বাংলাদেশের ইতিহাস : প্রাচীন যুগ -৫ Flashcards

1
Q

বাংলাদেশের প্রাচীনতম নগরকেন্দ্র কোনটি?

A

মহাস্থানগড়

বাংলাদেশের প্রাচীনতম নগরকেন্দ্র মহাস্থানগড়।

বগুড়া হতে সাত মাইল দূরে মহাস্থানগড় প্রাচীন পুণ্ড্রবর্ধন নগরীর ধ্বংসাবশেষ বলে পণ্ডিতেরা অনুমান করেন। প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে পুণ্ড্রই ছিল প্রাচীন বাংলার সবচেয়ে সমৃদ্ধ জনপদ।

মহাস্থানগড় এর পূর্বনাম পুন্ড্রনগর। যা ছিল পুণ্ড্রদের রাজ্যের রাজধানী।

এখানে মৌর্য ও গুপ্ত রাজবংশের পুরাকীর্তি রয়েছে। এছাড়াও পাথরের চাকতিতে খোদাই করা লিপি পাওয়া গেছে সম্রাট অশোকের সময়ে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে।

মহাস্থানগড়ের বিখ্যাত পুরাকীর্তি: ভাসু বিহার, বৈরাগীর ভিটা, গোবিন্দ ভিটা ও খোদার পাথর ভিটা।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
2
Q

মেগাস্থিনিসের ‘ইন্ডিকা’ নামক গ্রন্থে কোন জনপদের নাম পাওয়া যায়?

A

গঙ্গারিডাই।

গঙ্গারিডাই এর অবস্থান: ভারতীয় উপমহাদেশের বঙ্গ অঞ্চল বা বর্তমান বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ।

গঙ্গারিডাই এর আরও নানা নাম রয়েছে। গঙ্গাহৃদি, গঙ্গাঋদ্ধি, গঙ্গারাঢ়ী ইত্যাদি।

মেগাস্থিনিসের ‘ইন্ডিকা’তে উল্লেখ রয়েছে গঙ্গারিডি তথা গঙ্গাহৃদির।

মেগাস্থিনিসের বর্ণনা থেকে জানা যায়, গঙ্গার সবচেয়ে পশ্চিম ও সবচেয়ে পূর্ব নদীমুখ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই জনপদ। যার রাজধানী ছিল চন্দ্রকেতুগড়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
3
Q

চৈনিক পরিব্রাজক ফা-হিয়েন বাংলায় আসেন যার সময়ে-

A

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।

ফা-হিয়েন গুপ্তযুগে সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্যের রাজত্বকালে ভারতীয় উপমহাদেশে আগমন করেন।

ফা-হিয়েন বাংলায় ভ্রমণকারী প্রথম পর্যটক। অন্যদিকে চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এসেছিলেন হর্ষবর্ধনের আমলে এবং মা হুয়ান এসেছিলেন গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ এর আমলে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
4
Q

বাংলাকে সাম্রাজ্যভুক্ত করা হয়-

A

মৌর্যদের আমলে।

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সাম্রাজ্যের নাম মৌর্য সাম্রাজ্য। মৌর্য শাসনের প্রতিষ্ঠাতা- চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য।

সম্রাট অশোক মৌর্য সাম্রাজ্যের তৃতীয় শাসক। তিনি উত্তর বাংলা জয়কারী প্রথম মৌর্য সম্রাট এবং তিনি বাংলাকে মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রদেশে পরিণত করেন।

অশোকের (২৬৯–২৩২খ্রি.পূ.) রাজত্বকালে উত্তর বাংলার বৃহদাংশ মৌর্যদের দখলে গিয়েছিল বলে জোরালো ঐতিহাসিক অভিমত রয়েছে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
5
Q

প্রখ্যাত বৌদ্ধ পন্ডিত ও দার্শনিক অতীশ দীপঙ্কর বাংলাদেশের বিক্রমপুরের কোন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন?

A

বজ্রযোগিনী।

মুন্সীগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় বজ্রযোগিনী গ্রামটি অবস্থিত। অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের (৯৮০-১০৫৩) স্মৃতিবিজড়িত বজ্রযোগিনী গ্রাম।

প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন- সুলতানী আমলের সাধক বাবা আদম শাহীর মাজার এবং মুঘল আমলের ইদ্রাকপুর দুর্গ ও সেতু।

অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ছিলেন বৌদ্ধ পণ্ডিত, ধর্মগুরু ও দার্শনিক। দশম-একাদশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাঙালি পণ্ডিত দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান ৯৮০ সালে এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মায়ের নিকট এবং স্থানীয় বজ্রাসন বিহারে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি বিখ্যাত বৌদ্ধগুরু জেতারির নিকট বৌদ্ধ ধর্ম ও শাস্ত্রে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।

বৌদ্ধশাস্ত্র, চিকিৎসাবিদ্যা ও কারিগরিবিদ্যা বিষয়ে তিব্বতি ভাষায় অনেক গ্রন্থ রচনা করেন বলে তিব্বতিরা তাঁকে ‘অতীশ’ উপাধিতে ভূষিত করে।

