মুক্তিযুদ্ধ -৬ Flashcards

1
Q

সেনেগাল কবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে?

A

১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২।

সেনেগাল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২।

☑ বাংলাদেশকে বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি:

প্রথম দেশ : ভুটান (৬ ডিসেম্বর ১৯৭১),
দ্বিতীয় দেশ : ভারত (৬ ডিসেম্বর ১৯৭১),
প্রথম ইউরোপীয় দেশ : পূর্ব জার্মানি (১১ জানু ১৯৭২),
প্রথম মুসলিম দেশ : মালয়েশিয়া (২৫ ফ্রব্রুয়ারি, ১৯৭২),
প্রথম আফ্রিকান মুসলিম দেশ : সেনেগাল (১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২),
প্রথম আরব মুসলিম দেশ : ইরাক (৮ জুলাই ১৯৭২),
ইরান : ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪,
ইন্দোনেশিয়া : ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
2
Q

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন কে?

A

গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।

☑️ চূড়ান্ত বিজয় ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ: ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫ টায় ভারতের সেনাপ্রধান মানকেশ পাকিস্তানকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯ টার মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেন। পরে তা বিকাল ৩টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঢাকায় পাকিস্তানি জেনারেল হামিদ নিয়াজিকে জানান। ১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯ টায় জে. জ্যাকবকে আত্মসমর্পণ দলিল ঠিক করতে ঢাকায় পাঠানো হয়। পাকিস্তান আত্মসমর্পণের পরিবর্তে “যুদ্ধ বিরতি’’ করতে চাইলে জ্যাকব অনড় থাকেন।

✔️ চূড়ান্ত বিজয়: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ (বৃহস্পতিবার, বিকাল ৪ টা ৩১)।
✔️ স্থান: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।

✔️ পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ: যৌথ বাহিনীর কাছে।

✔️ আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন: ২ জন। যথা-

১. যৌথ বাহিনীর পক্ষে লে. জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা।

২. পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি। বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন এ.কে. খন্দকার।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
3
Q

মুক্তিযুদ্ধকালীন ভ্রাম্যমান রাষ্ট্রদূত ছিলেন-

A

আব্দুস সামাদ আজাদ।

মুক্তিযুদ্ধের ভ্রাম্যমাণ রাষ্ট্রদূত ছিলেন আবদুস সামাদ আজাদ, নূরুল কাদির, আবু সাঈদ চৌধুরী প্রমুখ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
4
Q

মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের স্থপতি -
0/1

A

তানভীর কবির।

মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে অবস্থিত এবং এর স্থপতি তানভীর কবির।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
5
Q

মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠিত হয় কোথায়?

A

গাজীপুরে।

মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগঠিত হয় গাজীপুরে। মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।

☑️ ‘১৯ মার্চ, ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ’:

বিদ্রোহ করেন: গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টের বীর সেনা ও জনতা।
বিদ্রোহীদের দমনে নেতৃত্বে ছিল: পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেব।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
6
Q

মুক্তিযুদ্ধে অনিয়মিত/ব্যতিক্রম সেক্টর ছিল-

A

১০ নং সেক্টর।

মুক্তিযুদ্ধে অনিয়মিত/ব্যতিক্রম সেক্টর ছিল- ১০ নং সেক্টর। কোন আঞ্চলিক সীমানা ছিল না। কেবলমাত্র নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত।

☑ মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর:

১নং সেক্টর- চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ।

২নং সেক্টর- ফরিদপুর এর পূর্বাঞ্চল, ঢাকা শহরসহ ঢাকা জেলার দক্ষিণাংশ, কুমিল্লা, নোয়াখালী জেলা।

৩নং সেক্টর- কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার উত্তরাংশ, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।

৪নং সেক্টর- সিলেট জেলার অংশবিশেষ।

৫নং সেক্টর- সিলেট জেলার বাকি অঞ্চল এবং ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।

৬নং সেক্টর- রংপুর ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা।

৭নং সেক্টর- সমগ্র বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনা জেলা, দিনাজপুর ও রংপুরের অবশিষ্ট অংশ।

৮নং সেক্টর- কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) ও যশোর এর সমগ্র এলাকা, ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ, খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমা।

