মুক্তিযুদ্ধ-৫ Flashcards

1
Q

মুক্তিযুদ্ধকালীন জাতিসংঘে উত্থাপিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বমোট কতবার ভেটো ক্ষমতা প্ৰয়োগ করে?

A

৩ বার।

পরাশক্তিগুলোর মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম বাঙালি গণহত্যাকে নিন্দা করে। যুদ্ধবিরতি প্রশ্নে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিনবার ভেটো প্রয়োগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বাধাহীন করে তুলতে। ২৪ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে এবং স্বাধীনতা লাভের পরপরই সোভিয়েত ইউনিয়ন যে ভূমিকা পালন করেছিল তা বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
2
Q

১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কে ছিলেন?

A

মেজর রফিকুল ইসলাম।

১৯৭১ সালের ১০-১৭ জুলাই কলকাতায় তাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যুদ্ধাঞ্চলের অধিনায়কদের সম্মেলনে সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রত্যেক সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। ১১টি সেক্টরকে ৬৪টি সাব সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।

☑ এগারোটি সেক্টর হলো:

✔ ১ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশের সমগ্র এলাকা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর জিয়াউর রহমান এবং মেজর রফিকুল ইসলাম।

✔ ২ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর এবং নোয়াখালি জেলার অংশবিশেষ।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর খালেদ মোশাররফ এবং মেজর এ.টি.এম হায়দার।

✔ ৩ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : উত্তরে চূড়ামনকাঠি (শ্রীমঙ্গলের নিকট) থেকে সিলেট এবং দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সিঙ্গারবিল পর্যন্ত এলাকা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর কে.এম শফিউল্লাহ এবং মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান।

✔ ৪ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : উত্তরে সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট থানা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত।

✔ ৫ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল) এবং জেলার পূর্বসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর মীর শওকত আলী।

✔ ৬ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : সমগ্র রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা।
- সেক্টর কমান্ডার : উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার।

✔ ৭ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া এবং দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর নাজমুল হক এবং সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।

✔ ৮ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং মেজর এম.এ মঞ্জুর।

✔ ৯ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা এবং খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর এম. এ জলিল এবং মেজর এম. এ মঞ্জুর।

✔ ১০ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : সমুদ্র ও নৌ অঞ্চল।
- সেক্টর কমান্ডার : নিয়মিত কোন সেক্টর কমান্ডার ছিলো না।

✔ ১১ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : টাঙ্গাইল জেলা এবং কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর এম. আবু তাহের এবং স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
3
Q

২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কে ছিলেন?

A

খালেদ মোশাররফ।

১৯৭১ সালের ১০-১৭ জুলাই কলকাতায় তাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যুদ্ধাঞ্চলের অধিনায়কদের সম্মেলনে সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রত্যেক সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। ১১টি সেক্টরকে ৬৪টি সাব সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।

☑ এগারোটি সেক্টর হলো:

✔ ১ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশের সমগ্র এলাকা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর জিয়াউর রহমান এবং মেজর রফিকুল ইসলাম।

✔ ২ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর এবং নোয়াখালি জেলার অংশবিশেষ।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর খালেদ মোশাররফ এবং মেজর এ.টি.এম হায়দার।

✔ ৩ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : উত্তরে চূড়ামনকাঠি (শ্রীমঙ্গলের নিকট) থেকে সিলেট এবং দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সিঙ্গারবিল পর্যন্ত এলাকা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর কে.এম শফিউল্লাহ এবং মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান।

✔ ৪ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : উত্তরে সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট থানা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত।

✔ ৫ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল) এবং জেলার পূর্বসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর মীর শওকত আলী।

✔ ৬ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : সমগ্র রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা।
- সেক্টর কমান্ডার : উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার।

✔ ৭ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া এবং দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর নাজমুল হক এবং সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।

✔ ৮ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং মেজর এম.এ মঞ্জুর।

✔ ৯ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা এবং খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর এম. এ জলিল এবং মেজর এম. এ মঞ্জুর।

✔ ১০ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : সমুদ্র ও নৌ অঞ্চল।
- সেক্টর কমান্ডার : নিয়মিত কোন সেক্টর কমান্ডার ছিলো না।

✔ ১১ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : টাঙ্গাইল জেলা এবং কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর এম. আবু তাহের এবং স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
4
Q

মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর জেলা কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?

