বাংলাদেশের ইতিহাস : প্রাচীন যুগ -৬ Flashcards
রাজা কণিষ্ক কোন বংশের শাসক ছিলেন?
কুষাণ।
রাজা কণিষ্ক কুষাণ বংশের শাসক ছিলেন।
মৌর্য সাম্রাজ্যের পতনের পর যেসব বৈদেশিক জাতি ভারতে অনুপ্রবেশ করে তাদের মধ্যে কুষাণরাই ছিল সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য।
মৌর্যদের পর তারাই প্রথম একটি বিরাট সাম্রাজ্য স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
কুষাণদের আদি নিবাস চীনের উত্তর-পশ্চিমাংশে।
কুজুল কদফিসেস ছিলেন কুষাণ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
কুজুল কদফিসেস মারা গেলে তাঁর পুত্র বিম কদফিসেস রাজা হন।
বিম কদফিসেসের পর অন্য কুষাণদের একটি রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
এই বংশের প্রথম রাজা ছিলেন কণিষ্ক।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের আদি পুরুষ কে?
শ্রীগুপ্ত।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের আদি পুরুষ ছিলেন শ্রীগুপ্ত।
খ্রিস্টীয় তিন শতকের শেষ এবং চার শতকের প্রথমদিকে সম্ভবত প্রথম চন্দ্রগুপ্ত অথবা সমুদ্রগুপ্তের মাধ্যমে বাংলায় গুপ্ত শাসন সম্প্রসারিত হয়। শ্রীগুপ্ত হচ্ছেন গুপ্ত বংশের আদি পুরুষ। পাটলীপুত্র (মগধের অভ্যন্তরে) নগরের অদূরে শ্রীগুপ্তের রাজত্ব ছিল।
প্রথম চন্দ্রগুপ্তের হাত ধরে গুপ্ত শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
বঙ্গ ও গৌড় দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে কত শতকে?
ষষ্ঠ শতকে।
বঙ্গ ও গৌড় দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে ষষ্ঠ শতকে।
৬ষ্ঠ শতাব্দীতে বিশাল গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে।
সেই অস্থিতিশীল পরিবেশে বাংলাদেশে দুটো স্বাধীন রাষ্ট্রের উত্থান ঘটে।
এর একটি হচ্ছে স্বাধীন ‘বঙ্গ রাষ্ট্র’, অপরটি ‘গৌড় রাজ্য।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমগ্র দক্ষিণ ও পূর্ব বঙ্গে একটি স্বাধীন রাজ্যের উত্থান ঘটে। বর্তমান পশ্বিমবঙ্গের কিছুঅংশ পর্যন্ত এর বিস্তৃতি ছিল।
স্বাধীন বঙ্গ রাষ্ট্রের রাজারা তামার পাতে খোদাই করা রাজ নির্দেশ জারি করতেন। এগুলোকে তাম্রশাসন বলা হতো।
এ রকম ৭টি তাম্রশাসন পাওয়া গেছে। স্বাধীন বঙ্গরাজ্যে চন্দ্রগুপ্ত, ধর্মাদিত্য ও সমাচারদেব নামের তিনজন রাজার নাম জানা যায়।
তারা ৫২৫ থেকে ৬০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মোট ৭৫ বছর রাজত্ব করেন। সম্ভবত চন্দ্ৰগুপ্ত একাই ৩৩ বছর শাসন করেছেন বলে জানা যায়।
বঙ্গের রাজাগণ ‘মহাধিরাজ’ উপাধি ধারণ করতেন।
৬ষ্ঠ শতাব্দীর শেষের দিকে দাক্ষিণাত্যের চাণক্য রাজ বংশের রাজা কীর্তি বর্মণ দ্বারা বাংলা আক্রান্ত হয়।
সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন -
চাণক্য।
সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন চাণক্য।
সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী কৌটিল্য যিনি অতীব বুদ্ধিমান ‘চাণক্য’ বা সম্রাটের প্রাথমিক জীবনের শিক্ষক বিষ্ণুগুপ্ত বলেও পরিচিত।
