বাংলাদেশের ইতিহাস: উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন -৪ Flashcards

1
Q

ভারত ছাড় আন্দোলন’ এর প্রস্তাব পাশ হয় কত সালে?

A

১৯৪২।

‘ভারত ছাড় আন্দোলন’ এর প্রস্তাব পাশ হয় ১৯৪২ সালে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪২ সালের আগস্টে মহাত্মা গান্ধী ভারত ছাড় আন্দোলনের ডাক দেন। এই আন্দোলন আগস্ট বিদ্রোহ নামেও পরিচিত।

ক্রিপস মিশনের ব্যর্থতা, সম্ভাব্য জাপানি আক্রমণের আশঙ্কা, ভারতকে ব্রিটিশ ডোমিনিয়নের মর্যাদা প্রদানের দাবী ইত্যাদি ইস্যুতে কংগ্রেস ১৯৪২ সালের ৮ আগস্ট নিখিল ভারত কংগ্রেসের বোম্বাই অধিবেশনে ভারত ছাড় আন্দোলনের প্রস্তাব গৃহীত হয়।

ব্রিটিশ সরকার এই আন্দোলনকে কঠোরভাবে দমন করে। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরু, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই আন্দোলন ভারতের সর্বত্র ছড়িযে পড়ে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
2
Q

ব্রিটিশ আমলে কোন আন্দোলন হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের অবনতি হওয়ার জন্য দায়ী?

A

স্বদেশী আন্দোলন।

স্বদেশী আন্দোলন হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের অবনতি হওয়ার জন্য দায়ী।

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের উগ্রপন্থিদের নেতৃত্বে যে বয়কট আন্দোলন সংগঠিত হয় তা স্বদেশী আন্দোলন নামে পরিচিত। এই আন্দোলনের মূল বিষয় ছিলো ইংরেজদের সবকিছু বয়কট ও স্বদেশী সবকিছুর ব্যবহার।

বাংলার মুসলমানরা বঙ্গভঙ্গের পক্ষে ছিলো, তাই তারা স্বদেশী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয়নি বরং এর বিরোধিতা করে। যার কারণে এই আন্দোলনের ফলে বাংলার হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের অবনতি হয়।

বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের অবনতির যে সূচনা হয়, স্বদেশী আন্দোলনের ফলে তা আরো তিক্ত হয়। যার চূড়ান্ত পরিণতিতে ১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত ভাগ হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
3
Q

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের প্রথম সূত্রপাত ঘটে -

A

মহারাষ্ট্রে।

সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের প্রথম সূত্রপাত ঘটে মহারাষ্ট্রে।

কিন্তু পরে এ আন্দোলন অধিক জোরদার হয়ে উঠে বাংলায়। বয়কট ও স্বদেশী আন্দোলনের ব্যর্থতা বাংলার স্বাধীনতাকামী দেশপ্রেমিক যুব সমাজকে সশস্ত্র বিপ্লবের পথে ঠেলে দেয়। ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই সংগ্রাম জোরদার হলেও এর আগেই সংগ্রাম শুরু হয়।

১৯০৮ সালে ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে হত্যা করার জন্য ক্ষুদিরামের বোমা হামলার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনের আত্মপ্রকাশ করে। ব্রিটিশ সরকারি কর্মকর্তাদের উপর হামলাই ছিল এই আন্দোলনের অন্যতম লক্ষ্য।
১৯২২ সালে ব্রিটিশ পুলিশ হত্যার জন্য ‘লালবাংলা’ প্রচারপত্র বিলি করা হয়।

গুপ্ত সমিতিগুলোর মধ্যে ‘ঢাকার অনুশীলন সমিতি’ ও কলকাতার ‘যুগান্তর সমিতি’ ছিল প্রধান।

‘যুগান্তর’ নামে যুগান্তর সমিতির একটি সাপ্তাহিক পত্রিকাও বের হতো।
এ দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মধ্যে ছিলেন অরবিন্দ ঘোষ, বারীন্দ্র ঘোষ, ভূপেন্দ্ৰ নাথ দত্ত প্রমুখ বিপ্লবীগণ। ঢাকার অনুশীলন সমিতির প্রধান সংগঠক ছিলেন পুলিন বিহারী দাস।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
4
Q

বিশ শতকের গোড়ার দিকে উত্তপ্ত বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনকে প্রশমিত করার পদক্ষেপ কোনটি?