A

৬ নং।

মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘রংপুর জেলা’ অন্তর্ভুক্ত ছিল ৬ নং সেক্টরে।

১নং সেক্টর- চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ।

২নং সেক্টর- ফরিদপুর এর পূর্বাঞ্চল, ঢাকা শহরসহ ঢাকা জেলার দক্ষিণাংশ, কুমিল্লা, নোয়াখালী জেলা।

৩নং সেক্টর- কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার উত্তরাংশ, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।

৪নং সেক্টর- সিলেট জেলার অংশবিশেষ।

৫নং সেক্টর- সিলেট জেলার বাকি অঞ্চল এবং ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।

৬নং সেক্টর- রংপুর ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা।

৭নং সেক্টর- সমগ্র বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনা জেলা, দিনাজপুর ও রংপুরের অবশিষ্ট অংশ।

৮নং সেক্টর- কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) ও যশোর এর সমগ্র এলাকা, ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ, খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমা।

৯নং সেক্টর- সমগ্র বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনা জেলা (সাতক্ষীরা বাদে), ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ এবং গোপালগঞ্জ।

১০নং সেক্টর- কোন আঞ্চলিক সীমানা ছিল না। কেবলমাত্র নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত। যে সেক্টরের এলাকায় কম্যান্ডো অভিযান চালানো হতো, কম্যান্ডোরা সেই সেক্টর কমান্ডারের অধীনে কাজ করত।

১১নং সেক্টর-কিশোরগঞ্জ বাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
5
Q

মেজর জয়নাল কোন সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন?

A

৯ নং।

মেজর জয়নাল ৯ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।

✔ ১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর রফিকুল ইসলাম।
✔ ২ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর এ টি এম হায়দার।
✔ ৩ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর কে এম শফিউল্লাহ, মেজর এ এন এম নুরুজ্জামান।
✔৪ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর সি আর দত্ত, এ রব।
✔ ৫ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার- মেজর মীর শওকত আলী।
✔ ৬ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-উইং কমান্ডার এম কে বাশার।
✔ ৭ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর নাজমুল হক, মেজর এ রব, মেজর কাজী নুরুজ্জামান।
✔ ৮ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর এম এ মনসুর।
✔ ৯ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবদুল জলিল, মেজর জয়নাল আবেদীন।
✔ ১০ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলনা।
✔ ১১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর এম আবু তাহের, ফ্লাইট লে এম হামিদুল্লাহ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
6
Q

নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত সেক্টর কোনটি?

A

১০ নং।

নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত সেক্টর ১০নং সেক্টর।

☑ ১০নং সেক্টর:

কোন আঞ্চলিক সীমানা ছিল না। কেবলমাত্র নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত। যে সেক্টরের এলাকায় কম্যান্ডো অভিযান চালানো হতো, কম্যান্ডোরা সেই সেক্টর কমান্ডারের অধীনে কাজ করত।

কমান্ডার ছিলেন মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিংপ্রাপ্ত নৌ-কমান্ডার।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
7
Q

৫ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন-

A

লেঃ জেনারেল মীর শওকত আলী।

লেঃ জেনারেল মীর শওকত আলী ৫ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।

✔ ১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর রফিকুল ইসলাম।
✔ ২ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর এ টি এম হায়দার।
✔ ৩ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর কে এম শফিউল্লাহ, মেজর এ এন এম নুরুজ্জামান।
✔৪ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর সি আর দত্ত, এ রব।
✔ ৫ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার- মেজর মীর শওকত আলী।
✔ ৬ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-উইং কমান্ডার এম কে বাশার।
✔ ৭ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর নাজমুল হক, মেজর এ রব, মেজর কাজী নুরুজ্জামান।
✔ ৮ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর এম এ মনসুর।
✔ ৯ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবদুল জলিল, মেজর জয়নাল আবেদীন।
✔ ১০ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলনা।
✔ ১১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর এম আবু তাহের, ফ্লাইট লে এম হামিদুল্লাহ

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
8
Q

মুক্তিযুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?

