাম।

☑ শপথ গ্রহণের পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গার SDPO মাহবুব উদ্দিনের নেতৃত্বে ১২ জন গার্ড অফ অনার প্রদান করেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন মেজর আবু ওসমান চৌধুরী। নারীনেত্রী ছিলেন বেগম রাজিয়া ওসমান।

☑ মুজিবনগর সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ: মওলানা আবদুল হামিদ, খান ভাসানী, কমরেড মনি সিংহ, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, শ্ৰী মনোরঞ্জন ধর।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
3
Q

বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারের কোন পদে নিযুক্ত ছিলেন?

A

বিশেষ কূটনৈতিক প্রতিনিধি।

বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারের নিযুক্ত ছিলেন বিশেষ কূটনৈতিক প্রতিনিধি।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
4
Q

মুক্তিযুদ্ধকালে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন খোলা হয় কার অধীনে?

A

এম আর সিদ্দিকী।

মুক্তিযুদ্ধকালে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ মিশন খোলা হয় এম আর সিদ্দিকীর অধীনে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
5
Q

মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান কে ছিলেন?

A

মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
6
Q

বাংলাদেশের (মুজিবনগর সরকারের) অর্থমন্ত্রী (Finance Minister) কে ছিলেন?

A

এম মনসুর আলী।

☑ মুজিবনগর সরকার:

✔ রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
✔ সৈয়দ নজরুল ইসলাম : মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
✔ তাজউদ্দীন আহমেদ: মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
✔ এম মনসুর আলী: মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী, অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব, শিল্প-বাণিজ্য, পরিবহন, খাদ্য, বস্ত্র মন্ত্রী।
✔ এএইচএম কামরুজ্জামান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষি, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী।
✔ খন্দকার মোশতাক: পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
7
Q

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় (সদর দপ্তর) কোথায় ছিল?

A

এম মনসুর আলী।

☑ মুজিবনগর সরকার:

✔ রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
✔ সৈয়দ নজরুল ইসলাম : মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
✔ তাজউদ্দীন আহমেদ: মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
✔ এম মনসুর আলী: মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী, অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব, শিল্প-বাণিজ্য, পরিবহন, খাদ্য, বস্ত্র মন্ত্রী।
✔ এএইচএম কামরুজ্জামান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষি, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী।
✔ খন্দকার মোশতাক: পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
8
Q

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় (সদর দপ্তর) কোথায় ছিল?

A

৮ নং থিয়েটার রোড, কলকাতা।

☑ মুজিবনগর সরকার:

স্থান: আগরতলা (ত্রিপুরার রাজধানী)।
গঠনের সময় : ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
অন্য নাম: প্রবাসী/ অস্থায়ী সরকার /বাংলাদেশের প্রথম সরকার/Govt in Exile।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতার থিয়েটার রোডের ৮ নম্বর বাড়িটিতে ছিল প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের কার্যালয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
9
Q

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভা কবে গঠিত হয়?

A

১০ এপ্রিল, ১৯৭১ খ্রি.।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভা ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ খ্রি গঠিত হয়।

☑ ‘মুজিবনগর সরকার’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

বাংলাদেশের প্রথম সরকার - মুজিবনগর সরকার।
বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাজধানী ছিল- মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের বৈদ্যনাথ তলায়।
সর্বপ্রথম বাংলাদেশের স্বাধীন মন্ত্রীসভা গঠিত হয়- ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সাল।
মুজিবনগর সরকারের শপথবাক্য পাঠ করান - অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী।
মুজিবনগর সরকারের প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার জন্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ছিল ১২ টি।
মুজিবনগর সরকারের সদস্য সংখ্যা ছিল - ৬ জন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
10
Q

বাংলাদেশের (মুজিবনগর সরকারের) প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন-

A

জনাব তাজউদ্দীন আহমদ।

বাংলাদেশের (মুজিবনগর সরকারের) প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন-জনাব তাজউদ্দীন আহমদ।

☑ মুজিবনগর সরকার:

✔ রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
✔ সৈয়দ নজরুল ইসলাম : মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
✔ তাজউদ্দীন আহমেদ: মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
✔ এম মনসুর আলী: মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী, অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব, শিল্প-বাণিজ্য, পরিবহন, খাদ্য, বস্ত্র মন্ত্রী।
✔ এএইচএম কামরুজ্জামান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষি, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী।
✔ খন্দকার মোশতাক: পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
11
Q

মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন তারিখে বুদ্ধিজীবীদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়?

