ভাষা আন্দোলন-২ Flashcards
মোদের গরব’ ভাস্কর্যের স্থপতি কে?
অখিল পাল।
✔ ভাষা শহিদদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য: জননী ও গর্বিত বর্ণমালা (স্থপতি: মৃণাল হক, অবস্থান: পরিবাগ, ঢাকা), মোদের গরব (স্থপতি: অখিল পাল, অবস্থান: বাংলা একাডেমি চত্বর), অমর একুশে (স্থপতি: জাহানারা পারভীন, অবস্থান: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), বৈশ্বিক ভাষা বৃক্ষ (স্থপতি: আসমা জাহান, অবস্থান: এশিয়াটিক সোসাইটি)।
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন কে?
শহিদ বরকতের মা।
✔ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার (১৯৫৭):
সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহামুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে ১৯৬৩ সালে শহিদ মিনার নির্মাণের কাজ শেষ হয়।
১৯৬৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, শহিদ বরকতের মা হাসিনা বিবি শহিদ মিনারটির উদ্বোধন করেন।
হামিদুর রহমান হচ্ছেন বর্তমান শহিদ মিনারের ডিজাইনার।
দেশের সর্বোচ্চ শহিদ মিনার এর স্থপতি কে?
রবিউল হোসাইন।
দেশের সর্বোচ্চ শহিদ মিনারের উচ্চতা ৭১ ফুট। এর অবস্থান: জাহাংগীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্থপতি রবিউল হোসাইন।
প্রথম নারী ভাষা সৈনিক-
কমলা ভট্টাচার্য।
প্রথম নারী ভাষা সৈনিক-কমলা ভট্টাচার্য।
ভাষা আন্দোলনের ১ম শহিদ রফিক এবং সর্বশেষ শহিদ-আবদুস সালাম (৭ এপ্রিল)। সবচেয়ে কম বয়সী শহিদ অহিউল্লাহ(৯/১০)।
ভাষা আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে ‘মোদের গরব’ ভাস্কর্যটি কোথায়?
বাংলা একাডেমিতে।
ভাষা আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে ‘মোদের গরব’ ভাস্কর্যটি বাংলা একাডেমিতে অবস্থিত। এর স্থপতি হচ্ছেন অখিল পাল।
২১ ফেব্রুয়ারিকে কত সালে সর্বপ্রথম শহিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়?
১৯৫৩।
১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারী ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করায় সালাম, রফিক শহিদ হয়। ১৯৫৩ সালে ২১ ফেব্রুয়ারীকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৫৪ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকার করে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ১৯৫৬ সালে বাংলা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি পায়।
২১ ফেব্রুয়ারিকে সর্বপ্রথম কোন দেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে?
কানাডা।
কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে।
১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশনে বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালে বিশ্বব্যাপী ১৮৮ টি দেশ সর্বপ্রথম দিনটি পালন করে। ২০০২-ইউনেস্কোর সেই ঘোষণাকে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।
৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে আবার এই সময় এসে জাতিসংঘ নিজে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ৬৩তম সম্মেলনে।
২০১০ সালে সাধারণ পরিষদের ৬৫তম সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটা প্রস্তাব উত্থাপন করে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’’ গানটির গীতিকার কে?
আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
'’আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’’ গানটির প্রথম সুরকার আবদুল লতিফ। দ্বিতীয় দফায় গানটিতে সুরারোপ করেন আলতাফ মাহমুদ এবং বর্তমানে এই সুরেই গাওয়া হয়। গীতিকার আবদুল গাফফার চৌধুরী।
ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের গেটে একুশে ফেব্রুয়ারিতে আহত ও নিহতদের দেখে ৮ লাইনের এই কবিতাটি লিখেন।
১৯৫৩ সালে আব্দুল লতিফ কবিতাটির সুর দেন। এরপর করাচী থেকে ঢাকা ফিরে ১৯৫৪ সালে আলতাফ মাহমুদ নতুন করে সুরারোপ করেন। সেই থেকে ওটা হয়ে গেল একুশের প্রভাতফেরির গান।
বর্তমানে আলতাফ মাহমুদের সুরা করা গানটিই গাওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত একুশে সংকলনে প্রকাশিত হয় গানটি। তৎকালীন সরকার সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে। গানটি সুইডিশ ও জাপানিজসহ ১২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
[বিবিসি শ্রোতা জরিপে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ গানের তালিকার এটি তৃতীয় স্থান লাভ করেছে।]
বাংলা একাডেমির মূল ভবনের নাম কী?
