ভাষা আন্দোলন-২ Flashcards
মোদের গরব’ ভাস্কর্যের স্থপতি কে?
অখিল পাল।
✔ ভাষা শহিদদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য: জননী ও গর্বিত বর্ণমালা (স্থপতি: মৃণাল হক, অবস্থান: পরিবাগ, ঢাকা), মোদের গরব (স্থপতি: অখিল পাল, অবস্থান: বাংলা একাডেমি চত্বর), অমর একুশে (স্থপতি: জাহানারা পারভীন, অবস্থান: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), বৈশ্বিক ভাষা বৃক্ষ (স্থপতি: আসমা জাহান, অবস্থান: এশিয়াটিক সোসাইটি)।
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন কে?
শহিদ বরকতের মা।
✔ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার (১৯৫৭):
সরকারিভাবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহামুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে ১৯৬৩ সালে শহিদ মিনার নির্মাণের কাজ শেষ হয়।
১৯৬৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, শহিদ বরকতের মা হাসিনা বিবি শহিদ মিনারটির উদ্বোধন করেন।
হামিদুর রহমান হচ্ছেন বর্তমান শহিদ মিনারের ডিজাইনার।
দেশের সর্বোচ্চ শহিদ মিনার এর স্থপতি কে?
রবিউল হোসাইন।
দেশের সর্বোচ্চ শহিদ মিনারের উচ্চতা ৭১ ফুট। এর অবস্থান: জাহাংগীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্থপতি রবিউল হোসাইন।
প্রথম নারী ভাষা সৈনিক-
কমলা ভট্টাচার্য।
প্রথম নারী ভাষা সৈনিক-কমলা ভট্টাচার্য।
ভাষা আন্দোলনের ১ম শহিদ রফিক এবং সর্বশেষ শহিদ-আবদুস সালাম (৭ এপ্রিল)। সবচেয়ে কম বয়সী শহিদ অহিউল্লাহ(৯/১০)।
ভাষা আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে ‘মোদের গরব’ ভাস্কর্যটি কোথায়?
বাংলা একাডেমিতে।
ভাষা আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে ‘মোদের গরব’ ভাস্কর্যটি বাংলা একাডেমিতে অবস্থিত। এর স্থপতি হচ্ছেন অখিল পাল।
২১ ফেব্রুয়ারিকে কত সালে সর্বপ্রথম শহিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়?
১৯৫৩।
১৯৫২ সালে ২১শে ফেব্রুয়ারী ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করায় সালাম, রফিক শহিদ হয়। ১৯৫৩ সালে ২১ ফেব্রুয়ারীকে শহিদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৫৪ সালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকার করে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। ১৯৫৬ সালে বাংলা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি পায়।
২১ ফেব্রুয়ারিকে সর্বপ্রথম কোন দেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে?
কানাডা।
কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে।
১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশনে বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালে বিশ্বব্যাপী ১৮৮ টি দেশ সর্বপ্রথম দিনটি পালন করে। ২০০২-ইউনেস্কোর সেই ঘোষণাকে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।
৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে আবার এই সময় এসে জাতিসংঘ নিজে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ৬৩তম সম্মেলনে।
২০১০ সালে সাধারণ পরিষদের ৬৫তম সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটা প্রস্তাব উত্থাপন করে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’’ গানটির গীতিকার কে?
আব্দুল গাফফার চৌধুরী।
'’আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’’ গানটির প্রথম সুরকার আবদুল লতিফ। দ্বিতীয় দফায় গানটিতে সুরারোপ করেন আলতাফ মাহমুদ এবং বর্তমানে এই সুরেই গাওয়া হয়। গীতিকার আবদুল গাফফার চৌধুরী।
ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের গেটে একুশে ফেব্রুয়ারিতে আহত ও নিহতদের দেখে ৮ লাইনের এই কবিতাটি লিখেন।
১৯৫৩ সালে আব্দুল লতিফ কবিতাটির সুর দেন। এরপর করাচী থেকে ঢাকা ফিরে ১৯৫৪ সালে আলতাফ মাহমুদ নতুন করে সুরারোপ করেন। সেই থেকে ওটা হয়ে গেল একুশের প্রভাতফেরির গান।
বর্তমানে আলতাফ মাহমুদের সুরা করা গানটিই গাওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত একুশে সংকলনে প্রকাশিত হয় গানটি। তৎকালীন সরকার সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে। গানটি সুইডিশ ও জাপানিজসহ ১২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
[বিবিসি শ্রোতা জরিপে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ গানের তালিকার এটি তৃতীয় স্থান লাভ করেছে।]
বাংলা একাডেমির মূল ভবনের নাম কী?