চাণক্য খ্রিস্টপূর্ব ৩৭০ অব্দে জন্ম গ্রহণ করে ।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও অর্থনীতির দিকপাল ও ভারতের ম্যাকিয়াভ্যালি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
চন্দ্রগুপ্তের এবং বিন্দুসারের উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন ।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হল অর্থশাস্ত্র (১৫ খন্ডে) ও চাণক্যনীতি।
ইবনে জুযাই’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
ইবনে বতুতা।
‘ইবনে জুযাই’ গ্রন্থের রচয়িতা ইবনে বতুতা।
ইবনে বতুতা (মরক্কো) ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় সফর করেন ফখরুদ্দীন মুবারক শাহের আমলে।
তাঁর পুরো নাম শেখ আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ।
তাঁর রচিত গ্রন্থ- ইবনে জুযাই , কিতাবুল রেহালা।
মেগান্থিসিস প্রাচীন গ্রীসের একজন পর্যটক এবং ভূগোলবিদ।
ফা-হিয়েন বাংলায় ভ্রমণকারী প্রথম চীনা পরিব্রাজক। বাংলায় আসেন দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের (৩৮০-৪১৩খ্রি.) সময়ে।
রামচরিত’ কে রচনা করেন?
সন্ধ্যাকর নন্দী।
‘রামচরিত’ কে রচনা করেন সন্ধ্যাকর নন্দী।
সন্ধ্যাকর নন্দী বাংলার পাল শাসনামলের একজন প্রাচীন কবি। আনুমানিক ১০৮৪ সালে উত্তরবঙ্গের প্রাচীন নগরী পুন্ড্রবর্ধনের বৃহদ্বটু গ্রামে (এখন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জের বটুন গ্রামে) তার জন্ম।
মাৎস্যন্যায় কী?
আইন শৃঙ্খলাহীন অরাজক অবস্থা।
মাৎস্যন্যায় বলতে আইন শৃঙ্খলাহীন অরাজক অবস্থাকে বোঝায়।
মাৎস্যন্যায় এর সময়কাল আনুমানিক ৬৫০ থেকে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ মোট ১০০ বছর। এটা সংঘটনের কারণ শশাংকের মৃত্যুর পর হর্ষবর্ধনের ক্ষমতা লাভের পর ‘গৌড়’ রাজ্য ভেঙে ‘কর্ণসুবর্ণ’, সমতট, তাম্রলিপিসহ একাধিক রাজ্যে বিভক্ত হয়ে যায়। তখন রাজ্যসমূহের প্রতাপশালীগণ পরস্পরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল।
কোনটির অবস্থান মহাস্থানগড়ে নয়?
সত্যপীরের ভিটা।
সত্যপীরের ভিটা সোমপুর বিহার, নওগাঁতে অবস্থিত।
মহাস্থানগড় বগুড়া জেলার করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত। এটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত।
এখানে বিখ্যাত পুরাকীর্তি যেমন- ভাসু বিহার, বৈরাগীর ভিটা, গোবিন্দ ভিটা ও খোদার পাথর ভিটা আছে। এছাড়াও বিখ্যাত সাধক শাহ সুলতান বলখির মাজার আছে এখানে।
প্রাচীনতম শাসন ব্যবস্থা কোনটি?
কৌম সমাজ।
প্রাচীনতম শাসন ব্যবস্থা হলো কৌম সমাজ।
মৌর্য শাসনের পূর্বে ব্যাপক অর্থে বাংলার অধিবাসীদের মধ্যে রাজনৈতিক পরিচয় গড়ে ওঠেনি। এ সময়ে সমাজ বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত ছিল। একে বলা হতো কৌম সমাজ।
উয়ারি-বটেশ্বর নগর সভ্যতা কত বছর পূর্বের?