A

মর্লি-মিন্টো সংস্কার আইন।

বিশ শতকের প্রথমদিকে উত্তপ্ত বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনকে প্রশমিত করার জন্য মর্লি-মিন্টো সংস্কার ছিল একটা কৌশলগত পদক্ষেপ।

ভারতে প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রবর্তনের লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার ১৯০৯ সালে ইন্ডিয়া অ্যাক্ট পাস করে যা মর্লি-মিন্টো সংস্কার আইন নামে পরিচিত। তৎকালীন ব্রিটিশ সচিব মর্লি ও ব্রিটিশ লর্ড মিন্টো আইনটি প্রবর্তন করেন। এই আইনে প্রথমবারের মতো মুসলমানদের জন্যে পৃথক নির্বাচনের বিধান গৃহীত হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
5
Q

বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণার মূল কারণ কোনটি?

A

বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন।

বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণার মূল কারণ বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন।

☛ বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন:

বঙ্গভঙ্গের ফলে পূর্ববাংলার জনগণের সার্বিক উন্নতি হবে এ আশাবাদ থেকে
পূর্ববাংলায় নতুন প্রদেশের প্রতি সমর্থন লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু বাংলার হিন্দু সম্প্রদায় প্রধানত দুইটি কারণে বঙ্গভঙ্গের ঘোর বিরোধিতা করে। প্রথমত, বাংলার রাজনীতি, অর্থনীতি ব্যবসা-বাণিজ্য, ইত্যাদি সবকিছু কলকাতাকেন্দ্রিক হিন্দু সম্প্রদায়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। নতুন প্রদেশ গঠনের ফলে তাদের স্বার্থে চরম আঘাত লাগে।

দ্বিতীয়ত, দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী হিন্দু নেতৃবৃন্দের নিকট বাংলা বিভক্তি ছিল ‘মাতৃভূমির অঙ্গচ্ছেদ’ এর মত। বঙ্গভঙ্গকে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ব্রিটিশ ষড়যন্ত্র বলে অ্যাখায়িত করে তাঁরা এর ঘোর বিরোধিতায় অবতীর্ণ হন।

এ সকল কারণে বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন দ্রুত বাংলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে, স্বদেশীপণ্য ব্যবহার এবং বিদেশী পণ্য বর্জনের কর্মসূচি যুক্ত হয়। এক পর্যায়ে আন্দোলন সহিংস রূপ ধারণ করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অচল হয়ে পড়ে।

কুমিল্লা, ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, জামালপুর, পাবনা, রাজশাহীসহ পূর্ব বাংলায় বহু স্থানে হিন্দু-মসুলমান সম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠিত হয়। আন্দোলন তীব্র হলে ব্রিটিশ সরকার নত হতে বাধ্য হয় ।

১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর সম্রাট পঞ্চম জর্জ বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে, তিনি ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরের কথা বলেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
6
Q

তেভাগা আন্দোলন’ মূলত কাদের আন্দোলন?

A

বর্গাচাষী।

তেভাগা আন্দোলন কৃষি উৎপাদনের দুই-তৃতীয়াংশের দাবিতে সংগঠিত বর্গাচাষিদের আন্দোলন।

  • তেভাগা শব্দের আভিধানিক অর্থ ফসলের তিন অংশ। প্রচলিত অর্থে ভাগচাষি তাদের ভাগচাষের অধিকারস্বরূপ উৎপাদনের সমান অংশ বা দুই ভাগের এক ভাগ পাওয়ার অধিকারী।
  • ভূমি নিয়ন্ত্রণের শর্তাদি অনুযায়ী শস্য ভাগাভাগির বিভিন্ন পদ্ধতি বর্গা, আধি, ভাগি ইত্যাদি নামে পরিচিত।
  • ১৯৪৬-৪৭ সালে ভূমিমালিক এবং ভাগচাষিদের মধ্যে উৎপাদিত শস্য সমান দুই ভাগ করার পদ্ধতির বিরুদ্ধে বর্গাদাররা প্রবল এই আন্দোলন গড়ে তোলে।
  • এ তেভাগা আন্দোলন বাংলার ১৯টি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।
  • আন্দোলনটি তীব্র আকার ধারণ করে দিনাজপুর, রংপুর, জলপাইগুড়ি, খুলনা, ময়মনসিংহ, যশোর এবং চবিবশ পরগনা জেলায়।
  • আন্দোলনটি নিশ্চিতভাবেই পূর্ববঙ্গ জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ প্রণয়নে প্রভাব বিস্তার করেছিল।
  • মূলত তেভাগা আন্দোলন সংগঠিত করেন বাংলার প্রাদেশিক কৃষকসভার কম্যুনিস্ট কর্মীরা।
How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
7
Q

