বাংলাদেশের ইতিহাস : সুলতানী আমল-১ Flashcards

1
Q

বাংলার স্বাধীনতার সূচনা করেন?

A

ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ।

বাংলার স্বাধীনতার সূচনা করেন ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ।

১৩৩৮ সালে সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা বাহরাম খানের মৃত্যু হয়। বাহরাম খানের বর্মরক্ষক ছিলেন ‘ফখরা’ নামের একজন রাজকর্মচারী। প্রভুর মৃত্যুর পর তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ‘ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ্’ নাম নিয়ে সোনারগাঁওয়ের সিংহাসনে বসেন।

তিনি ১৩৪৯ থেকে ১৩৫২ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন।

তিনি মুদ্রার নাম দেন ‘ফখরা’। তাঁর রাজধানী ছিল: সোনারগাঁও।

তবে বাংলার প্রথম প্রকৃত স্বাধীন সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
2
Q

দিল্লির শাসকদের মধ্যে কোন সম্রাট প্রথম স্থায়ী সেনাবাহিনী গড়ে তুলেন?

A

আলাউদ্দিন খলজি।

দিল্লির শাসকদের মধ্যে আলাউদ্দিন খলজি প্রথম স্থায়ী সেনাবাহিনী গড়ে তুলেন।

আলাউদ্দিন খলজি ছিলেন দিল্লির শ্রেষ্ঠ সুলতান। তাকে ভারতের আলেক্সান্ডার বলা হয়।

তিনি দ্রব্যমূল্য ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন।

দিল্লির শাসকদের মধ্যে তিনিই প্রথম স্থায়ী সেনাবাহিনী গড়ে তুলেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
3
Q

পারস্যের কোন কবি গিয়াসউদ্দিন আজম শাহকে দিওয়ান লিখে পাঠিয়েছিলেন?

A

হাফিজ সিরাজি (সংক্ষেপে হাফিজ)

পারস্যের কবি হাফিজ সিরাজি গিয়াসউদ্দিন আজম শাহকে দিওয়ান লিখে পাঠিয়েছিলেন।

গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ পন্ডিত ও কবিদের সমাদর করতেন। পারস্যের কবি হাফিজের সাথে তার পত্র বিনিময় হত। বাঙালি মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীর তার বিখ্যাত রচনা ইউসুফ জুলেখা এ সময়ে সম্পন্ন করেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
4
Q

আমির খসরু কার সভাকবি ছিলেন?

A

গিয়াসউদ্দিন বলবন।

আমির খসরু গিয়াসউদ্দিন বলবনের সভাকবি ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে সঙ্গীতজ্ঞ, কবি, গায়ক, সুফি, দার্শনিক ও যোদ্ধা। প্রধানত ফার্সি ও হিন্দি ভাষায় তিনি গান ও কবিতা লিখতেন। অসাধারণ গান ও কবিতার মাধ্যমে তিনি ভক্তদের কাছ থেকে উপাধি পেয়েছিলেন ‘তুত-ই-হিন্দ’ বা ‘ভারতের তোতা পাখি হিসেবে।আমির খসরু কে ‘ভারতের তোতাপাখি’ বলা হয়।

গিয়াসউদ্দিন বলবন ‘রক্তপাত ও কঠোর নীতি’ এর প্রবর্তক। এছাড়া বিদ্যোৎসাহী ও গুণীজনের পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
5
Q

বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান-

A

ফকরুদ্দিন মোবারক শাহ।

বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান ছিলেন ফকরুদ্দিন মোবারক শাহ।

১৩৩৮ সালে মারা যান সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা বাহরাম খাঁন। তাঁর বর্মরক্ষক ছিলেন ‘ফখরা’।

প্রভুর মৃত্যুর পর তিনি সোনারগাঁওয়ের সিংহাসনে বসেন।

১৩৩৮ সালে তিনি সোনারগাঁওয়ের শাসনক্ষমতা দখল ও স্বাধীনতা ঘোষনা করেন।

ফকরুদ্দিন মোবারক শাহ নিজনামে মূদ্রা জারি করেছিলেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
6
Q

বাংলাদেশের কোন স্বাধীন সুলতান ‘জগৎ ভূষণ’ ও ‘নৃপতি তিলক’ উপাধিতে ভূষিত হন?