বর্ধমান হাউস।
বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫ সালে। মূল উদ্যোক্তা: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এটি ভাষা আন্দোলনের ফলে গঠিত প্রথম প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠিত হয় ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ বা ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৬২ [১৯৫৪ সালে বাংলা একাডেমি গঠনের প্রস্তাব পাস করে- যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা]। এর মূল মিলনায়তনের নাম আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তন।
বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন ড. এনামুল হক। প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ। প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম এবং প্রথম নারী মহাপরিচালক ড. নীলিমা ইব্রাহিম। বর্তমান সভাপতি সেলিনা হোসেন।
বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ৬ টি। বাংলা একাডেমি পত্রিকা (গবেষণামূলক ত্রৈমাসিক), ধান শালিকের দেশ (ত্রৈমাসিক কিশোর পত্রিকা)
বার্তা (অনিয়মিত ত্রৈমাসিক), উত্তরাধিকার (সৃজনশীল মাসিক), বাংলা একাডেমি জার্নাল (ইংরেজি ভাষার ষাণ্মাসিক পত্রিকা), বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা (ষাণ্মাসিক)।
প্রমিত বাংলা উচ্চারণের নিয়ম চালু করেছে ১৯৯৪ সালে। ✔ চরিতাভিধান: প্রকাশক হচ্ছে বাংলা একাডেমি। এখানে এক হাজার বাঙালি মনীষীদের জীবনী সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে।
তমদ্দুন মজলিশের সদস্য নয়?
ড. এনামুল হক।
তমদ্দুন মজলিশের সদস্য আবুল কাশেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ।
তমদ্দুন মজলিশের পরিচয়: ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভাষার উপরে অধ্যাপক আবুল কাশেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ ৩ টি প্রবন্ধ লিখেন। এগুলো একত্রে ‘‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
খাজা নাজিমুদ্দীন।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দীন। ১৯৫১ সালে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খানের মৃত্যুর পর তিনি পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হন।
☛ ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের প্রথম সরকার: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী- লিয়াকত আলী খান। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী- খাজা নাজিমউদ্দিন। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল- মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
☛ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী- খাজা নাজিমউদ্দিন। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী- নুরুল আমিন। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল- গোলাম মুহাম্মদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য- সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের স্থপতি কে?
হামিদুর রহমান।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের স্থপতি হামিদুর রহমান।
✔ শহিদ মিনার সম্পর্কে বিশেষ তথ্য:
☛ ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ প্রথম শহিদ মিনার একুশের রাতেই রাজশাহী কলেজ চত্বরে একুশের প্রথম শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়। স্থাপিত হয়- ২১ফেব্রুয়ারি ১৯৫২।
☛ ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহিদ মিনার: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে (২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২)। ডিজাইনার ছিলেন ডা. বদরুল আলম।
উদ্বোধন করেন শহিদ শফিউরের পিতা মৌলভী মাহবুবুর রহমান, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।
☛ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার: স্থপতি-হামিদুর রহমান এবং অবস্থান-ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
☛ স্মৃতির মিনার: স্থপতি-হামিদুজ্জামান এবং অবস্থান-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
☛ দেশের বাহিরে শহিদ মিনার: ওল্ডহ্যাম, ম্যানচেস্টার, যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বিদেশে প্রথম শহিদ মিনার (১৯৯৭)। মুসলিম দেশের মধ্যে প্রথম নির্মিত শহিদ মিনার অবস্থিত ওমানে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দেশের বাইরে প্রথম শহিদ মিনার নির্মিত হয়েছে জাপানের ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে।
বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক কে ?
মুহাম্মদ নূরুল হুদা।
বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি ১২ই জুলাই ২০২১-এ দায়িত্বগ্রহণ করেন। বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন সেলিনা হোসেন।
বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন ড. এনামুল হক। প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ। প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম এবং প্রথম নারী মহাপরিচালক ড. নীলিমা ইব্রাহিম।
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে কোন সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
তমদ্দুন মজলিস।
তমদ্দুন মজলিশের সদস্য আবুল কাশেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ।
তমদ্দুন মজলিশের পরিচয়: ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম। ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভাষার উপরে অধ্যাপক আবুল কাশেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ ৩ টি প্রবন্ধ লিখেন। এগুলো একত্রে ‘‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়।
১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর তমদ্দুন মজলিসের মুখপাত্র হিসেবে সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ভাষা আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্যে তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল হক ভূঞা কে আহবায়ক মনোনীত করে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি কে?
সেলিনা হোসেন।
বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি ১২ই জুলাই ২০২১-এ দায়িত্বগ্রহণ করেন। বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন সেলিনা হোসেন।
বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন ড. এনামুল হক। প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ। প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম এবং প্রথম নারী মহাপরিচালক ড. নীলিমা ইব্রাহিম।
১৯৪৮-১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় ভাষা দিবস হিসেবে কোন দিনটি পালন করা হতো?
১১ ই মার্চ।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ঐতিহাসিক ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। নবগঠিত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ থেকে অধ্যক্ষ আবুল কাশেম “বাংলা ভাষা দাবি দিবস’’ ঘোষণা দেয়।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির পূর্ব পর্যন্ত ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই দাবিতে পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। এটাই ছিল ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তথা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এ দেশের প্রথম সফল হরতাল।