A

৮।

মুক্তিযুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া ৮ নং সেক্টরের অধীনে ছিল।

১নং সেক্টর- চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ।

২নং সেক্টর- ফরিদপুর এর পূর্বাঞ্চল, ঢাকা শহরসহ ঢাকা জেলার দক্ষিণাংশ, কুমিল্লা, নোয়াখালী জেলা।

৩নং সেক্টর- কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার উত্তরাংশ, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।

৪নং সেক্টর- সিলেট জেলার অংশবিশেষ।

৫নং সেক্টর- সিলেট জেলার বাকি অঞ্চল এবং ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।

৬নং সেক্টর- রংপুর ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা।

৭নং সেক্টর- সমগ্র বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনা জেলা, দিনাজপুর ও রংপুরের অবশিষ্ট অংশ।

৮নং সেক্টর- কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) ও যশোর এর সমগ্র এলাকা, ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ, খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমা।

৯নং সেক্টর- সমগ্র বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনা জেলা (সাতক্ষীরা বাদে), ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ এবং গোপালগঞ্জ।

১০নং সেক্টর- কোন আঞ্চলিক সীমানা ছিল না। কেবলমাত্র নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত। যে সেক্টরের এলাকায় কম্যান্ডো অভিযান চালানো হতো, কম্যান্ডোরা সেই সেক্টর কমান্ডারের অধীনে কাজ করত।

১১নং সেক্টর-কিশোরগঞ্জ বাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
9
Q

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্স ব্রিগেডের প্রধান কে ছিলেন?

A

জিয়াউর রহমান।

তিনটি ব্রিগেড ফোর্সের নাম:

‘কে’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর খালেদ মোশাররফ, ‘এস’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ, ‘জেড’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর জিয়াউর রহমান।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
10
Q

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন পর্যায়ে, ১১টি সেক্টরে
মোট কতজন সেক্টর কমান্ডার দায়িত্ব পালন করেন?
0/1

A

১৬।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন পর্যায়ে, ১১টি সেক্টরে
মোট ১৬জন সেক্টর কমান্ডার দায়িত্ব পালন করেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
11
Q

১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার শাসনকার্য পরিচালনার জন্য কয়টি বিধি জারী করেন

A

৩৫টি।

১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসমাজ বাংলাদেশের পূর্ণ স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করে এবং সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্তের মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করে ।
৩রা মার্চ বঙ্গবন্ধু অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলে পূর্ব বাংলার সকল দপ্তরে তালা লাগে। ব্যাংক, বিমান, ডাক, টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, রেলপথ সবকিছুই বন্ধ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর উপর প্রবল চাপ ছিল স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য।

এমনি অবস্থায় ৭ মার্চ ১৯৭১ রমনা রেসকোর্সে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়ে বলেন যে, জনগণের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্যই এবারের সংগ্রাম পরিচালিত হবে। সংগ্রাম কমিটি গঠন ও যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার আহ্বান জানান তিনি।

সামরিক আইন প্রত্যাহার, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া, হত্যাকান্ডের তদন্ত ও জনপ্রতিনিধিগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হলেই তবে তিনি বিবেচনা করবেন জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়া যাবে কিনা।

১৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার শাসনকার্য পরিচালনার জন্য ৩৫টি বিধি জারী করেন।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এদিন ঢাকায় আসলে ২২ ও ২৩ মার্চ গুঞ্জরিত হয় যে, মুজিব ইয়াহিয়া সমঝোতা হতে যাচ্ছে। কিন্তু মুজিবকে না জানিয়েই ইয়াহিয়া ২৫ এর রাতে ঢাকা থেকে ফিরে যাবার আগে তার কমান্ডারদেরকে বাঙ্গালি নিধনের নির্দেশ দিলেন।

গর্জে উঠলো সৈন্যদের মারণাস্ত্র। বঙ্গবন্ধু মাঝরাতের পর অয়্যারলেসে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাঠিয়ে দিলেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে। - বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছে পাকিস্তানীদের নৃশংসতা রোধের ও বাঙ্গালীদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের আবেদন করলেন। তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলে। সুদীর্ঘ নয় মাস বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম করে কায়েম করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
12
Q

‘এ গোল্ডেন এজ’ উপন্যাসটির রচয়িতা-

A

তাহমিমা আনাম।

তাহমিমা আনাম একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখিকা এবং ঔপন্যাসিক। তিনি বিখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক আবুল মনসুর আহমেদ নাতি ও দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের মেয়ে। তার প্রথম উপন্যাস ‘‘এ গোল্ডেন এজ’’ ২০০৭ সালের মার্চে ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
13
Q

কাঁকন বিবি কোন সম্প্রদায়ের ছিলেন?