বর্ধমান হাউস।
বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫ সালে। মূল উদ্যোক্তা: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এটি ভাষা আন্দোলনের ফলে গঠিত প্রথম প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠিত হয় ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ বা ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৬২ [১৯৫৪ সালে বাংলা একাডেমি গঠনের প্রস্তাব পাস করে- যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা]। এর মূল মিলনায়তনের নাম আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তন।
বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন ড. এনামুল হক। প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ। প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম এবং প্রথম নারী মহাপরিচালক ড. নীলিমা ইব্রাহিম। বর্তমান সভাপতি সেলিনা হোসেন।
বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ৬ টি। বাংলা একাডেমি পত্রিকা (গবেষণামূলক ত্রৈমাসিক), ধান শালিকের দেশ (ত্রৈমাসিক কিশোর পত্রিকা)
বার্তা (অনিয়মিত ত্রৈমাসিক), উত্তরাধিকার (সৃজনশীল মাসিক), বাংলা একাডেমি জার্নাল (ইংরেজি ভাষার ষাণ্মাসিক পত্রিকা), বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা (ষাণ্মাসিক)।
প্রমিত বাংলা উচ্চারণের নিয়ম চালু করেছে ১৯৯৪ সালে। ✔ চরিতাভিধান: প্রকাশক হচ্ছে বাংলা একাডেমি। এখানে এক হাজার বাঙালি মনীষীদের জীবনী সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে।
তমদ্দুন মজলিশের সদস্য নয়?
ড. এনামুল হক।
তমদ্দুন মজলিশের সদস্য আবুল কাশেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ।
তমদ্দুন মজলিশের পরিচয়: ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভাষার উপরে অধ্যাপক আবুল কাশেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ ৩ টি প্রবন্ধ লিখেন। এগুলো একত্রে ‘‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
খাজা নাজিমুদ্দীন।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তারিখে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমুদ্দীন। ১৯৫১ সালে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খানের মৃত্যুর পর তিনি পাকিস্তানের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হন।
☛ ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের প্রথম সরকার: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী- লিয়াকত আলী খান। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী- খাজা নাজিমউদ্দিন। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল- মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
☛ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী- খাজা নাজিমউদ্দিন। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী- নুরুল আমিন। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল- গোলাম মুহাম্মদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য- সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের স্থপতি কে?
হামিদুর রহমান।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের স্থপতি হামিদুর রহমান।
✔ শহিদ মিনার সম্পর্কে বিশেষ তথ্য:
☛ ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ প্রথম শহিদ মিনার একুশের রাতেই রাজশাহী কলেজ চত্বরে একুশের প্রথম শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়। স্থাপিত হয়- ২১ফেব্রুয়ারি ১৯৫২।
☛ ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহিদ মিনার: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে (২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২)। ডিজাইনার ছিলেন ডা. বদরুল আলম।
উদ্বোধন করেন শহিদ শফিউরের পিতা মৌলভী মাহবুবুর রহমান, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।
☛ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার: স্থপতি-হামিদুর রহমান এবং অবস্থান-ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
☛ স্মৃতির মিনার: স্থপতি-হামিদুজ্জামান এবং অবস্থান-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
☛ দেশের বাহিরে শহিদ মিনার: ওল্ডহ্যাম, ম্যানচেস্টার, যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বিদেশে প্রথম শহিদ মিনার (১৯৯৭)। মুসলিম দেশের মধ্যে প্রথম নির্মিত শহিদ মিনার অবস্থিত ওমানে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দেশের বাইরে প্রথম শহিদ মিনার নির্মিত হয়েছে জাপানের ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে।
বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক কে ?
