বাংলাদেশের ইতিহাস: উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন-৩ Flashcards

1
Q

বাংলায় ‘ঋণ সালিশি আইন’ কার আমলে প্রণীত হয়?

A

. এ কে ফজলুল

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
2
Q

কোন নেতা জমিদারি প্রথা রদে প্রধান ভূমিকা পালন করেন?

A

এ. কে. ফজলুল হক

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
3
Q

কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী গুপ্ত সমিতির নাম কী ছিল?

A

যুগান্তর

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন হিসেবে। তবে কংগ্রেসের কিছু উগ্র ও চরমপন্থী নেতার প্ররোচনায় আন্দোলনকারীদের একাংশ সন্ত্রাসী ও উগ্রপন্থী কার্যকলাপ শুরু করে।

ঢাকা ও কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গুপ্ত সমিতি গঠিত হয়। ব্যারিস্টার প্রথমনাথ মিত্র ঢাকায় ‘অনুশীলন সমিতি’ গঠন করেন। পুলিন বিহারী দাসকে এটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এসময় কলকাতায় ‘যুগান্তর’ নামে একটি বিপ্লবী গুপ্ত সমিতি প্রতিষ্ঠা করা হয়। অরবিন্দ ঘোষ, বারিন্দ্র ঘোষ ও ভূপেন্দ্র নাথ দত্ত প্রমুখ ছিলেন এ সমিতির অন্যতম উল্লেখযোগ্য নেতা ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
4
Q

বঙ্গভঙ্গকে একটি ‘মীমাংসিত বিষয়’ বলে ঘোষণা করেন-

A

লর্ড মর্লে

বঙ্গভঙ্গের প্রথম দিকে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গের ব্যাপারে দৃঢ় ও অনমনীয় মনোভাব প্রদর্শন করেন। ভারত সচিব মর্লে বঙ্গ বিভাগকে একটি মীমাংসিত বিষয় বলে ঘোষণা করেন এবং কংগ্রেস কর্তৃক তা বাতিলের দাবি নাকচ করে দেন। এমনকি দমন

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
5
Q

সিমলা ডেপুটেশনে নেতৃত্ব দেন

A

আগা খান

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করে নতুন প্রদেশ গঠন করা হলে অধিকতর সুযোগ-সুবিধা লাভের আশায় পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের মুসলমানরা একে স্বাগত জানায়।

কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায় কংগ্রেস সরকারের এ উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করে এবং বঙ্গভঙ্গ রদ করার জন্য সর্বাত্মক আন্দোলন শুরু করে। হিন্দুদের বিশেষ করে কংগ্রেসের এ ভূমিকা ভারতীয় মুসলমানদের দারুণভাবে মর্মাহত ও বিক্ষুব্ধ করে। তারা বুঝতে পারে যে, স্বতন্ত্র রাজনৈতিক সংগঠন ব্যতীত তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ অসম্ভব। এসময় ব্রিটিশ সরকার ভারতের শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের কথা ব্যক্ত করে।

১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর আগা খানের নেতৃত্বে ৩৫ সদস্যের একটি মুসলিম প্রতিনিধি দল সিমলায় বড়লাট মিন্টোর সাথে দেখা করে তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। ইতিহাসে এটি ‘সিমলা ডেপুটেশন’ নামে খ্যাত।

বড় লাট মুসলমানদের দাবিগুলো সম্পর্কে সদয় বিবেচনার আশ্বাস দেন। এ ঘটনা ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে নবউদ্দীপনা ও আশার সঞ্চার করে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
6
Q

ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত বিপ্লবী গুপ্ত সমিতি অনুশীলনের প্রধান ছিলেন -

A

পুলিন বিহারী দাস

বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন হিসেবে। তবে কংগ্রেসের কিছু উগ্র ও চরমপন্থী নেতার প্ররোচনায় আন্দোলনকারীদের একাংশ সন্ত্রাসী ও উগ্রপন্থী কার্যকলাপ শুরু করে।

ঢাকা ও কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গুপ্ত সমিতি গঠিত হয়। ব্যারিস্টার প্রথমনাথ মিত্র ঢাকায় ‘অনুশীলন সমিতি’ গঠন করেন। পুলিন বিহারী দাসকে এটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
7
Q

সিপাহী বিদ্রোহের নেতা কে ছিলেন?

A

মঙ্গলপান্ডে

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
8
Q

বাঁশের কেল্লাখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী কে?

A

তিতু্মীর

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
9
Q

পাক-ভারত- বাংলা এই উপমহাদেশের প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধ কোন সনে শুরু হয়?

A

১৮৫৭

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
10
Q

গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর’ কোন জেলায় অবস্থিত?

A

নোয়াখালী

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
11
Q

নিচের কোনটি তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ নিয়ে নয়?

