বাংলাদেশের কৃষি-১ Flashcards
কোন দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য মোট আয়তনের কত শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন?
২০-২৫ শতাংশ ।
একটি দেশের মোট আয়তনের ২০-২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন।
কিন্তু বাংলাদেশের এ সম্পদের পরিমাণ রয়েছে মাত্র ১৩ শতাংশ।
বর্তমানে দেশের ৩৫টি জেলায় বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন বনভূমি রয়েছে।
বন বিভাগ নিয়ন্ত্রণাধীন বনভূমির পরিমাণ ১,৮৮০,৪৯৩.৭৩ হেক্টর।
দেশের মোট বনভূমির পরিমাণ ২,৫৭৫,১৯৬.০১ হেক্টর।
মাধ্যমিক ভূগোল বইয়ের তথ্যমতে বনভূমির পরিমাণ ১৭ শতাংশ।
নিচের কোনটি ‘কাটারিভোগ’ চাল উৎপাদনের জন্যে প্রসিদ্ধ জেলা?
দিনাজপুর ।
অঞ্চলভিত্তিক চালের নাম :
দিনাজপুরের কাটারিভোগ।
ময়মনসিংহের বিরই।
কুমিল্লার চিনিগুড়া।
নোয়াখালীর কালিজিরা।
বরিশাল ও পটুয়াখালীর বালাম ধান।ঃ
নিচের কোনটি মৌসুম নিরপেক্ষ ফসল?
পেঁপে ।
যে সকল ফসল সকল ঋতুতে চাষ হয়ে থাকে সেগুলােকে মৌসুম নিরপেক্ষ ফসল বলে।
যেমনঃ লাল শাক, বেগুন, পেঁপে, কলা।
অন্যদিকে,
বাঁধাকপি , পেঁয়াজ , আলু হলো রবি ফসল।
বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়া বিশ্ব বাজারে কি নামে পরিচিত?
কুষ্টিয়া গ্রেড ।
কুষ্টিয়া গ্রেড - বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়ার নাম।
বাংলাদেশের প্রথম গবাদি পশুর ভ্রুণ বদল করা হয় - ৫ মে, ১৯৯৫।
বাংলাদেশ গবাদি পশু গবেষণা ইনস্টিটিউট অবস্থিত - ঢাকার সাভারে।
দুগ্ধজাত সামগ্রীর জন্য বিখ্যাত লাহিড়ীমোহন হাট অবস্থিত - পাবনায়।
বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্র (সরকারি) অবস্থিত - করমজল, সুন্দরবন।
বাংলাদেশের কৃষি দিবস পালন করা হয়-
পহেলা অগ্রহায়ণ ।
বাংলাদেশের কৃষি দিবস পালন করা হয় পহেলা অগ্রহায়ণ।
নতুন ধানের চাল থেকেই শুরু হবে নবান্ন উৎসব। কৃষকের হাসির ওপর এখনও অনেকাংশে দেশের অর্থনীতি নির্ভর করে। আর এই কৃষক ও কৃষিকে এগিয়ে নিতেই ২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর (১ অগ্রহায়ণ ১৪১৫)) বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে পালন করা শুরু হয় জাতীয় কৃষি দিবস।
সেই বছর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয়।
ফসল কাটার এক সপ্তাহ আগে শিম জাতীয় শস্য লাগানোর পদ্ধতি কী নামে পরিচিত-
রিলে চাষ ।
একটি শস্যের ফুল আসার পর কিন্তু কর্তনের প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে কতিপয় সুবিধা পাওয়ার জন্য শিম জাতীয় বীজ বপণ করা হয়, একে রিলে চাষ বলে।
এভাবে এক জমিতে ২ – ৩ ধরনের ফসল এক সাথে চাষ করার পদ্ধতিকে রিলে চাষ বলে।
সাধারণত ফল বাগানে যে ধরনের সেচ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাকে রিং বেসিন বলে।
বাংলাদেশের জাতীয় পাট দিবস-
৬ মার্চ।
পাটের সঙ্গে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি বিবেচনায় ২০১৬ সালে প্রতি বছর ৬ মার্চ জাতীয়ভাবে পাট দিবস আয়োজনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরের বছর থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
হিমসাগর কোন ফসলের জাত?
আম ।
হিমসাগর বা ক্ষীরসাপাত হলো আমের একটি জাত।
আমের অন্যান্য জাতসমূহের মধ্যে রয়েছে:
মহানন্দা,
আম্রপালি ,
হিমসাগর বা ক্ষীরসাপাত ,
ফজলি ,
ল্যাংড়া ,
গোপালভোগ ,
মোহনভোগ ,
বান্দিগুড়ি ,
গৌরমতি ,
সূর্যপুরী প্রভৃতি।
নিচের কোন জেলায় সুন্দরবনের বিস্তৃতি রয়েছে?