মুহাম্মদ নূরুল হুদা।
বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি ১২ই জুলাই ২০২১-এ দায়িত্বগ্রহণ করেন। বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন সেলিনা হোসেন।
বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন ড. এনামুল হক। প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ। প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম এবং প্রথম নারী মহাপরিচালক ড. নীলিমা ইব্রাহিম।
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে কোন সংস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
তমদ্দুন মজলিস।
তমদ্দুন মজলিশের সদস্য আবুল কাশেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ।
তমদ্দুন মজলিশের পরিচয়: ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিভাগের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম। ২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ভাষার উপরে অধ্যাপক আবুল কাশেম, ড. কাজী মোতাহার হোসেন এবং আবুল মনসুর আহমেদ ৩ টি প্রবন্ধ লিখেন। এগুলো একত্রে ‘‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’’ শিরোনামে প্রকাশ করা হয়।
১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর তমদ্দুন মজলিসের মুখপাত্র হিসেবে সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ভাষা আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্যে তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল হক ভূঞা কে আহবায়ক মনোনীত করে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি কে?
সেলিনা হোসেন।
বাংলা একাডেমির বর্তমান মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন মুহম্মদ নূরুল হুদা। তিনি ১২ই জুলাই ২০২১-এ দায়িত্বগ্রহণ করেন। বাংলা একাডেমির বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন সেলিনা হোসেন।
বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন ড. এনামুল হক। প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ। প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম এবং প্রথম নারী মহাপরিচালক ড. নীলিমা ইব্রাহিম।
১৯৪৮-১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় ভাষা দিবস হিসেবে কোন দিনটি পালন করা হতো?
১১ ই মার্চ।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ঐতিহাসিক ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। নবগঠিত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ থেকে অধ্যক্ষ আবুল কাশেম “বাংলা ভাষা দাবি দিবস’’ ঘোষণা দেয়।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির পূর্ব পর্যন্ত ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই দাবিতে পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। এটাই ছিল ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস তথা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এ দেশের প্রথম সফল হরতাল।
ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
খাজা নাজিমউদ্দীন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী- খাজা নাজিমউদ্দিন। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী- নুরুল আমিন। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল- গোলাম মুহাম্মদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য- সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আমতলার ছাত্রসভায় সভাপতিত্ব করেন কে?
গাজীউল হক।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি আমতলার ছাত্রসভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীউল হক।
১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে গঠিত প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ এর আহবায়ক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল হক ভূঞা।
১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ পুনর্গঠন করা (দ্বিতীয় ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’) হলে এর আহবায়ক মনোনীত হন শামসুল আলম।
ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৫২ সালের ৩০শে জানুয়ারি মাওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দলের সর্বদলীয় সভায় গঠিত সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন কাজী গোলাম মাহবুব।
(তথ্যসূত্র: স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র, বাংলাপিডিয়া এবং ভাষা আন্দোলনে ঢাকা : আহমদ রফিক)
একুশ দফার প্রধান দাবী ছিলো কোনটি?
বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা।
১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে ২১ দফা নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করা হয়। একুশ দফা প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন আবুল মনসুর আহমেদ।
২১ দফার প্রথম দফা বা দাবী ছিলো বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা।
এছাড়া অন্যান্য দাবীর মধ্যে ছিলো: প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন, বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত করা, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন প্রভৃতি।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন কোনটি?
তমদ্দুন মজলিস।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন হলো তমদ্দুন মজলিস। এটি ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আবুল কাশেম এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়।
তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ প্রকাশিত হয়।
১৯৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর তমদ্দুন মজলিসের মুখপাত্র হিসেবে সাপ্তাহিক সৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ভাষা আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার জন্যে তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল হক ভূঞা কে আহবায়ক মনোনীত করে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
১৯৫২ সালের পূর্বে ভাষা দিবস পালন করা হতো কত তারিখে?