A

স্বদেশী বান্ধব।

স্বদেশী বান্ধব তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ নিয়ে নয়।

১৯৪৩ সালে বাংলায় সংঘটিত দুর্ভিক্ষ পঞ্চাশের মন্বন্তর/তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ নামে পরিচিত। বাংলা ১৩৫০ সালে এই দুর্ভিক্ষ সংঘটিত হওয়ায় এটিকে পঞ্চাশের মন্বন্তর বলা হয়।

এ দুর্ভিক্ষে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ মারা যায়। এ দুর্ভিক্ষের জন্যে কৃত্রিম সংকটকে দায়ী করা হয়। এ দুর্ভিক্ষকে কেন্দ্র করে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

☛ পঞ্চাশের মন্বন্তর নিয়ে বিশেষ তথ্য:

সেই সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন: লর্ড ওয়াভেল।
তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী: উইনস্টল চার্চিল
কারণ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান বার্মা দখলের ফলে চাল আমদানি বন্ধ, ১৯৪০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও ১৯৪৩ সালে কলকাতায় জাপানের বিমান হামলা।

দুর্ভিক্ষকে কেন্দ্র করে গ্রন্থ: মধুশ্রী মুখোপাধ্যায়ের Churchill’s Secret War. নির্মিত চলচ্চিত্র: মৃণাল সেনের ‘অকালের সন্ধানে’ (১৯৭০), সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ (১৯৭৩)।
নির্মিত চিত্রকর্ম: জয়নুল আবেদীনের ‘ম্যাডোনা-৪৩’।

অন্যদিকে,

স্বদেশী বান্ধব স্বদেশী আন্দোলনের সমর্থনে গঠিত একটি সমিতি।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
12
Q

আরব-ইরান থেকে বাঙালি মুসলমানদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’’, কে বলেছিলেন?

A

বদরুদ্দীন উমর।

বদরুদ্দীন উমর বলেছিলেন, ‘‘আরব-ইরান থেকে বাঙালি মুসলমানদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’‘।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
13
Q

১৯৪৭ সালে মুসলমান অধ্যুষিত যে জেলাটি পশ্চিম বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল না-

A

মেহেরপুর

১৯৪৭ সালে মুসলমান অধ্যুষিত মেহেরপুর জেলাটি পশ্চিম বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

☛ ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর মুসলমান অধ্যুষিত যে জেলাগুলো পশ্চিম বাংলার অর্ন্তভুক্ত হয়- মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া।

☛ মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও নদীয়ার ক্ষতিপূরণ স্বরূপ পূর্ব বাংলায় অন্তভুক্ত হয়- পার্বত্য চট্টগ্রাম।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
14
Q

নীল বিদ্রোহের প্রথম শহিদ-

A

বিশ্বনাথ সর্দার।

নীল বিদ্রোহের প্রথম শহিদ বিশ্বনাথ সর্দার।

☛ নীল বিদ্রোহ নিয়ে বিশেষ তথ্য:

১৮৫০ এর দশকের শেষ ভাগে নদীয়া ও যশোরাঞ্চলে নীল চাষীদের দ্বারা নীল বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়। ১৮৫৯ সালের দিকে নীল বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করে এবং নীল চাষের অধীন অন্যান্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ে।

বিদ্রোহের সময়কাল- ১৮৫৯-১৮৬২
নীল প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রথম প্রবাদ পুরুষ- বিশ্বনাথ সর্দার
প্রথম নীল বিদ্রোহের সূচনা- কুষ্টিয়া ও যশোরের চৌগাছা থেকে
নীল কমিশন গঠন- ১৮৬০ সালের ৩১ মার্চ। এটার রিপোর্ট প্রকাশ হয় ১৮৬১ সালে।
নীল বিদ্রোহে প্রথম শহিদ- বিশ্বনাথ সর্দার

নওয়াব আব্দুল লতিফ- যশোরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট যিনি নীল চাষীদের পক্ষে রায় দেন।
কৃত্রিম নীল আবিষ্কার- ১৮৯২
নীল চাষের নামে জেলার নামকরণ- নীলফামারী

নীল বিদ্রোহ নিয়ে নাটক ও গ্রন্থ-
- নীল দর্পণ (১৮৬০); দীনবন্ধু মিত্র (প্রকাশিত হয় বেনামে)
- নীল বিদ্রোহ ও বাঙালি সমাজ; ড: প্রমোদরঞ্জন সেন গুপ্ত

কৃত্রিম নীল আবিষ্কৃত হলে ১৮৯২ সালে বাংলা থেকে নীল চাষ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
15
Q

যে আইনের মাধ্যমে বার্মাকে ভারতবর্ষ থেকে পৃথক করা হয়-

A

ভারত শাসন আইন, ১৯৩৫।

ভারত শাসন আইন, ১৯৩৫-এর মাধ্যমে বার্মাকে ভারতবর্ষ থেকে পৃথক করা হয়।

১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন (The Govt. of India Act, 1935 ):

☛ পটভূমি: ১৯২৬ সালে ঢাকা ও কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা হলে ব্রিটিশ সরকার একটি ‘ভারত শাসন আইন প্রনয়নের আনা ১৯২৭ সালে সাইমন কমিশন গঠন করে। এই কমিশনের বিরুদ্ধে হিন্দুরা ১৯২৮ সালে দেয় “নেহরু রিপোর্ট’’ ও ১৯২৯ সালে মুসলিমদের পক্ষে দেয়া হয় ‘‘জিন্নাহর চৌদ্দ দফা”।

পরবর্তীতে সাইমন কমিশন, নেহরু রিপোর্ট ও চৌদ্দ দফা নিয়ে ১৯৩০, ১৯৩১ ও ১৯৩২ সালে লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয় তিনটি গোলটেবিল বৈঠক। এই বৈঠকের পরে ১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস হয় ‘ভারত শাসন আইন-১৯৩৫’।

☛ ম্যাকডোনাল্ড সাম্প্রদায়িক রোয়েদাদ: ১৯৩২ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাকডোনাল্ড আইনসভায় বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বণ্টনসহ ভারতের জন্য একটি ভবিষ্যৎ সংবিধানের রূপরেখা ঘোষণা করেন, যা ‘ম্যাকডোনানাল্ড সাম্প্রদায়িক রোয়েদাদ’ নামে খ্যাত।