অতীশ দীপঙ্কর অনেক সংস্কৃত ও পালি বই তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নালন্দা ও বিক্রমশীল বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীশ দীপঙ্কর পাঠদান করেন। ৭৩ বছর বয়সে তিব্বতের লাসানগরের কাছে লেথান পল্লীতে ১০৫৩ সালে মারা যান এই পণ্ডিত।

বজ্রযোগিনী গ্রামে তাঁর বাসস্থানকে স্থানীয় অধিবাসীরা বলে থাকেন ‘পণ্ডিতের ভিটা’।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
6
Q

মহাস্থানগড় এক সময় বাংলার রাজধানী ছিল, তখন তার নাম-

A

পুন্ড্রনগর।

পুন্ড্রনগর বাংলাদেশের প্রাচীনতম নগরকেন্দ্র, এর প্রাচীনত্ব খ্রিস্টপূর্ব চার শতকের বলে ধরে নেওয়া হয়। এ নগরের সর্বপ্রথম উল্লেখ (পুদ্নগল) পাওয়া গেছে মহাস্থান ব্রাহ্মী লিপিতে। পুন্ড্রনগরের (গুপ্ত ও গুপ্ত-পরবর্তী যুগে ‘পুন্ড্রবর্ধনপুর’ নামে উল্লিখিত) ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করা হয়েছে বগুড়া জেলার মহাস্থান-এ আবিষ্কৃত ধ্বংসাবশেষের সঙ্গে।

সেন আমল পর্যন্ত না হলেও মৌর্য যুগ হতে পাল আমলের শেষ অবধি পুন্ড্রবর্ধন বিভাগের প্রশাসনিক সদর দফতর হিসেবে পুন্ড্রবর্ধনের অবস্থান অব্যাহত ছিল। গুপ্তযুগে বাংলায় এটি ছিল তাদের শাসনের কেন্দ্র এবং পুন্ড্রবর্ধন ভুক্তির রাজধানী।

করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত পুন্ড্রনগরের সঙ্গে জল ও স্থল পথে বাংলার অন্যান্য অংশের বেশ ঘনিষ্ঠ সংযোগ ছিল এবং সমগ্র প্রাচীন যুগে এটি ব্যবসায়-বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে সমৃদ্ধ ছিল। মুসলিম যুগের প্রথম দিকেও বিখ্যাত দরবেশ শাহ সুলতান বলখী অথবা মাহীসওয়ার-এর বাসস্থান হিসেবে এ নগরের গুরুত্ব অব্যাহত ছিল। শাহ সুলতান বলখী প্রাচীন নগরের দক্ষিণ-পূর্বাংশে তাঁর খানকাহ নির্মাণ করেছিলেন।

এখানে রয়েছে বিখ্যাত সাধক শাহ সুলতান বলখির মাজার।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
7
Q

মাৎস্যন্যায়’ বাংলার কোন সময়কাল নির্দেশ করে?

A

৭ম-৮ম শতক।

শশাঙ্কের মারা যাওয়ার পর দীর্ঘদিন বাংলায় কোনো যোগ্য শাসক ছিল না। ফলে রাজ্যে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা দেখা দেয়। সামন্ত রাজারা প্রত্যেকেই বাংলার রাজা হওয়ার কল্পনায় অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে থাকেন। এ অরাজকতাপূর্ণ সময় (৭ম-৮ম শতক) কে আখ্যায়িত করা হয়েছে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলে। পাল বংশের রাজত্ব শুরু হওয়ার সাথে সাথে এ অবস্থার পরিসমাপ্তি ঘটে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
8
Q

তালপাতার পুথিঁচিত্র কোন যুগের নিদর্শন?

A

পাল যুগ।

তালপাতার পুথিঁচিত্র পাল যুগের নিদর্শন।

শশাঙ্ক পরবর্তী বাংলায় অরাজকতার যুগের অবসান ঘটিয়ে গােপাল বাংলার সিংহাসনে আরােহণ করেন এবং পাল বংশের শাসনের সূচনা করেন।

পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা: গোপাল (৭৫৬-৭৮১)।

পাল সাম্রাজ্যের বিশেষত্ব হচ্ছে এটি প্রথম বংশানুক্রমিক রাজবংশ এবং বাংলার দীর্ঘস্থায়ী (৪০০ বছর) রাজবংশ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
9
Q

দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার সবচেয়ে শক্তিশালী রাজবংশ ছিলো কোনটি?

A

চন্দ্র বংশ।

দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার সবচেয়ে শক্তিশালী রাজবংশ ছিল চন্দ্র বংশ।

সপ্তম থেকে এগারো শতক সময়ের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বাংলা একাধিক স্বাধীন রাজবংশের অধীনে ছিলো।

এ সময়ের রাজবংশসমূহ হলো- খড়গ বংশ (সপ্তম শতক), দেব বংশ (অষ্টম শতক), দেব বংশ (অষ্টম শতক), কান্তিদেব বংশ (নবম শতক), চন্দ্র বংশ (দশম শতক) এবং বর্ম বংশ (এগারো শতক)।

এদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী রাজবংশ ছিলো চন্দ্র বংশ। দশম শতকের শুরু থেকে এগারো শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় দেড়শ বছর চন্দ্র বংশের রাজত্ব বিদ্যমান ছিলো।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
10
Q

আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণের সময় বাংলায় কোন জনপদের উপস্থিতির উল্লেখ করা হয়?