A

আলাউদ্দীন হুসেন শাহ।

বাংলাদেশের স্বাধীন সুলতান আলাউদ্দীন হুসেন শাহ ‘জগৎ ভূষণ’ ও ‘নৃপতি তিলক’ উপাধিতে ভূষিত হন।

তিনি ছিলেন সুলতানী আমলে হুসেন শাহী বংশের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ শাসক। তার শাসনকালকে মুসলমান শাসনের স্বর্ণযুগ বলা হয়।

তাঁর শাসনকালেই আবির্ভাব ঘটে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক শ্রীচৈতন্যে দেবের এবং মালাধর বসু ‘শ্রীমস্তগবদু’ ও ‘পুরাণ’ এবং পরমেশ্বর ‘মহাভারত’ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন। তিনি নির্মাণ করেন গৌড়ের ছোট সোনা মসজিদ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
7
Q

বাংলাদেশের নাম ‘বুলগাকপুর’ দিয়েছিলেন কে?

A

জিয়াউদ্দিন বারানী।

বাংলাদেশের নাম ‘বুলগাকপুর’ দিয়েছিলেন জিয়াউদ্দিন বারানী।

জিয়াউদ্দিন বারানি (১২৮৫-১৩৫৭) ছিলেন সুলতান মোহাম্মদ বিন তুঘলক ও ফিরোজ শাহ তুঘলকের সময় দিল্লি সালতানাতের একজন মুসলিম ইতিহাসবিদ ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদ। তার রচিত তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইর জন্য তিনি অধিক পরিচিত।এ যুগের শাসনকর্তাদের পুরোপুরি স্বাধীন বলা যাবে না। শাসকদের সকলেই দিল্লির সুলতানদের অধীনে বাংলার শাসনকর্তা হয়ে এসেছিলেন।

পরবর্তীকালে অনেক শাসনকর্তাই দিল্লির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে স্বাধীন হতে চেয়েছেন। তবে তাঁদের বিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি। দিল্লির আক্রমণের মুখে তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। মুসলিম শাসনের এ যুগ ছিল বিদ্রোহ-বিশৃঙ্খলায় পূর্ণ। তাই ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বারানী বাংলাদেশের নাম দিয়েছিলেন ‘বুলগাকপুর’। এর অর্থ ‘বিদ্রোহের নগরী’।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
8
Q

তরাইনের যুদ্ধ (১১৯১ সাল) পরিচালনা করেন কে?

A

শিহাব উদ্দিন মোহাম্মদ ঘুরি।

শিহাব উদ্দিন মোহাম্মদ ঘুরি ১১৯১ সালে প্রথম তরাইনের যুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং পরাজিত হন।

পরবর্তীতে ১১৯২ সালে দ্বিতীয় তরাইনের যুদ্ধে পৃথ্বীরাজকে পরাজিত করেন এবং উপমহাদেশে অর্থাৎ ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের সূচনা ঘটে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
9
Q

বাংলার কোন সুলতান ‘খলিফাতুল্লাহ’ উপাধি গ্রহণ করেন?

A

জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ।

বাংলার সুলতান জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ ‘খলিফাতুল্লাহ’ উপাধি গ্রহণ করেছিলেন।

মহারাজ গণেশ ছিলেন বাংলার একজন হিন্দু শাসক। তিনি বাংলার ইলিয়াস শাহি রাজবংশকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় এসে সমগ্র বাঙ্গালা জুড়ে স্বাধীন হিন্দু সাম্রাজ্য স্থাপন করেন। তাঁর পুত্র সুলতান যদুনারায়ণ বা জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ।

জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ এর পৃষ্ঠপোষকতায় কৃত্তিবাস রামায়ন রচনা করেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
10
Q

দানশীলতার জন্য লাখবক্স হিসেবে পরিচিত ছিলেন কোন সম্রাট?

A

কুতুব উদ্দিন আইবেক।

দানশীলতার জন্য লাখবক্স হিসেবে পরিচিত ছিলেন কুতুব উদ্দিন আইবেক।

তিনি দিল্লিতে স্থায়ী মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তন করেন।

তিনি সমগ্র হিন্দুস্তানের প্রথম সম্রাট।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
11
Q

ফকির বাদশাহ নামে পরিচিত ছিলেন কোন সম্রাট?