☛ ভারত শাসন আইনের (১৯৩৫) বিষয়বস্তু:

-পাশ: ১৯৩৫ সালের ২ আগস্ট
-কার্যকর: ১৯৩৭ সালের ১ এপ্রিল
-প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল: যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার পদ্ধতি ও প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন (Provincial Autonomy)

-এই আইনের ফলে:

১. বার্মা (মিয়ানমার) উপমহাদেশ থেকে পৃথক হয় (কার্যকর: ১৯৩৭)।
২. প্রাদেশিক নির্বাচনের সূচনা ঘটে।
৩. উপমহাদেশে নারীরা প্রথম ভোটাধিকার পায় (ভোট প্রদান: ১৯৩৭)।
৪. কেন্দ্রীয় আইনসভা হয় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট যথাক্রমে:
ক. রাষ্ট্রীয় সভা (Council of State) (উচ্চকক্ষের নাম)।
খ. ব্যবস্থাপক/যুক্তরাষ্ট্রীয় সভা (Federal Assembly) (নিম্ন কক্ষের
নাম)।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
16
Q

১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয় কোথা থেকে?

A

মিরাট।

১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন শুরু হয় মিরাট
থেকে।

সিপাহী বিদ্রোহকে ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন বলা হয়।

☛ সিপাহি বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলা হয়। এটাকে মহাবিদ্রোহ এবং ভারতীয় বিদ্রোহও বলা হয়। ১৮৫৭ সালের ২৯শে মার্চ পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে মঙ্গলপাণ্ডে নামে একজন সিপাহী কর্তৃক গুলি বর্ষণের মাধ্যমে এই বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটে।

সিপাহি বিদ্রোহ পরবর্তীতে ভারতবর্ষের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই বিদ্রোহ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। তবে সিপাহি বিদ্রোহের ফলে ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে। ভারতের শাসনভার ব্রিটিশ সরকার সরাসরি তার হাতে নিয়ে নেয়।

বিদ্রোহের আনুষ্ঠানিক সূচনা: ১০ মে, ১৮৫৭ (মিরাটের সৈন্যরা প্রথম বিদ্রোহ করে)

বিদ্রোহের নেতৃত্বদানকারী: মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ।

সিপাহি বিদ্রোহের স্মরণীয় স্থান: বাহাদুর শাহ পার্ক।

*** সিপাহী বিদ্রোহ দমন করেন লর্ড ক্যানিং।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
17
Q

কোনটির ফলস্বরূপ ছিল, ‘উপমহাদেশের নারীদের প্রথম ভোটাধিকার’?

A

ভারত শাসন আইন।

ভারত শাসন আইন, ১৯৩৫-এর ফলস্বরূপ ছিল, ‘উপমহাদেশের নারীদের প্রথম ভোটাধিকার’।

☛ ভারত শাসন আইন, ১৯৩৫-এর ফলাফল:

১. বার্মা (মিয়ানমার) উপমহাদেশ থেকে পৃথক হয় (কার্যকর: ১৯৩৭)।
২. প্রাদেশিক নির্বাচনের সূচনা ঘটে।
৩. উপমহাদেশে নারীরা প্রথম ভোটাধিকার পায় (ভোট প্রদান: ১৯৩৭)।
৪. কেন্দ্রীয় আইনসভা হয় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট যথাক্রমে:
ক. রাষ্ট্রীয় সভা (Council of State) (উচ্চকক্ষের নাম)।
খ. ব্যবস্থাপক/যুক্তরাষ্ট্রীয় সভা (Federal Assembly) (নিম্ন কক্ষের
নাম)।

18
Q

ইন্ডিয়ান অপিনিয়ন’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-

A

মহাত্মা গান্ধী।

‘ইন্ডিয়ান অপিনিয়ন’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন- মহাত্মা গান্ধী।

☛ মহাত্মা গান্ধী:

পরিচয়: স্বাধীন ভারতীয় জাতির জনক, অহিংস আন্দোলনের প্রবক্তা এবং সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রধান নেতা।
পুরো নাম: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।
মহাত্মা উপাধি দেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

আফ্রিকায় প্রতিষ্ঠা করেন: নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস।
ভারতে আসেন: ১৯১৫ সালে।
ভারতের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন: ১৯১৭ সালে।

বিশেষ তথ্য:

-২০০৭ সালে জাতিসংঘ গান্ধীর জন্মদিন ২ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
-তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার Indian Opinion পত্রিকাটি সম্পাদনা করতেন।
-উইনস্টন চার্চিল তাঁকে Half Nacked Indian Fakir বলেছিলেন।

বাংলাদেশ ভ্রমণ: ১৯৪৬ সালে নোয়াখালী ভ্রমণ করেন। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ‘গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর’ স্থাপিত হয়েছে।
তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ: The Story of My Experiments with Truth.

নিহত হন: ৩০ জানুয়ারি, ১৯৪৮ (আততায়ী নথুরাম গডসে কর্তৃক)

১৯২০ সালে গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। কিন্তু আন্দোলনটি সশস্ত্র রূপ নেয়ায়, ১৯২২ সালে তিনি এটি প্রত্যাহার করেন।

19
Q

সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন’ কে গঠন করেন?