A

১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১।

মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবীদের ওপর ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।

১৪ই ডিসেম্বর রাতে একযোগে বহু বুদ্ধিজীবীকে তাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়। বাংলাপিডিয়ার হিসাব বলছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ হাজার ১১১ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। আল বদর ও আল শামস নামক দুটি ঘাতক বাহিনীর সহযোগিতায় হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
12
Q

বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম ইউরোপীয় দেশ-

A

পূর্ব জার্মাানি।

বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম ইউরোপীয় দেশ তৎকালীন পূর্ব জার্মাানি। দেশটি ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। পূর্ব জার্মাানি অপশনে না থাকলে পোল্যান্ড হবে।

☑ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী দেশসমূহ:

প্রথম দেশ - ভুটান (৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, সকালে)।
দ্বিতীয় দেশ - ভারত (৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, দুপুরে)।
প্রথম এশীয় মুসলিম দেশ- মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া (২৫ ফেব্রু. ১৯৭২)।
প্রথম আরব দেশ এবং প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ - ইরাক (৮ জুলাই ১৯৭২)।
প্রথম মুসলিম দেশ/ আফ্রিকান দেশ/অনারব মুসলিম দেশ - সেনেগাল (১ ফেব্রু.১৯৭২)।
প্রথম ইউরোপের দেশ - পূর্ব জার্মানি (১১ জানুয়ারি ১৯৭২)।
প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ- পূর্ব জার্মানি।
প্রথম আমেরিকান দেশ – কানাডা।
প্রথম ওশেনিয়া (অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের) দেশ – টোঙ্গা।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী সর্বশেষ দেশ -ব্রুনাই।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
13
Q

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেন-

A

ফোরকান বেগম।

মুক্তিযুদ্ধে নারী গেরিলাদের প্রথম বেগম ফোরকান যার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছিল প্রথম গেরিলা স্কোয়াড। তার নেতৃত্বে প্রথম দলে ছিলেন আটজন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
14
Q

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বৃহত্তম সেক্টর-

A

সেক্টর ১।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বৃহত্তম সেক্টর-সেক্টর ১।

১ নং সেক্টরের এলাকা: চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং ফেনী নদী পর্যন্ত।
সেক্টর কমান্ডার: মেজর জিয়াউর রহমান , মেজর মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
15
Q

অস্থায়ী সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেয়া সদস্যগণ ছিল-

A

আনসার বাহিনীর।

অস্থায়ী সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেয়া সদস্যগণ ছিল আনসার বাহিনীর।

১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ মুজিবনগরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব প্রদান করেন তৎকালীন ঝিনাইদহ মহকুমায় পুলিশ প্রশাসক মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
16
Q

সিলেট কত নং সেক্টরের অধীন ছিল?

A

৫ নং।

সিলেট ৫ নং সেক্টরের অধীন ছিল।

সেক্টর ৫- এর আওতায় ছিল সিলেট জেলার অংশ বিশেষ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর মীর শওকত আলী।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
17
Q

গণপরিষদ আদেশ জারি করা হয় কত সালে?

A

২৩ মার্চ, ১৯৭২।

শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশে গণপরিষদ আদেশ জারি করেন ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ। এটি কার্যকর করা হয় ২৬ মার্চ, ১৯৭২। গণপরিষদ এর প্রথম অধিবেশন বসে ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল। গণপরিষদ এর সদস্য সংখ্যা ছিল ৪০৩ জন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
18
Q

মুজিবনগর সরকারের গার্ড অফ অনার কার নেতৃত্বে দেওয়া হয়?