A

সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদ।

সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদের শাসনকাল: ১২৪৬–১২৬৬।

তিনি সুলতান ইলতুতমিশের পুত্র ছিলেন।

সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদ ফকির বাদশাহ নামে পরিচিত ছিলেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
12
Q

বাঙ্গালাহ নামের প্রচলন করেন?

A

শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।

বাঙ্গালাহ নামের প্রচলন করেন শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।

তিনি ছিলেন সমগ্র বাংলার অধিপতি হওয়া প্রথম মুসলিম। তাঁর উপাধি ছিল ‘শাহ্-ই-বাঙ্গালা’ ও ‘শাহ-ই-বাঙালিয়ান’। তার সময় হতেই বাংলার অধিবাসীগণ পরিচিতি পায় বাঙালি নামে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
13
Q

মুসলমান শাসকদের মধ্যে প্রথম মূদ্রা প্রচলক কে?

A

শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ।

মুসলমান শাসকদের মধ্যে প্রথম মূদ্রা প্রচলক ছিলেন শামসুদ্দিন ইলতুতমিশ।

তিনি দিল্লির মামলুক সালতানাতের একজন সুলতান ছিলেন। তিনি ১১৮০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা বলা হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
14
Q

বাংলার প্রাচীনতম বন্দরের নাম কী?

A

তাম্রলিপ্ত।

তাম্রলিপ্ত প্রাচীন বাংলার একটি প্রধান বন্দর নগরী। বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলায় অবস্থিত নগরী।

তাম্রলিপ্ত ছিল কলিঙ্গ রাজ্যের প্রধানতম বন্দর। ঐতিহাসিকদের মতে সম্রাট অশোক তাম্রলিপ্ত বন্দর দখল করার জন্যই কালিঙ্গের সাথে যুদ্ধ করেন। এটি দখল করার পর মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রধান নৌ বন্দরে পরিণত হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
15
Q

বাংলায় মারাঠাদের ধারণা পাওয়া যায় কোন আমলে?

A

মুঘল আমল।

বাংলায় মারাঠাদের ধারণা পাওয়া যায় মুঘল আমলে।

মারাঠা বা মারাঠি একটি ভারতীয় জাতিগোষ্ঠী, যাদের মহারাষ্ট্র রাজ্যে প্রধানত দেখা যায়। এ ছাড়া মধ্য প্রদেশ, গুজরাট, কর্ণাটক ও গোয়া অঞ্চলে এরা বসতি গড়ে তোলে। মারাঠাদের ভাষাকে বলা হয় মারাঠি।

বাংলা থেকে মারাঠি দস্যুদের দমন করেন নবাব আলীবর্দী খান।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
16
Q

বর্গি’ নামে পরিচিত ছিল কারা?

A

মারাঠি দস্যু।

‘বর্গি’ নামে পরিচিত ছিল মারাঠি দস্যুরা।

দক্ষিণ ভারতের মারাঠারা বাংলায় ‘বর্গি’ নামে পরিচিত ছিলো।

মারাঠা সৈন্যবাহিনীর সর্বনিম্ন পদধারী সৈনিকরা ‘বর্গি’ নামে পরিচিত ছিলো। এই বরগি থেকেই বর্গি নামের উদ্ভব।

১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে গিরিয়ার যুদ্ধে আলীবর্দী সরফরাজকে পরাজিত করে মুঘলদের অনুমোদন ছাড়াই বাংলার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

তার সময়ে বর্গি নামে পরিচিত মারাঠি দস্যুরা বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে আক্রমণ করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।

আলিবর্দি খান ১৭৪২ থেকে ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ১০ বছর এদের প্রতিরোধ করে দেশছাড়া করতে সক্ষম হন।

17
Q

সোমপুর বিহারে’র প্রতিষ্ঠাতা কে?

