মুক্তিযুদ্ধ-৫ Flashcards
মুক্তিযুদ্ধকালীন জাতিসংঘে উত্থাপিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন সর্বমোট কতবার ভেটো ক্ষমতা প্ৰয়োগ করে?
৩ বার।
পরাশক্তিগুলোর মধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম বাঙালি গণহত্যাকে নিন্দা করে। যুদ্ধবিরতি প্রশ্নে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিনবার ভেটো প্রয়োগ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বাধাহীন করে তুলতে। ২৪ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে এবং স্বাধীনতা লাভের পরপরই সোভিয়েত ইউনিয়ন যে ভূমিকা পালন করেছিল তা বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়।
১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কে ছিলেন?
মেজর রফিকুল ইসলাম।
১৯৭১ সালের ১০-১৭ জুলাই কলকাতায় তাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যুদ্ধাঞ্চলের অধিনায়কদের সম্মেলনে সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রত্যেক সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। ১১টি সেক্টরকে ৬৪টি সাব সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।
☑ এগারোটি সেক্টর হলো:
✔ ১ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশের সমগ্র এলাকা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর জিয়াউর রহমান এবং মেজর রফিকুল ইসলাম।
✔ ২ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর এবং নোয়াখালি জেলার অংশবিশেষ।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর খালেদ মোশাররফ এবং মেজর এ.টি.এম হায়দার।
✔ ৩ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : উত্তরে চূড়ামনকাঠি (শ্রীমঙ্গলের নিকট) থেকে সিলেট এবং দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সিঙ্গারবিল পর্যন্ত এলাকা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর কে.এম শফিউল্লাহ এবং মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান।
✔ ৪ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : উত্তরে সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট থানা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত।
✔ ৫ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল) এবং জেলার পূর্বসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর মীর শওকত আলী।
✔ ৬ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : সমগ্র রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা।
- সেক্টর কমান্ডার : উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার।
✔ ৭ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া এবং দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর নাজমুল হক এবং সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।
✔ ৮ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং মেজর এম.এ মঞ্জুর।
✔ ৯ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা এবং খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর এম. এ জলিল এবং মেজর এম. এ মঞ্জুর।
✔ ১০ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : সমুদ্র ও নৌ অঞ্চল।
- সেক্টর কমান্ডার : নিয়মিত কোন সেক্টর কমান্ডার ছিলো না।
✔ ১১ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : টাঙ্গাইল জেলা এবং কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর এম. আবু তাহের এবং স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ।
২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কে ছিলেন?
খালেদ মোশাররফ।
১৯৭১ সালের ১০-১৭ জুলাই কলকাতায় তাজউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যুদ্ধাঞ্চলের অধিনায়কদের সম্মেলনে সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রত্যেক সেক্টরে একজন করে সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়। ১১টি সেক্টরকে ৬৪টি সাব সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।
☑ এগারোটি সেক্টর হলো:
✔ ১ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা এবং নোয়াখালি জেলার মুহুরী নদীর পূর্বাংশের সমগ্র এলাকা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর জিয়াউর রহমান এবং মেজর রফিকুল ইসলাম।
✔ ২ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর এবং নোয়াখালি জেলার অংশবিশেষ।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর খালেদ মোশাররফ এবং মেজর এ.টি.এম হায়দার।
✔ ৩ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : উত্তরে চূড়ামনকাঠি (শ্রীমঙ্গলের নিকট) থেকে সিলেট এবং দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সিঙ্গারবিল পর্যন্ত এলাকা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর কে.এম শফিউল্লাহ এবং মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান।
✔ ৪ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : উত্তরে সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট থানা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত।
✔ ৫ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল) এবং জেলার পূর্বসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর মীর শওকত আলী।
✔ ৬ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : সমগ্র রংপুর জেলা এবং দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা।
- সেক্টর কমান্ডার : উইং কমান্ডার এম খাদেমুল বাশার।
✔ ৭ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া এবং দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর নাজমুল হক এবং সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।
✔ ৮ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর ও পটুয়াখালী জেলা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর আবু ওসমান চৌধুরী এবং মেজর এম.এ মঞ্জুর।
✔ ৯ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা এবং খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর এম. এ জলিল এবং মেজর এম. এ মঞ্জুর।
✔ ১০ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : সমুদ্র ও নৌ অঞ্চল।
- সেক্টর কমান্ডার : নিয়মিত কোন সেক্টর কমান্ডার ছিলো না।
✔ ১১ নং সেক্টর:
- সেক্টর এলাকা : টাঙ্গাইল জেলা এবং কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা।
- সেক্টর কমান্ডার : মেজর এম. আবু তাহের এবং স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় রংপুর জেলা কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?