৯নং সেক্টর- সমগ্র বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনা জেলা (সাতক্ষীরা বাদে), ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ এবং গোপালগঞ্জ।

১০নং সেক্টর- কোন আঞ্চলিক সীমানা ছিল না। কেবলমাত্র নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত। যে সেক্টরের এলাকায় কম্যান্ডো অভিযান চালানো হতো, কম্যান্ডোরা সেই সেক্টর কমান্ডারের অধীনে কাজ করত।

১১নং সেক্টর-কিশোরগঞ্জ বাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা।মুক্তিযুদ্ধে অনিয়মিত/ব্যতিক্রম সেক্টর ছিল-

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
7
Q

মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কে ছিলেন?

A

উইলিয়াম পি রজার্স।

মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন উইলিয়াম পি রজার্স।

☑ মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ:

✔️ ভারতের প্রেসিডেন্ট ছিলেন-ভারহাগিরি ভেনকাটা গিরি, প্রধানমন্ত্রী-শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী-শরণ সিং।

✔️ সোভিয়েত ইউনিয়ন এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন-নিকোলাই পদগর্নি, প্রধানমন্ত্রী-আলেক্সই কোসিগিন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী-আন্দ্রেই গ্রোমিকো।

✔️ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন-এডওয়ার্ড হিথ।

✔️ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন-রিচার্ড নিক্সন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী-উইলিয়াম পি রজার্স, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা-হেনরি কিসিঞ্জার, পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত-জোসেফ ফারল্যান্ড।

✔️ চীনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন-চৌ এন লাই।

✔️ জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন-উথান্ট।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
8
Q

মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন?

A

রিচার্ড নিক্সন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন রিচার্ড নিক্সন।

☑ মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ:

✔️ ভারতের প্রেসিডেন্ট ছিলেন-ভারহাগিরি ভেনকাটা গিরি, প্রধানমন্ত্রী-শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী-শরণ সিং।

✔️ সোভিয়েত ইউনিয়ন এর প্রেসিডেন্ট ছিলেন-নিকোলাই পদগর্নি, প্রধানমন্ত্রী-আলেক্সই কোসিগিন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী-আন্দ্রেই গ্রোমিকো।

✔️ যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন-এডওয়ার্ড হিথ।

✔️ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন-রিচার্ড নিক্সন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী-উইলিয়াম পি রজার্স, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা-হেনরি কিসিঞ্জার, পাকিস্তানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত-জোসেফ ফারল্যান্ড।

✔️ চীনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন-চৌ এন লাই।

✔️ জাতিসংঘের মহাসচিব ছিলেন-উথান্ট।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
9
Q

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অপারেশন জ্যাকপটে নৌ-কমান্ডারদের আক্রমণের সাংকেতিক নির্দেশ দেয়া হতো কীভাবে?

A

স্বাধীন বাংলা বেতারের গানে।

ব্যাখ্যা:

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অপারেশন জ্যাকপটে নৌ-কমান্ডারদের আক্রমণের সাংকেতিক নির্দেশ দেয়া হতো স্বাধীন বাংলা বেতারের গানে।

☑ মুক্তিযুদ্ধকালীন অপারেশন (Operations in 1971):

✔ লারকানা ষড়যন্ত্র: পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা হাউসে (ভুট্টোর বাড়ি) প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে নিয়ে শিকারের নামে বাঙালি নিধনের ষড়যন্ত্র।

✔ Operation Blitz: বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা না দিয়ে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে সামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার ষড়যন্ত্রই অপারেশন ব্লিজ।

✔ Operation Searchlight: ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরিচালিত হয় - ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরীহ বাঙালির উপর। ১৯৭১ সালে ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিলেন- জেনারেল রাও ফরমান আলী। ঢাকার বাইরের দায়িত্বে ছিলেন খাদিম হুসাইন রাজা। ২০১৭ সাল থেকে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে।

✔ Operation Big Bird: পরিচয়- বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি করার প্রক্রিয়ার নাম। নেতৃত্বে- পাকিস্তান আর্মির ব্রিমেডিয়ার (অবঃ) জহির আলম জনি ও মেজর বেলাল। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের রেডিও বার্তা ছিল: The Big Bird in Cage.

