গণঅভ্যুত্থান-সত্তর এর নির্বাচন Flashcards

1
Q

রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য’- এই মামলায় যে তারিখে পাকিস্তানি সরকার বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়-

A

২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯।

☑ আগরতলা মামলার প্রেক্ষাপট: ১৯৬৩ সালে বঙ্গবন্ধু গোপনে ত্রিপুরা গমন করেন। সেখানে ত্রিপুরার রাজধানী আগড়তলায় তৎকালীন কংগ্রেস নেতা ও পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলালের সাথে বৈঠক করেন। আমির হোসেন নামক একজন এই বৈঠকের কথা আইয়ুব সরকারকে ফাঁস করে দেন। আইয়ুব খান সরকার ছয় দফা আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ৩৫ জনকে আসামী করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করে, যা ইতিহাসে “আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা” নামে পরিচিত।

✔ মামলাটির আনুষ্ঠানিক নাম- : রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য।
✔ প্রধান আসামি (১ নং): বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
✔ মামলা দায়ের হয় যেভাবে: ১৮ জানুয়ারি (১৯৬৮) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের এক প্রেস নোটে বলা হয় ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা ও পরিচালনার সাথে শেখ মুজিবুর রহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। কাজেই অন্যদের সাথে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৬৬ সালের ৮ মে থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনে বন্দি ছিলেন এবং সে অবস্থায়ই তাঁকে
যড়যন্ত্র মামলায় যুক্ত করা হয়।

✔ মামলা প্রত্যাহার: ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
2
Q

কোন আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এগারো দফা প্রণীত হয়?

A

উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান।

☑ ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান প্রেক্ষাপট ও সূচনা: ১৯৬৮ সালের আগরতলা মামলা প্রত্যাহার এবং পরবর্তীতে আইয়ুববিরোধী আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ৪ জানুয়ারি’৬৯ সালে ডাকসু কার্যালয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ১১ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।

✔ ১১ দফার উল্লেখযোগ্য বিষয়:

☐ হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় কালাকানুন সহ সব আইন বাতিল।
☐ ৬ দফা দাবির প্রেক্ষিতে পূর্ব পাকিস্তানে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা।
☐ কৃষকদের উপর থেকে কর ও খাজনা হ্রাস এবং পাটের সর্বনিম্নমূল্য ৪০ টাকা ধার্য করা।
☐ পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জল সম্পদের সার্বিক ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ।
☐ SEATO ও CENTO সহ সকল পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তিবাতিল এবং জোট বহির্ভূত নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ।
☐ আগরতলা মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তি (১১নং)।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
3
Q

১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কতগুলি আসনে বিজয়ী হয়েছিল?

A

১৬৭।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে মোট আসন ৩১৩ টি, এর মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসন ১৩ টি। পূর্ব পাকিস্তানের আসন সংখ্যা মোট ১৬৯ টি এবং পশ্চিম পাকিস্তানের আসন সংখ্যা মোট ১৪৪ টি। আওয়ামী লীগ ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টিতে জয়লাভ করে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
4
Q

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী ছিলেন কত জন?

A

৩৫।

☑ ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলা দায়ের করা হয় ৩ জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে। ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলার বিশেষ আদালতের বিচারক ছিলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি এস. এ. রহমান। আসামী ছিলেন ৩৫ জন। প্রধান আসামী ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান।

‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলার তথ্য ফাঁস করে দেন - আমির হোসেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রসিকিউটর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন স্যার- টমাস উইলিয়াম। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার দাপ্তরিক নাম ছিল ‘‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য’‘।

‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলার বিচার হয় ১৯৬৮ সালের জুন মাসে। কুর্মিটোলায় তিন সদস্যবিশিষ্ট ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়-১৯ জুন’৬৮। থমাস উইলিয়াম ৫ আগস্ট’৬৮ রমনায় মামলার বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন।

‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলা প্রত্যাহার করা হয় ২২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে।
আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামী সার্জেন্ট জহুরুল হককে গুলি করে হত্যা করা হয় ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে। ঢাকা সেনানিবাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার স্মৃতিবিজড়িত জাদুঘর বঙ্গবন্ধু জাদুঘর। এই বঙ্গবন্ধু জাদুঘর হচ্ছে সেনানিবাসে অবস্থিত বিজয় কেতন জাদুঘরেরই অংশ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
5
Q

ঢাকা সেনানিবাসে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার স্মৃতি বিজড়িত জাদুঘর কোনটি?

