বাংলাদেশের ইতিহাস: মুঘল আমল -২ Flashcards

1
Q

কোন সুবাদারের সময় থেকে বাংলায় নবাবী শাসন শুরু হয়?

A

মুর্শিদকুলী খান।

বাংলায় নবাবী শাসনের সূত্রপাত করেন মুঘল সুবাদার মুর্শিদকুলী খান।

তিনি ১৭০০ সালে বাংলার দীউয়ান এবং ১৭১৬ সালে নাজিম (সুবাদার) নিযুক্ত হন।

মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ দিকে তিনি স্বাধীনভাবে বাংলা শাসন করতে শুরু করেন। এর মাধ্যমে বাংলায় নবাবী শাসনামলের সূচনা হয়।

একে একে বাংলা ও উড়িষ্যার নাজিম বা গভর্নর, বিহারের দীউয়ান এবং কয়েকটি জেলার ফৌজদারের পদ অলঙ্কৃত করার পর আঠারো শতকের প্রথম দিকে।

বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন সিরাজউদ্দৌলা।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
2
Q

বাংলাদেশে বারো ভুঁইয়ার আবির্ভাব ঘটে-
0

A

আকবরের সময়

বারো ভূঁইয়া:

বাংলার বড় জমিদাররা মোগলদের অধীনতা মেনে নেননি।
মোগলদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে অবস্থান নেন।
এরাই বার ভুঁইয়া।
নেতা ছিলেন ঈশা খাঁ।
রাজধানী ছিল সোনারগাঁ।
মৃত্যুর পরে মুসা খাঁ নেতা নির্বাচিত হন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
3
Q

বারো ভুঁইয়া বলা হত কোন আমলের জমিদারদের?

A

মুঘল আমলের

বারো ভূঁইয়া:

বাংলার বড় জমিদাররা মোগলদের অধীনতা মেনে নেননি।
মোগলদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে অবস্থান নেন।
এরাই বার ভুঁইয়া।
নেতা ছিলেন ঈশা খাঁ।
রাজধানী ছিল সোনারগাঁ।
মৃত্যুর পরে মুসা খাঁ নেতা নির্বাচিত হন।

কয়েকজন প্রসিদ্ধ বারোভূঁইয়া:

চাঁদগাজী,
জুনা গাজী,
চাঁদ রায়,
কেদার রায়,
প্রতাপ আদিত্য,
কংস নারায়ন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
4
Q

সম্রাট শাহজাহানের কোন পুত্র বাংলার শাসনকর্তা ছিলেন?

A

শাহ সুজা।

সুবাদার শাহ সুজা: শাহজাহানের ২য় ছেলে।

তিনি বড় কাটরা, হোসেনী দালান, ঈদগাহ, চুড়িহাট্টা মসজিদ নির্মাণ করেন। পর্তুগীজদের ব্যবসায়ের নিশান দেন।

তিনি রাজমহল থেকে ঢাকায় রাজধানী স্থানান্তর করেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
5
Q

মীর জুমলার কামানটি কোন যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়?

A

আসাম যুদ্ধে।

মীর জুমলা:

তিনি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব কর্তৃক নিয়োপ্রাপ্ত হন ।
তিনি পাগলা সেতু, ঢাকা গেইট নির্মাণ করেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
6
Q

কোনটি মুঘল আমলের স্থাপত্য কীর্তি?

A

লালবাগ শাহী মসজিদ।

লালবাগ শাহী মসজিদটি নির্মান করেন যুবরাজ মোহাম্মদ আযম।

লালবাগ শাহী মসজিদটি ঢাকার লালবাগ কেল্লার সন্নিহিত স্থানে অবস্থিত।

আওরঙ্গজেবের রাজত্বকালে যুবরাজ মোহাম্মদ আযম মাত্র এক বছরের সামান্য কিছু বেশি সময়ের জন্য (১৬৭৮-১৬৭৯) বাংলার সুবাহদার ছিলেন।

সেই সময় তিনি একটি দূর্গ নির্মাণ শুরু করেছিলেন যেটির অংশ হিসেবে এই মসজিদটি নির্মিত হয়।

লালবাগ শাহী মসজিদটি নির্মান করেন-যুবরাজ মোহাম্মদ আযম।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
7
Q

সুবা বাংলা’ শব্দটি প্রথম ব্যবহার করা হয় কার আমলে?