৬ নং।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘রংপুর জেলা’ অন্তর্ভুক্ত ছিল ৬ নং সেক্টরে।
১নং সেক্টর- চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ।
২নং সেক্টর- ফরিদপুর এর পূর্বাঞ্চল, ঢাকা শহরসহ ঢাকা জেলার দক্ষিণাংশ, কুমিল্লা, নোয়াখালী জেলা।
৩নং সেক্টর- কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার উত্তরাংশ, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।
৪নং সেক্টর- সিলেট জেলার অংশবিশেষ।
৫নং সেক্টর- সিলেট জেলার বাকি অঞ্চল এবং ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
৬নং সেক্টর- রংপুর ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা।
৭নং সেক্টর- সমগ্র বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনা জেলা, দিনাজপুর ও রংপুরের অবশিষ্ট অংশ।
৮নং সেক্টর- কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) ও যশোর এর সমগ্র এলাকা, ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ, খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমা।
৯নং সেক্টর- সমগ্র বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনা জেলা (সাতক্ষীরা বাদে), ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ এবং গোপালগঞ্জ।
১০নং সেক্টর- কোন আঞ্চলিক সীমানা ছিল না। কেবলমাত্র নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত। যে সেক্টরের এলাকায় কম্যান্ডো অভিযান চালানো হতো, কম্যান্ডোরা সেই সেক্টর কমান্ডারের অধীনে কাজ করত।
১১নং সেক্টর-কিশোরগঞ্জ বাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা।
মেজর জয়নাল কোন সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন?
৯ নং।
মেজর জয়নাল ৯ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
✔ ১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর রফিকুল ইসলাম।
✔ ২ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর এ টি এম হায়দার।
✔ ৩ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর কে এম শফিউল্লাহ, মেজর এ এন এম নুরুজ্জামান।
✔৪ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর সি আর দত্ত, এ রব।
✔ ৫ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার- মেজর মীর শওকত আলী।
✔ ৬ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-উইং কমান্ডার এম কে বাশার।
✔ ৭ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর নাজমুল হক, মেজর এ রব, মেজর কাজী নুরুজ্জামান।
✔ ৮ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর এম এ মনসুর।
✔ ৯ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবদুল জলিল, মেজর জয়নাল আবেদীন।
✔ ১০ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলনা।
✔ ১১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর এম আবু তাহের, ফ্লাইট লে এম হামিদুল্লাহ।
নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত সেক্টর কোনটি?
১০ নং।
নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত সেক্টর ১০নং সেক্টর।
☑ ১০নং সেক্টর:
কোন আঞ্চলিক সীমানা ছিল না। কেবলমাত্র নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত। যে সেক্টরের এলাকায় কম্যান্ডো অভিযান চালানো হতো, কম্যান্ডোরা সেই সেক্টর কমান্ডারের অধীনে কাজ করত।
কমান্ডার ছিলেন মুক্তিবাহিনীর ট্রেনিংপ্রাপ্ত নৌ-কমান্ডার।
৫ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন-
লেঃ জেনারেল মীর শওকত আলী।
লেঃ জেনারেল মীর শওকত আলী ৫ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন।
✔ ১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর রফিকুল ইসলাম।
✔ ২ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর এ টি এম হায়দার।
✔ ৩ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর কে এম শফিউল্লাহ, মেজর এ এন এম নুরুজ্জামান।
✔৪ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর সি আর দত্ত, এ রব।
✔ ৫ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার- মেজর মীর শওকত আলী।
✔ ৬ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-উইং কমান্ডার এম কে বাশার।
✔ ৭ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর নাজমুল হক, মেজর এ রব, মেজর কাজী নুরুজ্জামান।
✔ ৮ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর এম এ মনসুর।
✔ ৯ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবদুল জলিল, মেজর জয়নাল আবেদীন।
✔ ১০ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলনা।
✔ ১১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর এম আবু তাহের, ফ্লাইট লে এম হামিদুল্লাহ
মুক্তিযুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?