A

সৈয়দ আমির আলী।

১৮৭৭ সালে সৈয়দ আমির আলী কলকাতায় সেন্ট্রাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত সেন্ট্রাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশনই ছিলো মুসলানদের একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

সৈয়দ আমীর আলী ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক, লেখক ও আইনজ্ঞ।

সৈয়দ আমীর আলির অবদান:

  • তিনিই প্রথম মুসলমান নেতা, যিনি বিশ্বাস করতেন মুসলমানদের জন্য একটি পৃথক রাজনৈতিক সংগঠন থাকা প্রয়োজন। ভারতের আইনে মুসলিম আইন প্রবর্তনে ভূমিকা পালন করেন।
  • তিনি Central National Mohammedan Association প্রতিষ্ঠা করেন। (১৮৭৭ খ্রিঃ)
  • লন্ডনের প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
  • তার কিছু বিখ্যাত বই হচ্ছে The Spirit of Islam এবং A Short History of Saracens.
20
Q

প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম কোনটি?

A

সিপাহী বিপ্লব।

সিপাহী বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলা হয়।

☛ সিপাহী বিদ্রোহকে ১৮৫৭ সালের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলন বলা হয়।। এটাকে মহাবিদ্রোহ এবং ভারতীয় বিদ্রোহও বলা হয়। ১৮৫৭ সালের ২৯শে মার্চ পশ্চিমবঙ্গের ব্যারাকপুরে মঙ্গলপাণ্ডে নামে একজন সিপাহী কর্তৃক গুলি বর্ষণের মাধ্যমে এই বিদ্রোহের সূত্রপাত ঘটে।

সিপাহী বিদ্রোহের ফলাফল ও মূল্যায়ন:

  • ১৮৫৮ সালে বিদ্রোহ শেষে এক ঘোষণা বলে মহারাণী ভিক্টোরিয়া ভারতবর্ষের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নেন এবং অবসান হয় একশ বছরের কোম্পানি শাসন।
  • ব্রিটিশ রাজ ‘স্বত্ব বিলোপ নীতি’ বাতিল ঘোষণা করে। এই নীতি চালু করেছিলেন লর্ড ডালহৌসি।
  • সামরিক বাহিনীতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়।
  • বাহাদুর শাহ জাফরকে রেঙ্গুনে নির্বাসনে পাঠানো হয়।
  • ভারতবর্ষের বিষয়াবলি দেখাশোনার জন্য ‘ভাইসরয়’ নামক একটি পদ সৃষ্টি করা হয়। এভাবে ইংরেজরা তাদের শাসনকার্যে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন।

*** সিপাহী বিদ্রোহ দমন করেন লর্ড ক্যানিং।

21
Q

নীল বিদ্রোহ ও বাঙালি সমাজ’ এর রচয়িতা-

A

প্রমোদরঞ্জন সেন গুপ্ত।

‘নীল বিদ্রোহ ও বাঙালি সমাজ’ এর রচয়িতা-প্রমোদরঞ্জন সেন গুপ্ত।

☛ নীল বিদ্রোহ নিয়ে নাটক ও গ্রন্থ-
- নীল দর্পণ (১৮৬০); দীনবন্ধু মিত্র (প্রকাশিত হয় বেনামে)
- নীল বিদ্রোহ ও বাঙালি সমাজ; ড: প্রমোদরঞ্জন সেন গুপ্ত

22
Q

ফরায়েজী আন্দোলনকে কোন নেতা রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপদান করেন?

A

দুদু মিয়া।

ফরায়েজী আন্দোলনকে দুদু মিয়া রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপদান করেন।

☛ ফরায়েজি আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল।

ফরায়েজি আন্দোলন ছিলো একটি ধর্মীয়-সামাজিক সংস্কার আন্দোলন। উনিশ শতকের প্রথমার্ধে হাজী শরীয়তউল্লাহ ফরায়েজি আন্দোলনের সূত্রপাত করেন।

১৮৪০ সালে শরীয়তউল্লাহর মৃত্যুর পর তার পুত্র মুহাম্মদ মুহসিন উদ্দিন ওরফে দুদু মিয়া এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। দুদু মিয়া ফরায়েজি আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেন।

১৮৬২ সালে দুদু মিয়ার মৃত্যুর পর ফরায়েজি আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে।

'’জমি থেকে খাজনা আদায় আল্লাহর আইনের পরিপন্থী” উক্তিটি করেন- দুদু মিয়া।

23
Q

কে বাংলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে ‘পরো না রেশমী চুড়ি বঙ্গনারী’ গান গেয়ে জনগণের মধ্যে স্বদেশী আন্দোলনের পক্ষে তীব্র আবেগ সৃষ্টি করেন?

A

কবি মুকুন্দ দাস।

কবি মুকুন্দ দাস বাংলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে ‘পরো না রেশমী চুড়ি বঙ্গনারী’ গান গেয়ে জনগণের মধ্যে স্বদেশী আন্দোলনের পক্ষে তীব্র আবেগ সৃষ্টি করেন।

☛ স্বদেশী আন্দোলনে সাহিত্যিক এবং রাজনীতিবিদদের অংশগ্রহণ:

** রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বাংলার ঐক্যের জন্য বাংলার প্রকৃতি নিয়ে আমার ‘সোনার বাংলা’ গানটি রচনা করেন। বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে বাংলার ঐক্যের জন্য বাংলার প্রকৃতি নিয়ে আমার ‘সোনার বাংলা’ গানটি রচনা করেন। এর আগে গানটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বাক্ষরে সঞ্জীবনী পত্রিকায় মুদ্রিত হয় ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯০৫ সালে।

রচনা করেন: ‘ও আমার দেশের মাটি’ গান এবং ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ কবিতা