✔ Operation Jackpot: পরিচয়- বঙ্গোপসাগরকে শত্রুমুক্ত করতে ১০নং সেক্টরের নৌবাহিনীর সদস্যরা যে অভিযান পরিচালনা করে তার সাংকেতিক নাম অপারেশন জ্যাকপট।
পরিচিতি: “নৌ কমান্ডো পরিচালিত গেরিলা অপারেশন” (অপারেশন শুরু: ১৪ আগস্ট, ১৯৭১)।
যাত্রা শুরু: পলাশীর হরিণা থেকে।
অংশ নেয়: ৩১ জন কমান্ডো।
অপারেশন পরিচালনার কৌশল: দুটি গানকে সংকেত হিসেবে ধরে অপারেশন পরিচালনা করা হতো।
প্রথম সংকেত: পঙ্কজ মল্লিকের গাওয়া “আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম। গান এর অর্থ হল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আক্রমণ করতে হবে।
দ্বিতীয় সংকেত: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া “আমার পুতুল যাবে শ্বশুরবাড়ী।” এর অর্থ আক্রমণের জন্য ঘাঁটি ত্যাগ কর।

✔ Operation Kilo Flight: পরিচয়- নবগঠিত (৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম ইউনিটের নাম কিলো ফ্লাইট।
অভিযান- বাংলার বিমান সেনাদের এই ইউনিট চট্টগ্রাম ও নারাণগঞ্জে পাক বাহিনীর উপর আক্রমণ করেছিল।

✔ অপারেশন চেঙ্গিস খান: পরিচয়- পাকিস্তান ভারতের ওপর যে বিমান হামলা করে তার সাংকেতিক নাম। সময়কাল- ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১।

✔ Operation Close Door: মুক্তিযুদ্ধের সময় সারাদেশে মানুষের কাছে যে অবৈধ অস্ত্র ছিল তা জমা নেওয়ার জন্য যে অভিযান পরিচালিত হয় তা অপারেশন ক্লোজডোর নামে পরিচিত

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
10
Q

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অপারেশন জ্যাকপটে নৌ-কমান্ডারদের আক্রমণের সাংকেতিক নির্দেশ দেয়া হতো কীভাবে?

A

স্বাধীন বাংলা বেতারের গানে।

ব্যাখ্যা:

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অপারেশন জ্যাকপটে নৌ-কমান্ডারদের আক্রমণের সাংকেতিক নির্দেশ দেয়া হতো স্বাধীন বাংলা বেতারের গানে।

☑ মুক্তিযুদ্ধকালীন অপারেশন (Operations in 1971):

✔ লারকানা ষড়যন্ত্র: পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা হাউসে (ভুট্টোর বাড়ি) প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে নিয়ে শিকারের নামে বাঙালি নিধনের ষড়যন্ত্র।

✔ Operation Blitz: বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা না দিয়ে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে সামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার ষড়যন্ত্রই অপারেশন ব্লিজ।

✔ Operation Searchlight: ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরিচালিত হয় - ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরীহ বাঙালির উপর। ১৯৭১ সালে ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিলেন- জেনারেল রাও ফরমান আলী। ঢাকার বাইরের দায়িত্বে ছিলেন খাদিম হুসাইন রাজা। ২০১৭ সাল থেকে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে।

✔ Operation Big Bird: পরিচয়- বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি করার প্রক্রিয়ার নাম। নেতৃত্বে- পাকিস্তান আর্মির ব্রিমেডিয়ার (অবঃ) জহির আলম জনি ও মেজর বেলাল। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের রেডিও বার্তা ছিল: The Big Bird in Cage.

✔ Operation Jackpot: পরিচয়- বঙ্গোপসাগরকে শত্রুমুক্ত করতে ১০নং সেক্টরের নৌবাহিনীর সদস্যরা যে অভিযান পরিচালনা করে তার সাংকেতিক নাম অপারেশন জ্যাকপট।
পরিচিতি: “নৌ কমান্ডো পরিচালিত গেরিলা অপারেশন” (অপারেশন শুরু: ১৪ আগস্ট, ১৯৭১)।
যাত্রা শুরু: পলাশীর হরিণা থেকে।
অংশ নেয়: ৩১ জন কমান্ডো।
অপারেশন পরিচালনার কৌশল: দুটি গানকে সংকেত হিসেবে ধরে অপারেশন পরিচালনা করা হতো।
প্রথম সংকেত: পঙ্কজ মল্লিকের গাওয়া “আমি তোমায় যত শুনিয়েছিলাম। গান এর অর্থ হল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আক্রমণ করতে হবে।
দ্বিতীয় সংকেত: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া “আমার পুতুল যাবে শ্বশুরবাড়ী।” এর অর্থ আক্রমণের জন্য ঘাঁটি ত্যাগ কর।