১১ মার্চ।
সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ‘বাংলাভাষা দাবি দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এদিন সারাদেশে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। এদিন পুলিশের গুলিতে অনেকে হতাহত হয় এবং বঙ্গবন্ধু, অলি আহাদসহ অনেককে গ্রেফতার করা হয়।
এতে করে ১২-১৫ মার্চ আবারও ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। এর ফলে ১৫ই মার্চ খাজা নাজিমউদ্দিন আন্দোলনকারীদের সাথে একটি চুক্তিতে বাধ্য হন।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটির প্রথম সুরকার ছিলেন কে?
আবদুল লতিফ।
ব্যাখ্যা:
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটির গীতিকার বা রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী। এটির প্রথম সুরকার আব্দুল লতিফ এবং বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ।আবদুল লতিফ।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটির গীতিকার বা রচয়িতা আব্দুল গাফফার চৌধুরী। এটির প্রথম সুরকার আব্দুল লতিফ এবং বর্তমান সুরকার আলতাফ মাহমুদ।
ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা কবিতা কোনটি?
স্মৃতিস্তম্ভ।
ভাষা আন্দোলন নিয়ে লেখা স্মৃতিস্তম্ভ কবিতাটি লিখেছেন আলাউদ্দিন আল আজাদ।
অন্যদিকে, নির্মলেন্দু গুণ এর কবিতা হুলিয়া বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা প্রথম কবিতা। সোনালী কাবিন আল মাহামুদের সনেট জাতীয় কাব্য। তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা কাব্যগ্রন্থটি শহীদ কাদরীর লেখা।
ঢাকা প্রকাশ সাপ্তাহিক পত্রিকাটির সম্পাদক কে?
কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
‘ঢাকা প্রকাশ’ ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা সংবাদপত্র। এর প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৮৬১ সালে বাবুবাজারের ‘বাঙ্গালা যন্ত্র’ থেকে। ঢাকা প্রকাশের প্রথম সম্পাদক ছিলেন কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। পরিচালকগণের মধ্যে প্রধান ছিলেন ব্রজসুন্দর মিত্র, দীনবন্ধু মৌলিক, ঈশ্বরচন্দ্র বসু, চন্দ্রকান্ত বসু প্রমুখ।
ভাষা শহীদ সালাম কবে মৃত্যুবরণ করেন?
: ৭ এপ্রিল, ১৯৫২।
বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বায়ান্নোর ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সম্মুখের রাস্তায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নেন। পরে ছাত্র-জনতার উপর পুলিশ এলোপাথাড়িভাবে গুলি চালালে অন্যদের সাথে আবদুস সালামও গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দেড় মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৯৫২ সালের ৭ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
একুশে ফেব্রুয়ারি কার সভাপতিত্বে সভা থেকে ছাত্ররা বেলা ১১ টায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গের জন্য ১০ জন করে খণ্ড মিছিল বের করে?
গাজীউল হক।
আবু নছর মোহাম্মদ গাজীউল হক সাহিত্যিক, গীতিকার ও ভাষা সৈনিক। ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রাজপথে মিছিল করেন, স্লোগান দেন। গাজীউল হক ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা।
সর্বকনিষ্ঠ ভাষা সৈনিক-
অহিউল্লাহ।
ভাষাশহীদদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ শহিদ নাম অহিউল্লাহ। পিতার নাম হাবিবুর রহমান, পেশায় রাজমিস্ত্রি। ২২ ফেব্রুয়ারি নওয়াবপুর রোডের মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরবর্তীতে মারা যান। তার লাশের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
প্রথম নারী ভাষা সৈনিক-কমলা ভট্টাচার্য। ভাষা আন্দোলনের ১ম শহিদ রফিক এবং সর্বশেষ শহিদ-আবদুস সালাম (৭ এপ্রিল)
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটি প্রথম কত সালে গাওয়া হয়?