A

মাহবুব উদ্দিন।

মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণের পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে চুয়াডাঙ্গার SDPO মাহবুব উদ্দিনের নেতৃত্বে ১২ জন গার্ড অফ অনার প্রদান করেন

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
19
Q

মুজিবনগর সরকার এর নারী নেত্রী ছিলেন?

A

বেগম রাজিয়া ওসমান।

মুজিবনগর সরকারের নারীনেত্রী ছিলেন বেগম রাজিয়া ওসমান।

☑️ ‘মুজিবনগর সরকার’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

বাংলাদেশের প্রথম সরকার - মুজিবনগর সরকার।

বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রাজধানী ছিল- মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে।

স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরের বৈদ্যনাথ তলায়।

মুজিবনগরের পুরাতন নাম ছিল বৈদ্যনাথতলার ভবের পাড়া।

সর্বপ্রথম বাংলাদেশের স্বাধীন মন্ত্রীসভা গঠিত হয়- ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সাল।

মুজিবনগর সরকারের শপথবাক্য পাঠ করান - অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী।

মুজিবনগর সরকারের প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার জন্য মন্ত্রণালয়বা বিভাগ ছিল ১২ টি।

মুজিবনগর সরকারের সদস্য সংখ্যা ছিল - ৬ জন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
20
Q

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কে চিফ অব স্টাফের দায়িত্ব পালন করেন?

A

মুক্তিযুদ্ধে সামরিক প্রশাসন:

-১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল সিলেটের তেলিয়াপাড়ায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস, আনসার ও পুলিশবাহিনী উচ্চপদস্থ বাঙালি সদস্যরা এক বৈঠকে মিলিত হয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে আক্রমণের পরিকল্পনা করে।

-মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি: এম এ জি ওসমানী
-চিফ অফ স্টাফ: অব. কর্নেল আব্দুর রব
-ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ: একে খন্দকার

-সদর দপ্তর ছিল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায়

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
21
Q

মুজিবনগর সরকারের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে কলকাতায় পাকিস্তানের দূতাবাসে সর্ব প্রথম বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন কে?
0/1

A

এম হোসেন আলী।

১৮ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করে ভারতের কলকাতায় পাকিস্তানের দূতাবাসে সর্ব প্রথম বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন কলকাতার ডেপুটি হাইকমিশনার এম হোসেন আলী।

22
Q

মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?

A

এ কে খন্দকার।

মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক ছিলেন এ কে খন্দকার।

23
Q

১৯৭১ সালে গৃহীত তেলিয়াপাড়া দলিলে যে রণকৌশল অবলম্বন করা হয় সেটির প্রণেতা-

A

মুক্তিবাহিনী।

১৯৭১ সালে গৃহীত তেলিয়াপাড়া দলিলে যে রণকৌশল অবলম্বন করা হয় সেটির প্রণেতা মুক্তিবাহিনী।

☑️ ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া:

১৯৭১ সালে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপড়া চা বাগানে ৪ এপ্রিল দেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৭ জন সেনা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এ বৈঠকেই মুক্তিযুদ্ধের সমগ্র রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করেন মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী।

24
Q

মুক্তিবাহিনীর ‘ওয়ার স্ট্র্যাটেজি’ কী নামে পরিচিত?

A

তেলিয়াপাড়া স্ট্র‍্যাটেজি।

মুক্তিবাহিনীর ‘ওয়ার স্ট্র্যাটেজি’ তেলিয়াপাড়া স্ট্র‍্যাটেজি নামে পরিচিত।

25
Q

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিখ্যাত গেরিলা দল ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?