✔ Operation Kilo Flight: পরিচয়- নবগঠিত (৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রথম ইউনিটের নাম কিলো ফ্লাইট।
অভিযান- বাংলার বিমান সেনাদের এই ইউনিট চট্টগ্রাম ও নারাণগঞ্জে পাক বাহিনীর উপর আক্রমণ করেছিল।

✔ অপারেশন চেঙ্গিস খান: পরিচয়- পাকিস্তান ভারতের ওপর যে বিমান হামলা করে তার সাংকেতিক নাম। সময়কাল- ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১।

✔ Operation Close Door: মুক্তিযুদ্ধের সময় সারাদেশে মানুষের কাছে যে অবৈধ অস্ত্র ছিল তা জমা নেওয়ার জন্য যে অভিযান পরিচালিত হয় তা অপারেশন ক্লোজডোর নামে পরিচিত

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
11
Q

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তাঞ্চল থেকে প্রকাশিত পত্রিকার নাম-

A

জয় বাংলা।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তাঞ্চল থেকে প্রকাশিত পত্রিকার নাম-‘জয় বাংলা’ (উপদেষ্টা ছিলেন-প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান)।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
12
Q

কতজন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পায়?

A

১২ জন।

☑️ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা:

২৪ জুন, ২০২১ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চতুর্থ সমন্বিত তালিকায় স্থান পাওয়া ২৯৭৩ জন মুক্তিযোদ্ধাসহ মোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১,৬৯,৬১৪ জন। ১৯ মে, ২০২১ জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সভায় প্রথমবারের মতো ১২ জন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
13
Q

জাতীয়ভাবে বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্তদের পদক ও রিবন প্রদান করা হয় কবে?

A

১৫ ডিসেম্বর, ১৯৯২ সালে।

জাতীয়ভাবে বীরত্বসূচক খেতাবপ্রাপ্তদের পদক ও রিবন প্রদান করা হয় ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৯২ সালে।

☑️ মুক্তিযুদ্ধে সম্মানসূচক খেতাব:

✔ ১৯৭৩ সালের গেজট অনুযায়ী- বর্তমানে বীরশ্রেষ্ঠ - ৭ জন, বীর-উত্তম ৬৮ জন, বীরবিক্রম ১৭৫ জন, বীরপ্রতীক ৪২৬ জন।

✔ বঙ্গবন্ধুর ৪ খুনী যারা মুক্তিযুদ্ধে খেতাব প্রাপ্ত- নুর চৌধুরী বীর বিক্রম, শরিফুল হক ডালিম বীর উত্তম, রাশেদ চৌধুরী বীর প্রতীক, মোসলেহ উদ্দিনকে বীর প্রতীক।

✔ বর্তমানে বীরশ্রেষ্ঠ - ৭ জন, বীর-উত্তম ৬৭ জন, বীরবিক্রম - ১৭৪ জন, বীরপ্রতীক - ৪২৪ জন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
14
Q

ড. সেতারা বেগম কোন সেক্টরের অধীনে ছিলেন?

A

২ নম্বর সেক্টর।

ডা সেতারা বেগম যুদ্ধ করেছেন ২ নং সেক্টরে।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব ভূষিত হয়েছেন ডাঃ সেতারা বেগম ও তারামন বিবি।

তারামন বিবি যুদ্ধ করেছেন ১১ নং সেক্টরে। অন্যদিকে, মুক্তিবেটি নামে পরিচিত কাঁকন বিবিকে ‘বীর প্রতীক’ উপাধি দেয়া হয়- ১৯৯৬ সালে। তবে এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোন গ্যাজেট প্রকাশিত হয়নি। তিনি খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর হয়ে ৫ নং সেক্টরের গুপ্তচরের কাজ করেন। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায়। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ২০১৮ সালে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
15
Q

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীরাঙ্গনার সংখ্যা কত

A

৪৪৮ জন।

২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার প্রথমবারের মতো ৪৩ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বর্তমানে দেশে বীরাঙ্গনার সংখ্যা ৪৪৮ জন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
16
Q

সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন-

A

শহীদুল ইসলাম লালু।

সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম লালু (বীরপ্রতীক)।

17
Q

সর্বশেষ খেতাবপ্রাপ্ত বীর-উত্তম কে?