১৯৫৪।
আবদুল গাফফার চৌধুরী ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে গানটি রচনা করেন। প্রথমে আবদুল লতিফ গানটি সুরারোপ করেন। তবে পরবর্তীতে আলতাফ মাহমুদের করা সুরটিই অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করে, ১৯৫৪ সালের প্রভাত ফেরীতে প্রথম গাওয়া হয় এবং এটিই এখন গানটির প্রাতিষ্ঠানিক সুর।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন?
মালিক গোলাম মোহাম্মদ।
☛ ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের প্রথম সরকার: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী- লিয়াকত আলী খান। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী- খাজা নাজিমউদ্দিন। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল- মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
☛ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী- খাজা নাজিমউদ্দিন। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী- নুরুল আমিন। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল- গোলাম মুহাম্মদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য- সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।
বৈশ্বিক ভাষা বৃক্ষ’ কোথায় অবস্থিত?
এশিয়াটিক সোসাইটি।
‘বৈশ্বিক ভাষা বৃক্ষ’ এশিয়াটিক সোসাইটিতে অবস্থিত।
✔ ভাষা শহিদদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য: জননী ও গর্বিত বর্ণমালা (স্থপতি: মৃণাল হক, অবস্থান: পরিবাগ, ঢাকা), মোদের গরব (স্থপতি: অখিল পাল, অবস্থান: বাংলা একাডেমি চত্বর), অমর একুশে (স্থপতি: জাহানারা পারভীন, অবস্থান: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), বৈশ্বিক ভাষা বৃক্ষ (স্থপতি: আসমা জাহান, অবস্থান: এশিয়াটিক সোসাইটি)।
অমর একুশে’ ভাস্কর্যটির স্থপতি কে?
জাহানারা পারভীন।
অমর একুশে ভাস্কর্যটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালযয়ে অবস্থিত। এর স্থপতি জাহানারা পারভীন।
হৃদয়ে একুশ’ কী?
প্রামণ্য চিত্র।
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র হচ্ছে ‘হৃদয়ে আকাশ’ এটি মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার প্রাপ্ত (সাহিত্যিক; রফিক উদ্দিন আহমেদ) এবং Let There be Light (সাহিত্যিক; জহির রায়হান)।
দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা’ গানটির রচয়িতা-
আব্দুল লতিফ।
‘দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা’ গানটির রচয়িতা আব্দুল লতিফ।
✔ একুশের প্রথম গান ‘ভুলবোনা, ভুলবোনা, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবোনা’ (গীতিকার: ভাষা সৈনিক গাজীউল হক, সুরকার: নিজামুল হক)।
✔ ভাষা আন্দোলনভিত্তিক আরো গান-‘‘সালাম সালাম হাজার সালাম’’ (গীতিকার: ফজলে খোদা, শিল্পী : আব্দুর জব্বার), ‘‘ওরা আমার মুখের কথা কাইড়া নিতে চায়’’ (গীতিকার: আবদুল লতিফ, সুরকার: আবদুল লতিফ)।
বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত অনিয়মিত ত্রৈমাসিক পত্রিকা কোনটি?
বার্তা।
বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ৬ টি। বাংলা একাডেমি পত্রিকা (গবেষণামূলক ত্রৈমাসিক), ধান শালিকের দেশ (ত্রৈমাসিক কিশোর পত্রিকা)
বার্তা (অনিয়মিত ত্রৈমাসিক), উত্তরাধিকার (সৃজনশীল মাসিক), বাংলা একাডেমি জার্নাল (ইংরেজি ভাষার ষাণ্মাসিক পত্রিকা), বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা (ষাণ্মাসিক)।
চরিতাভিধান’ প্রকাশক-
বাংলা একাডেমি।
চরিতাভিধান: প্রকাশক হচ্ছে বাংলা একাডেমি। এখানে এক হাজার বাঙালি মনীষীদের জীবনী সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম সূত্রপাতকারী-
আবুল কাশেম।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম সূত্রপাতকারী-আবুল কাশেম।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ সালে ভাষার দাবিতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ‘তমদ্দুন মজলিস’ প্রতিষ্ঠা করেন আবুল কাশেম।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ঐতিহাসিক ‘রাষ্ট্রভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। নবগঠিত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ থেকে অধ্যক্ষ আবুল কাশেম “বাংলা ভাষা দাবি দিবস’’ ঘোষণা দেয়।
একুশ দফার মধ্যে ভাষা সংক্রান্ত দফা ছিল না কোনটি?