A

ধর্মপাল।

‘সোমপুর বিহারে’র প্রতিষ্ঠাতা ধর্মপাল।

সোমপুর মহাবিহার প্রাচীন বাংলার একটি বৌদ্ধ বিহার।

পাহাড়পুর এর খননকৃত বিহার কমপ্লেক্সের সঙ্গে সোমপুর মহাবিহারকে অভিন্ন মনে করা হয়।

পাল বংশের দ্বিতীয় রাজা ধর্মপাল (আনু. ৭৮১-৮২১ খ্রি) এ বিহার স্থাপন করেন।

ধ্বংসাবশেষ হতে কিছু মাটির সিল পাওয়া গেছে, যেখানে উৎকীর্ণ রয়েছে ‘শ্রী-সোমপুরে-শ্রী-ধর্মপালদেব-মহাবিহারিয়ার্য-ভিক্ষু-সংঘস্য’।

18
Q

নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ এর সময়কালীন স্থাপত্যকীর্তি কোনটি?

A

ক) ষাটগম্বুজ মসজিদ

খ) ঢাকার বখত বিনত মসজিদ
গ) ভাগলপুরে খুরশীদ খানের মসজিদ
ঘ) সবগুলো
Correct answer
ঘ) সবগুলো

সবগুলো।

নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শিল্প ও স্থাপত্যের একজন বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, তাঁর রাজত্বকালে বহু মসজিদ, খানকাহ, সেতু ও সমাধিসৌধ নির্মিত হয়।

তাঁর রাজত্বকালে নির্মিত মসজিদগুলির মধ্যে বাগেরহাটের খান জাহানের ষাটগম্বুজ মসজিদ, মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গীপুরে সরফরাজ খানের নির্মিত দুটি মসজিদ, গৌড়ের নিকটবর্তী এলাকায় জনৈক হিলালী কর্তৃক নির্মিত মসজিদ, ঢাকার বখত বিনত মসজিদ এবং ভাগলপুরে খুরশীদ খানের মসজিদ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

19
Q

গৌড়ের সোনা মসজিদ নির্মিত হয় কার আমলে?

A

হোসেন শাহ।

গৌড়ের সোনা মসজিদ নির্মিত হয় আমলে হোসেন শাহের আমলে।

হোসেন শাহ বাংলার হোসেনশাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা।

তিনি হাবশী সুলতান শামসুদ্দীন মুজাফফর শাহের উজির ছিলেন। তিনি সুলতানকে হত্যা করে সিংহাসন অধিকার করেন।

১৪৯৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি নেতৃস্থানীয় আমীরদের দ্বারা সুলতান নির্বাচিত হন এবং আলাউদ্দিন হুসেন শাহ নাম ধারন করেন।

তিনিই হুসেন শাহী যুগের শ্রেষ্ঠ সুলতান ছিলেন।

গৌড়ের ছোট সোনা মসজিদ তার আমলে নির্মিত হয়।

20
Q

শ্রীকর নন্দী কোন সুলতানের আদেশে মহাভারত অনুবাদ করেন?

A

নুসরত শাহ।

শ্রীকর নন্দী নুসরত শাহের আদেশে মহাভারত অনুবাদ করেন।

নাসিরউদ্দিন নুসরত শাহ (শাসনকাল ১৫১৯-১৫৩২খ্রি.) ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র। তাঁর সময়ে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।

গৌড়ের বারদুয়ারি বা বড় সোনা মসজিদ তাঁর আমলের কীর্তি।

তিনি বাগেরহাটের মিঠাপুকুর এর নির্মাতা।

তাঁর আদেশে কবীন্দ্র পরমেশ্বর মহাভারতের কিয়দংশ বাংলায় অনুবাদ করেন।

শ্রীকর নন্দী মহাভারতের অশ্বমেধপর্বের বঙ্গানুবাদ করেন।

জ্ঞান ও শিক্ষা প্রসারের জন্য নুসরত শাহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লাইব্রেরি স্থাপন করেন।

21
Q

প্রখ্যাত সুফিসাধক খান জাহান আলী এর উপাধি কী ছিলো?