A

বিজয় কেতন জাদুঘর।

শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামী করে ২৭ জন সামরিক ও ৮ জন বেসামরিক নাগরিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার বিচারকাজ হয় ঢাকা সেনানিবাস এর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে। উল্লেখ্য, বিজয় কেতন জাদুঘর ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত যা মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরত্বসূচক খেতাব প্রাপ্তদের স্মরণে নির্মিত। ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতি জাদুঘর রয়েছে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
6
Q

গণঅভ্যুত্থানের নায়ক ছিলেন-

A

তোফায়েল আহমেদ।

গণঅভ্যুত্থানের নায়ক ছিলেন তোফায়েল আহমেদ।

☑ ‘১৯৬৯ সালে গণঅভুত্থান’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

✔ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি।
ঘোষণা করে ১১ দফা কর্মসূচি।

✔ পুলিশের গুলিতে শহিদ আসাদ নিহত হন - ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সালে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ২০ জানুয়ারি শহিদ
আসাদ দিবস।

✔ শহিদ আসাদকে নিয়ে ‘আসাদের শার্ট’ কবিতাটি লিখেছেন শামসুর রাহমান।

✔ পুলিশের গুলিতে শহিদ মতিউর নিহত হন ২৪ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সালে।
তিনি নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

✔ শহিদ ড. শামসুজ্জোহাকে হত্যা করা হয়েছিল - ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম শহিদ বুদ্ধিজীবী।

✔ বাংলাদেশ নামকরণ করা হয়- ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর।

✔ উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমিকায় লেখা উপন্যাস চিলেকোঠার সেপাই (লেখক- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস)।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
7
Q

আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হন-

A

১৮ জানুয়ারি, ১৯৬৮।

আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হন- ১৮ জানুয়ারি, ১৯৬৮।
‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলা দায়ের করা হয় ৩ জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে।
‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলার বিশেষ আদালতের বিচারক ছিলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি এস. এ. রহমান। আসামী ৩৫ জন। প্রধান আসামী ছিলেন শেখ মুজিবর রহমান।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
8
Q

১১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে কে?

A

সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ।

৪ জানুয়ারি’৬৯ সালে ডাকসু কার্যালয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ১১ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।

☑ সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ: গঠিত হয় ৫ জানুয়ারি, ১৯৬৯, এবং আহবায়ক ছিলেন তোফায়েল আহমেদ। ১১ দফার অন্তর্ভুক্ত ছিল ৬ দফা।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
9
Q

গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত হয়-

A

২৪ জানুয়ারি।

গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত হয় ২৪ জানুয়ারি।

☑ ‘১৯৬৯ সালে গণঅভুত্থান’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

✔ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি।
ঘোষণা করে ১১ দফা কর্মসূচি।

✔ পুলিশের গুলিতে শহিদ আসাদ নিহত হন - ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সালে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ২০ জানুয়ারি শহিদ
আসাদ দিবস।

✔ শহিদ আসাদকে নিয়ে ‘আসাদের শার্ট’ কবিতাটি লিখেছেন শামসুর রাহমান।

✔ পুলিশের গুলিতে শহিদ মতিউর নিহত হন ২৪ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সালে।
তিনি নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

✔ শহিদ ড. শামসুজ্জোহাকে হত্যা করা হয়েছিল - ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম শহিদ বুদ্ধিজীবী।

✔ বাংলাদেশ নামকরণ করা হয়- ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর।

✔ উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমিকায় লেখা উপন্যাস চিলেকোঠার সেপাই (লেখক- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস)।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
10
Q

গণ আন্দোলনের একমাত্র নারী শহিদ কে?

A

আনোয়ারা বেগম।

গণ আন্দোলনের একমাত্র নারী শহিদ আনোয়ারা বেগম।

✔ গণঅভ্যুত্থানের শহিদ: শহিদ আসাদ, মতিউর, সার্জেন্ট জহুরুল হক, অধ্যাপক শামসুজ্জোহা।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
11
Q

১১ দফার শেষ দফা কী সম্পর্কিত ছিল?