নিম্নের কোন আন্দোলন সবার শেষে সংগঠিত হয়েছিল?

A

তেভাগা আন্দোলন।

তেভাগা আন্দোলন বাংলায় সংঘটিত বর্গাচাষীদের একটি কৃষক আন্দোলন। ১৯৪৬-৪৭ এবং ১৯৪৮-৫০ দুই দফায় তেভাগা আন্দোলন সংঘটিত হয়।
তেভাগা আন্দোলনে দাবী ছিলো বর্গাচাষীরা তাদের উৎপন্ন ফসলের এক ভাগ দিবে মালিকপক্ষকে এবং দুই ভাগ পাবে তারা।

এই আন্দোলন কৃষকসভার কমিউনিস্টদের মাধ্যমে রংপুর, দিনাজপুর, যশোর, চব্বিশ পরগণা প্রভৃতি জেলায় সংঘটিত হয়। নাচোলের রানী ইলা মিত্র তেভাগা আন্দোলনের একজন নেত্রী।

অন্যদিকে,

  • স্বদেশী আন্দোলন: ১৯০৫ সালে
  • আইন অমান্য আন্দোলন: ১৯৩০ সালে
  • ভারত ছাড় আন্দোলন: ১৯৪২ সালে।
How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
8
Q

ভারতীয় উপমহাদেশে ‘খিলাফত আন্দোলন’ সূচিত হয় কত সালে?

A

১৯১৯ সালে।

ভারতীয় উপমহাদেশে ‘খিলাফত আন্দোলন’ সূচিত হয় ১৯১৯ সালে।

☛ খিলাফত আন্দোলন (১৯১৯-১৯২৪):

ভারতীয় জাতীয়তাবাদের প্রভাবে উদ্ভূত একটি প্যান-ইসলামি আন্দোলন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্কের পরাজয় এবং সেভার্স চুক্তির (আগস্ট ১০, ১৯২০) অধীনে তুরস্কের ভূখন্ড ইউরোপীয় শক্তিগুলির মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা হওয়ায় ইসলামের পবিত্র স্থানসমূহের ওপর খলিফার অভিভাবকত্ব নিয়ে ভারতে আশংকা দেখা দেয়।

এ কারণে তুর্কি খিলাফত রক্ষা এবং গ্রেট ব্রিটেন ও ইউরোপীয় শক্তিগুলির তুরস্ক সাম্রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য ১৯১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে খিলাফত আন্দোলন শুরু হয়।

আলী ভ্রাতৃদ্বয় মুহম্মদ আলী ও শওকত আলী, আবুল কালাম আজাদ, ড. এম.এ আনসারী ও হসরত মোহানীর নেতৃত্বে এ আন্দোলন সূচিত হয়।
উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে খিলাফত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রাদেশিক শাখার বিধানসহ বোম্বাই শহরে একটি কেন্দ্রীয় খিলাফত কমিটি গঠিত হয়

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
9
Q

ফরায়েজী আন্দোলন কোন শতকে গড়ে ওঠা একটি সংস্কার আন্দোলন?

