বাংলাদেশের ইতিহাস : মুঘল আমল -১ Flashcards
ঢাকা বাংলার রাজধানী হয় কত সালে?
১৬১০।
ঢাকা প্রথম রাজধানী হয় ১৬১০ সালে।
সম্রাট জাহাংগীর বাংলা অধিকারের জন্য সুবেদার হিসেবে ইসলাম খানকে প্রেরণ করেন এবং ইসলাম খান কর্তৃক বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর (১৬১০) করা হয় এবং ঢাকার নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীরনগর।
ঢাকা মোট রাজধানী হয় ৫ বার (১৬১০, ১৬৬০, ১৯০৫, ১৯৪৭ ও ১৯৭১)।
সিরাজউদ্দৌলার প্রকৃত নাম কী ছিল?
মির্জা মােহাম্মদ।
নবাব সিরাজ-উ-দ্দৌলা ছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব।
১৭৫৬সালে ফোর্ট উইলিয়াম দখল করে কলকাতার নাম দেন ‘আলীনগর’ এবং ইংরেজদের কাশিমবাজার দুর্গ দখল করেন।
উনার শাসনামলে ২৩ জুন, ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
বাংলার মুসলিম শাসনামলে ‘আবওয়াব’ শব্দটি কোন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতাে?
খাজনা ।
আবওয়াব আরবি ও ফারসি ‘বাব’ শব্দের বহুবচন।
এর আভিধানিক অর্থ দরজা, বিভাগ, অধ্যায়, সম্মানী, নির্ধারিত করের অতিরিক্ত দেয় কর ইত্যাদি।
মুগল শাসনামলে ভারতে নিয়মিত করের অতিরিক্ত সরকার কর্তৃক আরোপিত/ ধার্যকৃত অর্থকে বলা হতো আবওয়াব।
আরও স্পষ্ট করে বলা যায়, আবওয়াব হচ্ছে, কোনো রায়ত বা প্রজার ওপর ভূমির নির্ধারিত খাজনার অতিরিক্ত হিসেবে আরোপিত সকল অস্থায়ী কর।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার জন্য অনুমতিপত্রটি কী নামে পরিচিত?
দস্তক।
দস্তক মুগল সরকার কর্তৃক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে প্রদত্ত ব্যবসার অনুমতি পত্র।
সম্রাট ফররুখ সিয়ারের ফরমান এর শর্তানুসারে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমদানি ও রপ্তানির উপর ধার্য সাধারণ শুল্ক না দিয়ে বাংলায় ব্যবসা করার অধিকার লাভ করে।
রাজকীয় ফরমানে প্রাপ্ত অধিকারের উপর ভিত্তি করে কোম্পানি তাদের প্রতিনিধিদেরকে দস্তক প্রদান করত। এর বলে কোম্পানির প্রতিনিধিরা বিনাশুল্কে বাংলায় ব্যবসা করার অনুমতি পায়।
নওয়াব এ মর্মে তাঁর কর্মকর্তাদের প্রতি পরওয়ানা জারি করেন যে, কোম্পানির ব্যবসায়ীরা চাওয়া মাত্র দস্তক দেখালে তাঁরা যেন তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
ঢাকা দ্বিতীয়বার রাজধানী হয়-
১৬৬০ সালে।
ঢাকা দ্বিতীয়বার রাজধানী হয় ১৬৬০ সালে।
মীর জুমলা ১৬৬০ সালে বাংলার রাজধানী রাজমহল হতে ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
ঢাকা মোট রাজধানী হয় ৫ বার (১৬১০, ১৬৬০, ১৯০৫, ১৯৪৭ ও ১৯৭১)।
ঢাকা প্রথমবার রাজধানী হয় ১৬১০ সালে।
ঢাকার পূর্বনাম ছিল জাহাঙ্গীরনগর।
কত খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে দি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি হয়?
১৬০০।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬০০ সালে।
ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬০৮ সালে এবং বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬৩৩ সালে।
পলাশীর যুদ্ধ কখন হয়েছিল?
২৩ জুন, ১৭৫৭।
২৩ জুন, ১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলার মধ্যে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
ব্রিটিশদের পক্ষে প্রধান সেনাপতি ছিলেন রবার্ট ক্লাইভ এবং বাংলার পক্ষে ছিলেন মোহন লাল।
বাংলা বর্ষের প্রবক্তা কে ছিলেন?
