ভাষা আন্দোলন-৩ Flashcards
দেশের বাইরে কোথায় বাংলাকে সরকারি ভাষা করার দাবিতে আন্দোলন হয়?
আসাম।
১৯৬১-র ১৯শে মে ভারতের আসামের বরাক উপত্যকায় তৎকালীন অবিভক্ত কাছাড় জেলার শিলচরে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য ১১ জন বাঙালীর আত্মাহুতি দেন।
বাঙলা’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন-
শহীদুল আলম খোকন।
✔ভাষা আন্দোলনভিত্তিক চলচ্চিত্র: জীবন থেকে নেয়া-১৯৭০ (পরিচালক: জহির রায়হান), Let there be light (প্রামাণ্য চিত্র - ১৯৭০) [পরিচালক: জহির রায়হান],
বাঙলা (পরিচালক: শহীদুল আলম খোকন), ফাগুন হাওয়ায় (পরিচালক: তৌকির আহমেদ), হৃদূয়ে একুশ-প্রামাণয় চিত্র (পরিচালক: রফিক উদ্দিন আহমেদ)।
কোনটি ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র নয়?
জীবন থেকে নেয়া।
ভাষা আন্দোলনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রগুলোর মধ্যে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত রফিক উদ্দিন আহমেদ পরিচালিত হৃদয়ে একুশ, শবনম ফেরদৌসী নির্মিত ভাষা জয়িতা, রোকেয়া প্রাচীর বায়ান্ন’র মিছিল, জহির রায়হানের Let there be light প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
ভাষা আন্দোলন শুরু হয়-
১৯৪৭।
ভাষা আন্দোলন শুরু হয়-১৯৪৭ সালে। ✔ আন্দোলনের সূচনা: ১৭ মে, ১৯৪৭; হায়দারাবাদে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে মুসলিম লীগের নেতা চৌধুরী খালেকুজ্জামান বলেন, “উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা”।
জুলাই, ১৯৪৭; আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ উর্দুর পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ “আমাদের ভাষা সমস্যা” শিরোনামে এক প্রবন্ধে তাঁর জবাব দেন। এক ভাষণে তিনি আরও বলেন, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালী”।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭-ঢাবির তরুণ শিক্ষক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ৩ সদস্যবিশিষ্ট “তমদ্দুন মজলিস” প্রতিষ্ঠা করেন।
ডিসেম্বর, ১৯৪৭-করাচিতে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৭-“রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ” থেকে ঢাবির ছাত্ররা সর্বপ্রথম বাংলাকে প্রথম পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার দাবি করে।
একুশে ফেব্রুয়ারিকে কত সালে শহিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়?
১৯৫৩।
একুশে ফেব্রুয়ারিকে ১৯৫৩ সালে শহিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে।
১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশনে বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালে বিশ্বব্যাপী ১৮৮ টি দেশ সর্বপ্রথম দিনটি পালন করে। ২০০২-ইউনেস্কোর সেই ঘোষণাকে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।
৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে আবার এই সময় এসে জাতিসংঘ নিজে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ৬৩তম সম্মেলনে।
২০১০ সালে সাধারণ পরিষদের ৬৫তম সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটা প্রস্তাব উত্থাপন করে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের।
জাতীয় সংসদে বাংলা ভাষাকে জীবনের সর্বস্তরে ব্যবহারের জন্য আইন পাস হয় কবে?
১৯৮৭।
✔ ২১ ফেব্রু: ১৯৫৩; প্রথমবারের মত দেশব্যাপী শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ✔ ১২ মার্চ, ১৯৭৫; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কাজে বাংলা ব্যবহার করার নির্দেশ জারি করেন। ✔ জাতীয় সংসদে বাংলা ভাষাকে জীবনের সর্বস্তরে ব্যবহারের জন্য আইন পাস হয় ১৯৮৭ সালে।
একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ইউনেস্কোর ঘোষণাটি জাতিসংঘে স্বীকৃতি পায় কত সালে?
২০০২।
১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশনে বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালে বিশ্বব্যাপী ১৮৮ টি দেশ সর্বপ্রথম দিনটি পালন করে। ২০০২-ইউনেস্কোর সেই ঘোষণাকে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।
৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে আবার এই সময় এসে জাতিসংঘ নিজে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ৬৩তম সম্মেলনে।
২০১০ সালে সাধারণ পরিষদের ৬৫তম সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটা প্রস্তাব উত্থাপন করে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের।
জাতিসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়-
৬৩তম সম্মেলনে।
৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে জাতিসংঘ বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ৬৩তম সম্মেলনে।
১৯৫২ সালে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
নুরুল আমিন।
☛ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী- খাজা নাজিমউদ্দিন। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী- নুরুল আমিন। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল- গোলাম মুহাম্মদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য- সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।
ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠান তমদ্দুন মজলিস কার নেতৃত্বে গঠিত হয়?
আবুল কাসেম।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘তমদ্দুন মজলিস’ প্রতিষ্ঠা করেন আবুল কাশেম। তমদ্দুন মজলিশের পরিচয়: ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম।
ভাষার উপরে অধ্যাপক আবুল কাশেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ ৩ টি প্রবন্ধ লিখেন। এগুলো একত্রে ‘‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়।
১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর তমদ্দুন মজলিসের মুখপাত্র হিসেবে সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ভাষা আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্যে তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল হক ভূঞা কে আহবায়ক মনোনীত করে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
‘‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু” পুস্তিকাটি প্রকাশ করে কোন প্রতিষ্ঠান?
তমদ্দুন মজলিস।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘তমদ্দুন মজলিস’ প্রতিষ্ঠা করেন আবুল কাশেম। তমদ্দুন মজলিসের পরিচয়: ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম।
ভাষার উপরে অধ্যাপক আবুল কাশেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ ৩ টি প্রবন্ধ লিখেন। এগুলো একত্রে ‘‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়।
১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর তমদ্দুন মজলিসের মুখপাত্র হিসেবে সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ভাষা আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্যে তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল হক ভূঞা কে আহবায়ক মনোনীত করে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
১ম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় কবে?
: ১ অক্টোবর, ১৯৪৭।
✔ ১ম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১ অক্টোবর, ১৯৪৭ সালে।
এর আহবায়ক ছিলেন এএসএম নুরুল হক ভূঁইয়া। ✔ ২য় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ২ মার্চ, ১৯্৪৮ সালে। এর আহবায়ক ছিলেন শামসুল হক। ✔ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১১ মার্চ, ১৯৫০
ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র/ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম পত্রিকা এর সম্পাদক ছিলেন?
শাহেদ আলী।
ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র/ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক সৈনিক, (১৯৪৮)। সম্পাদক ছিলেন শাহেদ আলী। সহ সম্পাদক ছিলেন আব্দুল গফুর।
পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে সরকারি কাজে ব্যবহারের প্রস্তাব করেন কে?
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮ সালে কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও সরকারি কাজে ব্যবহারের প্রস্তাব করেন। বাংলার পক্ষে ভোট পড়ে ১৫ টি, বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫১ টি। এর বিরোধিতা করেন মুসলিম লীগ। তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিয়াকত আলি।
১১ মার্চকে (১৯৪৮) ‘বাংলা ভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন কে?
আবুল কাসেম।
১১ মার্চকে ‘বাংলা ভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন আবুল কাসেম। ‘১১ মার্চ ১৯৪৮’ বাংলা ভাষা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওইদিন শেখ মুজিব সহ ৬৯ জন গ্রেফতার হন।
১৯৪৮ সালে ৮ দফা চুক্তির সময় ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ এর পক্ষে কে ছিলেন?
কামরুদ্দিন আহমেদ।
✔ ‘৮ দফা’ (১৫ মার্চ, ১৯৪৮)-চুক্তিস্থল: বর্ধমান হাউস। সরকারের পক্ষে ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন। সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে ছিলেন কামরুদ্দিন আহমেদ।
ভাষা আন্দোলনের সময় ‘পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি’ এর সভাপতি কে ছিলেন?
মাওলানা আকরাম খাঁ।
ভাষা আন্দোলনের সময় ‘পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি’ এর সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ। এটি ১৯৪৯ সালের ৯ মার্চ গঠন করা হয়। এটার উদ্দেশ্য ছিল আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচলন করা।
পূর্ব পাকিস্তানে সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন কে?
: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
‘পূর্ব পাকিস্তানে সাহিত্য সম্মেলন’-১৯৪৮ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সভাপতি ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন পূর্ব বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাবিবুল্লাহ বাহার।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উদ্দেশ্য-
ভাষার অধিকার।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উদ্দেশ্য হলো ভাষার অধিকার । ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ও এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ এর আহবায়ক ছিলেন কে?
আবদুল মতিন।
✔ ১ম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১ অক্টোবর, ১৯৪৭ সালে।
এর আহবায়ক ছিলেন এএসএম নুরুল হক ভূঁইয়া। ✔ ২য় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ২ মার্চ, ১৯্৪৮ সালে। এর আহবায়ক ছিলেন শামসুল হক। ✔ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১১ মার্চ, ১৯৫০ সালে। এর আহবায়ক ছিলেন আবদুল মতিন।
শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন কারাগারে আমরণ অনশন শুরু করেন কবে?
১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২।
✔ ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু: ১১ মার্চ, ১৯৪৮; ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ শ্লোগানসহ মিছিল ও পিকেটিং করা অবস্থায় সচিবালয়ের সামনে থেকে শেখ মুজিব, শামসুল হক, অলি আহাদসহ ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভাষা আন্দোলনের প্রথম কারাবন্দিদের একজন। ১৫ মার্চ, ১৯৪৮; বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান।
১৬ মার্চ, ১৯৪৮; বঙ্গবন্ধুর সভাপতিত্বে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২; শেখ মুজিবুর রহমান ও মহিউদ্দিন কারাগারে আমরণ অনশন শুরু করেন। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২; বন্দি অবস্থায় মেডিকেল থেকে নেতাকর্মীদের ‘ভাষা দিবস’ পালন ও সংগ্রাম পরিষদ গঠনের কথা বলেন।
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন অংকুরিত হয় ১৯৪৭ সালে, মহীরুহে পরিণত হয়-
১৯৫২।
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন অংকুরিত হয় ১৯৪৭ সালে, মহীরুহে পরিণত হয় ১৯৫২ সালে।
ভাষা শহিদ আবদুস সালাম মারা যান কবে?
৭ এপ্রিল, ১৯৫২।
‘আবদুস সালাম’ গুলিবিদ্ধ হন ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭ এপ্রিল, ১৯৫২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ভাষা আন্দোলনের সর্বশেষ ভাষা শহিদ।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম শহিদ-
রফিক উদ্দিন আহমদ।
✔️ ‘ভাষা শহিদ রফিক উদ্দীন আহমদ’ শহিদ হয়েছেন: ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ (প্রথম শহিদ)। জন্ম: ৩০ অক্টোবর ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার পারিল গ্রামে। পরিচয়: মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজের কমার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
✔️ ‘আবুল বরকত (ডাক নাম আবাই)’: শহিদ হয়েছেন: ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ. জন্ম: তিনি ১৩ জুন (মতান্তরে ১৬ জুন) ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার বাবলা গ্রামে। পরিচয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এমএ ক্লাসের ছাত্র।
✔️ ‘আবদুল জব্বার’: শহিদ হয়েছেন ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ। জন্ম: ১৩ অগস্ট ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাঁচুয়া গ্রামে। পরিচয়: সাধারণ গ্রামীণ কর্মজীবী মানুষ ছিলেন।
✔️ ‘শফিউর রহমান’: শহিদ হয়েছেন ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দ।
জন্ম: ২৪ জানুয়ারি ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কোন্নগরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পরিচয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ক্লাসের প্রাইভেট ছাত্র ও ঢাকা হাইকোর্টের হিসাবরক্ষণ শাখার কেরানী। বংশাল রোডের মাথায় শহিদ হন।
*** এছাড়া আব্দুল আউয়াল (রিক্সাচলক), অহিউল্লাহ (শিশু শ্রমিক), অজ্ঞাত বালক আব্দুর রহিম/আখতারুজ্জামান ভাষা আন্দোলনে শহিদ হন।
শফিউরকে কত সালে মরণোত্তর একুশে পদক দেয়া হ?
২০০০।
রফিক, বরকত, জব্বার, সালাম এবং শফিউরকে ২০০০ সালে মরণোত্তর একুশে পদক দেয়া হয়।
ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলায় কত তারিখে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়?
২৯ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮।
বাংলা একাডেমির মূল মিলনায়তনটি কার নামে?
আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ।
বাংলা একাডেমির মূল মিলনায়তনটি আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ এর নামে। তিনি মূলত প্রাচীন বাংলা পান্ডুলিপি (পুঁথি) সংগ্রহ করেন এবং প্রায় আড়াইহাজার পুঁথি সংগ্রহ করেন। চট্টল ধর্মমন্ডলী তাঁকে ‘সাহিত্য বিশারদ’ উপাধিতে ভূষিত করে ১৯০৯ সালে।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদ আবুল বরকতের ডাকনাম কী ছিল?
আবাই।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহিদ আবুল বরকতের ডাকনাম ছিল আবাই।
কোন দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা বাংলা?
সিয়েরা লিওন।
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের ভূমিকায় মুগ্ধ হয়ে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সিয়েরা লিওন সরকার বাংলা ভাষাকে সে দেশের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
১৯৫২ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারি ছিল-
বৃহস্পতিবার।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮ তারিখ ছিল এবং দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার।
সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি কত তারিখে গঠিত হয়?
৩০ জানুয়ারি ১৯৫২।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ‘সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠিত হয় ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি। এই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন কাজী গোলাম মাহবুব এবং সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী।
আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য; তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি”- উক্তিটি করেন?
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
১৯৪৮ সালে, পাকিস্তান রাষ্ট্র যখন আদর্শের প্রশ্নে একরকম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনে সভাপতির অভিভাষণে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বললেন, ‘‘আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।’’ একই সঙ্গে যুক্ত করলেন, ‘‘এটি কোনো আদর্শের কথা নয়; এটি একটি বাস্তব সত্য।’’
** ‘‘সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি’’ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
** ‘‘বিদেশি ভাষা শিখিব মাতৃভাষায় শিক্ষিত হইবার পর, আগে নয়।’’ - আবুল মনসুর আহমেদ।
কিসের ভিত্তিতে পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলন হয়েছিল?
বাঙালি জাতীয়তাবাদ।
বাঙালি জাতীয়তাবাদ এর ভিত্তিতে পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলন হয়েছিল।
বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি হলো-
ভাষা ও সংস্কৃতি।
বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি হলো ভাষা ও সংস্কৃতি।
একুশে ফেব্রুয়ারির ঘটনায় পূর্ব বাংলা আইন পরিষদের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করা প্রথম সদস্য কোন জন?
আবুল কালাম শামসুদ্দীন।
আবুল কালাম শামসুদ্দীন ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী পদত্যাগ করেন।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’- গানটি কে রচনা করেন?
আবদুল গাফফার চৌধুরী।
ব্যাখ্যা: গানটির বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ।
প্রথমে আবদুল লতিফ সুরারোপ করেন। পরবর্তীতে আলতাফ মাহমুদের করা সুরটিই জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং এখন এটিই গানটির প্রাতিষ্ঠানিক সুর। প্রথম গাওয়া হয় ১৯৫৪ সালে।
ভাষা আন্দোলন পটভূমিতে রচিত নাটক-ভাষা আন্দোলন পটভূমিতে রচিত নাটক-
কবর।
ব্যাখ্যা: ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত হয়েছে ‘কবর’ নাটক। নাটকটি রচনার সময় মুনীর চৌধুরী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।
কারাগারেই সহ-রাজবন্দি রণেশ দাশগুপ্ত কর্তৃক অনুরুদ্ধ হয়ে তিনি রচনা করেন আলোচ্য নাটক। ১৯৫৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি রাত দশটায় ফণি চক্রবর্তীর পরিচালনায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি প্রকাশ্যে প্রথম অভিনীত হয় ১৯৫৬ সালে কার্জন হলে।
‘কবর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালের আগস্ট মাসে দৈনিক ‘সংবাদ’ পত্রিকার আজাদী সংখ্যায়। এটি প্রথম গ্রন্থভুক্ত হয় ১৯৬৬ সালে। ‘কবর’ নামের একাঙ্ক- সঙ্কলনটিতে ‘মানুষ’, নষ্টছেলে’ ও ‘কবর’- এই তিনটি একাঙ্ক নাটক গ্রথিত হয় ।
ভুলবোনা, ভুলবোনা, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবোনা’ গানটির গীতিকার-
গাজীউল হক।
‘ভুলবোনা, ভুলবোনা, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবোনা।’
একুশের প্রথম গান
গীতিকার: ভাষা সৈনিক গাজীউল হক
সুরকার: নিজামুল হক
ভাষা আন্দোলনের যত প্রথম:
প্রথম বই- প্রথম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
প্রথম নাটক- মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’
প্রথম উপন্যাস- জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’
প্রথম সংকলন- হাসান হাফিজুর রহমানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩)
প্রথম কবিতা- মাহবুব-উল-আলম চৌধুরীর কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি
ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প- শাহেদ আলীর ‘মন ও ময়দান’
একুশের প্রথম গল্প- শওকত ওসমানের ‘মৌন নয়’
প্রভাত ফেরির প্রথম গান- মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল/ভাষা বাঁচাবার তরে/ আজিকে স্মরিও তারে। রচয়িতা: প্রকৌশলী মোশারফ উদ্দিন আহমেদ। সুরকার: আলতাফ মাহমুদ।
ভুলবোনা, ভুলবোনা, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবোনা’ গানটির সুরকার-
নিজামুল হক।
ব্যাখ্যা:
‘ভুলবোনা, ভুলবোনা, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবোনা।’
একুশের প্রথম গান
গীতিকার: ভাষা সৈনিক গাজীউল হক
সুরকার: নিজামুল হক
ভাষা আন্দোলনের যত প্রথম:
প্রথম বই- প্রথম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
প্রথম নাটক- মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’
প্রথম উপন্যাস- জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’
প্রথম সংকলন- হাসান হাফিজুর রহমানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩)
প্রথম কবিতা- মাহবুব-উল-আলম চৌধুরীর কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি
ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প- শাহেদ আলীর ‘মন ও ময়দান’
একুশের প্রথম গল্প- শওকত ওসমানের ‘মৌন নয়’
প্রভাত ফেরির প্রথম গান- মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল/ভাষা বাঁচাবার তরে/ আজিকে স্মরিও তারে। রচয়িতা: প্রকৌশলী মোশারফ উদ্দিন আহমেদ। সুরকার: আলতাফ মাহমুদ।
জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে-
ভাষা আন্দোলনের কথা।
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়-
১৯৪৮।
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ - ১৯৪৭
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ - ১৯৪৮
সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ- ১৯৫২
বাংলাদেশের বাহিরে কোন মুসলিম দেশে সর্বপ্রথম শহিদ মিনার নির্মিত হয়?
ওমান।
সরকারের অর্থায়নে দেশের বাইরে প্রথম নির্মিত শহিদ মিনার - ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্ক (জাপান)।
মুসলিম বিশ্বে প্রথম শহিদ মিনার-ওমান
বিদেশে প্রথম শহিদ মিনার- ওল্ডহ্যাম, যুক্তরাজ্য
ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায় গানটির রচয়িতা
আবদুল লতিফ।
: “ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়”- গানটির গীতিকার ও সুরকার ছিলেন আবদুল লতিফ।
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ফাগুন হাওয়ায়’ এর নির্মাতা কে?
তৌকির আহমেদ।
ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘ফাগুন হাওয়ায়’ এর নির্মাতা ‘তৌকীর আহমেদ’।
জহির রায়হান ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম ছোটগল্প ‘একুশের গল্প’ রচনা করেন।
মুনীর চৌধুরী ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম নাটক ‘কবর’ রচনা করেন।
হাসান হাফিজুর রহমান ভাষা আন্দোলনের প্রথম গ্রন্থ ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ সংকলন করেন।
ভাষা আন্দোলনের ওপর প্রথম সংকলন গ্রন্থ কোনটি?
একুশে ফেব্রুয়ারি।
হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ভাষা আন্দোলনের ওপর প্রথম সংকলন গ্রন্থ ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। এটি প্রকাশিত হয় ১৯৫৩ সালে।
‘ওরা প্রাণ দিলো’ একুশের প্রথম কবিতা সংকলন।
‘আরেক ফাল্গুন’ জহির রায়হানের একুশের প্রথম উপন্যাস।
‘একুশের গল্প’ গ্রন্থটির রচয়িতা- জহির রায়হান।
একুশের প্রথম সংকলন ‘একুশের ফেব্রুয়ারি’ সম্পাদনা করেন কে?
হাসান হাফিজুর রহমান।
১৯৫৩ সালে হাসান হাফিজুর রহমানের সম্পাদনায় ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রথম সাহিত্য সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ প্রকাশিত হয়।
এই সংকলনে স্থান পেয়েছিল একুশের প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা, গান, নকশা ও ইতিহাস।
২১ ফেব্রুয়ারিকে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে -
UNESCO।
UNESCO ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে ২১ শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি দেয়।
২০০০ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী বিশ্বব্যাপী প্রথম আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়।
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ কবিতাটির রচয়িতা কে?
আলাউদ্দিন আল আজাদ।
‘স্মৃতিস্তম্ভ’ কবিতাটির রচয়িতা আলাউদ্দিন আল আজাদ।
এটি তাঁর ‘মানচিত্র’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত এই কবিতাটি।
পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ।
বাংলা ভাষা সংস্কার কমিটি আন্দোলনের মুখে প্রাদেশিক সরকার ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে বাংলা ভাষা সংস্কারের জন্য একটি ভাষা কমিটি গঠন করে।
‘পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি ‘এর সভাপতি ছিলেন মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ এবং সেক্রেটারি ছিলেন কবি গোলাম মোস্তফা।
১৯৪৭ সালে প্রথম ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ এর আহ্বায়ক ছিলেন
অধ্যাপক নুরুল হক ভূঞা।
১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তমুদ্দিন মজলিসের উদ্যোগে গঠিত প্রথম ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ এর আহ্বায়ক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল হক ভূঞা।
অন্যদিকে,
১৯৪৮ সালের ২ মার্চ ছাত্রসমাজ দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের উপস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে। এ পরিষদের আহবায়ক মনোনীত হন শামসুল আলম।