A

ঊনিশ শতকে।

ফরায়েজী আন্দোলন ঊনিশ শতকে বাংলায় গড়ে ওঠা একটি সংস্কার আন্দোলন।

প্রাথমিক পর্যায়ে এ আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল ধর্ম সংস্কার। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই আন্দোলনে আর্থ-সামাজিক সংস্কারের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।

ফরায়েজী শব্দটি ‘ফরজ’ থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত অবশ্য পালনীয় কর্তব্য। কাজেই ফরায়েজী বলতে তাদেরকেই বোঝায় যাদের লক্ষ্য হচ্ছে অবশ্য পালনীয় ধর্মীয় কর্তব্যসমূহ কার্যকর করা।

এ আন্দোলনের প্রবক্তা হাজী শরীয়তউল্লাহ। তিনি অবশ্য শব্দটিকে ব্যাপক অর্থে ব্যাখ্যা করেন। তাঁর মতে, অবশ্য পালনীয়ই হোক বা ঐচ্ছিকই হোক, কুরআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত সকল ধর্মীয় কর্তব্যই এর অন্তর্ভুক্ত।

শরীয়তউল্লাহ হজ্ব পালনের জন্য মক্কায় যান এবং সেখানে বিশ বছর অবস্থান করে হানাফি শাস্ত্রজ্ঞ শেখ তাহির সোম্বলের নিকট ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করেন।দেশে ফিরে তিনি দেখতে পান যে, বাংলার মুসলমানদের একটি অংশ বহুবিধ স্থানীয় লোকাচার ও পর্ব-উৎসব পালনে উৎসাহী হয়ে ইসলামের মৌলিক শিক্ষার প্রতি চরম উদাসীন হয়ে উঠেছেন।

সে কারণেই তিনি ফরায়েজী আন্দোলন শুরু করেন এবং কালক্রমে এ আন্দোলন সমগ্র পূর্ববঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

১৮৪০ সালে শরীয়তউল্লাহর মৃত্যুর পর তার পুত্র মুহাম্মদ মুহসিন উদ্দিন ওরফে দুদু মিয়া এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। দুদু মিয়া ফরায়েজী আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেন।

১৮৬২ সালে দুদু মিয়ার মৃত্যুর পর ফরায়েজী আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
10
Q

দ্যা রাইজ অফ ইসলাম অ্যান্ড দ্য বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার গ্রন্থটি কে লিখেছেন?

A

রিচার্ড ইটন।

দ্য রাইজ অব ইসলাম এণ্ড দ্য বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার ইংরেজি ভাষায় লিখিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস গ্রন্থ যাতে ভারতবর্ষের বঙ্গে ইসলামের আবির্ভাব এবং বিস্তার সম্পর্কে বিশদ আলোকপাত করা হয়েছে। এই গ্রন্থটির রচয়িতা প্রসিদ্ধ মার্কিন ইতিহাসবিদ রিচার্ড ম্যাক্সওয়েল ইটন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
11
Q

ঢাকা পৌরসভার প্রথম নির্বাচন হয় কত সালে?

A

১৮৮৪ সালে।

১৮৬৪ সালের ১ আগষ্ট ঢাকা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর ১৮৮৪ সালে ঢাকায় পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

স্যার জন লরেন্স ঢাকা পৌরসভা গঠন করেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
12
Q

নাথান কমিশন যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত-

A

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ১৯১২ সালের ২৭ মে তৎকালীন বঙ্গীয় সরকার ১৩ সদস্য বিশিষ্ট নাথান কমিশন গঠন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় ছিলেন লর্ড হার্ডিঞ্জ।

নাথান কমিশনের প্রধান ছিলেন আর. নাথানিয়েল।

নাথান কমিশনের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন ডি.এস ফ্রেজার।

এই কমিশন একই বছরে তার রিপোর্ট সরকারের নিকট পেশ করে। কমিশন ঢাকায় একটি সরকার নিয়ন্ত্রিত আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব করে। ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
13
Q

গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ প্রকাশ করেছিলেন-

A

কাঙ্গাল হরিনাথ।

গ্রাম বার্তা প্রকাশিকা (ইংরেজি: Gram Barta Prokashika) হলো একটি বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা, যা ১৮৬৩ সালে কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার দ্বারা প্রকাশিত হতো। প্রাথমিকভাবে এটি কলকাতার গিরিশ বিদ্যারত্ন প্রেসে ছাপা হয়েছিল। প্রকাশনাটি ১৮৬৪ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মথুরানাথ প্রেসে স্থানান্তরিত হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
14
Q

প্রজাস্বত্ব আইন কত সালে হয়?