A

আগরতলা মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তি।

৪ জানুয়ারি’৬৯ সালে ডাকসু কার্যালয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক ১১ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।

✔ ১১ দফার উল্লেখযোগ্য বিষয়:

☐ হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় কালাকানুন সহ সব আইন বাতিল।
☐ ৬ দফা দাবির প্রেক্ষিতে পূর্ব পাকিস্তানে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা।
☐ কৃষকদের উপর থেকে কর ও খাজনা হ্রাস এবং পাটের সর্বনিম্নমূল্য ৪০ টাকা ধার্য করা।
☐ পূর্ব পাকিস্তানের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও জল সম্পদের সার্বিক ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণ।
☐ SEATO ও CENTO সহ সকল পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তিবাতিল এবং জোট বহির্ভূত নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ।
☐ আগরতলা মামলায় অভিযুক্তদের মুক্তি (১১নং)।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
12
Q

শহিদ ড. শামসুজ্জোহাকে হত্যা করা হয়েছিল কবে?

A

১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯।

শহিদ ড. শামসুজ্জোহাকে হত্যা করা হয়েছিল - ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম শহিদ বুদ্ধিজীবী।

☑ ‘১৯৬৯ সালে গণঅভুত্থান’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

✔ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি।
ঘোষণা করে ১১ দফা কর্মসূচি।

✔ পুলিশের গুলিতে শহিদ আসাদ নিহত হন - ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সালে।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ২০ জানুয়ারি শহিদ
আসাদ দিবস।

✔ শহিদ আসাদকে নিয়ে ‘আসাদের শার্ট’ কবিতাটি লিখেছেন শামসুর রাহমান।

✔ পুলিশের গুলিতে শহিদ মতিউর নিহত হন ২৪ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সালে।
তিনি নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

✔ বাংলাদেশ নামকরণ করা হয়- ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর।

✔ উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমিকায় লেখা উপন্যাস চিলেকোঠার সেপাই (লেখক- আখতারুজ্জামান ইলিয়াস)।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
13
Q

সত্য মামলা আগরতলা কে লিখেন?

A

কর্নেল শওকত আলী।

সত্য মামলা আগরতলা লিখেন কর্নেল শওকত আলী।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
14
Q

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রসিকিউটর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন কে?

A

উইলিয়াম থমাস।

☑ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা: ✔ প্রধান বিচারপতি ছিলেন এস এ রহমান। ✔ পাকিস্তানের আইনজীবী ছিলেন মনজুর রহমান। ✔ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুস সালাম। ✔ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রসিকিউটর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন থমাস উইলিয়াম।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
15
Q

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নিয়ে থমাস উইলিয়াম বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন কবে?

A

৫ আগস্ট, ১৯৬৮।

থমাস উইলিয়াম ৫ আগস্ট’৬৮ রমনায় মামলার বৈধতা নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
16
Q

১৯৭০ সালের নির্বাচনের ইশেহার ছিল-

A

: ৬ দফা।

১৯৭০ সালের নির্বাচনের ইশেহার ছিল-৬ দফা।

☑ ৭০ এর নির্বাচন: ৩০ মার্চ’৭০ সালে ইয়াহিয়া সরকার এল এফ ও
(Legal Framework Order) জারি করেন। ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০; জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত। ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০; প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত।

✔ জাতীয় পরিষদ নির্বাচন আসন সংখ্যা: ৩১৩ টি (পূর্ব পাকিস্তান: ১৬২ + ৭= ১৬৯ টি এবং পশ্চিম পাকিস্তান: ১৩৮+ ৬ =১৪৪ টি)।

✔ পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান দল: আওয়ামী লীগ। নেতৃত্ব: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতীক ছিল নৌকা। স্লোগান ছিল ৬ দফা।

✔ পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃত্ব: জুলফিকার আলী ভুট্টো। প্রতীক: তরবারি।
স্লোগান: Islam is our faith, Democracy is our policy, Socialism is our economy.

✔ ১৬৯ টি তে আওয়ামীলীগ পায় ১৬৭ টি। প্রাদেশিক নির্বাচনে ৩১০ টির মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ২৯৮ টি।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
17
Q

রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন কে?