A

খাসিয়া।

কাঁকন বিবির আসল নাম কাঁকাত হেনিনচিতা। তিনি মুক্তিবেটি নামে পরিচিত। খাসিয়া সম্প্রদায়ের এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীরযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও গুপ্তচর কাঁকন বিবি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিপক্ষে মুক্তিবাহিনীর হয়ে ৫ নং সেক্টরের গুপ্তচরের কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোন গেজেট প্রকাশিত হয়নি

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
14
Q

স্মৃতির মিনার’ কবিতাটি লিখেছেন

A

আলাউদ্দিন আল আজাদ।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শহীদ মিনার ভেঙে ফেললে, ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে আলাউদ্দিন আল আজাদ ‘স্মৃতির মিনার’ কবিতাটি লিখেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
15
Q

মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ’ কোথায়?

A

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

‘মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ’ অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যগুলো হলো: অপরাজেয় বাংল, স্মৃতি চিরন্তন, গণহত্যা ফলক, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা স্তম্ভ ও টেরাকোটায় আচ্ছাদিত দেয়াল, কলাভবনের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদদের নামফলক।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
16
Q

এখানে রমনার বটমূলে, কৃষ্ণচূড়ার নিচে/কাঁদতে আসিনি, ফাসির দাবি নিয়ে এসেছি” কবিতাটি কার রচনা?

A

মাহবুবুল আলম চৌধুরী।

কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি কবিতাটি ভাষা আন্দোলন নিয়ে লিখিত প্রথম কবিতা। তাই কবিতাটিকে একুশের প্রথম কবিতাও বলা হয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কবিতাটি রচনা করেন ভাষাসৈনিক মাহবুব উল আলম চৌধুরী।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
17
Q

নদী ও নারী’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?

A

হুমায়ুন কবির।

নদী ও নারী উপন্যাসের রচয়িতা লেখক ও রাজনীতিবিদ হুমায়ুন কবির। তার আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: বাংলার কাব্য, মার্কসবাদ , শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, স্বপ্নসাধ, সাথী, অষ্টাদশী।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
18
Q

ম্যাডোনা ৪৩’ চিত্রকর্মের শিল্পী কে?

A

জয়নুল আবেদীন।

‘ম্যাডোনা ৪৩’ চিত্রকর্মের শিল্পী জয়নুল আবেদীন।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের দুর্ভিক্ষ চিত্রমালার জন্য বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার কিছু বিখ্যাত শিল্পকর্ম: নৌকা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ম্যাডোনা, মনপুরা, সংগ্রাম, নবান্ন, মইটানা ইত্যাদি।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
19
Q

সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি কোথায় অবস্থিত?

A

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার সবুজ চত্বরে মুক্তাঙ্গনের উত্তর পাশে ‘সাবাশ বাংলাদেশ’ ভাষ্কর্যটি অবস্থিত। এর স্থপতি নিতুন কুণ্ডু। নিতুন কুণ্ডুর অন্যান্য ভাস্কর্যের মধ্যে রয়েছে-সার্ক ফোয়ারা, কদমফুল ফোয়ারা, সাম্পান ইত্যাদি।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
20
Q

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম উপন্যাস

A

রাইফেল রোটি আওরাত

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম উপন্যাস-রাইফেল রোটি আওরাত।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আরো কিছু উল্লেখযোগ্য উপন্যাস:
মা-আনিসুল হক, রাইফেল রোটি আওরাত-আনোয়ার পাশা, জোছনা ও জননীর গল্প-হুমায়ূন আহমেদ, নিষিদ্ধ লোবান-সৈয়দ শামসুল হক, হাঙর নদী গ্রেনেড-সেলিনা হোসেন।