‘রাখি বান্ধন’: বাঙালির ঐক্যের জন্য চালু করেন।

** মুকুন্দ দাস- তিনি ছিলেন বরিশালের চারণ কবি। তাঁর ‘পরনা রেশমি চুড়ি, বঙ্গনারী’ গানটি ছিল বঙ্গভঙ্গবিরোধী।

** দ্বিজেন্দ্রলাল রায়- তিনি রচনা করেন ‘ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা, আমাদেরই বসুন্ধরা’, যা বাংলাদেশের জাতীয় গান।

স্বদেশী আন্দোলনের পক্ষে পত্রিকা: বেঙ্গলি, সঞ্জীবনী, যুগান্তর, অমৃতবাজার, সন্ধ্যা ও হিতবাদী।

স্বদেশী আন্দোলনে অসাম্প্রদায়িক ভূমিকা রাখে: এ কে ফজলুল হক ও নিবারণচন্দ্র দাশের সম্পাদনায় ‘বালক’ পত্রিকা। ১৯০১ সাল থেকে বরিশাল থেকে প্রকাশিত হতো।

24
Q

‘A short History of Saracens’ কার লেখা?

A

সৈয়দ আমীর আলী।

‘A short History of Saracens’ সৈয়দ আমীর আলীর লেখা।

সৈয়দ আমীর আলি ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক, লেখক ও আইনজ্ঞ। ১৮৭৭ সালে সৈয়দ আমির আলি কলকাতায় সেন্ট্রাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার পূর্ব পর্যন্ত সেন্ট্রাল মোহামেডান অ্যাসোসিয়েশনই ছিলো মুসলানদের একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

তার কিছু বিখ্যাত বই হচ্ছে The Spirit of Islam এবং A Short History of Saracens.

25
Q

সর্বকনিষ্ঠা নারী বিপ্লবী ছিলেন কে?

A

সুনীতি চৌধুরী।

সর্বকনিষ্ঠা নারী বিপ্লবী ছিলেন সুনীতি চৌধুরী।

সুনীতি চৌধুরী (ঘোষ) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।

26
Q

ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেট কিংস ফোর্ডকে হতার জন্য কে বোমা নিক্ষেপ করে?

A

ক্ষুদিরাম।

ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেট কিংস ফোর্ডকে হতার জন্য বোমা নিক্ষেপ করে ক্ষুদিরাম।

ক্ষুদিরাম ব্রিটিশ বিরোধী সর্বকনিষ্ঠ বিপ্লবী। পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার এ বিপ্লবী তরুণ অষ্টম শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় স্বদেশী আন্দোলনে যোগদান করেন। কলকাতার ‘যুগান্তর সমিতি’র সদস্য ক্ষুদিরাম ও প্রফুল্ল চাকীর উপর দায়িত্ব পড়ে কলকাতা প্রেসিডেন্সির প্রধান ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করার। ৩০ এপ্রিল, ১৯০৮ সালে কিংসফোর্ডের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করলে তা অন্য একটি গাড়িতে আঘাত হানে যাতে ইংরেজ মা মেয়ে নিহত হয়।

তাই ক্ষুদিরামকে ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট (১৮ বছর ৭ মাস বয়সে) মুজাফ্ফরপুর কারাগারে ফাঁসি দেয়া হয়। ‘‘সোনার বাংলা” লিফলেট বিতরণ করতে গিয়ে আলোচিত হওয়া এই তরুণের জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্রের নাম ‘ম্যায় ক্ষুদিরাম বোস হুঁ’ (হিন্দি ভাষার)।

27
Q

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সম্পৃক্ত ছিলেন-

A

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে।

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার সম্পৃক্ত ছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে।

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার মাস্টারদার ছাত্রী ছিলেন।

তিনি লীলা নাগের ‘দীপালি সঙ্ঘের’ অন্তর্ভুক্ত শ্রী সংঘের সদস্য ছিলেন।
১৯৩২ সালে মাস্টারদা, প্রীতিলতা ও কল্পনা দত্তকে চট্টগ্রামের ‘পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব’ আক্রমণের জন্য মনোনীত করা হয়।

সেখানে গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই ১৯৩৪ সালে বিষপানে আত্মহত্যা করেন।

28
Q

চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের নেতা ছিলেন-

A

সূর্য সেন।

চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের নেতা ছিলেন-সূর্য সেন।

সূর্যকুমার সেন (মাস্টারদা) ‘চট্টগ্রাম বিপ্লবী বাহিনী’ (পরে চিটাগাং রিপাবলিকান আর্মি) এর সদস্য ছিলেন।

১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামের ২টি সরকারি অস্ত্রাগার লুণ্ঠন করেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ১০০০ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।

১৯৩৪ সালের ১২ জানয়ারি তাঁকে ফাঁসি দিয়ে মৃতদেহ বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়া হয়।

29
Q

অসহযোগ এবং খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত স্মরণীয় নায়ক কে?

A

মাওলানা মোহা: আলী।

অসহযোগ এবং খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত স্মরণীয় নায়ক মাওলানা মোহা: আলী।

☛ খেলাফত আন্দোলন (১৯১৯-১৯২৪):

পরিচয়- প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর তুরস্কের অখণ্ডতা রক্ষা এবং তুর্কি সুলতান বা খলিফার মর্যাদা ও ক্ষমতা অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে ১৯১৯ সালে ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে যে আন্দোলন গড়ে ওঠে তা-ই খেলাফত আন্দোলন।

আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন- আলী ভ্রাতৃদ্বয় (মোহাম্মদ আলী ও শওকত আলী), মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, আনসারী প্রমুখ মুসলিম নেতৃবৃন্দ।

খেলাফত কমিটি- ১৯১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর (ঢাকায়)

☛ অসহযোগ আন্দোলন (১৯২০-১৯২২):

হিন্দু-মুসলিম ঐক্য চুক্তির (লক্ষ্ণৌ চুক্তি) কারণে মুসলমানদের খেলাফত আন্দোলনকে হিন্দুদের সমর্থন দেয়ার জন্য খেলাফত আন্দোলনের বিকল্প আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়। ১৯১৯ সালের রাওলাট আইন ও আলিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের কারণে হিন্দুরা খেলাফত আন্দোলনকে সমর্থন করে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।

১৯২০ সালে গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। কিন্তু আন্দোলনটি সশস্ত্র রূপ নেয়ায়, ১৯২২ সালে তিনি এটি প্রত্যাহার করেন।

30
Q

সি আর দাস ফর্মূলা’ নামে পরিচিত ছিল কোনটি?