A

উলুগ খান।

প্রখ্যাত সুফিসাধক খান জাহান আলী এর উপাধি ছিলো উলুগ খান।

খান জাহান ছিলেন একজন প্রখ্যাত সুফিসাধক এবং বৃহত্তর যশোর ও খুলনা জেলার অংশবিশেষ নিয়ে গঠিত এলাকার আঞ্চলিক শাসক।

তিনি খান জাহান আলী নামে সমধিক পরিচিত।

তাঁর উপাধি ছিল ‘উলুগ খান’ ও ‘খান-ই-আযম’।

তিনি পনেরো শতকের প্রথমার্ধে খলিফাতাবাদে (বাগেরহাটে) শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

22
Q

সিলেট অঞ্চলে প্রচলিত লোকসঙ্গীত কোনটি?

A

ধামাইল গান।

সিলেট অঞ্চলে লোকসঙ্গীত সমূহের মধ্যে ধামাইল গান অন্যতম। ধামাইল (ধামালী) মূলত নারীদের আচারকেন্দ্রিক নাচ-গান। সিলেট ও ময়মনসিংহ জেলায় হিন্দু মেয়েরা ব্রত, পালা-পার্বণ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এবং জন্ম, বিবাহ প্রভৃতি সামাজিক উৎসবে ঘটা করে ধামাইল নাচ-গান করে থাকে।

সুরের দিক থেকে ভাটিয়ালি ঠাটের অন্তর্গত হলেও ধামাইল গানে দীর্ঘ টান বা মীড়ের দোলা নেই। করতালি দ্বারা গানের তাল রক্ষা করা হয়, স্বতন্ত্র বাদ্যযন্ত্রের প্রয়োজন হয় না।

23
Q

ভােজ বিহার’ অবস্থিত-

A

কুমিল্লা।

ভোজবিহার কুমিল্লার কাছে ময়নামতীর শালবন বিহার ও আনন্দ বিহারের পর তৃতীয় বৃহদায়তন ভিক্ষু নিবাস ও স্থাপনা।

ময়নামতি নির্মাণ করেন রাজা দেবপাল।

24
Q

কোন আমলে সােনারগাঁও বাংলাদেশের রাজধানী ছিল?

A

সুলতানী আমলে।

সুলতানী আমলে সােনারগাঁও বাংলাদেশের রাজধানী ছিল।

সুলতানী আমলের সূচনা করেন: ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ্।

বাহরাম খানের বর্মরক্ষক ছিলেন ‘ফখরা’ নামের একজন রাজকর্মচারী। প্রভুর মৃত্যুর পর তিনি ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ নাম নিয়ে সোনারগাঁওয়ের সিংহাসনে বসেন।

25
Q

বাংলার স্বাধীনতার সূচনা করেন?

A

ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ।

ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান।

বাহরাম খানের বর্মরক্ষক ছিলেন ‘ফখরা’ নামের একজন রাজকর্মচারী। প্রভুর মৃত্যুর পর তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ নাম নিয়ে সোনারগাঁওয়ের সিংহাসনে বসেন। তিনি সুলতানী আমলের সূচনা করেন।

তবে প্রথম প্রকৃত স্বাধীন সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।

26
Q

বখতিয়ার খলজি বাংলা জয় করেন কোন সালে?

A

১২০৪।

বখতিয়ার খলজি বাংলা জয় করেন ১২০৪ সালে।

বাংলায় প্রথম মুসলিম শাসক ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ-বিন-বখতিয়ার খলজি। তিনি সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষণ সেনকে বিতাড়িত করে বাংলা দখল করেন ১২০৪ সালে। তিনি বাংলার রাজধানী স্থাপন করেন লক্ষণাবতী (গৌড়), তখন লক্ষণাবতী লখনৌতি নামে পরিচিত ছিল।

27
Q

বাংলায় মুসলিম আধিপত্য বিস্তারের সূচনা কে করেন?

A

ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ।

বাংলায় মুসলিম আধিপত্য বিস্তারের সূচনা করেন ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ।

বাংলায় প্রথম মুসলিম শাসক ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ-বিন-বখতিয়ার খলজি (১২০৪)। তিনি সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষণ সেনকে বিতাড়িত করে বাংলা দখল করেন ১২০৪ সালে। তিনি বাংলার রাজধানী স্থাপন করেন লক্ষণাবতী (গৌড়), তখন লক্ষণাবতী লখনৌতি নামে পরিচিত ছিল

28
Q

বাংলার প্রথম প্রকৃত স্বাধীন সুলতান ছিলেন-

A

শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।

বাংলার প্রথম প্রকৃত স্বাধীন সুলতান ছিলেন- শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।

সুলতানী আমলের সূচনা করেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ। তিনি ছিলেন বাহরাম খানের বর্মরক্ষক।

তবে প্রথম প্রকৃত স্বাধীন সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ (১৩৫২)। তার সময় হতেই বাংলার অধিবাসীগণ পরিচিতি পায় বাঙালি নামে। তিনি সমগ্র বাংলার অধিপতি হওয়া প্রথম মুসলিম।

29
Q

ঢাকার বিখ্যাত তারা মসজিদ কে নির্মাণ করেন?

A

মির্জা গোলাম পীর।

ঢাকার বিখ্যাত তারা মসজিদ কে নির্মাণ করেন মির্জা গোলাম পীর।

তারা মসজিদ পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত।

30
Q

লালবাগ কেল্লার আদি নাম-

A

আওরঙ্গবাদ দূর্গ।

লালবাগ কেল্লার আদি নাম আওরঙ্গবাদ দূর্গ।

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আজম শাহ ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে শায়েস্তা খান নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন। লালবাগ কেল্লার পূর্বনাম ছিল আওরঙ্গবাদ দূর্গ।

31
Q

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মধ্যযুগীয় মসজিদ কোনটি?

A

ষাট গম্বুজ মসজিদ।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মধ্যযুগীয় মসজিদ ষাট গম্বুজ মসজিদ।

এটি মির্মাণ করেন নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ। তিনি এছাড়াও নির্মাণ করেন সোনা মসজিদ, বিবি বেগনি মসজিদ এবং খাঞ্জালি ও ঘোড়া দীঘি।

32
Q

কোন শাসকের সময় থেকে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল পরিচিত হয়ে ওঠে বাঙ্গালাহ নামে?

A

শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ

তিনি ছিলেন সমগ্র বাংলার অধিপতি হওয়া প্রথম মুসলিম। তাঁর উপাধি ছিল ‘শাহ্-ই-বাঙ্গালা’ ও ‘শাহ-ই-বাঙালিয়ান’। তার সময় হতেই বাংলার অধিবাসীগণ পরিচিতি পায় বাঙালি নামে।

33
Q

বিখ্যাত সাধক শাহ সুলতান বলখি মাহিসাওয়ারের মাজার অবস্থিত-

A

মহাস্থানগড়।

বিখ্যাত সাধক শাহ সুলতান বলখি মাহিসাওয়ারের মাজার মহাস্থানগড়ে অবস্থিত।

এর পূর্বনাম পুন্ড্রনগর। এখানে পুরাকীর্তি আছে মৌর্য ও গুপ্ত রাজবংশের। এছাড়াও পাথরের চাকতিতে খোদাই করা লিপি পাওয়া গেছে সম্রাট অশোকের সময়ে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে।

এখানের বিখ্যাত পুরাকীর্তি: ভাসু বিহার, বৈরাগীর ভিটা, গোবিন্দ ভিটা ও খোদার পাথর ভিটা।

34
Q

বাংলার কোন সুলতানের শাসনামলকে স্বর্ণযুগ বলা হয়?

A

আলাউদ্দীন হুসেন শাহ।

বাংলার সুলতান আলাউদ্দীন হুসেন শাহের শাসনামলকে স্বর্ণযুগ বলা হয়।

তিনি ছিলেন সুলতানী আমলে হুসেন শাহী বংশের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ শাসক।

তাঁর শাসনকালেই আবির্ভাব ঘটে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক শ্রীচৈতন্যে দেবের এবং মালাধর বসু ‘শ্রীমস্তগবদু’ ও ‘পুরাণ’ এবং পরমেশ্বর ‘মহাভারত’ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন।

35
Q

ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন হয়-

A

মুঘল আমল।

ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন হয়- মুঘল আমলে।

১৬০৮ সালে মুঘল সম্রাট ‘সম্রাট জাহাঙ্গীর’ ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন করেন।

১৬১০ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সুবাদার ইসলাম খান ‘রাজমহল’ থেকে বাংলার রাজধানী ‘ঢাকায়’ স্থাপন করেন। সম্রাটের নামে ঢাকার নাম রাখেন ‘জাহাঙ্গীরনগর’।

36
Q

আলাউদ্দিন হােসেন শাহ্ কখন বৃহত্তর বাংলা শাসন করেন?