A

গঙ্গারিডি।

গ্রিকবীর আলেকজান্ডার খ্রিস্টপূর্ব ৩২৬-২৭ অব্দে ভারতবর্ষে আক্রমণ করেন। তার সময়ে বাংলায় ‘গঙ্গারিডি’ নামে একটি শক্তিশালী জনপদের উপস্থিতির উল্লেখ করা হয়।

পদ্মা ও ভাগীরথী নদীর মধ্যবর্তী স্থানে ‘গঙ্গারিডি’ রাজ্যের অবস্থান ছিলো। ধারণা করা হয় বঙ্গ জনপদকেই গ্রিকরা গঙ্গারিডি হিসেবে উল্লেখ করেছিলো।

আলেকজান্ডার কর্তৃক ভারত আক্রমণের সময় ‘প্রাসিয়র’ নামে আরেকটি রাজ্যেরও অস্তিত্ব ছিলো।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
11
Q

প্রাচীন বাংলার স্বাধীন গৌড় রাজ্যের স্থপতি কে?

A

শশাঙ্ক।

খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতকে উত্তর বাংলা, পশ্চিম বাংলার উত্তরাংশ এবং মগধ গৌড় জনপদ রূপে পরিচিতি লাভ করে।

গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন পরবর্তী বিশৃঙ্খল অবস্থার সুযোগ গ্রহণ করে শশাঙ্ক ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে গৌড় অঞ্চল অধিকার করে ‘স্বাধীন গৌড় রাজ্য’ স্থাপন করেন।

তার রাজধানী ছিলো কর্ণসুবর্ণ। ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত শশাঙ্ক গৌড় রাজ্যের অধিপতি ছিলেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
12
Q

প্রথম চীনা পরিব্রাজক ফা-হিয়েন ভারতবর্ষে আসেন

A

গুপ্ত যুগে।

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে চীনা পরিব্রাজক ফা-হিয়েন ভারতবর্ষে আসেন। তিনি ১০ বছর ভারতে অবস্থানকালে তাঁর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ৭টি গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে ‘ফো-কুয়ো-কিং’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময়ে গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস ভারতবর্ষে আগমন করে ভারতের শাসন প্রকৃতি, ভৌগোলিক বিবরণ, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ইন্ডিকা’তে লিপিবদ্ধ করেন।

হিউয়েন সাং ছিলেন চীন দেশীয় বৌদ্ধ পণ্ডিত। হর্ষবর্ধনের দরবারে তিনি আট বছর কাটান।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
13
Q

পাল বংশের কোন রাজার শাসনামলে ‘কৈবর্ত বিদ্রোহ’ সংঘটিত হয়?

A

দ্বিতীয় মহীপাল।

তৃতীয় বিগ্রহপালের মৃত্যুর পর তার পুত্র দ্বিতীয় মহীপাল (১০৭৫-১০৮০) সিংহাসনে বসেন।

তাঁর সময় বরেন্দ্র অঞ্চলে বিদ্রোহ শুরু হয় যা ‘কৈবর্ত্য বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত। এর নেতা ছিলেন দিব্য।

তিনি দ্বিতীয় মহীপালকে হত্যা করেন এবং বরেন্দ্র দখল করেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
14
Q

স্বাধীন গৌড় রাজ্যের উদ্ভব ঘটে কোন শতকে?

A

ষষ্ঠ।

ষষ্ঠ শতকের শেষের দিকে গৌড়ের পরবর্তী গুপ্তবংশীয় রাজাগণ দুর্বল হয়ে পড়েন। এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে সামন্তরাজা শশাঙ্ক ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দের গোড়ার দিকে গৌড় অঞ্চলে ক্ষমতা দখল করে স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

স্বাধীন গৌড়রাজ্য বাংলার উত্তর, উত্তর পশ্চিমাংশ ও মগধে বিস্তৃত ছিল।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
15
Q

বিখ্যাত বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র ‘বিক্রমশীল বিহার’ নির্মাণ করেন-

A

ধর্মপাল।

পাল বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন - ধর্মপাল। তিনি প্রায় ৪০ বছর (৭৮১-৮২১) রাজত্ব করেন।

পাল সাম্রাজ্য এবং প্রতিপত্তি বিস্তারে ধর্মপালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাই প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনি ‘বিক্রমশীলদেব’ উপাধি গ্রহণ করেন।

ভাগলপুরের ২৪ মাইল পূর্বে তিনি ‘বিক্রমশীল বিহার’ নামে বৌদ্ধ বিহার বা মঠ নির্মাণ করেন।

নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর নামক স্থানে বিখ্যাত বৌদ্ধ বিহার সোমপুর বিহারেরও প্রতিষ্ঠাতা রাজা ধর্মপাল। এখনো পর্যন্ত সোমপুর বিহার ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ বিহার হিসেবে স্বীকৃত। এটিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐহিত্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
16
Q

বাংলার প্রথম রাজা ছিলেন

A

শশাঙ্ক।

বাংলার প্রথম রাজা ছিলেন শশাঙ্ক।

শশাঙ্ক গৌড়ের রাজা ছিলেন। তিনি ৬০৬ সালে স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।শশাঙ্ক পুরো বাংলাকে একত্র করে শাসন করেছিলেন। এজন্য উনাকে বাংলার প্রাচীন বাংলার প্রথম সার্বভৌম শাসক বলা হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
17
Q

সমগ্র বাংলায় নিজ ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করার পর কোন শাসক ‘গৌড়েশ্বর’ উপাধি গ্রহণ করেন?