A

১৯৫০ সালে।

পূর্ববঙ্গ জমিদারি দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন প্রণীত হয় ১৯৫০ সালে।

পূর্ববঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন-১৯৫০ (পূর্ব পাকিস্তান রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ আইন ১৯৫০ নামেও পরিচিত) তদানীন্তন পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত পূর্ব বাংলার নবগঠিত গণতান্ত্রিক সরকার কর্তৃক গৃহীত একটি আইন ছিল।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
15
Q

পূর্ব বাংলার প্রথম গভর্নর কে ছিলেন ?

A

স্যার ফ্রেডরিক চালমারস বোর্ন।

বাংলার প্রথম গভর্নরঃ

১৫ আগস্ট ১৯৪৭ - ৩১ মার্চ ১৯৫০ স্যার ফ্রেডরিক চালমারস বোর্ন
৩১ মার্চ ১৯৫০ - ৩১ মার্চ ১৯৫৩ স্যার ফিরোজ খান নুন
৩১ মার্চ ১৯৫৩ - ২৯ মে ১৯৫৪ চৌধুরী খালিকুজ্জামান
২৯ মে ১৯৫৪ - মে ১৯৫৫ ইস্কান্দার আলী মির্জা

অন্যদিকে,

শেরে বাংলা এ. কে ফজলুল হক ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী।
শহিদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী।

*** গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সময়ে বাংলার লে. জেনারেল ও গর্ভনর:

-সিপাহী বিদ্রোহের (১৮৫৭) সময় বাংলার লে. জেনারেল ছিলেন স্যার ফ্রেডরিখ জেমস হ্যালিডে।
-নীল বিদ্রোহীদের দমনে নীল কমিশন’ গঠন (১৮৬০) করেন বাংলার লে. জেনারেল স্যার জন পিটার গ্রান্ট।
-বঙ্গভঙ্গের (১৯০৫) সময় বাংলার লে. জেনারেল স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার।
-স্বদেশী আন্দোলন (১৯০৬) বাংলার লে. জেনারেল স্যার অ্যান্ড্রু ফ্রেজার।

-বঙ্গভঙ্গ রদ ও অবিভক্ত বাংলার প্রথম গভর্নর লর্ড কারমাইকেল (১৯১২)।
-তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ এর সময় বাংলার গভর্নর ছিলেন জন আর্থার হার্বাট।

-দেশ ভাগের পর পূর্ব বঙ্গের প্রথম গভর্নর স্যার ফ্রেডরিখ চালমার্স বোর্ন।
-ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বঙ্গের গভর্নর স্যার ফিরোজ খান নুন।
-যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের সময় পূর্ব বঙ্গের গভর্নর চৌধুরী খালেকুজ্জামান।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
16
Q

পূর্ব বাংলার প্রথম গভর্নর কে ছিলেন ?

A

স্যার ফ্রেডরিক চালমারস বোর্ন।

বাংলার প্রথম গভর্নরঃ

১৫ আগস্ট ১৯৪৭ - ৩১ মার্চ ১৯৫০ স্যার ফ্রেডরিক চালমারস বোর্ন
৩১ মার্চ ১৯৫০ - ৩১ মার্চ ১৯৫৩ স্যার ফিরোজ খান নুন
৩১ মার্চ ১৯৫৩ - ২৯ মে ১৯৫৪ চৌধুরী খালিকুজ্জামান
২৯ মে ১৯৫৪ - মে ১৯৫৫ ইস্কান্দার আলী মির্জা

অন্যদিকে,

শেরে বাংলা এ. কে ফজলুল হক ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী।
শহিদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী।

*** গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সময়ে বাংলার লে. জেনারেল ও গর্ভনর:

-সিপাহী বিদ্রোহের (১৮৫৭) সময় বাংলার লে. জেনারেল ছিলেন স্যার ফ্রেডরিখ জেমস হ্যালিডে।
-নীল বিদ্রোহীদের দমনে নীল কমিশন’ গঠন (১৮৬০) করেন বাংলার লে. জেনারেল স্যার জন পিটার গ্রান্ট।
-বঙ্গভঙ্গের (১৯০৫) সময় বাংলার লে. জেনারেল স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার।
-স্বদেশী আন্দোলন (১৯০৬) বাংলার লে. জেনারেল স্যার অ্যান্ড্রু ফ্রেজার।