A

সেক্টর, ০২।

ক্র্যাক প্লাটুন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ২ নং সেক্টরের অধীনে ঢাকা শহরে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একদল তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘটিত দল। এ গেরিলা দলটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ‘হিট এন্ড রান’ পদ্ধতিতে অসংখ্য আক্রমণ পরিচালনা করে। মোফাজজাল হোসেন চৌধুরী (মায়া), গাজী দস্তগীর, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, খালেদ মোশাররফ, এটিএম হায়দার, ইমাম শাফি রুমি প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন।

26
Q

উইং কমান্ডার এম কে বাশার মুক্তিযুদ্ধের কততম সেক্টর প্রধান ছিলেন?

A

:৬।

উইং কমান্ডার এম কে বাশার মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ৬ এর প্রধান ছিলেন।

✔ ১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর রফিকুল ইসলাম।
✔ ২ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর এ টি এম হায়দার।
✔ ৩ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর কে এম শফিউল্লাহ, মেজর এ এন এম নুরুজ্জামান।
✔৪ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর সি আর দত্ত, এ রব।
✔ ৫ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার- মেজর মীর শওকত আলী।
✔ ৬ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-উইং কমান্ডার এম কে বাশার।
✔ ৭ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর নাজমুল হক, মেজর এ রব, মেজর কাজী নুরুজ্জামান।
✔ ৮ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর এম এ মনসুর।
✔ ৯ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবদুল জলিল, মেজর জয়নাল আবেদীন।
✔ ১০ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলনা।
✔ ১১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর এম আবু তাহের, ফ্লাইট লে এম হামিদুল্লাহ

27
Q

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কবে গৃহীত হয়?

A

১৭ জানুয়ারি ১৯৭২।

জাতীয় পতাকা থেকে মানচিত্র বাদ দেওয়ার পরের রূপটি ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে গৃহীত হয়। পতাকার মাপ- ১০:৬ বা ৫:৩। পতাকা দিবস- ২ মার্চ। জাতীয় পতাকার ডিজাইনার পটুয়া কামরুল হাসান। মানচিত্র খচিত পতাকার ডিজাইনার শিব নারায়ণ দাশ।

28
Q

মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্রিগেড আকারে মোট কয়টি ফোর্স গঠিত হয়েছিল?

A

৩টি।

তিনটি ব্রিগেড ফোর্সের নাম:

‘কে’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর খালেদ মোশাররফ, ‘এস’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ, ‘জেড’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর জিয়াউর রহমান।

29
Q

মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক ছিলেন-

A

এ কে খন্দকার।

মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক ছিলেন-এ কে খন্দকার। ‘১৯৭১-ভেতরে বাইরে’ হল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক এ কে খন্দকার রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গ্রন্থ।

30
Q

মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন-

A

এম মনসুর আলী।

☑ মুজিবনগর সরকার:

✔ রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
✔ সৈয়দ নজরুল ইসলাম : মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
✔ তাজউদ্দীন আহমেদ: মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
✔ এম মনসুর আলী: মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী, অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব, শিল্প-বাণিজ্য, পরিবহন, খাদ্য, বস্ত্র মন্ত্রী।
✔ এএইচএম কামরুজ্জামান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষি, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী।
✔ খন্দকার মোশতাক: পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।

31
Q

মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন?

A

এ এইচ এম কামরুজ্জামান।

মুজিবনগর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এ এইচ এম কামরুজ্জামান।

☑ মুজিবনগর সরকার:

✔ রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
✔ সৈয়দ নজরুল ইসলাম : মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
✔ তাজউদ্দীন আহমেদ: মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
✔ এম মনসুর আলী: মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী, অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব, শিল্প-বাণিজ্য, পরিবহন, খাদ্য, বস্ত্র মন্ত্রী।
✔ এএইচএম কামরুজ্জামান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষি, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী।
✔ খন্দকার মোশতাক: পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।

32
Q

মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন-

A

খন্দকার মোশতাক আহমেদ।

মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ।

☑ মুজিবনগর সরকার:

✔ রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
✔ সৈয়দ নজরুল ইসলাম : মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
✔ তাজউদ্দীন আহমেদ: মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
✔ এম মনসুর আলী: মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী, অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব, শিল্প-বাণিজ্য, পরিবহন, খাদ্য, বস্ত্র মন্ত্রী।
✔ এএইচএম কামরুজ্জামান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষি, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী।
✔ খন্দকার মোশতাক: পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।

33
Q

জীবিতদের মধ্যে সর্বোচ্চ বীরত্ব খেতাব-

A

বীর উত্তম।

জীবিতদের মধ্যে সর্বোচ্চ বীরত্ব খেতাব-বীর উত্তম।

মুক্তিযুদ্ধে সম্মানসূচক খেতাব:

✔ ১৯৭৩ সালের গেজট অনুযায়ী- বর্তমানে বীরশ্রেষ্ঠ - ৭ জন, বীর-উত্তম ৬৮ জন, বীরবিক্রম ১৭৫ জন, বীরপ্রতীক ৪২৬ জন।

✔ বঙ্গবন্ধুর ৪ খুনী যারা মুক্তিযুদ্ধে খেতাব প্রাপ্ত- নুর চৌধুরী বীর বিক্রম, শরিফুল হক ডালিম বীর উত্তম, রাশেদ চৌধুরী বীর প্রতীক, মোসলেহ উদ্দিনকে বীর প্রতীক। ✔ বর্তমানে বীরশ্রেষ্ঠ - ৭ জন, বীর-উত্তম ৬৭ জন, বীরবিক্রম - ১৭৪ জন, বীরপ্রতীক - ৪২৪ জন।

✔ জাতীয়ভাবে বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্তদের পদক ও রিবন প্রদান করা হয় ১৯৯২ সালের ১৫ ডিসেম্বর।

34
Q

আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর’ বইটির রচয়িতা

A

আবুল মনসুর আহমদ।

আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর- আবুল মনসুর আহমদের বিখ্যাত আত্মজীবনীমূলক রচনা। তিনি আরও লিখেছেন: আয়না, গালিভারের সফরনামা, স্মৃতিকথা, আত্মকথা, জীবনক্ষুধা, আবে হায়াত।

35
Q

দ্য ক্রুয়েল বার্থ অব বাংলাদেশ’ গ্রন্থের রচয়িতা-

A

আর্চার কে ব্লাড।

আর্চার কে ব্লাড ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে আমেরিকার কনস্যুলার ছিলেন। হানাদার বাহিনীর নৃশংসতা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ৬ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে ঢাকার মার্কিন দপ্তর থেকে একটি তোরবার্তা পাঠান, যা “ব্লাড টেলিগ্রাম” নামে পরিচিত।

তার বিখ্যাত বই: The Cruel Birth of Bangladesh.

36
Q

আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে সারা মন’’ গানটির রচয়িতা

A

মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

'’আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে সারা মন’’ গানটির রচয়িতা-মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

☑ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের লেখা কয়েকটি জনপ্রিয় গান :

'’আমারও দেশেরও মাটিরও গন্ধে, ভরে আছে সারা মন’’, ‘‘প্রতিদিন তোমায় দেখি সূর্যের আগে’’, ‘‘ভাষার জন্য যারা দিয়ে গেছে প্রাণ’’, ‘‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা লক্ষ প্রাণের দাম’’, ‘‘কত যে ধীরে বহে মেঘনা’’, ‘‘তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়’’ প্রভৃতি।

☑ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গান (গীতিকার):

✓ জয় বাংলা বাংলার জয় - গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ✓ মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে - গোবিন্দ হালদার, ✓ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা - গোবিন্দ হালদার (সুরকার: আপেল মাহমুদ), ✓ একনদী রক্ত পেরিয়ে বাংলার আকাশে - খান আতাউর রহমান, ✓ তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে - আপেল মাহমুদ, ✓ পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে - গোবিন্দ হালদার, ✓ শোনো একটি মুজিবরের থেকে - গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার,
✓ সব ক’টা জানালা খুলে দাও না - নজরুল ইসলাম বাবু (সুরকার: আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল), ✓ সালাম সালাম হাজার সালাম - ফজলে খোদা (সুরকার: আবদুল জব্বার), ✓ জনতার সংগ্রাম চলবেই - সিকান্দর আবু জাফর।

37
Q

আমার সোনার বাংলা’ গানের কয়টি লাইন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে নেওয়া হয়েছে?