A

জেনারেল জামিল আহমেদ।

সর্বশেষ খেতাবপ্রাপ্ত বীর-উত্তম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল আহমেদ (কর্নেল নামেই পরিচিত)।

তাই তাকে ২০১০ সালে মরণোত্তর বীর-উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। তাই মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের জন্য খেতাবপ্রাপ্ত বীর-উত্তম ৬৭ জন। কিন্তু মোট খেতাবপ্রাপ্ত বীর-উত্তম ৬৮ জন।

18
Q

বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর কোন তারিখে শহিদ হন?

A

১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১।

বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন শহিদ হন ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১।

☑ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর:

বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ১৯৩৪ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ৭ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শহিদ হন ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন এর সমাধি বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় অবস্থিত।১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১।

ব্যাখ্যা:

বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন শহিদ হন ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১।

☑ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর:

বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ১৯৩৪ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ৭ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শহিদ হন ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন এর সমাধি বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় অবস্থিত।

19
Q

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল কত নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন

A

২ নং।

বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালকে সমাধিস্থ করা হয়েছে আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তিনি ২ নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন। তার জন্মস্থান হচ্ছে ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজিপুর গ্রামে। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।

20
Q

বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমানের দেহবশেষ কোথায় সমাহিত করা হয়?

A

ঢাকায়।

বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ১৯৭১ সালের ২০শে আগস্ট পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিমান ছিনতাই করে ভারতের উদ্দেশ্যে আসার পথে সিন্ধুর বেদিনে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মারা যান।

তখন তাকে পশ্চিম পাকিস্তানের মশরুর বিমান ঘাটিতে সমাহিত করা হয়।

শাহাদতের ৩৫ বছর পর ২০০৬ সালের ২৪শে জুন মতিউর রহমানের দেহাবশেষ পাকিস্তান থেকে দেশে এনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবি কবর স্থানে পুনঃসমাহিত করা হয়।

21
Q

বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব প্রাপ্তদের মধ্যে কোনজন বিমান বাহিনীর সদস্য?

A

মতিউর রহমান।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্যে বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭৩ সালে সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে কে সর্বোচ্চ বীরত্বসূচক খেতাব বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি প্রদান করেন। এদের মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্য তিনজন, সাবেক ই. পি. আর. সদস্য দুইজন এবং বিমান বাহিনী ও নো বাহিনীর একজন করে।

☑ বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তরা হলেন:

✔ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর : সেনাবাহিনী।
✔ সিপাহী মোস্তফা কামাল : সেনাবাহিনী।
✔ সিপাহী হামিদুর রহমান : সেনাবাহিনী।
✔ ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন : নৌবাহিনী।
✔ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান : বিমান বাহিনী।
✔ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ : সাবেক ই. পি. আর.।
✔ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ : সাবেক ই. পি. আর.।

22
Q

স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত চরমপত্র এর পাঠক ছিলেন কে?

A

এম আর আখতার মুকুল।

চরমপত্র হলো একটি কথিকা যা ১৯৭১ সালের ২৫ মে থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত হতো। এটির পরিচালক, লেখক ও কথক ছিলেন এম আর আখতার মুকুল। ঢাকাইয়া ভাষায় তার এ অনুষ্ঠানটি মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছিলো।

23
Q

মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর কত নং সেক্টরের অধীন ছিলো?