A

লক্ষণ সেন।

৬০ বছর বয়সে লক্ষণ সেন বাংলার শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

তিনি কামরূপ, কলিঙ্গ ও কাশি জয় করেন। তিনি গৌড় জয় করেন।

সমগ্র বাংলায় নিজ ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করার পর লক্ষণ সেন ‘গৌড়েশ্বর’ উপাধি গ্রহণ করেন।

তাঁর নামানুসারে গৌড়ের রাজধানী লক্ষণাবতী নেওয়া হয়।

গোপালের মৃত্যুর পর তার পুত্র ধর্মপাল বাংলার নৃপতি হন। পাল সাম্রাজ্য এবং প্রতিপত্তি বিস্তারে ধর্মপালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তিনি ‘বিক্রমশীলদেব’ উপাধি গ্রহণ করেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
18
Q

বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম কোন রাজা শৈব ধর্মের অনুসারী ছিলেন?

A

শশাঙ্ক।

বাংলার প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম রাজা শশাঙ্ক শৈব ধর্মের অনুসারী ছিলেন।

বিখ্যাত চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং শৈব ধর্মের অনুসারী রাজা শশাঙ্ককে বৌদ্ধধর্ম বিদ্বেষী / বৌদ্ধ ধর্মের নিগ্রহকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

শশাঙ্ক একজন সুশাসক ছিলেন। তার রাজধানী ছিল মুর্শিদাবাদের নিকটবর্তী কর্ণসুবর্ণ। তার আমলে তাম্রলিপ্ত বন্দর গুরুত্ব লাভ করে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
19
Q

মৌর্য সাম্রাজের রাজধানী ছিল

A

পাটলীপুত্র।

আলেকজান্ডারের ভারত ত্যাগের মাত্র দুই বছর পর ৩২১ খ্রিষ্টপূর্বে মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ভারতের এক বিশাল অঞ্চলের ওপর মৌর্য বংশের প্রভুত্ব স্থাপন করেন। তার শাসনামলে পাটলিপুত্র ছিল রাজধানী।

উত্তর বাংলায় মৌর্য শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে (২৬৯-২৩২ খ্রিষ্টপূর্ব)। অঞ্চলটি মৌর্যদের একটি প্রদেশে পরিণত হয়েছিল।
প্রাচীন পুণ্ড্রনগর ছিল এ প্রদেশের রাজধানী

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
20
Q

কে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন?

A

ইন্দ্রগুপ্ত।

দেবপাল বিদ্যা ও বিদ্বানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ পণ্ডিতগণ তাঁর রাজসভা অলঙ্কৃত করতেন। দেবপালের পৃষ্ঠপোষকতায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় তখন সমগ্র এশিয়ায় বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রধান প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।

বৌদ্ধশাস্ত্রে পারদর্শী ইন্দ্রগুপ্ত নামক ব্রাহ্মণকে তিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বা অধ্যক্ষ নিযুক্ত করেছিলেন। এ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই তার শাসন আমলে উত্তর-ভারতে প্রায় হারিয়ে যাওয়া বৌদ্ধধর্ম পুনরায় সজীব হয়ে ওঠে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
21
Q

কৈবর্ত্য বিদ্রোহের সময় সেন বংশের কোন রাজা রামপালকে সাহায্য করেন?

A

বিজয় সেন।

হেমন্ত সেনের মৃত্যুর পর তার পুত্র বিজয় সেন (১০৯৮-১১৬০ খ্রিষ্টাব্দে) সিংহাসনে আরোহণ করেন। তার সুদীর্ঘ রাজত্বকালই সেন বংশের শাসনের শক্তিশালী ভিত্তি সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিল।

কৈবর্ত্য বিদ্রোহের সময় বিজয় সেন রামপালকে সাহায্য করেন। বরেন্দ্র উদ্ধারে রামপালকে সাহায্য করার বিনিময়ে বিজয় সেন স্বাধীনতার স্বীকৃতি পান।

রাঢ় শূর বংশের রাজকন্যা বিলাসদেবীকে তিনি বিয়ে করেন এবং বৈবাহিক আত্মীয়তার সূত্র ধরে রাঢ় বিজয় সেনের অধিকারে আসে।

22
Q

সেন বংশের কোন শাসক সুপণ্ডিত হিসেবে পরিচিত?