21
Q

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ডি.লিট ডিগ্রি প্রদান করে-

A

১৯৭৪ সালে।

১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে রাষ্ট্রপতি মাহমুদ উল্লাহ বঙ্গভবনে আয়োজিত বিশেষ সম্মাননা অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলামকে ডি. লিট ডিগ্রি প্রদান করেন

22
Q

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র-

A

জয়যাত্রা।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র এবং সেসব চলচ্চিত্রের পরিচালক:

মেঘের পরে মেঘ-চাষী নজরুল ইসলাম, আমার বন্ধু রাশেদ-মোরশেদুল ইসলাম,
জয়যাত্রা-তৌকীর আহমেদ, অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী-সুভাস দত্ত, একাত্তরের যীশু এবং গেরিলা-নাসির উদ্দিন ইউসুফ, আবার তোরা মানুষ হ-খান আতাউর রহমান, নদীর নাম মধুমতি-তানভীর মোকাম্মেল, ধীরে বহে মেঘনা-আলমগীর কবির, আগুনের পরশমণি এবং শ্যামল ছায়া-হুমায়ুন আহমেদ, মাটির ময়না- তারেক মাসুদ।

23
Q

‘৭ মার্চ’ জাদুঘর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত

A

ঢাকা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলে নির্মিত হয়েছে ৭ মার্চ ভবন বা ৭ মার্চ জাদুঘর।

24
Q

রোজ গার্ডেন’ বাংলাদেশের একটি-

A

ঐতিহাসিক ভবন।

রোজ গার্ডেন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক প্রাচীন ভবন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেম এর নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার টিকাটুলীর কে এম দাস লেন রোডের রোজ গার্ডেন প্রাসাদে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়

25
Q

সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ গ্রন্থের খণ্ড কতটি?

A

১৪টি ।

পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখত পাকিস্তান সরকার। সেসব নিয়ে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস অব ইনটেলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ (Secret Documents of Intelligence Branch on Father of The Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman) শিরোনামে গ্রন্থ আকারে ১৪ খণ্ড প্রকাশিত হয়েছে।

26
Q

শিখা চিরন্তন’ কোথায় অবস্থিত?

A

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

শিখা চিরন্তন রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত একটি স্মরণ স্থাপনা। এ স্থানটি ৭ ই মার্চের ভাষণ ও ১৬ ডিসেম্বরের পাক বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্মৃতি বিজড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য গুলোর মধ্যে একটি হল স্মৃতি চিরন্তন

27
Q

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাংলাদেশি উপাচার্য-

A

রমেশচন্দ্র মজুমদার ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য স্যার ফিলিপ জোসেফ হার্টগ। প্রথম বাঙালি উপাচার্য ছিলেন স্যার এফ রহমান। ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ উপাচার্য। ড. মাহমুদ হাসান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম উপাচার্য। বিচারপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অষ্টম উপাচার্য। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।

28
Q

জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন-

A

শাহনাজ রহমাতুল্লাহ ও আব্দুল জব্বার।

‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটির গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার। জনপ্রিয় এই গানটির সুরকার আনোয়ার পারভেজ।

29
Q

এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ শিরোনামে বিখ্যাত পোষ্টারটি কোন শিল্পী এঁকেছিলেন?

A

কামরুল হাসান।

কামরুল হাসান ছিলেন প্রখ্যাত একজন চিত্রশিল্পী। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে জেনারেল ইয়াহিয়ার মুখের ছবি দিয়ে আঁকা ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ (ANNIHILATE THESE DEMONS) পোস্টারটি খুব বিখ্যাত।

30
Q

কারাগারের রোজনামচা প্রকাশক কোন প্রতিষ্ঠান?

A

বাংলা একাডেমি ।

কারাগারের রোজনামচা বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৭ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে। এটি প্রকাশ করে বাংলা একাডেমি। এর প্রকাশক ও কর্মসূচি পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন বাংলা একাডেমির গবেষণা, সংকলন এবং অভিধান ও বিশ্বকোষ বিভাগের পরিচালক মোবারক হোসেন।

31
Q

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘এ স্টেট ইজ বর্ন’ এর পরিচালক কে?