A

সম্রাট আকবরের।

সুবা বাংলা:

মোগল প্রদেশগুলো সুবা নামে পরিচিত ছিল।
সুবার দায়িত্ব প্রাপ্তদের বলা হত সুবাদার।

ইসলাম খান ১৬১০ সালে সর্বপ্রথম ঢাকাকে রাজধানী করেন এবং নাম রাখেন ‘জাহাঙ্গীরনগর’।

সুবাদার শাহ সুজা বড় কাটরা নির্মাণ করেন।

ঢাকা গেট নির্মাণ করে সুবাদার মির জুমলা।

সুবাদার শায়েস্তা খান চট্টগ্রামের নাম দেন ইসলামাবাদ।

সুবাদার শায়েস্তা খান নির্মাণ করেন ছোট কাটরা, লালবাগ কেল্লা, চক মসজিদ, সাতগম্বুজ মসজিদ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
8
Q

কত সালে সম্রাট আকবর বাংলার শাসনভার গ্রহণ করেন?

A

১৫৭৬ ।

মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় নবাব হলেন সম্রাট আকবর।
বাংলায় মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
দ্বীন-ই-ইলাহী ধর্ম প্রচলন করেন।
জিজিয়া কর ও তীর্থকর রহিত করেন।
তাঁর সময়কালে সমগ্র বাংলা সুবই ই-বাঙলাহ নামে পরিচিতি ছিল।
বাংলা সন, বাংলা নববর্ষ, মনসবদারী প্রথা প্রচলন করেন।
ফতেহপুর সিক্রি নির্মাণ করেন।

টোডারমল আকবরের রাজস্বমন্ত্রী ছিলেন।

সভাকবি ছিলেন আবুল ফজল।
তিনি আইন-ই-আকবরি গ্রন্থ রচনা করেন।

তানসেন ছিলেন গায়ক।
তিনি বুলবুল-ই-হিন্দ নামে পরিচিত ছিলেন।

বীরবল বিখ্যাত কৌতুককার ছিলেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
9
Q

মুসলমান শাসনামলে এদেশে এসে অত্যাচার ও লুট করেছে কারা?

A

বর্গীরা।

নবাব আলীবর্দীর খার শাসনামলে বর্গীরা বাংলায় এসে অত্যাচার ও লুটতরাজ শুরু করে, যা প্রায় এক দশককাল স্থায়ী ছিল।

বর্গীর আক্রমণে মেদিনীপুর ও বর্ধমান এলাকা ধ্বংস হয় এবং ব্যবসা বাণিজ্য ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
10
Q

একসময়ে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার রাজধানী মুর্শিদাবাদের পূর্ব নাম ছিল-

A

মাকসুদাবাদ।

মুর্শিদাবাদ জেলার নামকরণ হয়েছে ‘মাকসুদাবাদ’ থেকে।

নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ এর আমলে বাংলার রাজধানী ছিল এই ‘মাকসুদাবাদ’।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
11
Q

বর্গি’ নামে পরিচিত ছিল কারা?

A

মারাঠা দস্যু।

দক্ষিণ ভারতের মারাঠারা বাংলায় ‘বর্গি’ নামে পরিচিত ছিলো।

মারাঠা সৈন্যবাহিনীর সর্বনিম্ন পদধারী সৈনিকরা ‘বর্গি’ নামে পরিচিত ছিলো। এই বরগি থেকেই বর্গি নামের উদ্ভব।

১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে গিরিয়ার যুদ্ধে আলীবর্দী সরফরাজকে পরাজিত করে মুঘলদের অনুমোদন ছাড়াই বাংলার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

তার সময়ে বর্গি নামে পরিচিত মারাঠি দস্যুরা বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে আক্রমণ করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।

আলিবর্দি খান ১৭৪২ থেকে ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ১০ বছর এদের প্রতিরোধ করে দেশছাড়া করতে সক্ষম হন।মারাঠা দস্যু।

ব্যাখ্যা:

দক্ষিণ ভারতের মারাঠারা বাংলায় ‘বর্গি’ নামে পরিচিত ছিলো।

মারাঠা সৈন্যবাহিনীর সর্বনিম্ন পদধারী সৈনিকরা ‘বর্গি’ নামে পরিচিত ছিলো। এই বরগি থেকেই বর্গি নামের উদ্ভব।

১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে গিরিয়ার যুদ্ধে আলীবর্দী সরফরাজকে পরাজিত করে মুঘলদের অনুমোদন ছাড়াই বাংলার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

তার সময়ে বর্গি নামে পরিচিত মারাঠি দস্যুরা বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে আক্রমণ করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল।

আলিবর্দি খান ১৭৪২ থেকে ১৭৫১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ১০ বছর এদের প্রতিরোধ করে দেশছাড়া করতে সক্ষম হন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
12
Q

আলীনগর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় কার কার মধ্যে?