-বঙ্গভঙ্গ রদ ও অবিভক্ত বাংলার প্রথম গভর্নর লর্ড কারমাইকেল (১৯১২)।
-তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ এর সময় বাংলার গভর্নর ছিলেন জন আর্থার হার্বাট।

-দেশ ভাগের পর পূর্ব বঙ্গের প্রথম গভর্নর স্যার ফ্রেডরিখ চালমার্স বোর্ন।
-ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বঙ্গের গভর্নর স্যার ফিরোজ খান নুন।
-যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের সময় পূর্ব বঙ্গের গভর্নর চৌধুরী খালেকুজ্জামান।

17
Q

প্রজাস্বত্ব আইন কত সালে হয়?

A

১৯৫০ সালে।

পূর্ববঙ্গ জমিদারি দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন প্রণীত হয় ১৯৫০ সালে।

পূর্ববঙ্গীয় রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ত্ব আইন-১৯৫০ (পূর্ব পাকিস্তান রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ আইন ১৯৫০ নামেও পরিচিত) তদানীন্তন পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত পূর্ব বাংলার নবগঠিত গণতান্ত্রিক সরকার কর্তৃক গৃহীত একটি আইন ছিল।

18
Q

গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকাটি কোন স্থান থেকে প্রকাশিত?

A

কুষ্টিয়ার কুমারখালী।

গ্রাম বার্তা প্রকাশিকা হল একটি বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা, যা ১৮৬৩ সালে কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার দ্বারা প্রকাশিত হতো। প্রাথমিকভাবে এটি কলকাতার গিরিশ বিদ্যারত্ন প্রেসে ছাপা হয়েছিল। প্রকাশনাটি ১৮৬৪ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মথুরানাথ প্রেসে স্থানান্তরিত হয়।

19
Q

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?

A

নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২১ সালে। নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখেন।

নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহ ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ। তার নেতৃত্বে অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০৬ সালে।

20
Q

ঢাকা প্রকাশ সাপ্তাহিক পত্রিকাটির সম্পাদক কে?

A

কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।

‘ঢাকা প্রকাশ’ ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৮৬১ সালে বাবুবাজারের ‘বাঙ্গালা যন্ত্র’ থেকে।

ঢাকা প্রকাশের প্রথম সম্পাদক ছিলেন কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। পরিচালকগণের মধ্যে প্রধান ছিলেন ব্রজসুন্দর মিত্র, দীনবন্ধু মৌলিক, ঈশ্বরচন্দ্র বসু, চন্দ্রকান্ত বসু প্রমুখ

21
Q

বাংলা দ্বিতীয়বার বিভক্তির সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

A

এ্যাটলি।

বাংলা দ্বিতীয়বার বিভক্তির (১৯৪৭) সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এ্যাটলি।

অন্যদিকে,

-অ্যাডওয়ার্ড হিথ ছিলেন একজন ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও কন্‌সারভেটিভ পার্টির প্রাক্তন নেতা ছিলেন।
-লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গ করেন।
-লর্ড মাউন্টব্যাটেন ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় বা বড়লাট ছিলেন।

22
Q

কাজী নজরুল ইসলাম ও মুজাফফর আহমদ একত্রে সম্পাদনা করেছিলেন কোনটি?

A

নবযুগ।

নবযুগ বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও রাজনীতিবিদ কমরেড মুজফ্‌ফর আহমদের যুগ্ম সম্পাদনায় প্রকাশিত পত্রিকা। এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন শের-এ-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক।

কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত অন্যান্য পত্রিকাগুলো হলো নবযুগ, ধূমকেতু ও লাঙ্গল।

23
Q

মহাত্মা গান্ধী বাংলাদেশের কোন জেলা সফর করেছিলেন?