A

প্রথম দশটি।

☑ জাতীয় সঙ্গীত:

✔ জাতীয় সঙ্গীত- আমার সোনার বাংলা’র প্রথম দশ চরণ। “আমার সোনার বাংলা”গানটির রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯০৫ সাল)।

✔ রচনার প্রেক্ষাপট: বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন।

✔ গানটি নেওয়া হয়েছে: রবীন্দ্রনাথের ‘গীতাবিতান’ কাব্যগ্রন্থের স্বরবিতান কাব্য থেকে।

✔ সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় : বঙ্গদর্শন পত্রিকায় (১৯০৫)।
✔ গানটিতে প্রাধান্য পায় : বাংলার প্রকৃতির কথা।
✔ গানটির ইংরেজি অনুবাদক : সৈয়দ আলী আহসান।

✔ মোট চরণ: ২৫টি। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতটি মূল কবিতার প্রথম ১০টি চরণ এবং কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাজানো হয় প্রথম ৪টি চরণ।

✔ জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়: ৩ মার্চ, ১৯৭১ সালে।

✔ সরকারিভাবে গৃহীত হয়: ১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে।

38
Q

স্মৃতি চিরন্তন কোথায়?

A

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

স্মৃতি চিরন্তন অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে চরম ত্যাগ স্বীকারকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ শহিদ সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ‘স্মৃতি চিরন্তন’ স্মৃতিফলকটি ১৯৯৫ সালে‌ নির্মাণ করা হয়। স্থাপনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাংলোর সামনে (ভিসি চত্বর) অবস্থিত। কালো গ্রানাইটে নির্মিত এই স্থাপনায় ঢাবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৯৫ জন শহিদের নাম লেখা আছে।

পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে কংক্রিটের দেয়ালে বসানো পোড়ামাটির এসব ফলকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদদের নামের তালিকা দিয়ে খোদাই করা ছিল জায়গাটি। তাই সেই সময়ে পরিচিতি পায় শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বর নামে। পরে ২০১৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুনর্নির্মাণ করে নাম পরিবর্তন করে ‘স্মৃতি চিরন্তন’ রাখে। এটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন স্থপতি মহিউদ্দিন সাকের।

✔ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য গুলো হল: অপরাজেয় বাংল, স্মৃতি চিরন্তন, গণহত্যা ফলক, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা স্তম্ভ ও টেরাকোটায় আচ্ছাদিত দেয়াল, কলাভবনের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদদের নামফলক।

39
Q

স্বাধীনতার পর ২০১৭ সালে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ব্রিটিশ নাইট পান-

A

আখলাকুর রহমান চৌধুরী।

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এ গৌরবময় উপাধি অর্জন করেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ। ২য় বাংলাদেশি হিসেবে অর্জন করেন আখলাকুর রহমান চৌধুরী।

40
Q

প্রথম বিদেশি হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পদক কাকে দেয়া হয়েছে?

A

ইন্দিরা গান্ধী।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের সরকার ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা’ প্রদান করেন ২০১১ সালে।

☑ বিদেশিদের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্মাননা: ০৩ টি।

✔ সর্বোচ্চ সম্মাননার নাম-বাংলাদেশ স্বাধীনতা সম্মাননা (Bangladesh Freedom Honour)।

✔ দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননার নাম-বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা (Bangladesh Liberation War Honour)।

✔ তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননার নাম-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মাননা ((Friends of Liberation War Honour)।

41
Q

পঞ্চশক্তির মধ্যে কোন দেশটি সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়?