A

বেঙ্গল প্যাক্ট, ১৯২৩।

‘সি আর দাস ফর্মূলা’ নামে পরিচিত ছিল-বেঙ্গল প্যাক্ট, ১৯২৩।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯২৩ সালের ডিসেম্বরে বাংলার হিন্দু ও মুসলিম নেতাদের মধ্যে বেঙ্গল প্যাক্ট নামে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এ চুক্তি সম্পাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস।
মুসলমানদের পক্ষে আব্দুল করিম, মুজিবুর রহমান, আকরম খাঁ, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ প্রতিনিধিত্ব করেন।

এটি ‘সি আর দাস ফর্মুলা’ নামেও পরিচিত।

১৯২৫ সালে চিত্তরঞ্জন দাসের মৃত্যু হলে বেঙ্গল প্যাক্ট তার গুরুত্ব হারাতে শুরু করে।

31
Q

বসু-সোহরাওয়ার্দী প্রস্তাবের মূল বক্তব্য ছিল-

A

যুক্ত বাংলা।

বসু-সোহরাওয়ার্দী প্রস্তাবের মূল বক্তব্য ছিল-যুক্ত বাংলা।

☛ ব্রিটিশ ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে বসু সোহরাওয়ার্দী চুক্তি একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তরকালের দ্রুত পরিবর্তনশীল অবস্থার প্রেক্ষাপটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এ্যাটলির ফেব্রুয়ারি ঘোষণার (১৯৪৭) পর ভারতবর্ষের স্বাধীনতা একরকম নিশ্চিত হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাধীন অখণ্ড বাংলা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বসু-সোহরাওয়ার্দী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

প্রস্তাব বা চুক্তির শর্ত তথা সংবিধানের রূপরেখা নিম্নরূপ:

১। সার্বভৌম- বাংলা হবে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। ভারতের বাকি অংশের সঙ্গে তার সম্পর্ক কি হবে তা এই স্বাধীন রাষ্ট্র নিজেই নির্ধারণ করবে।

২। হিন্দু ও মুসলমানদের আসন বণ্টন

৩। মন্ত্রিসভা গঠন

৪। প্রশাসনিক পদে হিন্দু মুসলমান নিয়োগ

৫। গণপরিষদ গঠন

32
Q

লাহোর প্রস্তাব ছিল-

A

ভারতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকার জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ গঠনের প্রস্তাব।

লাহোর প্রস্তাব ছিল-ভারতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকার জন্য স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ গঠনের প্রস্তাব।

☛ লাহোর প্রস্তাব সম্পর্কে বিশেষ তথ্য:

-১৯৪০ সালের ২৩শে মার্চ মুসলিম লীগের লাহোর অধিবেশনে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

-প্রস্তাবটি গৃহীত হয়: ২৪ মার্চ, ১৯৪০ (জিন্নাহর সভাপতিত্বে)
-লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তি ছিল: দ্বি-জাতি তত্ত্ব

-লাহোর প্রস্তাবের মূল কথা বা বক্তব্য: উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম এবং পূর্বভাগের মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলগুলোকে নিয়ে একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্র (Independent States) গঠন করতে হবে।

-মূল লাহোর প্রস্তাবের সংশোধন: ৯ এপ্রিল, ১৯৪৬ সালে দিল্লিতে আইনসভার, মুসলিম লীগ সদস্যদের একটি বিশেষ কনভেনশনে ‘একাধিক স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহ’ (Independent States) কথাটি সংশাধন করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বা Independent State গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।

-লাহোর প্রস্তাবে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তার কথা প্রাধান্য পেলেও বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে ভাষা ও সংস্কৃতিভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদী চেতনা থেকে।

-লাহোর প্রস্তাবের কোথাও ‘পাকিস্তান’ কথাটি ছিল না যদিও এ প্রস্তাব পাকিস্তান প্রস্তাব নামে পরিচিতি লাভ করে।

** পাকিস্তানের জন্ম ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে নয় বরং ১৯৪৬ সালের এপ্রিল মাসে উত্থাপিত দিল্লি প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তানের জন্ম হয়। কারণ লাহোর প্রস্তাব সংশাধন করা হয়েছিল।

33
Q

বেঙ্গল প্যাক্ট স্বাক্ষরিত হয় কবে?

A

১৯২৩।

বেঙ্গল প্যাক্ট স্বাক্ষরিত হয় ১৯২৩ সালে।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯২৩ সালের ডিসেম্বরে বাংলার হিন্দু ও মুসলিম নেতাদের মধ্যে বেঙ্গল প্যাক্ট নামে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এ চুক্তি সম্পাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস।
মুসলমানদের পক্ষে আব্দুল করিম, মুজিবুর রহমান, আকরম খাঁ, মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ প্রতিনিধিত্ব করেন।

এটি ‘সি আর দাস ফর্মুলা’ নামেও পরিচিত।

১৯২৫ সালে চিত্তরঞ্জন দাসের মৃত্যু হলে বেঙ্গল প্যাক্ট তার গুরুত্ব হারাতে শুরু করে।

34
Q

দ্বিজাতি তত্ত্ব উপস্থাপিত হয় মুসলিম লীগের কত তম অধিবেশনে?