A

নোয়াখালী।

১৯৪৫ সালে তিনি নোয়াখালী সফর করেছিলেন।

☛ মহাত্মা গান্ধী:

পরিচয়: স্বাধীন ভারতীয় জাতির জনক, অহিংস আন্দোলনের প্রবক্তা এবং সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রধান নেতা।
পুরো নাম: মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।
মহাত্মা উপাধি দেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

আফ্রিকায় প্রতিষ্ঠা করেন: নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস।
ভারতে আসেন: ১৯১৫ সালে।
ভারতের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন: ১৯১৭ সালে।

বিশেষ তথ্য:

-২০০৭ সালে জাতিসংঘ গান্ধীর জন্মদিন ২ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
-তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার Indian Opinion পত্রিকাটি সম্পাদনা করতেন।
-উইনস্টন চার্চিল তাঁকে Half Nacked Indian Fakir বলেছিলেন।

বাংলাদেশ ভ্রমণ: ১৯৪৬ সালে নোয়াখালী ভ্রমণ করেন। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ‘গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর’ স্থাপিত হয়েছে।
তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ: The Story of My Experiments with Truth.

নিহত হন: ৩০ জানুয়ারি, ১৯৪৮ (আততায়ী নথুরাম গডসে কর্তৃক)

১৯২০ সালে গান্ধী অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। কিন্তু আন্দোলনটি সশস্ত্র রূপ নেয়ায়, ১৯২২ সালে তিনি এটি প্রত্যাহার করেন।

24
Q

বাংলায় ঋণ সালিশি আইন কার আমলে প্রণীত হয়?

A

এ. কে. ফজলুল হক।

১৯৩৭ সালে সারা বাংলায় ঋণ সালিশি আইন চালু করা হয়। মূলত গরীব চাষীদের জমি রক্ষার্থে এই আইন চালু করেন এ. কে. ফজলুল হক।

25
Q

১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন যে ব্রিটিশ লর্ড-

A

লর্ড ওয়াভেল।

১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ব্রিটিশ লর্ড-লর্ড ওয়াভেল।

বাংলা ১৩৫০ সালে এই দুর্ভিক্ষ সংঘটিত হওয়ায় এটিকে পঞ্চাশের মন্বন্তরও বলা হয়।

এ দুর্ভিক্ষে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ মারা যায়। এ দুর্ভিক্ষের জন্যে কৃত্রিম সংকটকে দায়ী করা হয়। এ দুর্ভিক্ষকে কেন্দ্র করে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

☛ পঞ্চাশের মন্বন্তর নিয়ে বিশেষ তথ্য:

সেই সময় ভারতের গভর্নর জেনারেল ছিলেন: লর্ড ওয়াভেল।
তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী: উইনস্টল চার্চিল
কারণ: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান বার্মা দখলের ফলে চাল আমদানি বন্ধ, ১৯৪০ সালের ঘূর্ণিঝড় ও ১৯৪৩ সালে কলকাতায় জাপানের বিমান হামলা।

দুর্ভিক্ষকে কেন্দ্র করে গ্রন্থ: মধুশ্রী মুখোপাধ্যায়ের Churchill’s Secret War. নির্মিত চলচ্চিত্র: মৃণাল সেনের ‘অকালের সন্ধানে’ (১৯৭০), সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ (১৯৭৩)।
নির্মিত চিত্রকর্ম: জয়নুল আবেদীনের ‘ম্যাডোনা-৪৩’।

26
Q

দেশভাগের সময় ভারতের ভাইসরয় ছিলেন-

A

লর্ড মাউন্টব্যাটেন।

ভারতীয় উপমহাদেশের সর্বশেষ ভাইসরয় বা রাজপ্রতিনিধি ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন। তাঁর সময় ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছিল।

অন্যদিকে,

বঙ্গভঙ্গের সময় ভারতের ভাইসরয় ছিলেন-লর্ড কার্জন।
বঙ্গভঙ্গ রদের সময় ভারতের ভাইসরয় ছিলেন-লর্ড হার্ডিঞ্জ।

27
Q

ব্রিটিশ ভারতের সর্বশেষ ভাইসরয় ছিলেন কে?