A

মোস্তাফিজুর রহমান।

☑ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা: ✔ প্রধান বিচারপতি ছিলেন এস এ রহমান। ✔ পাকিস্তানের আইনজীবী ছিলেন মনজুর রহমান। ✔ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুস সালাম। ✔ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রসিকিউটর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন থমাস উইলিয়াম। ✔ ‘‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’’ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমান।

18
Q

১৯৭০ সালের নির্বাচনের ইশেহার ছিল-

A

৬ দফা।

১৯৭০ সালের নির্বাচনের ইশেহার ছিল-৬ দফা।

☑ ৭০ এর নির্বাচন: ৩০ মার্চ’৭০ সালে ইয়াহিয়া সরকার এল এফ ও
(Legal Framework Order) জারি করেন। ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০; জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত। ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০; প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত।

✔ জাতীয় পরিষদ নির্বাচন আসন সংখ্যা: ৩১৩ টি (পূর্ব পাকিস্তান: ১৬২ + ৭= ১৬৯ টি এবং পশ্চিম পাকিস্তান: ১৩৮+ ৬ =১৪৪ টি)।

✔ পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান দল: আওয়ামী লীগ। নেতৃত্ব: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতীক ছিল নৌকা। স্লোগান ছিল ৬ দফা।

✔ পশ্চিম পাকিস্তানের নেতৃত্ব: জুলফিকার আলী ভুট্টো। প্রতীক: তরবারি।
স্লোগান: Islam is our faith, Democracy is our policy, Socialism is our economy.

✔ ১৬৯ টি তে আওয়ামীলীগ পায় ১৬৭ টি। প্রাদেশিক নির্বাচনে ৩১০ টির মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় ২৯৮ টি।

19
Q

নিচের কে নিউক্লিয়াসের সদস্য ছিলেন?

A

ছাত্র নেতা সিরাজুল আলম খান।

১৯৬২ সালে ‘‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’’ বা স্বাধীনতার ‘নিউক্লিয়াস’ গঠন করেন বঙ্গবন্ধু। এর সদস্য ছিলেন তিনজন-সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমেদ। ১৯৬২পরবর্তী ছাত্র আন্দোলন, ৬-দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার আন্দোলন, ১১-দফা আন্দোলন পরিকল্পনা ও কৌশল, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত নির্বাচন, স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণার পরিকল্পনাও করে এই ‘নিউক্লিয়াস’। যার নেপথ্যে ছিলেন সিরাজুল আলম খান।

20
Q

১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ প্রাদেশিক পরিষদে কতটি আসন লাভ করে?
0

A

২৮৮।

☑ ১৯৭০ সালের নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় - ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে।

পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচন হয় - ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের আসন পেয়েছিল - ১৬০ টি (১৬২টি সাধারণ আসনের মধ্যে) + সংরক্ষিত ৭ টি = ১৬৭টি (পূর্ব পাকিস্তানে আসন ছিলো ১৬৯টি)।

প্রাদেশিক পরিষদের আসন পেয়েছিল ২৮৮টি (৩০০টি সাধারণ আসনের মধ্যে) এবং সংরক্ষিত আসন পায় ১০টি। মোট আসন পায় ২৯৮টি (৩১০টির মধ্যে)।

21
Q

১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়েছিল কীসের ভিত্তিতে?

A

এক ব্যক্তির এক ভোট।

১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়েছিল এক ব্যক্তির এক ভোটের ভিত্তিতে।

22
Q

১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন আসন থেকে নির্বাচিত হন?

A

ঢাকা-৮।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু কোন ঢাকা-৮ থেকে নির্বাচিত হন।

☑ ১৯৭০ সালের নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় - ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে।

পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচন হয় - ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের আসন পেয়েছিল - ১৬০ টি (১৬২টি সাধারণ আসনের মধ্যে) + সংরক্ষিত ৭ টি = ১৬৭টি (পূর্ব পাকিস্তানে আসন ছিলো ১৬৯টি)।

প্রাদেশিক পরিষদের আসন পেয়েছিল ২৮৮টি (৩০০টি সাধারণ আসনের মধ্যে) এবং সংরক্ষিত আসন পায় ১০টি। মোট আসন পায় ২৯৮টি (৩১০টির মধ্যে)।

23
Q

১৯৭০ সালে নির্বাচিত হওয়ার আগেই শপথ নেন কে?

A

তোফায়েল আহমেদ।

১৯৭০ সালে নির্বাচিত হওয়ার আগেই শপথ নেন তোফায়েল আহমেদ।

24
Q

আগরতলা মামলায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আইনজীবী কে ছিলেন?