A

২৭।

দ্বিজাতি তত্ত্ব উপস্থাপিত হয় মুসলিম লীগের ২৭ তম অধিবেশনে।

☛ জিন্নাহ প্রদত্ত দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তি ছিলো ধর্ম।

বিশ শতকের চল্লিশের দশকে মুহম্মদ আলী জিন্নাহ হিন্দু-মুসলিম পৃথক জাতিসত্ত্বা সম্পর্কিত দ্বি-জাতি তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তার দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তি ছিলো ধর্ম।

১৯৩৯ সালে দ্বি-জাতি তত্ত্ব উত্থাপন করা হয়।

এটার অপর নাম পাকিস্তান তত্ত্ব। এর মূল কথা ছিল হিনু-মুসলিম আলাদা রাষ্ট্র।

জিন্নাহ প্রদত্ত দ্বি-জাতি তত্ত্বের আলোকেই লাহোর প্রস্তাব ও দিল্লি প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়। জিন্নাহ’র পূর্বে স্যার সৈয়দ আহমদ খান এবং আল্লামা ইকবাল মুসলিম জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন।

35
Q

ভারত স্বাধীনতা আইন পাশ হয় কত সালে?

A

১৯৪৭।

১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করে ভারত স্বাধীনতা আইন করা হয় ১৯৪৭ সালে।

☛ ভারত স্বাধীনতা আইন, ১৯৪৭ (The Indian Independence Act-1947):

ভারত স্বাধীনতা আইন- ১৯৪৭ সালের ৩ জুনের মাউন্টব্যাটেন পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৯৪৭ সালের ১৮ জুলাই যে আইন পাস করে তা ‘ভারত স্বাধীনতা আইন’ নামে খ্যাত।

ফলাফল-ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি ডোমিনিয়ান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়। পাকিস্তানের জন্ম-১৪ আগস্ট, ১৯৪৭ এবং ভারত স্বাধীন হয়-১৫ আগস্ট, ১৯৪৭।

স্বাধীন ভারতের গভর্নর হয়-লর্ড মাউন্টব্যাটেন এবং স্বাধীন পাকিস্তানের গভর্নর হয় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

আইন অনুযায়ী-

১. বাংলা ও পাঞ্জাব প্রদেশগুলো ধর্মের ভিত্তিতে বিভক্ত হবে।
২. আসামের সিলেট জেলা পাকিস্তানের সঙ্গে যোগ দিবে কিনা তা গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
৩. ভারত ও পাকিস্তান কমনওয়েলথভুক্ত থাকবে কিনা তা উভয় দেশের গণপরিষদ সিদ্ধান্ত দেবে।
৪. ভারতকে ডোমিনিয়নের (Dominion) মর্যাদা প্রদানের জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একটি সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করা হবে।
৫.ভারত ও পাকিস্তানের সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি আইন কমিশন পরিত হবে।

** দুই দেশের সীমানা নির্ধারণের জন্য স্যার র‍্যাডক্লিফের নেতৃত্বে সীমানা নির্ধারণ কমিটি গঠন করা হয়।

36
Q

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলার কোন বিপ্লবী জার্মান থেকে অস্ত্র সাহায্যের আশ্বাস পান?

A

বাঘা যতীন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলার কোন বিপ্লবী জার্মান থেকে অস্ত্র সাহায্যের আশ্বাস পান বাঘা যতীন।

☛ বিশেষ তথ্য:

-প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বাংলায় বিপ্লবীদের মধ্যে একদল বিদেশ থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে সম্মুখ যুদ্ধে ইংরেজদের কাছে থেকে ক্ষমতা দখলের নীতি গ্রহণ করে।

  • এঁদের মধ্যে ছিলেন যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতীন, ডা. যদুগোপাল মুখোপাধ্যায়, নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
  • তাঁরা ইংরেজ বিরোধী শক্তি জার্মানি থেকে অস্ত্র সাহায্যের আশ্বাস পান।
  • কিন্তু ইংরেজ সরকার বিপ্লবীদের এ চক্রান্তের কথা আগেই জেনে যাওয়ায় জার্মানির জাহাজ আসার পথ রুদ্ধ হয়।

-এ দিকে বাঘা যতীন ও তাঁর কয়েকজন সঙ্গী উড়িষ্যার বালেশ্বরে জার্মান জাহাজের উপস্থিতির আশায় হাজির হয়েছিলেন।
- তাঁদের আগমনের সংবাদ পেয়ে কলকাতা থেকে পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্ট একদল সশস্ত্র পুলিশ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন।
-বাঘা যতীন ও তাঁর সহকর্মীদের সাথে পুলিশ বাহিনীর গুলি বিনিময়কালে চিত্ত প্রিয় নামের একজন বিপ্লবী নিহত হন।
-অন্য তিন আহত সহকর্মীসহ বাঘা যতীন ধরা পড়েন এবং বন্দী অবস্থায় তাঁর মৃত্যু ঘটে ।
-তাঁর দুই সহকর্মীর ফাঁসি হয় এবং একজন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।

37
Q

মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা করেন কে?