A

লর্ড মাউন্টব্যাটেন।

ব্রিটিশ ভারতের সর্বশেষ ভাইসরয় ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন। তিনি ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে ভারতবর্ষের ভাইসরয় হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৪৭ সালে ১৪ আগস্ট ভারত ভাগ পর্যন্ত তিনি ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় ছিলেন।

১৯৪৭ সালের ৩রা জুন মাউন্টব্যাটেন ভারত ভাগ পরিকল্পনা বা ৩রা জুন পরিকল্পনা পেশ করেন যার ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়।

মাউন্টব্যাটেন ১৯৪৭ সালের আগস্ট থেকে ১৯৪৮ সালের জুন পর্যন্ত ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

28
Q

কোন ঘটনাটি সবার শেষে সংঘটিত হয়েছিলো?

A

ভারত ভাগ।

১৯৪৭ সালের ৩রা জুন তৎকালীন বড়লাট মাউন্টব্যাটেন ভারত ভাগ পরিকল্পনা পেশ করেন। এই পরিকল্পনার ভিত্তিতে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান এবং ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

অন্যদিকে,

-ক্রিপস মিশন ভারতে এসেছিলো ১৯৪২ সালের ২৩শে মার্চ।
-ক্যবিনেট বা মন্ত্রীমিশন ভারতে এসেছিলো ১৯৪৬ সালের ২৩শে মার্চ।
-র‌্যডিক্লিফ কমিশন গঠিত হয় ১৯৪৭ সালের জুন মাসে।

29
Q

নিচের কোনজন একজন সশস্ত্র ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী?

A

মাস্টার দা সূর্যসেন।

মাস্টার দা সূর্যসেন ছিলেন একজন ব্রিটিশবিরোধী সশ্বস্ত্র বিপ্লবী। তিনি ১৮৯৪ সালে চট্টগ্রামের রাউজানে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরোনাম সূর্যকুমার সেন। ডাকনাম ছিলো কালু।

১৯১৬ সালে বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে অধ্যয়নকালে সূর্যসেন শিক্ষক শতীশচন্দ্র চক্রবর্তীর মাধ্যমে বৈপ্লবিক আদর্শে দীক্ষিত হন এবং যুগান্তর দলের সাথে সম্পৃক্ত হন। পরবর্তীতে চট্টগ্রামে ফিরে এসে তিনি যুগান্তর দলকে উজ্জীবিত করেন।

তিনি ছিলেন যুগান্তর দলের চট্টগ্রাম শাখার প্রধান। এছাড়া চট্টগ্রাম রিপাবলিকান আর্মি নামে একটি সশ্বস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন।

তার নেতৃত্বে ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে সরকারি অস্ত্রগার লুন্ঠন সংঘটিত হয় যা সারা ভারতবর্ষে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। মাস্টার দা স্বাধীন চিটাগাং সরকারের ঘোষণা দেন। তবে শেষ পর্যন্ত ইংরেজ বাহিনীর সাথে যুদ্ধে মাস্টার দা ও তার বিপ্লবীরা পরাজিত হয়।

১৮৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কারাগারে সূর্যসেনকে ফাসি দেওয়া হয়। তার সহচরদের মধ্যে ছিলেন অম্বিকা চক্রবর্তী, লোকনাথবল, নির্মল সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রমুখ।

30
Q

কোন ঘটনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইটহুড উপাধি ত্যাগ করেন?

A

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড।

জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড এর ঘটনায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইটহুড উপাধি ত্যাগ করেন।

রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের অমৃতসরে আয়োজিত এক সভায় জেনারেল (অব:) ডায়ারের নির্দেশে ইংরেজ বাহিনীর গুলিবর্ষণে বহু নিরস্ত্র লোক মারা যায়। এই হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ১৯১৯ সালের ৩১শে মে ব্রিটিশ সরকার প্রদত্ত নাইটহুড উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯১৫ সালে ব্রিটেনের রাজা পঞ্চম জর্জ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নাইটহুড উপাধি প্রদান করেছিলেন।

31
Q

বাংলাদেশের কোন নেতা কলকাতা সিটি করপোরেশনের মেয়র ছিলেন?

A

শেরে-এ-বাংলা এ কে ফজলুল হক

শের - ই বাংলা এ কে ফজলুল হক কলকাতা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন ১৯৩৫ সালে। এ কে ফজলুল হক অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ঋণ সালিশি আইন, প্রজাস্বত্ব আইন এবং মহাজনি প্রথা বাতিল আইনের প্রবর্তক।