A

নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা ও ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।

আলীনগর চুক্তি ১৭৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলার নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা ও ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।

তিনি কলকাতার ইংরেজ বসতি অধিকার করেন (১৮-২০ জুন ১৭৫৬) এবং ইংরেজরা তাঁর প্রকৃত ক্ষতিসমূহের প্রতিবিধান করতে অস্বীকার করলে তিনি তাদের কলকাতা শহর থেকে বিতাড়িত করেন।

তিনি এ শহরের নতুন নামকরণ করেন আলীনগর।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
13
Q

বাংলার রাজস্ব ব্যবস্থা পুনর্গঠন করেন কে?

A

মুর্শিদকুলী খান।

মুর্শিদ কুলি খান:

মুর্শিদ কুলি খান ছিলেন বাংলার প্রথম নবাব। তিনিই মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যু পরবর্তী প্রথম স্বাধীন নবাব। তার উপর মুঘল সাম্রাজ্যের নামমাত্র আধিপত্য ছিল, সকল ব্যবহারিক উদ্দেশ্যেই তিনি বাংলার নবাব ছিলেন।

মুর্শিদ কুলি খাঁন, রাজা টোডরমল ও শাহ সুজার ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্ত পদ্ধতির সংস্কার করেন এবং ‘মাল জমিনী’ নামক রাজস্ব ব্যবস্থা চালু করেন।

তিনি ঢাকাকে অনিরাপদ মনে করায় বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন।

তিনি পুরান ঢাকায় বেগম বাজারে করতলব খাঁন মসজিদ নির্মাণ করেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
14
Q

সিরাজউদ্দৌলাকে হত্যাকারীর নাম কী?

A

মোহাম্মদী বেগ।

সিরাজউদ্দৌলা বাংলার শেষ স্বাধীন নওয়াব।

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধে সিরাজ পরাজিত ও নিহত হওয়ার পর ইংরেজরা বাংলার নওয়াবদেরকে তাদের হাতের পুতুলে পরিণত করে এবং নিজেরাই বাংলার প্রকৃত শাসকে পরিণত হয়।

পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নওয়াব বাহিনীর শোচনীয় পরাজয় হয় এবং নবাব নিজেও তাঁর তাবু ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু শীঘ্রই তিনি বন্দি হন।

বন্দিদশায় সিরাজউদ্দৌলাকে মীরজাফরের পুত্র মিরনের নির্দেশে মোহাম্মদী বেগ নির্মমভাবে হত্যা করে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
15
Q

পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ হয়-

A

১৭৬১ সালে।

১৪ জানুয়ারি, ১৭৬১ সালে পানি পথের তৃতীয় যুদ্ধের সময় মুঘল সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় শাহ আলম। পানি পথের তৃতীয় যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছিল আফগান সম্রাট আহমেদ শাহ দুররানী এবং মারাঠা সাম্রাজ্য। পরবর্তীতে ১৭৬৫ সালে সম্রাট শাহ আলম ইংরেজদের সাথে এলাহবাদ চুক্তি করেন।

পানিপথের যুদ্ধ ৩টি:

ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের পানিপথ নামক স্থানে তিনটি বিখ্যাত যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। যে যুদ্ধগুলো ইতিহাসে ‘পানিপথ যুদ্ধ’ নামে পরিচিত এবং এই শহরটি ‘সিটি অফ উয়ীভারস’ এবং ‘টেক্সটাইল সিটি’ নামেও পরিচিত।

পানিপথের প্রথম যুদ্ধ (১৫২৬) হয়েছিল মুঘল সম্রাট বাবর ও দিল্লির সুলতান ইব্রাহিম লোদীর সঙ্গে। এযুদ্ধে সম্রাট বাবর জয়লাভ করেন। উল্লেখ্য থাকে যে, এই যুদ্ধে বাবর প্রথম ভারতে কামানের ব্যবহার করেন।

পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ (১৫৫৬) হয়েছিল মুঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি বৈরাম খাঁ-র সঙ্গে সম্রাট হেম চন্দ্র বিক্রমাধিত্যর (হিমু) সঙ্গে। এ যুদ্ধে সম্রাট আকবর জয়লাভ করেন।

পানিপথের তৃতীয়যুদ্ধ (১৭৬১) হয়েছিল দুররানি সাম্রাজ্য (আফগান সম্রাট আহমদ শাহ আবদালী) ও ভারতের মারাঠা সাম্রাজ্যের মধ্যে। এ যুদ্ধে দুররানি সাম্রাজ্যের জয় হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
16
Q

বক্সারের যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয়?