A

জহির রায়হান।

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র তৈরি হয় ১৯৭১ সালে কলকাতায়। ওই সময় চারটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মিত হয়। এগুলো ছিল জহির রায়হানের স্টপ জেনোসাইড, এ স্টেট ইজ বর্ন, আলমগীর কবিরের লিবারেশন ফাইটার্স ও বাবুল চৌধুরীর ইনোসেন্ট মিলিয়নস।

32
Q

স্বাধীনতার পর ঢাবিতে প্রথম সমাবর্তন হয়-

A

১৯৯৯ সালে।

পাকিস্তান আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালের ২৪ মার্চ। এরপর ১৯৭০ সাল পর্যন্ত আরও ১৫ বার সমাবর্তন হয়। পাকিস্তান আমলে সর্বশেষ সমাবর্তন হয় ১৯৭০ সালের ৮ মার্চ। এটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম সমাবর্তন।

33
Q

উত্তরা গণভবন কোথায় অবস্থিত?

A

নাটোর।

দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি বা উত্তরা গণভবন নাটোর জেলায় অবস্থিত। রাজা দয়ারাম রায় ১৭৪৩ সালে এটি নির্মাণ করেন। গভর্ণর মোনায়েম খান ১৯৬৭ সালে এটি গভর্নর হাউজে রূপান্তর করেন। ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নামকরণ করেন উত্তরা গণভবন যা উত্তরাঞ্চলীয় সচিবালয় বাসভবন।

34
Q

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট পরিচালনার জন্য গঠিত কোম্পানি

A

Bangladesh Communication Satellite Company Limited।

বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড বা বিসিএসসিএল বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান যা বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ বা বিএস-১ পরিচালনার জন্য ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে

35
Q

বাঙ্গালীর ইতিহাস’ বইটির লেখক কে?

A

নীহাররঞ্জন রায়।

এই বইটির জন্য নীহাররঞ্জন রায় ১৯৫০ সালে ‘রবীন্দ্র’ পুরস্কার লাভ করেন। তার উল্লেখযোগ্য সাহিত্য হলোঃ বাংলার নদ-নদী, রবীন্দ্র সাহিত্যের ভুমিকা ইত্যাদি।

36
Q

মিশুকের স্থপতি কে?

A

হামিদুজ্জামান খান।

37
Q

মা ও মনি হলো-

A

একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

ঢাকায় সর্বশেষ ১৯৯২ সালে ক্লাবগুলোকে নিয়ে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেটির নাম ছিল ‘মা মনি গোল্ডকাপ’।

38
Q

রাজারবাগ পুলিশ লাইনে দুর্জয় ভাস্কর্যটির শিল্পী কে?

A

মৃণাল হক।

মৃণাল হকের অন্যান্য গরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্ম হচ্ছে মতিঝিল বিমান অফিসের সামনের বলাকা এবং রাজশাহী বিদ্যালয়ের গোল্ডেন জুবিলি টাওয়ার। নভেরা আহমেদের ভাস্কর্যের মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে চাইল্ড ফিলোসফার, মা ও শিশু, ইকারুস ইত্যাদি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের স্থপতির নাম হামিদুর রহমান। শামীম শিকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সিতে অবস্থিত স্বোপার্জিত স্বাধীনতা শিরোনামের ভাস্কর্য নির্মাণ করেন।

39
Q

জাতিসংঘের কোন সংস্থা বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে?

A

ইউনেস্কো।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ৭ই মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করেছে

40
Q

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন কে?

A

শেখ মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত অস্থায়ী মুজিবনগর/প্রবাসি বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।

তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। তিনি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক।

অন্যদিকে,

জেনারেল এম এ জি ওসমানী মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন।
তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম মুজিবনগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন।

41
Q

কনসার্ট ফর বাংলাদেশ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?