A

বল্লাল সেন।

সেন বংশে বল্লাল সেন ছিলেন অত্যন্ত সুপণ্ডিত। বিদ্যা ও বিদ্বানের প্রতি তাঁর যথেষ্ট অনুরাগ ছিল। তিনি বেদ, স্মৃতি, পুরাণ প্রভৃতি শাস্ত্র অধ্যয়ন করেছিলেন।

কবি বা লেখক হিসেবে সংস্কৃত সাহিত্যে তাঁর দান অপরিসীম। তিনি ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভুতসাগর’ নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। অবশ্য ‘অদ্ভুতসাগর’ গ্রন্থের অসমাপ্ত অংশ তাঁর পুত্র লক্ষণ সেন সম্পূর্ণ করেছিলেন।

23
Q

গুপ্ত যুগে কোন পরিব্রাজক ভারতবর্ষে আসেন-

A

ফা-হিয়েন।

দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে চীনা পরিব্রাজক ফা-হিয়েন ভারতবর্ষে আসেন। তিনি ১০ বছর ভারতে অবস্থানকালে তাঁর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে ৭টি গ্রন্থ রচনা করেন। এর মধ্যে ‘ফো-কুয়ো-কিং’ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময়ে গ্রিক পরিব্রাজক মেগাস্থিনিস ভারতবর্ষে আগমন করে ভারতের শাসন প্রকৃতি, ভৌগোলিক বিবরণ, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ইন্ডিকা’তে লিপিবদ্ধ করেন।

হিউয়েন সাং ছিলেন চীন দেশীয় বৌদ্ধ পণ্ডিত। হর্ষবর্ধনের দরবারে তিনি আট বছর কাটান।

24
Q

বিখ্যাত বৌদ্ধ শিক্ষাকেন্দ্র ‘বিক্রমশীল বিহার’ নির্মাণ করেন-

A

ধর্মপাল।

পাল বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন - ধর্মপাল। তিনি প্রায় ৪০ বছর (৭৮১-৮২১) রাজত্ব করেন।

পাল সাম্রাজ্য এবং প্রতিপত্তি বিস্তারে ধর্মপালের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। তাই প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে তিনি বিখ্যাত হয়ে আছেন। তিনি ‘বিক্রমশীলদেব’ উপাধি গ্রহণ করেন।

ভাগলপুরের ২৪ মাইল পূর্বে তিনি ‘বিক্রমশীল বিহার’ নামে বৌদ্ধ বিহার বা মঠ নির্মাণ করেন।

নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর নামক স্থানে বিখ্যাত বৌদ্ধ বিহার সোমপুর বিহারেরও প্রতিষ্ঠাতা রাজা ধর্মপাল। এখনো পর্যন্ত সোমপুর বিহার ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ বিহার হিসেবে স্বীকৃত। এটিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐহিত্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

25
Q

সপ্তম শতকের স্বাধীন গৌড়রাজ্যের রাজধানী ছিলো কোথায়?

A

কর্ণসুবর্ণ।

সপ্তম শতকের প্রারম্ভে বাংলার প্রথম স্বাধীন নৃপতি শশাঙ্ক উত্তর বাংলায় একটি শক্তিশালী স্বাধীন রাজ্য গড়ে তোলেন যা গৌড়রাজ্য নামে পরিচিত। এই রাজ্যের রাজধানী ছিলো মুর্শিদাবাদ জেলার নিকটবর্তী কর্ণসুবর্ণ।

উত্তর বাংলা থেকে উড়িষ্যা পর্যন্ত স্বাধীন গৌড়রাজ্যের বিস্তৃতি ছিলো। ৫৯৪ খ্রি. থেকে ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত শশাঙ্ক গৌড়রাজ্য শাসন করেন।

26
Q

পাল বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন কে?

A

ধর্মপাল।

পাল বংশ প্রাচীন বাংলার সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ যারা প্রায় চারশ বছর বাংলা শাসন করে।
৭৫০ সালে গোপাল মাৎস্যনায় অবস্থার অবসান ঘটিয়ে পাল শাসনের সূত্রপাত করেন। গোপাল ৭৫০ খ্রি. থেকে ৭৮১ খ্রি. পর্যন্ত শাসন করেন।

পাল বংশের শ্রেষ্ঠতম শাসক ছিলেন ধর্মপাল। তিনি প্রায় (৭৮১-৮২১ খ্রি.) ৪০ বছর বাংলা শাসন করেন। তার উপাধি ছিলো পরমেশ্বর, পরমভট্টারক, মহারাজাধিরাজ প্রভৃতি।

বাংলার পাল রাজবংশের সর্বশেষ রাজা হলেন মদনপাল। তিনি ১১৪৩ খ্রি. থেকে ১১৬১ খ্রি. পর্যন্ত শাসন করেন।
মদনপালকে পরাজিত করে বিজয় সেন উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম বাংলায় সেন শাসনের সূচনা করেন।

27
Q

চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং-এর দীক্ষাগুরু কে ছিলেন?

A

শিলভদ্র।

হিউয়েন সাং হর্ষবর্ধনের শাসনামলে বাংলায় আসেন। তিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন। তাছাড়াও গুপ্ত যুগে বাংলায় ভ্রমণকারী প্রথম পর্যটক ছিলেন ফা হিয়েন।

28
Q

বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তির বিষয়টি কোন গ্রন্থে সর্বাধিক উল্লিখিত হয়েছে?