A

৮ নং সেক্টর
##Footnote

মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মুজিবনগর’ অন্তর্ভুক্ত ছিল ৮ নং সেক্টরে।

১নং সেক্টর- চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ।

২নং সেক্টর- ফরিদপুর এর পূর্বাঞ্চল, ঢাকা শহরসহ ঢাকা জেলার দক্ষিণাংশ, কুমিল্লা, নোয়াখালী জেলা।

৩নং সেক্টর- কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার উত্তরাংশ, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।

৪নং সেক্টর- সিলেট জেলার অংশবিশেষ।

৫নং সেক্টর- সিলেট জেলার বাকি অঞ্চল এবং ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।

৬নং সেক্টর- রংপুর ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা।

৭নং সেক্টর- সমগ্র বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনা জেলা, দিনাজপুর ও রংপুরের অবশিষ্ট অংশ।

৮নং সেক্টর- কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) ও যশোর এর সমগ্র এলাকা, ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ, খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমা।

৯নং সেক্টর- সমগ্র বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনা জেলা (সাতক্ষীরা বাদে), ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ এবং গোপালগঞ্জ।

১০নং সেক্টর- কোন আঞ্চলিক সীমানা ছিল না। কেবলমাত্র নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত। যে সেক্টরের এলাকায় কম্যান্ডো অভিযান চালানো হতো, কম্যান্ডোরা সেই সেক্টর কমান্ডারের অধীনে কাজ করত।

১১নং সেক্টর-কিশোরগঞ্জ বাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা।

24
Q

ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করা হয় কখন?

A

১২ নভেম্বর ১৯৯৬।

১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মুশতাক আহমেদ কুখ্যাত ইমডেমনিটি অধ্যাদেশ গেজেট আকারে প্রকাশ করেন।
এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে ১৫ আগস্টের বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়। তাদের বিচারের আওতায় আনা যাবে না মর্মে ঘোষণা দেয় হয়।

১৯৭৯ সালের ৫ এপ্রিল জাতীয় সংসদে গৃহীত সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে জিয়াউর রহমান সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে সাংবিধানিক বৈধতা প্রদান করে।

পরবর্তীতে, ১২ নভেম্বর ১৯৯৬ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে। যার ফলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার করা সম্ভব হয়।

25
Q

পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের খবর বহির্বিশ্বে সর্বপ্রথম তুলে ধরেন কে?

A

সাইমন ড্রিং।

১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের সময় ব্রিটেনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক সাইমন ড্রিং ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে গোপনে অবস্থান করে পাকবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করেন।

পরবর্তীতে ৩০শে মার্চ ১৯৭১ ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় তিনি ট্যাংকস ক্র্যাশ রিভোল্ড ইন পাকিস্তান শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সর্বপ্রথম পাকবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের খবর বহির্বিশ্বে প্রচার করেন।

এই ঘটনার পর তাকে ঢাকা ছাড়তে হয়। পরবর্তীতে ১৬ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর ট্যাংকে চড়ে তিনি ঢাকায় প্রবেশ করেন। গত ১৬ জুলাই ২০২১ সায়মন ড্রিং রোমানিয়ার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

26
Q

বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম কোন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন?

A

কমনওয়েলথ সম্মেলন।

প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ২-১০ আগস্ট কানাডার অটোয়ায় অনুষ্ঠিত ১৯তম কমনওয়েলথ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

সর্বশেষ আন্তর্জাতিক সম্মেলন হিসেবে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৫ সালের ২৯ এপ্রিল থেকে ৬ মে ক্যারিবীয় দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকার কিংস্টনে ২০তম কমনওয়েলথ সরকার প্রধান সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু এই সম্মেলনে যোগ দিতে ২৬ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত জ্যামাইকা সফর করেন যা ছিলো বঙ্গবন্ধুর সর্বশেষ কোন সম্মেলনে যোগদান ও বিদেশ সফর।

এছাড়াও বঙ্গবন্ধু আরো তিনটি সম্মেলনে যোগ দেন।
এগুলো হলো:
✔ জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন, আলজিয়ার্স : ৫-৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩
✔ লাহোর ওআইসি সম্মেলন : ২৩-২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪
✔ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ অধিবেশন, নিউইয়র্ক : ২৩ সেপ্টম্বর-৭ অক্টোবর ১৯৭৪।

27
Q

রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের নাম-

A

রক্ত সোপান।

রক্ত সোপান এর ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান। বিজয়স্তম্ভ ভাস্কর্যটি গাজীপুর চৌরাস্তায় অবস্থিত।