আড়াই হাজার বছর।
বাংলাদেশের প্রাচীনতম নগরী হলো উয়ারি-বটেশ্বর। আনুমানিক প্রায় আড়াইহাজার বছর আগে নরসিংদী জেলার উয়ারি-বটেশ্বরে নগর সভ্যতার বিকাশ ঘটে।
এটি দ্বিতীয় ভারতীয় সভ্যতার অন্তর্গত। উয়ারি-বটেশ্বর ছিলো একটি নদীবন্দর ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেন্দ্র।
মাৎস্যন্যায় অবস্থার অবসান করেন কে?
গোপাল।
৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে শশাঙ্কের মৃত্যুর পর যোগ্য শাসকের অভাবে বাংলায় অরাজকতা দেখা দেয়। সর্বত্র অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, লুটতরাজ প্রভৃতিতে ছেয়ে যায়। ঐতিহাসিকরা এ অবস্থাকে ‘মাৎস্যন্যায়’ হিসেবে অভিহিত করেন।
পুকুরে যেমন বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে, এ সময়ে বাংলার অবস্থাও তেমনটিই ছিলো। যার কারণে এ সময়কে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলা হয়।
৭ম শতকের মাঝামাঝি থেকে ৮ম শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় ১০০ বছর এ অবস্থা বিরাজমান ছিলো।
৭৫০ সালে গোপাল কর্তৃক পাল শাসনের সূত্রপাতের মাধ্যমে মাৎস্যন্যায় অবস্থার অবসান হয়।
চাঁদ রায় ও কেদার রায় কোন অঞ্চলের জমিদার ছিলেন?
বিক্রমপুর।
চাঁদ রায় ও কেদার রায় বিক্রমপুর অঞ্চলের জমিদার ছিলেন
মধ্যযুগে ষোল শতকের মাঝামাঝি থেকে সতের শতকের মধ্য সময় পর্যন্ত পূর্ব বাংলার যেসব জমিদার মুঘলদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে নিজেদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে সচেষ্ট ছিলেন তারা ‘বারোভূঁইয়া’ নামে পরিচিত।
বারোভূঁইয়া ও তাদের জমিদারি এলাকা-
ঈসা খান ও মুসা খান : সোনারগাঁও,
চাঁদ রায় ও কেদার রায় : বিক্রমপুর (মুন্সিগঞ্জ),
বাহাদুর গাজি : ভাওয়াল,
সোনাগাজি : সরাইল (উত্তর ত্রিপুরা),
ওসমান খান : বোকাইনগর (সিলেট),
বীর হামির বিষ্ণুপুর (বাকুড়া),
লক্ষণ মানিক্য : ভুলুয়া (নোয়াখালী),
পরমানন্দ রায় : চন্দ্রদ্বীপ (বরিশাল),
বিনোদ রায়/মধু রায় : চান্দপ্রতাপ (মানিকগঞ্জ),
মুকুন্দরা/সত্রজিৎ : ভূষণা (ফরিদপুর),
রাজা কন্দর্পনারায়ণ/রামচন্দ্র : বরিশাল জেলার অংশবিশেষ।
১৬১১ সালে মুঘল সুবাদার ইসলাম খান বারোভূঁইয়াদের দমন করে সমগ্র বাংলা মুঘল অধিকারে আনেন।
কোন যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে সম্রাট অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন?
কলিঙ্গ যুদ্ধ
- সম্রাট অশোক ভারতের মৌর্য সাম্রাজ্যের তৃতীয় শাসক ছিলেন। খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩ অব্দে তিনি সিংহাসনে বসেন। এর তের বছর পর খ্রিস্টপূর্ব ২৬১ অব্দে অশোক পার্শ্ববর্তী কলিঙ্গ রাজ্য আক্রমণ করেন।
- ভয়াবহ কলিঙ্গ যুদ্ধে সাধারণ মানুষসহ প্রায় লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। এ ভয়াবহতা সম্রাট অশোকের মনে গভীর প্রভাব ফেলে। এতে করে তিনি বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধ পরিহার করে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির নীতি গ্রহণ করেন।
- তিনি ঘোষণা করেন ‘সব মানুষই আমার সন্তান’।
- স্রমাট অশোক খ্রিস্টপূর্ব ২৭৩ অব্দ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ২৩২ অব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?