৮।
মুক্তিযুদ্ধের সময় কুষ্টিয়া ৮ নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
১নং সেক্টর- চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ।
২নং সেক্টর- ফরিদপুর এর পূর্বাঞ্চল, ঢাকা শহরসহ ঢাকা জেলার দক্ষিণাংশ, কুমিল্লা, নোয়াখালী জেলা।
৩নং সেক্টর- কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার উত্তরাংশ, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।
৪নং সেক্টর- সিলেট জেলার অংশবিশেষ।
৫নং সেক্টর- সিলেট জেলার বাকি অঞ্চল এবং ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
৬নং সেক্টর- রংপুর ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা।
৭নং সেক্টর- সমগ্র বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনা জেলা, দিনাজপুর ও রংপুরের অবশিষ্ট অংশ।
৮নং সেক্টর- কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) ও যশোর এর সমগ্র এলাকা, ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ, খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমা।
৯নং সেক্টর- সমগ্র বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনা জেলা (সাতক্ষীরা বাদে), ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ এবং গোপালগঞ্জ।
১০নং সেক্টর- কোন আঞ্চলিক সীমানা ছিল না। কেবলমাত্র নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত। যে সেক্টরের এলাকায় কম্যান্ডো অভিযান চালানো হতো, কম্যান্ডোরা সেই সেক্টর কমান্ডারের অধীনে কাজ করত।
১১নং সেক্টর-কিশোরগঞ্জ বাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্স ব্রিগেডের প্রধান কে ছিলেন?
জিয়াউর রহমান।
তিনটি ব্রিগেড ফোর্সের নাম:
‘কে’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর খালেদ মোশাররফ, ‘এস’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ, ‘জেড’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর জিয়াউর রহমান।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন পর্যায়ে, ১১টি সেক্টরে
মোট কতজন সেক্টর কমান্ডার দায়িত্ব পালন করেন?
0/1
১৬।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন পর্যায়ে, ১১টি সেক্টরে
মোট ১৬জন সেক্টর কমান্ডার দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭১ সালের ১৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার শাসনকার্য পরিচালনার জন্য কয়টি বিধি জারী করেন
৩৫টি।
১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসমাজ বাংলাদেশের পূর্ণ স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করে এবং সবুজ জমিনের ওপর লাল বৃত্তের মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করে ।
৩রা মার্চ বঙ্গবন্ধু অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিলে পূর্ব বাংলার সকল দপ্তরে তালা লাগে। ব্যাংক, বিমান, ডাক, টেলিগ্রাফ, টেলিফোন, রেলপথ সবকিছুই বন্ধ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর উপর প্রবল চাপ ছিল স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য।
এমনি অবস্থায় ৭ মার্চ ১৯৭১ রমনা রেসকোর্সে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে তিনি আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়ে বলেন যে, জনগণের মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্যই এবারের সংগ্রাম পরিচালিত হবে। সংগ্রাম কমিটি গঠন ও যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার আহ্বান জানান তিনি।
সামরিক আইন প্রত্যাহার, সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া, হত্যাকান্ডের তদন্ত ও জনপ্রতিনিধিগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হলেই তবে তিনি বিবেচনা করবেন জাতীয় পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়া যাবে কিনা।
১৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব বাংলার শাসনকার্য পরিচালনার জন্য ৩৫টি বিধি জারী করেন।
প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এদিন ঢাকায় আসলে ২২ ও ২৩ মার্চ গুঞ্জরিত হয় যে, মুজিব ইয়াহিয়া সমঝোতা হতে যাচ্ছে। কিন্তু মুজিবকে না জানিয়েই ইয়াহিয়া ২৫ এর রাতে ঢাকা থেকে ফিরে যাবার আগে তার কমান্ডারদেরকে বাঙ্গালি নিধনের নির্দেশ দিলেন।
গর্জে উঠলো সৈন্যদের মারণাস্ত্র। বঙ্গবন্ধু মাঝরাতের পর অয়্যারলেসে স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাঠিয়ে দিলেন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের কাছে। - বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের কাছে পাকিস্তানীদের নৃশংসতা রোধের ও বাঙ্গালীদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের আবেদন করলেন। তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলে। সুদীর্ঘ নয় মাস বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম করে কায়েম করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
‘এ গোল্ডেন এজ’ উপন্যাসটির রচয়িতা-
তাহমিমা আনাম।
তাহমিমা আনাম একজন বাংলাদেশ বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখিকা এবং ঔপন্যাসিক। তিনি বিখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক আবুল মনসুর আহমেদ নাতি ও দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনামের মেয়ে। তার প্রথম উপন্যাস ‘‘এ গোল্ডেন এজ’’ ২০০৭ সালের মার্চে ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত হয়।
কাঁকন বিবি কোন সম্প্রদায়ের ছিলেন?