১৫।
একুশ দফা ছিল যুক্তফ্রন্টের ইশতেহার। ২১ দফার প্রণেতা ছিলেন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবুল মনসুর আহমদ। একুশ দফার মধ্যে ভাষা সংক্রান্ত দফা ছিল ৫টি। যথা: ১, ১০, ১৬, ১৭, ১৮ নং দফা।
✔ একুশ দফার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দফা:
০১। বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দান।
০৯। দেশের সর্বত্র একযোগে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা প্রবর্তন।
১০। কেবল মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা।
১৫। বিচার বিভাগকে শাসন বিভাগ থেকে পৃথক করা।
১৬। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ‘বর্ধমান হাউস’কে আপাতত ছাত্রাবাস ও পরে বাংলার ভাষার গবেষণাগারে (বর্তমানে এটি বাংলা একাডেমি) পরিণত করা।
১৭। ৫২-এর ভাষা শহিদদের স্মরণে শহিদ মিনার নির্মাণ।
১৮। ২১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা।
১৯। ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্ব বাংলাকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান। দেশরক্ষা, পররাষ্ট্র ও মুদ্রা ব্যতীত আর সবকিছু পূর্ব বাংলার সরকারের হাতে ন্যস্ত করা। আত্নরক্ষার স্বার্থে পূর্ব বাংলায় অস্ত্র নির্মাণ কারখানা স্থানান্তর।
১৯৬৩ সালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য যে কমিটি গঠিত হয়েছিল তার নেতৃত্বে ছিলেন-
ড. মাহমুদ হোসেন।
১৯৬৩ সালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য যে কমিটি গঠিত হয়েছিল তার নেতৃত্বে ছিলেন- ড. মাহমুদ হোসেন। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার: স্থপতি-হামিদুর রহমান এবং অবস্থান-ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
ভুলবোনা, ভুলবোনা একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবোনা’ গানটির সুরকার কে?
নিজামুল হক।
একুশের প্রথম গান ‘ভুলবোনা, ভুলবোনা, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবোনা’ (গীতিকার: ভাষা সৈনিক গাজীউল হক, সুরকার: নিজামুল হক)।
আবু হোসেন সরকার সরকারিভাবে শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন-
২১ ফেব্রুয়ারি’৫৬।
✔ একুশে ফেব্রুয়ারি’৫৬-আবু হোসেন সরকার সরকারিভাবে শহিদ
মিনার উদ্বোধন করেন।
✔ ১৬ ফেব্রুয়ারি’৫৬-পাকিস্তান গণপরিষদে এক প্রস্তাবে আবারো ভাষাকে স্থান দেওয়ার কথা বলা হয়।
✔ ২৬ ফেব্রুয়ারি’৫৬-পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি স্থান
দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাশ হয়।
রবীন্দ্র ও রোকেয়া চত্বর কোথায় অবস্থিত?
বাংলা একাডেমি।
রবীন্দ্র ও রোকেয়া চত্বর, নজরুল চত্বর ও নজরুল মঞ্চ বাংলা একাডেমিতে অবস্থিত।
ভাষা আন্দোলনের ফলস্বরূপ গঠিত প্রতিষ্ঠান-
বাংলা একাডেমি।
বাংলা একাডেমি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। ভাষা আন্দোলনের ফলে গঠিত প্রথম প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠা: ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ বা ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৬২ [১৯৫৪ সালে বাংলা একাডেমি গঠনের প্রস্তাব পাস করে- যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা]। মূল মিলনায়তনের নাম: আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তন।