সম্রাট আকবর।
মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় নবাব হলেন সম্রাট আকবর।
বাংলায় মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
দ্বীন-ই-ইলাহী ধর্ম প্রচলন করেন।
জিজিয়া কর ও তীর্থকর রহিত করেন।
তাঁর সময়কালে সমগ্র বাংলা সুবই ই-বাঙলাহ নামে পরিচিতি ছিল।
বাংলা সন, বাংলা নববর্ষ, মনসবদারী প্রথা প্রচলন করেন।
ফতেহপুর সিক্রি নির্মাণ করেন।
টোডারমল আকবরের রাজস্বমন্ত্রী ছিলেন।
সভাকবি ছিলেন আবুল ফজল।
তিনি আইন-ই-আকবরি গ্রন্থ রচনা করেন।
তানসেন ছিলেন গায়ক।
তিনি বুলবুল-ই-হিন্দ নামে পরিচিত ছিলেন।
বীরবল বিখ্যাত কৌতুককার ছিলেন।
ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কখন বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করে?
১৭৬৫ সালে।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৬৫ সালে সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলার দেওয়ানি লাভ করে ।
সেই সময় রবার্ট ক্লাইভ ভারত বর্ষে দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা চালু করে।
বাংলার রাজধানী হিসেবে সােনারগাঁও এর পত্তন কে করেন?
ঈশা খা।
ঈশা খা ছিলেন বারো ভূঁইয়াদের নেতা।
তিনি মুঘলদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করে, ‘মসনদ-ই-আলা’ উপাধি নেন।
বাংলার বড় জমিদাররা মোগলদের অধীনতা মেনে নেননি। মোগলদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে অবস্থান নেন। এরাই বার ভুঁইয়া।
নেতা ছিলেন ঈশা খাঁ।
রাজধানী ছিল সোনারগাঁ।
মৃত্যুর পরে মুসা খাঁ নেতা নির্বাচিত হন।
দিল্লির কোন সম্রাট বাংলা থেকে পর্তুগিজদের বিতাড়িত করেন?
শের শাহ।
শেরশাহ ছিলেন মধ্যযুগীয় দিল্লির একজন শক্তিশালী আফগান পশতুন।
তিনি কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করে দিল্লি দখল করেন।
তিনি চালু করেন ‘পাট্টা’ (ভূমি স্বত্ত্বের দলিল) ও ‘কবুলিয়াত’ (চুক্তি দলিল) প্রথা।
তিনি সংবাদ বাহনের জন্য চালু করেন ঘোড়ার ডাক।
তাঁর নির্মিত সড়ক ছিল সড়ক-ই-আযম (মহাসড়ক) বা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড।
পানিপথের প্রথম যুদ্ধ সংঘটিত হয় কবে?
২১ এপ্রিল, ১৫২৬।
পানিপথের প্রথম যুদ্ধ (১৫২৬) হয়েছিল মোগল সম্রাট বাবর ও দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লোদীর সঙ্গে। এযুদ্ধে সম্রাট বাবর জয়লাভ করেন। এই যুদ্ধে বাবর প্রথম ভারতে কামানের ব্যবহার করেন। পানিপথের ১ম যুদ্ধ হয়- ২১ এপ্রিল, ১৫২৬ সালে।
পানিপথের যুদ্ধ হয়েছিল - যমুনা নদীর তীরে।
কোন যুদ্ধে ভারতে প্রথম কামানের ব্যবহার হয়?
পানিপথের প্রথম যুদ্ধ।
পানিপথের প্রথম যুদ্ধে বাবর প্রথম ভারতে কামানের ব্যবহার করেন।
পানিপথের প্রথম যুদ্ধ (১৫২৬) হয়েছিল মোগল সম্রাট বাবর ও দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লোদীর সঙ্গে। এযুদ্ধে সম্রাট বাবর জয়লাভ করেন। পানিপথের ১ম যুদ্ধ হয়- ২১ এপ্রিল, ১৫২৬ সালে।
পানিপথের যুদ্ধ হয়েছিল - যমুনা নদীর তীরে।
পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয় কাদের মধ্যে?
বৈরাম খাঁ-র সাথে হেমচন্দ্র বিক্রমাধিত্যর।
পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ (১৫৫৬) হয়েছিল মোগল সম্রাট আকবরের সেনাপতি বৈরামখাঁ র সঙ্গে সম্রাট হেমচন্দ্র বিক্রমাধিতার (হিমু) সঙ্গে। এ যুদ্ধে সম্রাট আকবর জয়লাভ করেন।
কোন যুদ্ধে জয়লাভের ফলস্বরূপ মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়?
পানিপথের প্রথম যুদ্ধ।
সম্রাট বাবর ১৫২৬ সালে ইব্রাহিম লোদীকে প্রথম পানিপথের যুদ্ধে পরাজিত করে মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।