শ্রীগুপ্ত।
✔ গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীগুপ্ত। ✔ গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা/প্রথম স্বাধীন ও শক্তিশালী রাজা প্রথম চন্দ্রগুপ্ত। ✔ গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক সমুদ্রগুপ্ত। সমতট ব্যতীত সমগ্র বাংলা জয় করেন সমুদ্রগুপ্ত। ✔ গুপ্ত সাম্রাজ্যের শেষ শাসক বিষ্ণু গুপ্ত।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা কে?
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত।
✔ গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীগুপ্ত। ✔ গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা/প্রথম স্বাধীন ও শক্তিশালী রাজা প্রথম চন্দ্রগুপ্ত। ✔ গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক সমুদ্রগুপ্ত। সমতট ব্যতীত সমগ্র বাংলা জয় করেন সমুদ্রগুপ্ত। ✔ গুপ্ত সাম্রাজ্যের শেষ শাসক বিষ্ণু গুপ্ত
গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রথম স্বাধীন ও শক্তিশালী রাজা কে?
প্রথম চন্দ্রগুপ্ত।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা/প্রথম স্বাধীন ও শক্তিশালী রাজা প্রথম চন্দ্রগুপ্ত। ✔ গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীগুপ্ত। ✔গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক সমুদ্রগুপ্ত। সমতট ব্যতীত সমগ্র বাংলা জয় করেন সমুদ্রগুপ্ত। ✔ গুপ্ত সাম্রাজ্যের শেষ শাসক বিষ্ণু গুপ্ত।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক কে?
সমুদ্রগুপ্ত।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক সমুদ্রগুপ্ত। সমতট ব্যতীত সমগ্র বাংলা জয় করেন সমুদ্রগুপ্ত। তাকে প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ন বলা হয়। কাব্য রচনার জন্য কথিরাজ উপাধি পান-সমুদ্রগুপ্ত।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের শেষ শাসক কে?
বিষ্ণু গুপ্ত।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের শেষ শাসক বিষ্ণু গুপ্ত/দ্বিতীয় জীবিত গুপ্ত।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রথম রাজা/প্রথম স্বাধীন ও শক্তিশালী রাজা প্রথম চন্দ্রগুপ্ত। ✔ গুপ্ত সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীগুপ্ত। ✔গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক সমুদ্রগুপ্ত। সমতট ব্যতীত সমগ্র বাংলা জয় করেন সমুদ্রগুপ্ত
সমতট ব্যতীত সমগ্র বাংলা জয় করেন কোন সম্রাট?
সমুদ্রগুপ্ত।
গুপ্ত সাম্রাজ্যের শ্রেষ্ঠ শাসক সমুদ্রগুপ্ত। সমতট ব্যতীত সমগ্র বাংলা জয় করেন সমুদ্রগুপ্ত। তাকে প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ন বলা হয়। কাব্য রচনার জন্য কথিরাজ উপাধি পান-সমুদ্রগুপ্ত।
প্রাচীন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে-
গুপ্তযুগে।
নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে গুপ্তযুগে।
বর্তমান হিন্দু সংস্কৃতি মূলত কোন যুগের ফসল?
গুপ্তযুগে।
বর্তমান হিন্দু সংস্কৃতি মূলত কোন গুপ্তযুগের ফসল। এই যুগ ছিল আবিষ্কার, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, বাস্তুবিদ্যা, শিল্প, ন্যায়শাস্ত্র, সাহিত্য, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ধর্ম ও দর্শনের বিশেষ উৎকর্ষের যুগ। গুপ্ত যুগের আমলে অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি যেমন কালিদাস, আর্যভট্ট, বরাহমিহির, বিষ্ণু শর্মা -এর অবির্ভাব হয়েছিলো।
ফা-হিয়েন কার আমলে বাংলায় আসেন?
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।
৩০৯ খ্রিস্টাব্দে চীনা প্রথম পর্যটক ফা-হিয়েন বাংলাতে আসেন-২য় চন্দ্রগুপ্তের সময়। ফা-হিয়েন ভারত ভ্রমণ শেষে যে রাজ্যের মধ্য দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করেন- চম্পার রাজ্য। তিনি বাংলা ভ্রমণকারী প্রথম পরিব্রাজক।
বিক্রমাদিত্য কার উপাধি ছিল?
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।
২য় চন্দ্রগুপ্তের উপাধি - বিক্রমাদিত্য, বীরবিক্রম, সিংহবীর। ৩০৯ খ্রিস্টাব্দে চীনা প্রথম পর্যটক ফা-হিয়েন বাংলাতে আসেন-২য় চন্দ্রগুপ্তের সময়। ফা-হিয়েন ভারত ভ্রমণ শেষে যে রাজ্যের মধ্য দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করেন- চম্পার রাজ্য।
কোন যুগে গুণী ব্যক্তি ও প্রতিভাবানদের প্রধান ৯ জনকে বলা হতো- নবরত্ন?
গুপ্তযুগে।
গুপ্ত যুগের গুণী ব্যক্তি ও প্রতিভাবানদের প্রধান ৯ জনকে বলা হতো- নবরত্ন।বর্তমান হিন্দু সংস্কৃতি মূলত কোন গুপ্তযুগের ফসল। এই যুগ ছিল আবিষ্কার, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, বাস্তুবিদ্যা, শিল্প, ন্যায়শাস্ত্র, সাহিত্য, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ধর্ম ও দর্শনের বিশেষ উৎকর্ষের যুগ। গুপ্ত যুগের আমলে অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি যেমন কালিদাস, আর্যভট্ট, বরাহমিহির, বিষ্ণু শর্মা -এর অবির্ভাব হয়েছিলো। প্রাচীনকালে সাহিত্যের স্বর্ণযুগ বলা হয় গুপ্ত যুগকে।
কার সভায় আর্যভট্ট ও বরাহমিহির ছিলেন বিখ্যাত
বিজ্ঞানী?
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত।
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তর সভায় আর্যভট্ট ও বরাহমিহির ছিলেন বিখ্যাত
বিজ্ঞানী। আর্যভট্টর গ্রন্থের নাম আর্য সিদ্ধান্ত। তিনি প্রথম আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি নির্ণয় করেন। বরাহমিহির ছিলেন জোতির্বিদ। তার বিখ্যাত বই বৃহৎ সংহিতা।
কোন শাসনামলে কালিদাস তার বিখ্যাত মহাকাব্য মেঘদূত রচনা করেছিলেন?
গুপ্তযুগে।
সংস্কৃত ভাষার শ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার ছিলেন- মহাকবি কালিদাস। গুপ্ত যুগের বিখ্যাত কবি “কালিদাসের” মহাকাব্য হলো - মেঘদূত। অভিজ্ঞান শকুন্তল নাটক, রঘু বংশ ও কুমার সম্ভব মহাকাব্য রচনা করেন- কালিদাস।
কে প্রথম আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি নির্ণয়
করেন?
আর্যভট্ট।
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তর সভায় আর্যভট্ট ও বরাহমিহির ছিলেন বিখ্যাত
বিজ্ঞানী। আর্যভট্টর গ্রন্থের নাম আর্য সিদ্ধান্ত। তিনি প্রথম আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতি নির্ণয় করেন। বরাহমিহির ছিলেন জোতির্বিদ। তার বিখ্যাত বই বৃহৎ সংহিতা।
অবিভক্ত বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা বা সম্রাট কে?
শশাঙ্ক।
অবিভক্ত বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা বা সম্রাট শশাঙ্ক । • ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন শশাঙ্ক। শশাঙ্কের উপাধি – মহাসামন্ত, মহারাজাধিরাজ, গৌড়েশ্বর, গৌড়রাজ। প্রাচীন বাংলার ৩টি জনপদকে একত্র করে গৌড় নাম দেন— শশাঙ্ক । গৌড় রাজ্যের শক্তিশালী ও স্বাধীন রাজা শশাঙ্ক।
শশাঙ্কের রাজধানী ছিল – কর্ণসুবর্ণ (বর্তমান অবস্থান- মুর্শিদাবাদ)।
ভারতবর্ষে গুপ্ত যুগের ভাস্কর্যকে বলা হত-
ধ্রুপদী।
ভারতবর্ষে গুপ্ত যুগের ভাস্কর্যকে বলা হত-ধ্রুপদী।
কাদের আক্রমণে গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে?
ধ্রুপদী।
মধ্য এশিয়ার যাযাবর হুনদের আক্রমণে ভারতের বিশাল গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতন ঘটে ষষ্ট শতকে।
প্রাচীন বাংলার ৩টি জনপদকে একত্র করে গৌড় নাম দেন-
শশাঙ্ক।
প্রাচীন বাংলার ৩টি জনপদকে একত্র করে গৌড় নাম দেন— শশাঙ্ক । গৌড় রাজ্যের শক্তিশালী ও স্বাধীন রাজা শশাঙ্ক। শশাঙ্কের রাজধানী ছিল – কর্ণসুবর্ণ (বর্তমান অবস্থান- মুর্শিদাবাদ)।
বিভক্ত বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা বা সম্রাট শশাঙ্ক । ৫৯৪ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীন গৌড় রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন শশাঙ্ক। শশাঙ্কের উপাধি – মহাসামন্ত, মহারাজাধিরাজ, গৌড়েশ্বর, গৌড়রাজ।
শশাঙ্কের রাজধানী ছিল-
কর্ণসুবর্ণ।
শশাঙ্কের রাজধানী ছিল – কর্ণসুবর্ণ (বর্তমান অবস্থান- মুর্শিদাবাদ)।
শশাংক কোন ধর্মের উপাসক ছিলেন?
শৈব ধর্ম।
শশাংক শৈব ধর্মের উপাসক ছিলেন। ধারণা করা হয় শশাংক ছিলেন গুপ্ত রাজা মহাসেন গুপ্তের একজন মহাসামন্ত। তার পুত্র বা ভ্রাতুষ্পুত্র তার রাজধানী ছিলো কর্ণসুবর্ণ।
শশাংক কোন রাজার মহাসামন্ত ছিলে্ন?
মহাসেন গুপ্ত।
গুপ্ত রাজাদের অধীনে বড় কোনো অঞ্চলের শাসককে বলা হতো ‘মহাসামন্ত”।
ধারণা করা হয় শশাংক ছিলেন গুপ্ত রাজা মহাসেন গুপ্তের একজন মহাসামন্ত।
তার পুত্র বা ভ্রাতুষ্পুত্র।
প্রথম গণতান্ত্রিক শাসক ছিলেন
গোপাল।
প্রথম গণতান্ত্রিক শাসক ছিলেন-গোপাল। তিনি পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
ষোড়শ শতাব্দীর তিব্বতীয় ঐতিহাসিক লামা তারানাথ গোপালের ক্ষমতালাভ নিয়ে রূপকথাধর্মী কাহিনী বর্ণনা করেছেন।
কার পৃষ্ঠপোষকতায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় তখন সমগ্র এশিয়ায় বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রধান প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল?
দেবপাল।
দেবপালের পৃষ্ঠপোষকতায় নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় তখন সমগ্র এশিয়ায় বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রধান প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। এর অবস্থান: বিহার রাজ্য, ভারত।
এটি শ্রেষ্ঠ প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় (পঞ্চম শতকে নির্মিত)। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা; কুমার গুপ্ত। এটি বৌদ্ধ শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ছিল খ্রিষ্টীয় ৪২৭ অব্দ থেকে ১১৯৭ অব্দ পর্যন্ত। নালন্দা মহাবিহারের আচার্য ছিলেন: মহাবীর শীলভদ্র।
২০১৪ সালে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় চালু হয়। উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন
রামপালের সভাকবি ছিলেন-
সন্ধাকর নন্দী।
রামপালের সভাকবি ছিলেন-সন্ধাকর নন্দী। রামপালের আত্মজীবনীমূলক ইতিহাস গ্রন্থ - রামচরিতম এর লেখক সন্ধ্যাকর নন্দী।
পাল রাজাদের পিতৃভূমী ছিল কোনটি?
বরেন্দ্র।
বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন ‘চর্যাপদ রচিত হয়- পাল আমলে। পাল রাজারা ছিল বরেন্দ্র জনপদের দেশীয় শাসক (ধর্ম ছিল— বৌদ্ধ)। • বাংলার দীর্ঘস্থায়ী ও বংশানুক্রমিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেন- পাল রাজারা (প্রায় চারশত বছর)। নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরের সোমপুর বিহারের প্রতিষ্ঠাতা- ধর্মপাল। রামপালের আত্মজীবনীমূলক ইতিহাস গ্রন্থ - রামচরিতম (লেখক- সন্ধ্যাকর নন্দী)। রামপালের সভাকবি ছিলেন- সন্ধ্যাকর নন্দী।
তালপাতায় অঙ্কিত চিত্র সম্বলিত বৌদ্ধ গ্রন্থ ‘অষ্টসাহসিকা প্রজ্ঞাপারমিতা’ কার সময়ের?
বরেন্দ্র।
তালপাতায় অঙ্কিত চিত্র সম্বলিত বৌদ্ধ গ্রন্থ— ‘অষ্টসাহসিকা প্রজ্ঞাপারমিতা’ (পাণ্ডুলিপি- ১২টি) রঙ্গিন চিত্র বঙ্গীয় চিত্র কলার প্রাচীনতম নিদর্শন যার সময়ের প্রথম মহিপাল। তালপাতার পুঁথিচিত্র যে যুগের— পাল যুগের।
সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
সামন্ত সেন।
• সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা সামন্ত সেন (অপশনে এটা না থাকলে হেমন্ত সেন হবে)। • সেনরা আসেন - দাক্ষিণাত্যের কর্ণাটক থেকে। • সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা: সামন্ত সেন। • সেন বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা: বিজয় সেন। • কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তনকারি: বল্লাল সেন। • বাংলার শেষ হিন্দু রাজা: লক্ষণ সেন।
সেন বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক কে?
বিজয় সেন।
সেন বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা: বিজয় সেন। হুগলী জেলার ত্রিবেনীতে অবস্থিত বিজয়পুর ছিল বিজয় সেনের প্রথম রাজধানী। দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপন করা হয় বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুরে। বিজয় সেন পরম মাহেশ্বর, পরমেশ্বর, পরমততারক মহারাজাধিরাজ, অধিরাজ-বৃষভ-শঙ্কর প্রভৃতি উপাধি গ্রহণ করেন। সেন বংশের অধীনেই সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলা দীর্ঘকালব্যাপী একক রাজার অধীনে ছিল। ধর্মের দিক হতে বিজয় সেন ছিলেন শৈব।
কৌলিন্য প্রথার প্রবর্তনকারি কে?
বল্লাল সেন।
বিজয় সেনের পর সিংহাসনে আরোহণ করেন তাঁর পুত্র বল্লাল সেন (১১৬০-১১৭৮ খ্রিষ্টাব্দ)। বল্লাল সেন অত্যন্ত সুপণ্ডিত ছিলেন। বিদ্যা ও বিদ্বানের প্রতি তাঁর যথেষ্ট অনুরাগ ছিল। তিনি ‘দানসাগর’ ও ‘অদ্ভূতসাগর’ নামে দুটি গ্রন্থ রচনা করেন। বল্লাল সেন তন্ত্র হিন্দু ধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তিনি হিন্দু সমাজকে নতুন করে গঠন করার উদ্দেশ্যে ‘কৌলিন্য প্রথা প্রবর্তন করেছিলেন।
স্বাধীন সেন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে প্রথম ‘‘মহারাজা’’ উপাধি ধারণ করেন কে?
হেমন্ত সেন।
বাংলায় সেন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেন সামন্ত সেন। সামন্ত সেন প্রথমে বসতি স্থাপন করেন- রাঢ় অঞ্চলের গঙ্গা নদীর তীরে। তিনি বর্ধমান অঞ্চলে বাস করতেন। সামন্ত সেন রাজা উপাধি ধারণ করেননি। তাঁর পুত্র হেমন্ত সেন স্বাধীন সেন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে প্রথম ‘মহারাজা’ উপাধি ধারণ করেন।
কোন বংশের অধীনেই সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলা দীর্ঘকালব্যাপী একক রাজার অধীনে ছিল?
সেন।
সেন বংশের অধীনেই সর্বপ্রথম সমগ্র বাংলা দীর্ঘকালব্যাপী একক রাজার অধীনে ছিল।
পরম বৈষ্ণব’ উপাধি গ্রহণ করেন কে?
লক্ষণ সেন।
বল্লাল সেনের পর তাঁর পুত্র লক্ষ্মণ সেন (১১৭৮-১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ) প্রায় ৬০ বৎসর বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন। লক্ষ্মণ সেন পিতা ও পিতামহের শৈব ধর্মের প্রতি অনুরাগ ত্যাগ করে বৈষ্ণব ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। পিতা ও পিতামহের ‘পরম মহেশ্বর’ উপাধির পরিবর্তে তিনি ‘পরম বৈষ্ণব’ উপাধি গ্রহণ করেন। তেরো শতকের প্রথম দিকে মুসলিম সেনাপতি বখতিয়ার খলজি নদিয়া আক্রমণ করেন। বৃদ্ধ লক্ষ্মণ সেন কোনো প্রতিরোধ না করে নদীপথে পূর্ববঙ্গের রাজধানী বর্তমান মুন্সীগঞ্জ জেলার বিক্রমপুর আশ্রয় গ্রহণ করেন।
লক্ষ্মণ সেনের রাজধানী ছিল কোনটি?
নদীয়া।
লক্ষ্মণ সেনের রাজধানী ছিল নদীয়া বা নবদ্বীপ। তিনি সেন বংশের শেষ রাজা ছিলেন। তবে অপশনে উনার নাম না থাকলে কেশব সেন হবে।
ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন?
বল্লাল সেন।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা- বল্লাল সেন। ১২শ শতাব্দীতে বল্লাল সেন প্রতিষ্ঠা করেন ঢাকেশ্বরী মন্দির।
প্রাচীনতম শাসন ব্যবস্থা কোনটি?
কৌম সমাজ।
প্রাচীনতম শাসন ব্যবস্থা হলো কৌম সমাজ।
মৌর্য শাসনের পূর্বে ব্যাপক অর্থে বাংলার অধিবাসীদের মধ্যে রাজনৈতিক পরিচয় গড়ে ওঠেনি। এ সময়ে সমাজ বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত ছিল। একে বলা হতো কৌম সমাজ