A

১৭৬৪ ।

বক্সারের যুদ্ধ (১৭৬৪)

এ যুদ্ধকে বলা হয় বাংলার সার্বভোমত্ব রক্ষার শেষ চেষ্টা।

পক্ষ জোট এর নেতৃত্বে ছিলেন: মীর কাসিম (বাংলা), নবাব সুজাউদ্দৌলা (অযোধ্যা), সম্রাট শাহ আলম (দিল্লি)।

বিরোধী পক্ষে: মেজর মনরো (ইংল্যান্ড)।

17
Q

বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সেনাপতির দায়িত্ব পালন করে কোন নবাব?

A

মীর কাসিম।

মীর কাসিম (১৭৬০-১৭৬৩):

তিনি মীর জাফরের জামাতা ছিলেন।
তিনি জমি জরিপ ব্যবস্থার সংস্কার করেন।
তিনি বক্সারের যুদ্ধে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব: মুর্শিদ কুলি খান।

বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব: নবাব সিরাজউদ্দৌলা।

বাংলার স্বাধীনচেতা নবাব: মীর কাশিম।

বাংলার শেষ নবাব: নিজাম উদ্দৌলা।

18
Q

বাংলার শেষ নবাব কে ছিলেন?

A

নিজাম উদ্দৌলা।

বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব ছিলেন মুর্শিদ কুলি খান।

বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা।

বাংলার শেষ নবাব ছিলেন নিজাম উদ্দৌলা।

বাংলার স্বাধীনচেতা নবাব ছিলেন মীর কাশিম।

19
Q

ফতোয়া-ই-আলমগীরী কোন মোগল সম্রাট সম্পর্কীয়?

A

সম্রাট আওরঙ্গজেব।

আওরঙ্গজেব:

তিনি জিন্দাপীর/বাদশাহ আলমগীর নামে পরিচিত।
তিনি জিজিয়া কর চালু করেন।

অতিশয় ধর্মপ্রাণ মুসলমান বলে তিনি ‘জিন্দাপির’/বাদশা আলমগীর হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

সম্রাট শাহজাহানের পুত্র আওরঙ্গজেব শাহ সুজাকে (আপন ভাই) দমন করার জন্য সেনাপতি মীর জুমলাকে বাংলায় পাঠান।

আওরঙ্গজেব শায়েস্তা খানকে বাংলার সুবেদার করে পাঠান ১৬৬৪ সালে (দ্বিতীয় বার ১৬৭৯ সালে)। তিনি ‘জিজিয়া কর’ পুনরায় চালু করেন।

20
Q

কোন আমলে বাংলা গজল ও সুফি সাহিত্য সৃষ্টি হয়?

A

মোগল।

মোগল সাম্রাজ্য:

সম্রাট বাবর ১৫২৬ সালে ইব্রাহিম লোদীকে প্রথম পানিপথের যুদ্ধে পরাজিত করে মোগল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনিই প্রথম সম্রাট যে নিজ আত্মজীবনী রচনা করেন ‘তুযক-ই-বাবর’।

মোগল সম্রাটদের বংশতালিকা:

জহির উদ্দিন মুহম্মদ বাবর ( মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা) (১৫২৬-১৫৩০ খ্রি.),
সম্রাট হুমায়ুন (১৫৩০- ১৫৪০ খ্রি.),
সম্রাট আকবর (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রি.),
সম্রাট জাহাঙ্গীর (১৬০৫-১৬২৭ খ্রি.),
সম্রাট শাহজাহান (১৬২৮-১৬৫৮ খ্রি.),
সম্রাট আওরঙ্গজেব (১৬৫৮-১৭০৭ খ্রি.),
সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ (১৮৩৭-১৮৫৭ খ্রি.) (সর্বশেষ মোগল সম্রাট)।

21
Q

ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভারতের কোন প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল?

A

অযোধ্যা, উত্তর প্রদেশ।

বাবরি মসজিদ রামকোট হিল, অযোদ্ধা, ফৈজাবাদ জেলা (বর্তমান নাম অযোদ্ধা), উত্তর প্রদেশ, ভারত এ অবস্থিত।

মুঘল সম্রাট বাবরের আদেশে সেনাপতি মীর বাকী নির্মাণ করেন [খ্রিস্টাব্দ: ১৫২৮-২৯ সালে (৯৩৫ হিজরি বর্ষে)]।

হিন্দু ধর্মালম্বীরা বিশ্বাস করে বাবরি মসজিদ যে স্থানে অবস্থিত সেটা হিন্দু ধর্মের অবতার রামের জন্মস্থান। এই থেকেই হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ, যা অযোধ্যা বিবাদ নামেও পরিচিত।

কট্টর হিন্দু করসেবকরা ৬ ডিসেম্বর, ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।

সুপ্রিম কোর্ট ০৯ নভেম্বর, ২০১৯ তারিখে রায় দেয় যে বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মিত হবে এবং অযোদ্ধার ধন্নিপুর গ্রামে বাবরি মসজিদ নির্মিত হবে।

22
Q

মুগল সম্রাট বাবরের পুরো নাম কী?

A

জহিরউদ্দিন।

বাবর ফার্সি শব্দ, এর অর্থ বাঘ এবং তুর্কী ভাষায়-সিংহ।

তিনি কাবুল দখল করেন ১৫০৪ সালে।

তিনি বাবরনামা বা তুজুক-ই-বাবুরী নামে নিজেই বাবরের আত্মজীবনী লিখেন।

দিওয়ান: বাবরের কবিতা সংগ্রহ।

বাবর উপমহাদেশে প্রথম কামানের ব্যবহার করেন।

তিনি উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ (১৫২৮) নির্মাণ করেন।।

তিনি পানি পথের প্রথম যুদ্ধে জয়লাভ।

23
Q

সম্রাট শাহজাহান মুঘল বংশের কততম শাসক?

A

পঞ্চম।

মুঘল শাসনের ক্রমঃ
জহির উদ্দিন মুহম্মদ বাবর (১৫২৬-১৫৩০ খ্রি.),
সম্রাট হুমায়ুন (১৫৩০- ১৫৪০ খ্রি.),
সম্রাট আকবর (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রি.),
সম্রাট জাহাঙ্গীর (১৬০৫-১৬২৭ খ্রি.),
সম্রাট শাহজাহান (১৬২৭-১৬৫৮ খ্রি.),
সম্রাট আওরঙ্গজেব (১৬৫৮-১৭০৭ খ্রি.),
সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ (১৮৩৭-১৮৫৭ খ্রি.) (সর্বশেষ মোগল সম্রাট)।

সম্রাট শাহজাহান-এর শাসনকাল ছিল ১৬২৭-১৬৫৮ সাল ।

তিনি Prince of Builders নামে খ্যাত।

সম্রাট শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেন যেটার স্থপতি - ওস্তাদ ঈসা খাঁ।

তাজমহল যমুনা নদী নদীর তীরে অবস্থিত ।

তিনি ময়ূর সিংহাসনের নির্মাতা যা লুন্ঠন করে পারস্যের সম্রাট নাদিরশাহ।
তিনি ভারতের দিল্লীতে লাল কেল্লা নির্মাণ করেন ।

তার আমলে বাংলায় ইংরেজরা বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে ওডিষার পিপলিতে।

তিনি নির্মাণ করেন তাজমহল, ময়ুর সিংহাসন, দিল্লি জামে মসজিদ, লাল কেল্লা, সালিমার উদ্যান, খাশমহল, শীষমহল।

24
Q

কোন আমলে সােনারগাঁও বাংলাদেশের রাজধানী ছিল?

A

সুলতানী আমলে ।

সুলতানী আমলের সূচনা করেনঃ ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ্।

বাহরাম খানের বর্মরক্ষক ছিলেন ‘ফখরা’ নামের একজন রাজকর্মচারী। প্রভুর মৃত্যুর পর তিনি ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ নাম নিয়ে সোনারগাঁওয়ের সিংহাসনে বসেন।

প্রথম প্রকৃত স্বাধীন সুলতানঃ শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ (১৩৫২)।

প্রথম রাজধানী ছিলঃ সোনারগাঁও (১৩৩৮-১৩৫২)।

মূল রাজধানী ছিলঃ গৌড়।

25
Q

শেষ মুঘল সম্রাট কে ছিলেন?