A

আব্দুস সালাম।

☑ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা: ✔ প্রধান বিচারপতি ছিলেন এস এ রহমান। ✔ পাকিস্তানের আইনজীবী ছিলেন মনজুর রহমান। ✔ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আব্দুস সালাম। ✔ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে প্রসিকিউটর হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন থমাস উইলিয়াম। ✔ ‘‘রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’’ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন ক্যাপ্টেন মোস্তাফিজুর রহমান।

25
Q

পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদে কতটি আসন ছিল?

A

৩১০ টি আসন।

পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদে আসন ছিল ৩১০ টি।

☑ ১৯৭০ সালের নির্বাচন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

পাকিস্তানের প্রথম জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় - ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে।

পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক নির্বাচন হয় - ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে।

১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের আসন পেয়েছিল - ১৬০ টি (১৬২টি সাধারণ আসনের মধ্যে) + সংরক্ষিত ৭ টি = ১৬৭টি (পূর্ব পাকিস্তানে আসন ছিলো ১৬৯টি)।

প্রাদেশিক পরিষদের আসন পেয়েছিল ২৮৮টি (৩০০টি সাধারণ আসনের মধ্যে) এবং সংরক্ষিত আসন পায় ১০টি। মোট আসন পায় ২৯৮টি (৩১০টির মধ্যে)।

26
Q

Legal framework order/আইনগত কাঠামো আদেশ জারি হয় কত তারিখে?

A

৩০ মার্চ, ১৯৭০।

ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে শাসনতান্ত্রিক পদক্ষেপ ও আইনগত কাঠামো আদেশ বা Legal Framework Order (LFO) জারি করেন।

27
Q

আগরতলা বৈঠকটি কত সালে হয়?

A

ডিসেম্বর, ১৯৬৩।

আগরতলা বৈঠকটি ডিসেম্বর, ১৯৬৩ সালে হয়।

☑ আগরতলা মামলার প্রেক্ষাপট: ১৯৬৩ সালে বঙ্গবন্ধু গোপনে ত্রিপুরা গমন করেন। সেখানে ত্রিপুরার রাজধানী আগড়তলায় তৎকালীন কংগ্রেস নেতা ও পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলালের সাথে বৈঠক করেন। আমির হোসেন নামক একজন এই বৈঠকের কথা আইয়ুব সরকারকে ফাঁস করে দেন। আইয়ুব খান সরকার ছয় দফা আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ৩৫ জনকে আসামী করে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করে, যা ইতিহাসে “আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা” নামে পরিচিত।

28
Q

আগরতলা মামলায় আসামী পক্ষের প্রধান আইনজীবী কে?

A

টমাস উইলিয়াম।

আগরতলা মামলা পরিচালনা করার জন্য সরকার ১৯৬৮ সালের ১২ এপ্রিল আইন ও বিচার পদ্ধতি সংক্রান্ত একটি ফৌজদারী অধ্যাদেশ জারি করে। অধ্যাদেশ নং ৫-১৯৬৮ অনুয়ায়ী বিচারকার্য সুচারুরূপে সম্পূর্ণ করার জন্য সাবেক প্রধান বিচারপতি এস এ রহমানকে চেয়ারম্যান এবং বিচারপতি এম আর খান ও বিচারপতি মকসুমুল হাকিম এর সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি ট্রাইবুনাল গঠন করা । এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিখ্যাত আইনজীবী মঞ্জুর কাদের।

অপরদিকে আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য একটি ‘ডিফেন্স কমিটি’ গঠন করা হয়। এই কমিটিতে ছিলেন ড. আলীম আল রাজী, মওদুদ আহমেদ, আতাউর রহমান খান, আবদুস সালাম খান, খান বাহাদুর ইসলাম, খান বাহাদুর নাজিরুদ্দিন, জহিরুদ্দিন, জুলমত আলী খান ও মোল্লা জালাল উদ্দিন প্রমূখ এবং নেতৃত্ব দেন ইংল্যান্ডের রাণীর আইন বিষয়ক উপদেষ্টা বিখ্যাত ব্রিটিশ আইনজীবী টমাস উইলিয়াম।

মামলার অভিযোগ সম্পর্কে শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকলেই লিখিত ও মৌখিকভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে উচ্চ কণ্ঠে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের দাবি দাওয়া ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অর্থাৎ জনগণের এবং সারা বিশ্বের দৃষ্টি অন্য দিকে ঘোরাতে এই মামলা নাটকের উদ্ভব ঘটানো হয়েছিল। মামলায় প্রায় আড়াই শতাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে সাজানো সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

সরকারের কঠোর নীতি গ্রহণের জন্য অনেকেই সাক্ষী হতে বাধ্য হলেও তারা আদালতে এসে বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য আসামিদের বিপক্ষে মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে অনীহা প্রকাশ করে। ফলে বিচারকার্যে সরকারের আশানুরূপ অগ্রগতি ব্যাহত হয়।

29
Q

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু কত সালে আগরতলায় যাওয়ার অভিযোগ উঠে?

A

১৯৬২।

শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয় ৩ জানুয়ারি, ১৯৬৮ সালে। মামলায় পাকিস্তান সরকার অভিযোগ করেছিল যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কতিপয় সেনা অফিসারের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে শেখ মুজিব ভারতের সহযোগিতায় সশস্ত্র উপায়ে পূর্ব পকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিলেন। এজন্য ১৯৬২ সালে তিনি গোপনে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলা যান।

সেখানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী শচীন্দ্রলাল সিংহের সংগে দেখা করেন এবং তাঁর মাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গেও যোগাযোগ হয়। সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেনের ভূমিকা ছিল বেশি।
এখন প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ থেকে বলা যায় যে, মামলাটির ভিত্তি ছিল। তবে পাকিস্তান সরকার যেভাবে মামলাটি সাজিয়েছিল আসলে ঘটনাটি তেমন ছিল না। তবে, অভিযুক্তরা দেশকে মুক্ত করার জন্য একটা পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তাঁরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিলেন।

আগরতলা মামলায় অভিযুক্ত তৎকালীন ক্যাপ্টেন শওকত আলীর স্মৃতিকাহিনী পড়ে এই ধারণা হয় যে, তিনটি বিষয়কে একত্রিত করে এই মামলাটি সাজানো হয়েছিল।

(১) ১৯৬২-৬৩ থেকে লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন প্রধানত নিম্ন পর্যায়ের কিছু নৌসদস্যদের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিষয়ে আলোচনা করছিলেন,
(২) ক্যাপ্টেন শওকতরা একই উদ্দেশ্যে আলাপ করছিলেন মূলধারার কিছু বাঙালি অফিসারের সাথে,
(৩) সিভিল সার্ভিসের রুহুল কুদ্দুস, আহমেদ ফজলুর রহমান ও খান শামসুর রহমান এবং আরও কয়েকজন সদস্য নিজেদের মধ্যে এনিয়ে চিন্তাভাবনা করছিলেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের সাথেও হয়তো তাঁদের আলাপ হয়েছিল। কিন্তু ঐক্যবদ্ধ কোনো পরিকল্পনা তাঁরা নিতে পারেননি ।

শওকত আলীর মন্তব্য যে, মোয়াজ্জেম হোসেন তাড়াহুড়া করেছেন এবং তাঁর গ্রুপ গোপনীয়তা সম্পর্কে সজাগ ছিলেন না। ফলে সেনা সদস্যরা ধরা পড়েন। বঙ্গবন্ধু এই প্রয়াসের সঙ্গে হয়তো সরাসরি যুক্ত ছিলেন না, তবে হয়তো তাঁর প্রশ্রয় ছিল। তবে তিনি যে বাংলাদেশের মুক্তির প্রচেষ্টায় আগরতলা গিয়েছিলেন তা সত্য।

তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা ভেবেছেন তাও সত্য।
পাকিস্তান সরকারের গোয়েন্দা দফতর তা জানতো। তাই অঙ্কুরেই সে চেষ্টা বিনাশ করার লক্ষ্যে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে মামলাটি সাজানো হয়েছিল।

30
Q

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য কয়টি আসন অর্জন করা সম্ভব হয়?

A

১৬৭ টি।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসার মূলে ছিল বাঙালির অধিকার আদায়ে তার ত্যাগ ও আজীবনের আপসহীন সংগ্রাম। পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে আসন বণ্টন ছিল তাঁর অন্যতম প্রধান দাবি। এ দাবি আদায় করতে পারলেই যে সকল দাবি আদায় করা সম্ভব, এটি তিনি প্রতিটি বাঙালিকে উপলব্ধি করাতে সক্ষম হয়েছিলেন।

তাঁর এ দৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই ১৯৭০ সালে ইয়াহিয়া খানের কাছ থেকে সমগ্র পাকিস্তানের ৩১৩টি আসনের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য ১৬৭টি আসন অর্জন করা সম্ভব হয়েছিল। তিনি তাঁর জনসমর্থনের আকাশচুম্বি শক্তি নিয়ে ইয়াহিয়া খানের ওপর প্রচণ্ড চাপ প্রয়ােগ করেছিলেন, যা উপেক্ষা করে সে সময়ে ইয়াহিয়া খানের পক্ষে ক্ষমতায় টিকে থাকা প্রায় অসম্ভব ছিল।

এ অর্জনই ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালিদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথ প্রশস্ত করে।

31
Q

জেনারেল আইয়ুব খান কত সালে রাজনীতি নিষিদ্ধ করে PODO ও EBDO নামক দুটি আদেশ জারি করে?

A

১৯৫৯ সালে।

জেনারেল আইয়ুব খান ক্ষমতা কুক্ষিগত করার পর পাকিস্তানের শাসন ও রাজনৈতিক কাঠামোর আমূল পরিবর্তন করার উদ্যোগ নেন। তিনি কঠোর হস্তে দূর্নীতি দমন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করেন। অতঃপর তিনি রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।

১৯৫৯ সালে ‘পোডো’ (Public Office Disqualification Order, PODO) এবং ‘এবডো (Elective Bodies Disqualification Order, EBDO) নামক দুটি আদেশ জারি করে রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপ ও নির্বাচনে রাজনীতিবিদদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করেন।

32
Q

আসাদ গেট কোন স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত হয়?

A

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান।

আসাদ (১৯৪২-১৯৬৯) উনিশশত ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এর শহিদ ছাত্রনেতা। আসাদুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ছাত্র সংগ্রাম কমিটির ১১ দফা আদায়ের মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন।

তাঁর মৃত্যু ঊনসত্তরের ছাত্র-গণআন্দোলনের গোটা অবয়বকেই পাল্টে দেয় এবং তা আইয়ুব খানের শাসন ও নিপীড়নমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়। এভাবে ‘আইয়ুব গেট’ হয়ে যায় ‘আসাদ গেট’, ‘আইয়ুব এভিনিউ’ নামান্তরিত হয়ে হয় ‘আসাদ এভিনিউ’। তখন থেকে আসাদের নাম হয়ে ওঠে নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক।

33
Q

বঙ্গবন্ধু কত সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন?

A

১৯৬৬।

১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়।

☑ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন কমিটি:

  • সভাপতি : মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
  • সাধারণ সম্পাদক : শামসুল হক।
  • যুগ্ম সম্পাদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
  • সহ সভাপতি : আতাউর রহমান খান , আব্দুস সালাম খান।
  • ১৯৫৩ সালের ৩-৫ জুলাই আওয়ামী মুসলিম লীগের দ্বিতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি টানা চারবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
  • ১৯৬৬ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
    ১৯৫৫ সালের আওয়ামী মুসলিম লীগের তৃতীয় সম্মেলনে দলটির নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।
34
Q

দেশের প্রথম শহিদ বুদ্ধিজীবী-

A

অধ্যাপক শামসুজ্জোহা।

১৯৬৯ সালের ১৮ ই ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুজ্জোহাকে হত্যা করা হয়।

35
Q

আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কেন প্রত্যাহার করা হয়েছিল?

A

প্রচণ্ড গণআন্দোলনের জন্য।

36
Q

কোনটি উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের পটভূমিতে রচিত উপন্যাস?

A

চিলেকোঠার সেপাই।

37
Q

১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন-

A

বিচারপতি আবদুস সাত্তার।

38
Q

১৯৭০ সালের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে কোন দল সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করে?

A

আওয়ামী লীগ।

39
Q

২১ দফার প্রথম দাবি কী ছিল?

A

বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা।

40
Q

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়া হয় কবে?

A

২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯।

41
Q

১৯৭০ সালের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ লাভ করেছিল-

A

১৬৭টি আসন।