A

সোভিয়েত ইউনিয়ন।

জাতিসংঘের পঞ্চশক্তির মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭২।

☑ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী দেশসমূহ:

প্রথম দেশ - ভুটান (৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, সকালে)।
দ্বিতীয় দেশ - ভারত (৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, দুপুরে)।
প্রথম এশীয় মুসলিম দেশ- মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া (২৫ ফেব্রু. ১৯৭২)।
প্রথম আরব দেশ এবং প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ - ইরাক (৮ জুলাই ১৯৭২)।
প্রথম মুসলিম দেশ/ আফ্রিকান দেশ/অনারব মুসলিম দেশ - সেনেগাল (১ ফেব্রু.১৯৭২)।
প্রথম ইউরোপের দেশ - পূর্ব জার্মানি (১১ জানুয়ারি ১৯৭২)।
প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ- পূর্ব জার্মানি।
প্রথম আমেরিকান দেশ – কানাডা।
প্রথম ওশেনিয়া (অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের) দেশ – টোঙ্গা।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী সর্বশেষ দেশ -ব্রুনাই।

42
Q

সম্প্রতি কোন দিনটিকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে?

A

১ ডিসেম্বর।

সম্প্রতি ১ ডিসেম্বরকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’ ঘোষণা করা হয়েছে।

43
Q

মুজিবনগর সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন-

A

তাজউদ্দীন আহমেদ।

মুজিবনগর সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ। তিনি প্রতিরক্ষা , তথ্য ও বেতার, স্থানীয় প্রশাসন, সমাজকল্যাণ, শ্রম ও পরিকল্পনা মন্ত্রনালয় এর দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

44
Q

মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহ কোন সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল?

A

১১ নং সেক্টর।

মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলা ১১নং সেক্টরের অধীনে ছিল। ১১ নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর এম আবু তাহের, ফ্লাইট লে. এমকে হামিদুল্লাহ।

45
Q

মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন?

A

যোসেফ এস. ফাৰ্ল্যান্ড।

একাত্তরে পাকিস্তানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ছিলেন যোসেফ ফাৰ্ল্যান্ড।

46
Q

১৯৭১ সালের কোন তারিখে মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়?

A

১০ এপ্রিল।

১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম প্রবাসী সরকার, যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। ১৭ই এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলা গ্রামের আমবাগানে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলো। শেখ মুজিবুর রহমান এই সরকারের রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন।

47
Q

সুন্দরবন কত নং সেক্টরে ছিল?

A

০৯।

সুন্দরবন ও বরিশাল বিভাগ সেক্টর ৯ এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। পটুয়াখালী, বরিশাল ও খুলনার কিছু অংশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল সেক্টর নং ৯। ৯ নং সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মেজর এম এ জলিল, মেজর জয়নাল আবেদীন, মেজর এম এ মঞ্জুর।

48
Q

১৯৭১ সালে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ দলিলটির শিরোনাম কী?

A

Instrument of Surrender.

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণের দলিলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৩১ মিনিটে ঢাকার রমনা রেস কোর্স ময়দানে জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী সই করেন। আত্মসমর্পণের দলিলের নাম ছিল “INSTRUMENT OF SURRENDER”।

49
Q

কত সালে বাংলাদেশ সরকার বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে?

A

২০১৫।

২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার প্রথমবারের মতো ৪৩ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বর্তমানে দেশে বীরাঙ্গনার সংখ্যা ৪৪৮ জন।

50
Q

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড কোন দেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?

A

হল্যান্ড।

হল্যান্ড বা নেদারল্যান্ডসে জন্মগ্রহণকারী অষ্ট্রেলিয়ার নাগরিক ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড মুক্তিযুদ্ধকালে ২ নং সেক্টরে গণবাহিনীর সদস্য ছিলেন।

51
Q

শোনো, একটি মুজিবের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি….’ গানটির রচয়িতা কে?

A

গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার।

‘শোনো, একটি মুজিবের থেকে লক্ষ মুজিবরের কন্ঠস্বরের ধ্বনি….’ গানটির রচয়িতা গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার