ভাষা আন্দোলন-৩ Flashcards
দেশের বাইরে কোথায় বাংলাকে সরকারি ভাষা করার দাবিতে আন্দোলন হয়?
আসাম।
১৯৬১-র ১৯শে মে ভারতের আসামের বরাক উপত্যকায় তৎকালীন অবিভক্ত কাছাড় জেলার শিলচরে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য ১১ জন বাঙালীর আত্মাহুতি দেন।
বাঙলা’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন-
শহীদুল আলম খোকন।
✔ভাষা আন্দোলনভিত্তিক চলচ্চিত্র: জীবন থেকে নেয়া-১৯৭০ (পরিচালক: জহির রায়হান), Let there be light (প্রামাণ্য চিত্র - ১৯৭০) [পরিচালক: জহির রায়হান],
বাঙলা (পরিচালক: শহীদুল আলম খোকন), ফাগুন হাওয়ায় (পরিচালক: তৌকির আহমেদ), হৃদূয়ে একুশ-প্রামাণয় চিত্র (পরিচালক: রফিক উদ্দিন আহমেদ)।
কোনটি ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র নয়?
জীবন থেকে নেয়া।
ভাষা আন্দোলনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রগুলোর মধ্যে মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত রফিক উদ্দিন আহমেদ পরিচালিত হৃদয়ে একুশ, শবনম ফেরদৌসী নির্মিত ভাষা জয়িতা, রোকেয়া প্রাচীর বায়ান্ন’র মিছিল, জহির রায়হানের Let there be light প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
ভাষা আন্দোলন শুরু হয়-
১৯৪৭।
ভাষা আন্দোলন শুরু হয়-১৯৪৭ সালে। ✔ আন্দোলনের সূচনা: ১৭ মে, ১৯৪৭; হায়দারাবাদে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে মুসলিম লীগের নেতা চৌধুরী খালেকুজ্জামান বলেন, “উর্দু হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা”।
জুলাই, ১৯৪৭; আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দিন আহমদ উর্দুর পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করেন। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ “আমাদের ভাষা সমস্যা” শিরোনামে এক প্রবন্ধে তাঁর জবাব দেন। এক ভাষণে তিনি আরও বলেন, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালী”।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭-ঢাবির তরুণ শিক্ষক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে ৩ সদস্যবিশিষ্ট “তমদ্দুন মজলিস” প্রতিষ্ঠা করেন।
ডিসেম্বর, ১৯৪৭-করাচিতে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
৬ ডিসেম্বর, ১৯৪৭-“রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ” থেকে ঢাবির ছাত্ররা সর্বপ্রথম বাংলাকে প্রথম পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার দাবি করে।
একুশে ফেব্রুয়ারিকে কত সালে শহিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়?
১৯৫৩।
একুশে ফেব্রুয়ারিকে ১৯৫৩ সালে শহিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে।
১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশনে বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালে বিশ্বব্যাপী ১৮৮ টি দেশ সর্বপ্রথম দিনটি পালন করে। ২০০২-ইউনেস্কোর সেই ঘোষণাকে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।
৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে আবার এই সময় এসে জাতিসংঘ নিজে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ৬৩তম সম্মেলনে।
২০১০ সালে সাধারণ পরিষদের ৬৫তম সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটা প্রস্তাব উত্থাপন করে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের।
জাতীয় সংসদে বাংলা ভাষাকে জীবনের সর্বস্তরে ব্যবহারের জন্য আইন পাস হয় কবে?
১৯৮৭।
✔ ২১ ফেব্রু: ১৯৫৩; প্রথমবারের মত দেশব্যাপী শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ✔ ১২ মার্চ, ১৯৭৫; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কাজে বাংলা ব্যবহার করার নির্দেশ জারি করেন। ✔ জাতীয় সংসদে বাংলা ভাষাকে জীবনের সর্বস্তরে ব্যবহারের জন্য আইন পাস হয় ১৯৮৭ সালে।
একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ইউনেস্কোর ঘোষণাটি জাতিসংঘে স্বীকৃতি পায় কত সালে?
২০০২।
১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশনে বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালে বিশ্বব্যাপী ১৮৮ টি দেশ সর্বপ্রথম দিনটি পালন করে। ২০০২-ইউনেস্কোর সেই ঘোষণাকে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।
৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে আবার এই সময় এসে জাতিসংঘ নিজে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ৬৩তম সম্মেলনে।
২০১০ সালে সাধারণ পরিষদের ৬৫তম সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটা প্রস্তাব উত্থাপন করে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের।
জাতিসংঘ ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়-
৬৩তম সম্মেলনে।
৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে জাতিসংঘ বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ৬৩তম সম্মেলনে।
১৯৫২ সালে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
নুরুল আমিন।
☛ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী- খাজা নাজিমউদ্দিন। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী- নুরুল আমিন। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল- গোলাম মুহাম্মদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য- সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।
ভাষা আন্দোলনের সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠান তমদ্দুন মজলিস কার নেতৃত্বে গঠিত হয়?