A

আইন-ই-আকবরী।

ফার্সি ভাষায় ৩ খণ্ডের ‘আকবরনামা’ ও এর তৃতীয় খণ্ড ‘আইন-ই-আকবরী’ রচনা করেন আবুল ফজল। তিনি আকবরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আকবরের আমলে সমগ্র বাংলা পরিচিতি পায় ‘সুবেহ বাঙ্গালা’ নামে। সম্রাট আকবর মনসবদারী (পদমর্যাদা) প্রথা, বাংলা সন এবং বর্ষপঞ্জী চালু করেন। সম্রাট আকবর ফতেহপুর সিক্রি’র বুলন্দ দরওয়াজা, অমৃতসর স্বর্নমন্দির নির্মান করেন।

29
Q

চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং-এর দীক্ষাগুরু কে ছিলেন?

A

শিলভদ্র।

হিউয়েন সাং হর্ষবর্ধনের শাসনামলে বাংলায় আসেন। তিনি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন। তাছাড়াও গুপ্ত যুগে বাংলায় ভ্রমণকারী প্রথম পর্যটক ছিলেন ফা হিয়েন।

30
Q

নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অবস্থিত সোমপুর বিহার এর প্রতিষ্ঠাতা কে?

A

ধর্মপাল।

পাল বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন ধর্মপাল। তিনি সোমপুর বিহারের (পাহাড়পুর বিহার) নির্মাতা। এটি নওগাঁ জেলার ওমপুর গ্রামে অবস্থিত। এটিতে আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশিদের মুদ্রা রক্ষিত রয়েছে। ধর্মপাল বিক্রমশীল ও দন্তপুর বিহারও নির্মাণ করেন।

পাল বংশের রাজত্বকাল বাংলার প্রথম দীর্ঘস্থায়ী রাজত্ব যা প্রায় চারশ বছর স্থায়ী ছিল। পাল রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন।

গোপাল ছিলেন পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা।

মহাস্থানগড় পাল বংশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন।

31
Q

মেঘদূত কাব্য’ কার লেখা?

A

মহাকবি কালিদাস।

কালিদাস ছিলেন গুপ্ত বংশের রাজা বিষ্ণুগুপ্তের সভাকবি। কালিদাসকে তুলনা করা হয় উইলিয়াম শেক্সপিয়রের সাথে।

32
Q

বাংলার প্রথম সার্বভৌম শাসক কে ছিলেন?

A

শশাঙ্ক।

শশাঙ্ক ছিলেন বাংলার প্রথম সার্বভৌম শাসক।

গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতায় অরাজক অবস্থা বিরাজ করে ২টি স্বাধীন রাজ্য সৃষ্টি হয়, বঙ্গ ও গৌড়। গৌড়ের স্বাধীন রাজা ছিলেন শশাঙ্ক। তিনি প্রাচীন বাংলার জনপদগুলোকে গৌড় নামে একত্রিত করেন।

শশাঙ্কর রাজধানী ছিল – মালদহ জেলার কর্ণসুবর্ণ (মুর্শিদাবাদ জেলার রাঙ্গামাটির নিকটবর্তী)

33
Q

ময়নামতির আবিষ্কার-

A

১৯৫৫ সালে।

ময়নামতি বাংলাদেশের কুমিল্লায় অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক স্থান। এটার অপর নাম শালবন বিহার। এটা নির্মাণ করেন রাজা ভবদেব।

এখানের বিখ্যাত পুরাকীর্তি: আনন্দ বিহার, আনন্দ রাজার দীঘি, রানির বাংলা বিহার, ভোজ বিহার, কোটিলা মুড়া, রূপবান মুড়া, বৈরাগীর মুড়া ও চারপত্র মুড়া।

34
Q

আনন্দ বিহার কোথায় অবস্থিত?

A

ময়নামতি।

আনন্দবিহার বাংলাদেশের অন্যতম সমৃদ্ধ ও প্রাচীন একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার অন্তর্গত কোটবাড়ি এলাকায় অবস্থিত।

দেব রাজবংশের তৃতীয় শাসক শ্রী আনন্দ দেব এটি নির্মাণ করেন।

35
Q

গ্রীষ্মের দাবদাহ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সাথে তুলনা করতে গিয়ে বাংলাকে ‘দোজখ-ই-পুর নিয়ামত’ অর্থাৎ প্রাচুর্যপূর্ণ নরক বলে অভিহিত করেন কোন পরিব্রাজক?

A

ইবনে বতুতা।

মরক্কোর পর্যটক ইবনে বতুতা ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় সফর করেন। তাঁর পুরো নাম শেখ আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ।

ইবনে বতুতা দিল্লিতে ভ্রমণ করেন মুহম্মদ বিন তুঘলকের আমলে এবং বাংলায় ভ্রমণ করেন ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ এর আমলে।

কিতাবুল রেহালা বা সফরনামা তার লেখা একটি গ্রন্থ।

36
Q

মাৎস্যন্যায় কি?