A

বাহাদুর শাহ জাফর।

উপমহাদেশে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মীর্জা জহিরুদ্দিন মুহাম্মদ বাবর।

বাংলায় মুঘল সম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা আকবর।
সমগ্র বাংলা দখলকারী মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর।
সর্বশেষ মুঘল শাসক বাহাদুর শাহ জাফর

26
Q

লালবাগ কেল্লার আদি নাম-

A

আওরঙ্গবাদ দূর্গ।

মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের তৃতীয় পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আজম শাহ ১৬৭৮ খ্রিস্টাব্দে লালবাগ কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরবর্তীতে শায়েস্তা খান নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন।

লালবাগ কেল্লার পূর্বনাম ছিল আওরঙ্গবাদ দূর্গ।

27
Q

ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপনের সময় মুঘল সুবেদার কে ছিলেন?

A

ইসলাম খান।

সমগ্র বাংলায় সুবাদারি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন সম্রাট জাহাঙ্গীরের সুবাদার ইসলাম খান (১৬১০)।

তিনি ‘রাজমহল’ থেকে ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থানান্তর করেন। সম্রাটের নামে ঢাকার নাম রাখেন জাহাঙ্গীরনগর।

তিনি লোহার পুল নির্মাণ করেন এবং ধোলাই খাল খনন করেন।

28
Q

ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপনের সময় মুঘল সুবেদার কে ছিলেন?

A

ইসলাম খান।

সমগ্র বাংলায় সুবাদারি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন সম্রাট জাহাঙ্গীরের সুবাদার ইসলাম খান (১৬১০)।

তিনি ‘রাজমহল’ থেকে ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থানান্তর করেন। সম্রাটের নামে ঢাকার নাম রাখেন জাহাঙ্গীরনগর।

তিনি লোহার পুল নির্মাণ করেন এবং ধোলাই খাল খনন করেন।

29
Q

বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তির বিষয়টি কোন গ্রন্থে সর্বাধিক উল্লিখিত হয়েছে?

A

আইন-ই-আকবরী।

আবুল ফজল ফার্সি ভাষায় ৩ খণ্ডের ‘আকবরনামা’ ও এর তৃতীয় খণ্ড ‘আইন-ই-আকবরী’ রচনা করেন । তিনি আকবরের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

আকবর -এর শাসনকাল ছিল (১৫৫৬-১৬০৫)।

পানিপথের ২য় যুদ্ধ হয় ১৫৫৬ সালে।

আকবর দিল্লির সিংহাসনে বসেন মাত্র ১৩ বছর বয়সে।
আকবরের ধর্মনীতির নাম ছিল দ্বীন-ই-ইলাহী (১৫৮১ সাল)।

সম্রাট আকবর ‘জিজিয়া কর’ রহিত করেন।
বুলবুল-ই- হিন্দ বলা হয় তানসেনকে।
‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থের রচয়িতা আবুল ফজল।

আকবরের আমলে সমগ্র বাংলা পরিচিতি পায় ‘সুবেহ বাঙ্গালা’ নামে।
সম্রাট আকবর ফতেহপুর সিক্রি’র বুলন্দ দরওয়াজা নির্মাণ করেন।
সম্রাট আকবর অমৃতসর স্বর্নমন্দির নির্মান করেন ।

সম্রাট আকবর মনসবদারী (পদমর্যাদা) প্রথা, বাংলা সন এবং বর্ষপঞ্জী চালু করেন।
মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বার ভূঁইয়াদের আবির্ভাব ঘটে।
সম্রাট আকবরের সমাধি অবস্থিত সেকেন্দ্রা, আগ্রা, ভারত এ।

30
Q

ঢাকার ‘ধােলাই খাল’ কে খনন করেন?

A

ইসলাম খা ।

সমগ্র বাংলায় সুবাদারি শাসন প্রতিষ্ঠা করেন মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের সুবাদার ইসলাম খান (১৬১০)।

তিনি ‘রাজমহল’ থেকে ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থানান্তর করেন। সম্রাটের নামে ঢাকার নাম রাখেন জাহাঙ্গীরনগর।

তিনি ধোলাই খাল খনন করেন।
তিনি নির্মাণ করেন লোহার পুল।

31
Q

ঢাকা গেইট এর নির্মাতা কে?