সাতক্ষীরা ।
সুন্দরবন পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাকৃতিক ম্যানগ্রোভ বা স্রোতজ বনভূমি। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় সুন্দরবন অবস্থিত। এছাড়া পটুয়াখালী এবং বরগুনা জেলার কিছু অংশেও সুন্দরবনের বিস্তৃতি রয়েছে।
সুন্দরবনের আয়তন প্রায় ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার যা সুন্দরবনের মোট আয়তনের প্রায় ৬২ ভাগ। সুন্দরবনের বাকি অংশ ভারতে অবস্থিত।
সুন্দরবনের প্রধান বৃক্ষ হলো সুন্দরী। সুন্দরী গাছের নাম থেকেই এই বনের নাম হয়েছে সুন্দরবন।
সুন্দরবনের অন্যান্য গাছের মধ্যে রয়েছে:
গরান,
গেওয়া,
কেওড়া,
ধুন্দল, গোলপাতা ইত্যাদি।
বলাকা ও দোয়েল পাখি ব্যতীত অন্য কিসের নাম?
গম ।
বলাকা ও দোয়েল হলো বাংলাদেশে চাষকৃত গমের দুটি জাত।
গমের অন্যান্য জাতসমূহ হলো:
কাঞ্চন,
আকবর ,
সোনালিকা ,
সৌরভ ,
গৌরব ,
অঘ্রাণী প্রভৃতি।
নিচের কোনটি লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের জাত?
ব্রি ধান-৬৭।
লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের জাতসমূহ: বিনা ৮ ও ১০ এবং ব্রি ৪০, ৪১, ৪৭, ৫৩, ৫৪, ৬১, ৬৭, ৭৩, ৭৮
খরা ও লনণাক্ততা সহিষ্ণু ব্রি ৫৫।
ব্রি ৬৯ হল উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত।
নিচের কোন জেলায় ‘জুমচাষ’ চাষাবাদ পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে?
খাগড়াছড়ি ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রচলিত জুম চাষ পদ্ধতি সুইডেন চাষাবাদ পদ্ধতি নামে পরিচিত। এটি হলো এক প্রকার স্থানান্তর চাষাবাদ পদ্ধতি।
এই পদ্ধতিতে পাহাড়ের ঢালে জঙ্গল কেটে বা পুড়িয়ে কৃষি জমি প্রস্তুত করে চাষ করা হয়। কয়েক বছর চাষাবাদ করার পর তা ছেড়ে অন্যত্র চাষ করা হয়।
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের মাঝে এরূপ চাষ পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে।
ডায়মন্ড ও কার্ডিনাল কোন ফসলের জাত?
আলু।
আলুর জাতসমূহ:
গ্রানোলা,
কার্ডিনাল ,
ডায়মন্ড ,
আইলসা ,
চমক ,
ধীরা ,
বিনেলা ,
আরিন্দা ,
রাজা ,
বারাকা ইত্যাদি।
হাড়িভাঙ্গা কীসের নাম?
আম ।
হাড়িভাঙ্গা হলো আমের একটি জাত।
আমের অন্যান্য জাতসমূহের মধ্যে রয়েছে:
মহানন্দা,
আম্রপালি ,
হিমসাগর বা ক্ষীরসাপাত ,
ফজলি ,
ল্যাংড়া ,
গোপালভোগ ,
মোহনভোগ ,
বান্দিগুড়ি ,
গৌরমতি ,
সূর্যপুরী প্রভৃতি।
Bangladesh Rice Research Institute কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়?
১৯৭০ ।
Bangladesh Rice Research Institute (BRRI) গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরে অবস্থিত।
উচ্চ ফলনশীল ধানের জাত এবং চাষাবাদের কলাকৌশল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে ১৯৭০ সালের ১ অক্টোবর BRRI প্রতিষ্ঠিত হয়।
BRRI বর্তমান পর্যন্ত ধানের মোট ১০৮টি আধুনিক জাত উদ্ভাবন করেছে।
কৃষিক্ষেত্রে উত্তরণ হলো-
ভুট্টার একটি জাত
উত্তরণ হলো ভুট্টার একটি জাত।
ভুট্টার অন্যান্য জাতের মধ্যে রয়েছে:
মোহর ,
শুভ্রা ,
বর্ণালি ,
খই ভুট্টা ,
বারি ভুট্টা ইত্যাদি।
নিচের কোনটি তুলার জাত?