A

আইন-শৃঙ্খলাহীন অরাজক অবস্থা।

মাৎস্যন্যায় এর সময়কাল আনুমানিক ৬৫০ থেকে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ মোট ১০০ বছর। এটা সংঘটনের কারণ শশাংকের মৃত্যুর পর হর্ষবর্ধনের ক্ষমতা লাভের পর ‘গৌড়’ রাজ্য ভেঙে ‘কর্ণসুবর্ণ’, সমতট, তাম্রলিপিসহ একাধিক রাজ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। তখন রাজ্যসমূহের প্রতাপশালীগণ পরস্পরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল।

37
Q

প্রাচীনতম নগর-

A

মহাস্থানগড়।

মহাস্থানগড় বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রাচীন পুরাকীর্তি। কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এ স্থান মৌর্য, গুপ্ত, পাল, সেন শাসকবর্গের প্রাদেশিক রাজধানী ও পরবর্তীকালে হিন্দু সামন্ত রাজাদের রাজধানী ছিল। মহাস্থানগড়ের অবস্থান বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর তীরে। এখানে মৌর্য ও গুপ্ত বংশের পুরাকীর্তি রয়েছে।

বিখ্যাত সাধক শাহ সুলতান বলখির মাজারও এখানে অবস্থিত।

38
Q

পণ্ডিত বিহার ছিল-

A

চট্টগ্রামে।

পণ্ডিত বিহার ছিল চট্টগ্রামে।

পাহাড়পুর, নওগাঁয় ছিল জগদ্দল বিহার।

শিবগঞ্জ, বগুড়ায় ছিল ভাসু বিহার।

39
Q

বাংলাদেশে অবস্থিত প্রাচীনতম বিহার-

A

সীতাকোট বিহার

সীতাকোট বিহার একটি বৌদ্ধ বিহার। বিহারটি দিনাজপুর জেলার নওয়াবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত।

40
Q

প্রাচীন বাংলার সবগুলো জনপদই একত্রে বাংলা নামে পরিচিতি লাভ করে কার শাসনামল থেকে?

A

শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।

ইলিয়াস শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ বাংলার স্বাধীন সালতানাতকে সুদৃঢ় করেন।

প্রাচীন বাংলার সবগুলো জনপদই একত্রে বাংলা নামে পরিচিতি লাভ করে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ এর শাসনামল থেকে।

41
Q

বাংলার প্রাচীন নগর কর্ণসুবর্ণ এর অবস্থান ছিল ?

A

মুর্শিদাবাদ।

কর্ণসুবর্ণ ছিল বাংলার প্রথম স্বাধীন শাসক শশাঙ্কের রাজধানী। শশাঙ্ক ছিলেন স্বাধীন রাজ্য ‘গৌড়ের’ রাজা। তিনি পুরো বাংলাকে একত্র করে শাসন করেছিলেন।
এজন্য উনাকে বাংলার প্রাচীন বাংলার প্রথম সার্বভৌম শাসক বলা হয়।

42
Q

মৌর্য ও গুপ্ত বংশের রাজধানী কোথায় ছিল?

A

মহাস্থানগড়।

মৌর্য ও গুপ্ত বংশের রাজধানী ছিল মহাস্থানগড়।

মহাস্থানগড় বগুড়া জেলার করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। এটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত।

এখানে বিখ্যাত পুরাকীর্তি যেমন- ভাসু বিহার, বৈরাগীর ভিটা, গোবিন্দ ভিটা ও খোদার পাথর ভিটা আছে। এছাড়াও রয়েছে বিখ্যাত সাধক শাহ সুলতান বলখির মাজার।

43
Q

ঐতিহাসিক পানামনগর’ কোথায়?

A

সোনারগাঁ।

পানাম নগর নারায়ণগঞ্জ জেলার, সোনারগাঁতে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন শহর।

১৫ শতকে ঈসা খাঁ বাংলার প্রথম রাজধানী স্থাপন করেছিলেন সোনাগাঁওয়ে। পূর্বে মেঘনা আর পশ্চিমে শীতলক্ষ্যা নদীপথে বিলেত থেকে আসতো বিলাতি থানকাপড়, দেশ থেকে যেতো মসলিন। শীতলক্ষ্যা আর মেঘনার ঘাটে প্রতিদিনই ভিড়তো পালতোলা নৌকা। প্রায় ঐসময়ই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে ইউরোপীয় অনুপ্রেরণায় নতুন ঔপনিবেশিক স্থাপত্যরীতিতে গড়ে উঠে পানাম নগরী।

44
Q

দেবরাজা নন-

A

কান্তিদেব।

দেবরাজা নন কান্তিদেব।

দেব রাজবংশ মধ্যযুগীয় বঙ্গের একটি হিন্দু রাজবংশ। দেব রাজবংশের রাজধানী ছিল বর্তমান বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে। শিলালিপি থেকে এই রাজবংশের চারজন রাজার নাম পাওয়া যায়: শান্তিদেব, বীরদেব, আনন্দদেব ও ভবদেব।

45
Q

সীতাকোট বিহার কোথায় অবস্থিত?