A

মীর জুমলা।

মীর জুমলা পাগলা সেতু (নারায়ণগঞ্জ) ও ঢাকা গেট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) নির্মাণ করেন।

শায়েস্তা খান ছোট কাটরা, লালবাগ দুর্গ, তিন গম্বুজ মসজিদ, সাত গম্বুজ মসজিদ, হোসনি দালান, খিজিরপুর মসজিদ নির্মাণ করেন।

32
Q

ঢাকা গেইট এর নির্মাতা কে?

A

মীর জুমলা।

মীর জুমলা পাগলা সেতু (নারায়ণগঞ্জ) ও ঢাকা গেট (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) নির্মাণ করেন।

শায়েস্তা খান ছোট কাটরা, লালবাগ দুর্গ, তিন গম্বুজ মসজিদ, সাত গম্বুজ মসজিদ, হোসনি দালান, খিজিরপুর মসজিদ নির্মাণ করেন।

33
Q

ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন হয়-

A

মুঘল আমলে।

১৬০৮ সালে মুঘল সম্রাট ‘জাহাঢাকা শহরের গোড়াপত্তন হয়-ঙ্গীর’ ঢাকা শহরের গোড়াপত্তন করেন।

১৬১০ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সুবাদার ইসলাম খান ‘রাজমহল’ থেকে বাংলার রাজধানী ‘ঢাকায়’ স্থাপন করেন।

সম্রাটের নামে ঢাকার নাম রাখেন ‘জাহাঙ্গীরনগর’।

34
Q

১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি ছিল-

A

লর্ড ক্লাইভ।

ঐতিহাসিক পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয় ২৩ জুন, ১৭৫৭ সালের পশ্চিমবঙ্গ, ভারত এর ভাগীরথী নদীর তীরে।

পক্ষসমূহ: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা।

ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে সমর্থন করে।

ব্রিটিশদের পক্ষে প্রধান সেনাপতি ছিল রবার্ট ক্লাইভ ও আর বাংলার পক্ষে মোহন লাল ।

বাংলার সেনাবাহিনীর ভ্যানগার্ড ছিলেন মীর মদন।
বাংলার পক্ষে যুদ্ধ করা ফরাসি সেনাপতি সিন ফ্রে।

সিরাজউদ্দৌলার সাথে বিশ্বাসঘাতকা করা সেনাসদস্যরা মীর জাফর (অশ্বারোহী), রায় দুর্লভ, ইয়ার লতিফ খান।

সিরাজের পক্ষে লড়ে যাওয়া সেনা সদস্য হলেন মীর মদন, মোহন লাল, নবে সিং হাজারী ও বাহাদুর খান ।

নবাবকে কোম্পানির কর না দেয়া, কোম্পানি কর্তৃক দস্তকের অপব্যবহার, আলীবর্দী খানের সাথে ইংরেজদের চুক্তিভঙ্গ এইসব ছিল যুদ্ধের প্রধান কারন।

35
Q

নিচের মুঘল সম্রাটদের মধ্যে কে প্রথম আত্মজীবনী লিখেছিলেন?

A

বাবর।

সম্রাট বাবর পানি পথের প্রথম যুদ্ধে জয়লাভ করে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন।
বাবরনামা বা তুজুক-ই-বাবুরী হচ্ছে বাবরের আত্মজীবনী।

তিনি উপমহাদেশে প্রথম কামানের ব্যবহার করেন।
তিনি উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ করেন।

36
Q

বাংলার প্রথম নবাব কে ছিলেন?

A

মুর্শিদকুলী খান।

মুর্শিদ কুলি খান:

মুর্শিদ কুলি খান ছিলেন বাংলার প্রথম নবাব। তিনিই মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যু পরবর্তী প্রথম স্বাধীন নবাব। তার উপর মুঘল সাম্রাজ্যের নামমাত্র আধিপত্য ছিল, সকল ব্যবহারিক উদ্দেশ্যেই তিনি বাংলার নবাব ছিলেন।

মুর্শিদ কুলি খাঁন, রাজা টোডরমল ও শাহ সুজার ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্ত পদ্ধতির সংস্কার করেন এবং ‘মাল জমিনী’ নামক রাজস্ব ব্যবস্থা চালু করেন।

তিনি ঢাকাকে অনিরাপদ মনে করায় বাংলার রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করেন।

তিনি পুরান ঢাকায় বেগম বাজারে করতলব খাঁন মসজিদ নির্মাণ করেন।