খাসিয়া।
কাঁকন বিবির আসল নাম কাঁকাত হেনিনচিতা। তিনি মুক্তিবেটি নামে পরিচিত। খাসিয়া সম্প্রদায়ের এক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীরযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও গুপ্তচর কাঁকন বিবি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিপক্ষে মুক্তিবাহিনীর হয়ে ৫ নং সেক্টরের গুপ্তচরের কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোন গেজেট প্রকাশিত হয়নি
স্মৃতির মিনার’ কবিতাটি লিখেছেন
আলাউদ্দিন আল আজাদ।
পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী শহীদ মিনার ভেঙে ফেললে, ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালে আলাউদ্দিন আল আজাদ ‘স্মৃতির মিনার’ কবিতাটি লিখেন।
মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ’ কোথায়?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
‘মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ’ অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যগুলো হলো: অপরাজেয় বাংল, স্মৃতি চিরন্তন, গণহত্যা ফলক, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তন, স্বাধীনতা স্তম্ভ ও টেরাকোটায় আচ্ছাদিত দেয়াল, কলাভবনের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদদের নামফলক।
এখানে রমনার বটমূলে, কৃষ্ণচূড়ার নিচে/কাঁদতে আসিনি, ফাসির দাবি নিয়ে এসেছি” কবিতাটি কার রচনা?
মাহবুবুল আলম চৌধুরী।
কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি কবিতাটি ভাষা আন্দোলন নিয়ে লিখিত প্রথম কবিতা। তাই কবিতাটিকে একুশের প্রথম কবিতাও বলা হয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কবিতাটি রচনা করেন ভাষাসৈনিক মাহবুব উল আলম চৌধুরী।
নদী ও নারী’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
হুমায়ুন কবির।
নদী ও নারী উপন্যাসের রচয়িতা লেখক ও রাজনীতিবিদ হুমায়ুন কবির। তার আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: বাংলার কাব্য, মার্কসবাদ , শিক্ষক ও শিক্ষার্থী, স্বপ্নসাধ, সাথী, অষ্টাদশী।
ম্যাডোনা ৪৩’ চিত্রকর্মের শিল্পী কে?
জয়নুল আবেদীন।
‘ম্যাডোনা ৪৩’ চিত্রকর্মের শিল্পী জয়নুল আবেদীন।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের দুর্ভিক্ষ চিত্রমালার জন্য বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। তার কিছু বিখ্যাত শিল্পকর্ম: নৌকা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, ম্যাডোনা, মনপুরা, সংগ্রাম, নবান্ন, মইটানা ইত্যাদি।
সাবাস বাংলাদেশ ভাস্কর্যটি কোথায় অবস্থিত?
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার সবুজ চত্বরে মুক্তাঙ্গনের উত্তর পাশে ‘সাবাশ বাংলাদেশ’ ভাষ্কর্যটি অবস্থিত। এর স্থপতি নিতুন কুণ্ডু। নিতুন কুণ্ডুর অন্যান্য ভাস্কর্যের মধ্যে রয়েছে-সার্ক ফোয়ারা, কদমফুল ফোয়ারা, সাম্পান ইত্যাদি।