রূপালি হলো তুলার একটি জাত।
তুলার অন্যান্য জাতসমূহের মধ্যে রয়েছে:
রূপালি-১ ,
সিভি-১২ ,
সিভি-১৩ ,
ডিএম-১ ,
পাহাড়ি তুলা-১,২ প্রভৃতি।
অন্যদিকে,
বলাকা : গমের জাত।
সোনালি : সরিষার জাত।
মোহর : ভুট্টার জাত।
বীটজবা কীসের জাত?
বীটজবা কলার একটি জাত।
কলার অন্যান্য জাতের মধ্যে রয়েছে:
অমৃতসাগর ,
অগ্নিশ্বর ,
মোহনবাশী ,
কানাইবাশী ,
চাম্পা ,
চিনি চাম্পা ,
সবরি ,
বারি কলা-১ ,
বারি কলা-৪ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?
নশিপুর দিনাজপুর ।
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট দিনাজপুর জেলার নশিপুরে অবস্থিত। এটি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পূর্বে এটি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীনে একটি গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হয়।
বর্তমানে এটির অধীনে ৫টি আঞ্চলিক কেন্দ্র ও ২টি বীজ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে।
গবেষণায় অবদানের জন্যে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০২২ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করে।
বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট কোন জেলায় অবস্থিত?
পাবনা ।
বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত।
এটি ১৯৫১ সালে ইক্ষু গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে যাত্রা শুরু করে এবং ১৯৮৯ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট হিসেবে বর্তমান রূপ লাভ করে।
এই গবেষণা কেন্দ্রে আখ, খেজুর, তাল প্রভৃতির জাত উন্নয়ন ও ব্যবহার বিষয়ে গবেষণা করা হয়।
বাংলাদেশে কোন দশক থেকে উফশী ধানের চাষ শুরু হয়?
ষাটের দশক ।
উফশী মানে উচ্চ ফলনশীল।
বাংলাদেশে ধান চাষের ইতিহাস হাজার বছরের পুরনো হলেও এদেশে সর্বপ্রথম উফশী ধানের প্রচলন হয় গত শতাব্দীর ষাটের দশকে। ১৯৬৭ সালে ইরি-৮ ধানের মাধ্যমে বাংলাদেশে উফশী ধানের আবাদ শুরু হয়।
ইরি-৮ হলো আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত একটি উফশী ধান। পরবর্তীতে, ১৯৭০ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পর ইরি ধানের স্থলে ব্রি ধান প্রচলিত হয়। বর্তমানে দেশের প্রায় ৮০ ভাগ কৃষি জমিতে ব্রি ধানের চাষ হচ্ছে।
নিচের কোন দুটি গমের জাত?
আকবর ও সোনালিকা হলো গমের দুটি জাত।
গমের অন্যান্য জাতসমূহের মধ্যে রয়েছে:
দোয়েল ,
বলাকা ,
কাঞ্চন ,
সৌরভ ,
গৌরব ,
অঘ্রাণী প্রভৃতি।
অন্যদিকে,
মোহর ও শুভ্র : ভুট্টার জাত ।
গ্রানোলা ও বিনেলা : আলুর জাত ।
সফল ও অগ্রণী : সরিষার জাত।
কৃষি কাজের জন্যে সবচেয়ে উপযোগী মাটি কোনটি?
দোআঁশ মাটি।
কৃষি কাজের জন্যে সবচেয়ে উপযোগী মাটি হলো দোআঁশ মাটি। ৫০ ভাগ বালিকণা এবং ৫০ ভাগ পলি ও কর্দমকণা সমৃদ্ধ দোআঁশ মাটি কৃষি কাজের জন্যে সবচেয়ে উপযোগী।
বাংলাদেশের অধিকাংশ মাটিই দোআঁশ মাটি যার কারণে এদেশের ভূমি সর্বত্রই উর্বর।
নিচের কোনগুলো বেগুনের জাত?
নয়নতারা ও শুকতারা ।
বাংলাদেশে প্রচলিত বেগুনের জাতসমূহ:
নয়নতারা,
কাজলা ,
তারাপুরী ,
ইসলামপুরী ।
শুকতারা,
বিজয় ,
মুক্তকেশী ,
ঝুমকো ,
শিংনাথ ,
নয়ন কাজল ,
কেজি বেগুন ,
তাল বা তল্লা বেগুন ,
উত্তরা ,
লাফফা ,
ঈশ্বরদী-১ ,
খটখটিয়া ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
দোয়েল ও কাঞ্চন : গমের জাত ।
অগ্রদূত ও প্রভাতী : বাঁধাকপির জাত ।
বর্ণালি ও শুভ্রা : ভুট্টার জাত