আবুল কাসেম।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘তমদ্দুন মজলিস’ প্রতিষ্ঠা করেন আবুল কাশেম। তমদ্দুন মজলিশের পরিচয়: ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম।
ভাষার উপরে অধ্যাপক আবুল কাশেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ ৩ টি প্রবন্ধ লিখেন। এগুলো একত্রে ‘‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়।
১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর তমদ্দুন মজলিসের মুখপাত্র হিসেবে সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ভাষা আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্যে তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল হক ভূঞা কে আহবায়ক মনোনীত করে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
‘‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু” পুস্তিকাটি প্রকাশ করে কোন প্রতিষ্ঠান?
তমদ্দুন মজলিস।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘তমদ্দুন মজলিস’ প্রতিষ্ঠা করেন আবুল কাশেম। তমদ্দুন মজলিসের পরিচয়: ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম।
ভাষার উপরে অধ্যাপক আবুল কাশেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ ৩ টি প্রবন্ধ লিখেন। এগুলো একত্রে ‘‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়।
১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর তমদ্দুন মজলিসের মুখপাত্র হিসেবে সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ভাষা আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্যে তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল হক ভূঞা কে আহবায়ক মনোনীত করে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
১ম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় কবে?
: ১ অক্টোবর, ১৯৪৭।
✔ ১ম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১ অক্টোবর, ১৯৪৭ সালে।
এর আহবায়ক ছিলেন এএসএম নুরুল হক ভূঁইয়া। ✔ ২য় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ২ মার্চ, ১৯্৪৮ সালে। এর আহবায়ক ছিলেন শামসুল হক। ✔ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১১ মার্চ, ১৯৫০
ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র/ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম পত্রিকা এর সম্পাদক ছিলেন?
শাহেদ আলী।
ভাষা আন্দোলনের মুখপত্র/ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক সৈনিক, (১৯৪৮)। সম্পাদক ছিলেন শাহেদ আলী। সহ সম্পাদক ছিলেন আব্দুল গফুর।
পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে সরকারি কাজে ব্যবহারের প্রস্তাব করেন কে?
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮ সালে কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ পাকিস্তানের গণপরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও সরকারি কাজে ব্যবহারের প্রস্তাব করেন। বাংলার পক্ষে ভোট পড়ে ১৫ টি, বিপক্ষে ভোট পড়ে ৫১ টি। এর বিরোধিতা করেন মুসলিম লীগ। তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন লিয়াকত আলি।
১১ মার্চকে (১৯৪৮) ‘বাংলা ভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন কে?
আবুল কাসেম।
১১ মার্চকে ‘বাংলা ভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন আবুল কাসেম। ‘১১ মার্চ ১৯৪৮’ বাংলা ভাষা দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওইদিন শেখ মুজিব সহ ৬৯ জন গ্রেফতার হন।
১৯৪৮ সালে ৮ দফা চুক্তির সময় ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ এর পক্ষে কে ছিলেন?
কামরুদ্দিন আহমেদ।
✔ ‘৮ দফা’ (১৫ মার্চ, ১৯৪৮)-চুক্তিস্থল: বর্ধমান হাউস। সরকারের পক্ষে ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দিন। সংগ্রাম পরিষদের পক্ষে ছিলেন কামরুদ্দিন আহমেদ।
ভাষা আন্দোলনের সময় ‘পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি’ এর সভাপতি কে ছিলেন?
মাওলানা আকরাম খাঁ।
ভাষা আন্দোলনের সময় ‘পূর্ব বাংলা ভাষা কমিটি’ এর সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ। এটি ১৯৪৯ সালের ৯ মার্চ গঠন করা হয়। এটার উদ্দেশ্য ছিল আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচলন করা।
পূর্ব পাকিস্তানে সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন কে?
: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
‘পূর্ব পাকিস্তানে সাহিত্য সম্মেলন’-১৯৪৮ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি ১৯৪৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সভাপতি ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন পূর্ব বাংলার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাবিবুল্লাহ বাহার।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উদ্দেশ্য-
ভাষার অধিকার।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উদ্দেশ্য হলো ভাষার অধিকার । ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয় ও এতে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ এর আহবায়ক ছিলেন কে?
আবদুল মতিন।
✔ ১ম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১ অক্টোবর, ১৯৪৭ সালে।
এর আহবায়ক ছিলেন এএসএম নুরুল হক ভূঁইয়া। ✔ ২য় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ২ মার্চ, ১৯্৪৮ সালে। এর আহবায়ক ছিলেন শামসুল হক। ✔ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয় ১১ মার্চ, ১৯৫০ সালে। এর আহবায়ক ছিলেন আবদুল মতিন।