A

দিনাজপুর।

দিনাজপুরে অবস্থিত সীতাকোট বিহার বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিহার। খ্রীস্টীয় ৫ম থেকে ৬ষ্ঠ শতকে এটি নির্মাণ করা হয়।

46
Q

প্রাচীন বাংলায় বুনিয়াদ গড়ে ওঠেছিল-

A

আর্যপূর্ব যুগে।

প্রাচীন বাংলায় বুনিয়াদ গড়ে ওঠেছিল আর্যপূর্ব যুগে।

সমগ্র বাঙালি জাতিকে মোটাদাগে দুভাগে ভাগ করা যায়।

১. প্রাক আর্য/ আর্যপূর্ব জনগোষ্ঠী/ অনার্য নরগোষ্ঠী ও
২. আর্য নরগোষ্ঠী।
প্রাক আর্য নরগোষ্ঠিকে আবার চার ভাগে ভাগ করা যায়।
ক. নেগ্রিটো, খ. অস্ট্রিক, গ. দ্রাবিড় ও ঘ. ভোটচীনীয়।

প্রায় পাঁচ-ছয় হাজার বছর পূর্বে অস্ট্রিক জাতি ইন্দোচীন থেকে বাংলায় প্রবেশ করে এবং নেগ্রিটোদের পরাজিত করে। বাঙালি জাতির প্রধান অংশ এ জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।

47
Q

আবুল ফজল ও মীর্জা নাথানের মতে ‘ইছনা আশারা’ হলাে-

A

বার ভূঁইয়া

আবুল ফজল ও মীর্জা নাথানের মতে ‘ইছনা আশারা’ হলাে বার ভূঁইয়া।

বারো ভূঁইয়া বাংলার স্থানীয় প্রধান ও জমিদার, যাঁরা আকবর ও জাহাঙ্গীর এর রাজত্বকালে মুগলবিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। বারো-ভূঁইয়া শব্দটির অর্থ বারোজন ভূঁইয়া। তবে কারা ছিলেন এ বারোজন ভূঁইয়া তা বহুদিন পর্যন্ত সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায় নি।

সমগ্র বাংলাকে বিবেচনায় নিলে ভূঁইয়াদের সংখ্যা বারোর চেয়ে অনেক বেশি ছিল।

বারো ভূঁইয়া নিয়ন্ত্রিত এলাকা ছিল বাংলার ভাটি অঞ্চল। ভাটি অঞ্চল হলো গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনার বিধৌত অঞ্চল অর্থাৎ ঢাকা, ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা এবং সিলেটের নিম্নাঞ্চল।

48
Q

মৌর্য বংশের শাসক কে?

A

চন্দ্রগুপ্ত।

চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন মৌর্য বংশের প্রথম সম্রাট।

ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম সাম্রাজ্যের নাম মৌর্য সাম্রাজ্য।

আলেকজান্ডার পরবর্তী সময়ে ও আর্যদের আগমনের পূর্বে মৌর্য বংশ ভারত শাসন করে। মৌর্য সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল পুন্ড্রনগর। বাংলায় মৌর্যশাসন প্রতিষ্ঠা করেন অশোক।

49
Q

ধর্মপালের প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

A

গর্গ

ধর্মপালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন গর্গ।

পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপালের মৃত্যুর পর ধর্মপাল (৭৮১-৮২১ খ্রি.) বাংলার সিংহাসনে বসেন। পাল রাজাদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ। বাংলা ও বিহারব্যাপী তাঁর শাসন প্রতিষ্ঠিত ছিল।

ধর্মপাল হিন্দু ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। তার প্রধানমন্ত্রী গর্গ ছিলেন একজন ব্রাহ্মণ

50
Q

আর্যরা ভারতে প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল-

A

উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল ও পাঞ্জাবে।

আর্যরা ভারতে প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল ও পাঞ্জাবে।

আর্যদের আদিনিবাস ইউরোপের ইউরাল পর্বতের দক্ষিণের তৃণভূমি এলাকায়। খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে তারা বাংলায় প্রবেশ করে।

বাংলার আদি অধিবাসীদের ভাষা ছিল অস্ট্রিক। আর্যদের আগমনের ফলে ধীরে ধীরে অস্ট্রিক ভাষা হারিয়ে যেতে থাকে এবং বিবর্তনের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়।

51
Q

দানসাগর ও অদ্ভুতসাগর গ্রন্থ রচনা করেন কে?

A

বল্লাল সেন।

দানসাগর ও অদ্ভুতসাগর গ্রন্থ রচনা করেন বল্লাল সেন।

বিজয় সেনের মৃত্যুর পর আনুমানিক ১১৬০ সালে তার পুত্র বল্লাল সেন সিংহাসনে আরোহণ করেন।

তিনি রাজ্য জয়ের চেয়ে দেশের ভেতরে উন্নয়ন, নতুন প্রথা চালু ও সংস্কারের কাজে অধিকতর মনোযোগী ছিলেন।

তবে তিনি গোবিন্দপালকে পরাজিত করে মগধের পূর্বাঞ্চল অধিকার করেন।
কথিত আছে যে, বল্লাল সেন তাঁর পিতার রাজত্বকালে মিথিলা জয় করেন।
বল্লাল সেন বিদ্যান ও বিদ্যোৎসাহী রাজা ছিলেন।

তিনি ব্রতসাগর, আচারসাগর, প্রতিষ্ঠাসাগর, দানসাগর ও অদ্ভুতসাগর নামে পাঁচটি গ্রন্থ রচনা করেন ।
কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তক হিসেবে বল্লাল সেন ইতিহাসে বিশেষভাবে পরিচিত।