A

নিউইয়র্ক।

১৯৭১ সালের ১ আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ম্যাডিসন স্কয়ারে কনসার্ট ফর বাংলাদেশ অনুষ্ঠিত হয়। কনসার্ট ফর বাংলাদেশ আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিলো কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে বাংলাদেশের শরনার্থীদের সহায়তা করা।

কনসার্টের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন বিখ্যাত ভারতীয় সেতারবাদক পণ্ডিত রবিশংকর। তার আহবানে সাড়া দিয়ে মার্কিন ব্যান্ডদল বিটলসের জর্জ হ্যারিসন, বব ডিলান, রিঙ্গো স্টার প্রমুখ এই কনসার্টে অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের আকবর আলী খাঁ, তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখা প্রমুখ এতে যুক্ত ছিলেন।

42
Q

বঙ্গবন্ধু প্রদত্ত ৭ই মার্চের ভাষণে নিচের কোন দাবিটি ছিলো না?

A

প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্বশাসন বাস্তবায়ন।

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের টালবাহানার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদান করেন।

৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু চারটি দাবি উত্থাপন করেন। এগুলো হলো:

  • চলমান সামরিক আইন প্রত্যাহার করা
  • সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া
  • গণহত্যার তদন্ত করা
  • নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।

৭ই মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করে।

43
Q

বঙ্গবন্ধু কবে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন?

A

৮ জানুয়ারি ১৯৭২।

১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বিশেষ বিমানে করে প্রথমে লন্ডন গমন করেন। সেখান থেকে ১০ জানুয়ারি ব্রিটিশ রাজকীয় বিমানে করে দিল্লি আসেন এবং সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে বিকেলে ঢাকায় আসেন।

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের এই দিনটিকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

44
Q

কোন সাময়িকী বঙ্গবন্ধুকে রাজনীতির কবি হিসেবে অভিহিত করে?

A

নিউজ উইক।

১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাগাজিন নিউজ উইক তাদের প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। এই প্রতিবেদনে তাকে অভিহিত করা হয় রাজনীতির কবি হিসেবে।

45
Q

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানকে সহায়তা করতে বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র প্রেরিত নৌবহর-

A

টাস্কফোর্স-৭৪।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে টাস্কফোর্স-৭৪ নামে একটি নৌবহর প্রেরণ করে।

মার্কিন সপ্তম নৌবহরের কয়েকটি জাহাজের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স-৭৪ গঠন করা হয় যার মধ্যে ছিলো তৎকালীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ যুদ্ধজাহাজ বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস এন্টারপ্রাইজ।

কিন্তু ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কঠিন অবস্থানের কারণে এই নৌবহর শেষ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করতে পারেনি।টাস্কফোর্স-৭৪।

ব্যাখ্যা:

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরের উদ্দেশ্যে টাস্কফোর্স-৭৪ নামে একটি নৌবহর প্রেরণ করে।

মার্কিন সপ্তম নৌবহরের কয়েকটি জাহাজের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স-৭৪ গঠন করা হয় যার মধ্যে ছিলো তৎকালীন বিশ্বের সর্ববৃহৎ যুদ্ধজাহাজ বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস এন্টারপ্রাইজ।

কিন্তু ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কঠিন অবস্থানের কারণে এই নৌবহর শেষ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করতে পারেনি।

46
Q

মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশাল কত নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল?

A

নয় নম্বর।

মুক্তিযুদ্ধের সময় বরিশাল নয় নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

নয় নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলসমূহ-দৌলতপুর সাতক্ষীরা সড়ক থেকে খুলনার দক্ষিণাঞ্চল এবং সমগ্র বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর এম এ জলিল।

47
Q

মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী কত নম্বর সেক্টরে অন্তর্ভুক্ত ছিল?

A

: ৭।

মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী সাত নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

সাত নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলসমূহ-দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাঞ্চল, বগুড়া, রাজশাহী এবং পাবনা জেলা। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর নাজমুল হক এবং মেজর কাজী নূরুজ্জামান

48
Q

মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর জেলা কত নং সেক্টরে ছিল?

A

৬ নং।

মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর ৬ নং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল।

৬ নং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলসমূহ-সমগ্র রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলা ও ঠাকুরগাঁও জেলা। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন উইং কমান্ডার মোহাম্মদ খাদেমুল বাশার