A

এটলি।

মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা করেন এটলি।

ভারতীয় রাজনৈতিক শাসনতান্ত্রিক সমস্যাবলি নিরসনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এটলি ১৯৪৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি একটি মন্ত্রিমিশন গঠন করেন। ১৯৪৬ সালে মার্চ মাসে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার ৩ জন প্রভাবশালী মন্ত্রী, যথা বাণিজ্য বোর্ডের সভাপতি স্যার স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস, ভারত সচিব লর্ড পেথিক লরেন্স এবং নৌ বিভাগের প্রথম লর্ড এ ভি আলেকজান্ডারকে নিয়ে গঠিত একটি মিশন ভারতে প্রেরণ করা হয়।

মন্ত্রিমিশন ভারতের স্বাধীনতা প্রদানের পদ্ধতি প্রণয়ন এবং ভবিষ্যৎ সংবিধান প্রণয়নের জন্য কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ নেতাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন। কিন্তু উভয় দলের মধ্যে মতৈক্য সৃষ্টি না হওয়ায় মন্ত্রিমিশন তাঁদের নিজস্ব পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। এটাই মন্ত্রিমিশন পরিকল্পনা নামে খ্যাত।

38
Q

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস কখন?

A

২৬ জানুয়ারি।

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস ২৬ জানুয়ারি।

ভারত স্বাধীন হয় ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট। সংবিধান কার্যকরের মধ্য দিয়ে প্রজাতন্ত্র হয় ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি

39
Q

কার নেতৃত্বে ‘আলীগড় আন্দোলন’ সূচিত হয়?

A

স্যার সৈয়দ আহমদ খান।

স্যার সৈয়দ আহমদ খান এর নেতৃত্বে ‘আলীগড় আন্দোলন’ সূচিত হয়।

১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিপ্লবের ব্যর্থতা ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে নিরুৎসাহ ও হতাশার সৃষ্টি করে। ইংরেজ শাসনকে মনে প্রাণে গ্রহণ করতে না পারায় এবং পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি অনীহার কারণে তারা জীবনের সর্বক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়ে এবং দুঃখ দুর্দশার আবর্তে নিপতিত হয়।

মুসলমানদের সেই দুর্যোগময় মুহূর্তে তাদের ত্রাণকর্তারূপে উত্তর ভারতে স্যার সৈয়দ আহমদ খানের আবির্ভাব ঘটে। অধঃপতিত অবস্থা থেকে মুসলমানদের পুনরুদ্ধার ও তাদের পুনর্জাগরণের জন্য তিনি উত্তর ভারতে আলীগড় কেন্দ্রিক যে আন্দোলন সৃষ্টি করেন, ইতিহাসে তা ‘আলীগড় আন্দোলন’ নামে প্রসিদ্ধ ।

40
Q

নীল বিদ্রোহের সূচনা হয় কোথায়?

A

বারাসাত।

নীল বিদ্রোহের সূচনা হয় বারাসাত।

☛ নীল বিদ্রোহ:

-ইংল্যান্ডে শিল্প বিপ্লবের ফলে কাঁচামাল সংগ্রহের একটি ক্ষেত্র হিসেবে আবির্ভূত হয় ব্রিটেনের বাংলা উপনিবেশ।
-বস্ত্র শিল্পের রঞ্জক হিসেবে নীলের চাষ ও তা ইংল্যান্ডে রপ্তানি করে প্রচুর মুনাফার সম্ভাবনা সূত্র খুঁজে পায় নীলকরেরা।
-রায়তদের জোর করে নীল চাষে বাধ্য করে তারা। কিন্তু অলাভজনক হওয়ায় রায়তেরা নীলচাষে অনাগ্রহ প্রকাশ করে ।

-নীলকরদের অত্যাচারে ঐক্যবদ্ধ কৃষক সমাজ ১৮৫৯ - ৬২ খ্রি. পর্যন্ত পরিব্যাপ্ত সময়ে নীল বিদ্রোহ গড়ে তোলে।
-নীল বিদ্রোহের সূচনা হয় বারাসাতে।
-দ্রুত এই বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে নদীয়া, পাবনা, মুর্শিদাবাদ ও অন্যান্য নীলচাষভুক্ত এলাকায়।

-১৮৬০ খ্রি. নীল বোনার মৌসুম শুরু হলে একযোগে সকল চাষী নীল চাষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে।
-অন্যদিকে নীলকরেরাও গ্রামে গ্রামে লাঠিয়াল পাঠিয়ে ঘরবাড়ি ভেঙ্গে, শারীরিক নির্যাতন ও আদালতে হয়রানিমূলক মামলা করে বিদ্রোহ দমনের চেষ্টা করে ।

-সরকার ১৮৬০ খ্রি. নীল কমিশন গঠন করে।
-কমিশনের সুপারিশে রায়তের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে নীলচাষে বাধ্য করাকে আইনত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

41
Q

আইন অমান্য আন্দোলনের পটভূমি কোনটি?

A

সাইমন কমিশন।

আইন অমান্য আন্দোলনের পটভূমি সাইমন কমিশন।

আইন অমান্য আন্দোলন ১৯৩০ সালে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হয়। এ আন্দোলনের পটভূমি হলো সাইমন কমিশন। ভারতের জন্য একটি সংবিধান প্রণয়ন এবং তা চূড়ান্তকরণের জন্য ১৯২৭ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক সাইমন কমিশন গঠিত হয়।

কেবল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের নিয়ে এ কমিশন গঠিত হওয়ার কারণে ভারতের সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের সব ধরনের নেতা ও কর্মীরা এটিকে পুরোপুরি একটি শ্বেতাঙ্গ কমিশন বলে বর্জন করে।