A

১৪৯৩-১৫১৯।

আলাউদ্দিন হােসেন শাহ্ ১৪৯৩-১৫১৯ পর্যন্ত বৃহত্তর বাংলা শাসন করেন।

আলাউদ্দীন হুসেন শাহ ছিলেন সুলতানী আমলে হুসেন শাহী বংশের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ শাসক। তার শাসনকালকে মুসলমান শাসনের স্বর্ণযুগ বলা হয়।

তাঁর শাসনকালেই আবির্ভাব ঘটে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক শ্রীচৈতন্যে দেবের এবং মালাধর বসু ‘শ্রীমস্তগবদু’ ও ‘পুরাণ’ এবং পরমেশ্বর ‘মহাভারত’ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন।

37
Q

প্রতাপ আদিত্য কে ছিলেন?

A

বাঙ্গলার বারাে ভূঁইয়াদের একজন।

প্রতাপ আদিত্য ছিলেন বাঙ্গলার বারাে ভূঁইয়াদের একজন।

১৫৭৬ সালে সম্রাট আকবর পশ্চিম বাংলা ও উত্তর বাংলার অধিকাংশই দখল করে নেন। কিন্তু দক্ষিণ ও পূর্ব বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশ) দখল করতে পারেননি। কারণ সেসময় এ অঞ্চলে অনেক আফগান জমিদার, হিন্দু সামন্ত প্রধান, স্থানীয় জমিদার এবং ভূঁইয়ারা স্বাধীনভাবে শাসন করছিল।

এসব জমিদারদের নিজস্ব নৌবহর ও সৈন্যদল ছিল। তারা সম্মিলিতভাবে মুঘল আধিপত্যের বিরুদ্ধে ম্রাট আকবরের খ্যাতনামা সমরনায়কদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হতেন।

এই স্থানীয় শাসকবর্গ মুঘল কেন্দ্রীয় শক্তির অস্তিত্ব অস্বীকার করে ম্রাট আকবরের বাংলা জয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিরােধ গড়ে তুলেছিল। ইতিহাসে এই ভূঁইয়ারাই বারাে ভূঁইয়া নামে পরিচিত।

সংস্কৃত ভৌমিক শব্দ হতে ভূইয়া শব্দের উৎপত্তি। যার অর্থ জমির মালিক বা জমিদার।বারাে ভূঁইয়াদের নেতা ছিলেন ঈশা খান এবং মূসা খান।

38
Q

মধ্যযুগে উলুখ খান নির্মিত বাংলার বিখ্যাত স্থাপত্যকর্মটির নাম কী?

A

ষাটগম্বুজ মসজিদ।

ষাটগম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের প্রাচীন মসজিদগুলির মধ্যে বৃহত্তম এবং সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম চিত্তাকর্ষক নিদর্শন। খান আল-আজম উলুগ খান জাহান, যিনি দক্ষিণ বাংলার এক বৃহৎ অংশ জয় করে তৎকালীন সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহের (১৪৩৫-৫৯) সম্মানে বিজিত অঞ্চলের নামকরণ করেন খলিফাতাবাদ। তিনিই ষাটগম্বুজ মসজিদের নির্মাতা।

39
Q

বাংলার মুসলিম শাসনামলে ‘আবওয়াব’ শব্দটি কোন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতাে?

A

খাজনা।

আবওয়াব আবওয়াব আরবি ও ফারসি ‘বাব’ শব্দের বহুবচন। এর আভিধানিক অর্থ দরজা, বিভাগ, অধ্যায়, সম্মানী, নির্ধারিত করের অতিরিক্ত দেয় কর ইত্যাদি। মুগল শাসনামলে ভারতে নিয়মিত করের অতিরিক্ত সরকার কর্তৃক আরোপিত সকল সাময়িক ও আবস্থিককর এবং অন্যান্য ধার্যকৃত অর্থকে বলা হতো আবওয়াব।