মুক্তিযুদ্ধ -৭ Flashcards
সূর্য দীঘল বাড়ি’ চলচ্চিত্রের পরিচালক কে?
শেখ নিয়ামত শাকের।
সূর্য দীঘল বাড়ি উপন্যাসটির রচয়িতা আবু ইসহাক। এটি অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় শেখ নিয়ামত আলী ও মসিইউদ্দিন শাকেরের পরিচালনায়।
✔ জহির রায়হান পরিচালিত চলচ্চিত্র: কাচের দেয়াল, বেহুলা, জীবন থেকে নেয়া, Stop Genocide, A state is Born (প্রামাণ্য চলচিত্র) ইত্যাদি।
✔ খান আতা পরিচালিত চলচ্চিত্র: অনেক দিনের চেনা, সাত ভাই চম্পা, আবার তোরা মানুষ হ ইত্যাদি।
✔ সুভাষ দত্ত পরিচালিত চলচ্চিত্র: সুতরাং, আবির্ভাব, অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী ইত্যাদি।
মুজিবনগর সরকারের সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত ছিল?
৮ জন সদস্য।
মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা কমিটি গঠন মুজিবনগর সরকারকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে উপদেশ প্রদান করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে সমর্থনদানকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠিত হয় (৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১)।
✔ মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এই কমিটির নেতা।
✔ এর আহবায়ক ছিলেন - তাজউদ্দীন আহমেদ।
✔ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন-
অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ (মস্কোপন্থী ন্যাপ এর প্রতিনিধি),
মনিসিংহ (কমিউিনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি),
মনোরঞ্জন ধর (কংগ্রেস দলের নেতা),
ক্যাপ্টেন মনসুর আলী (আওয়ামী লীগ দলের প্রতিনিধি),
এ. এইচ. এম. কামারুজ্জামান (আওয়ামী লীগ দলের প্রতিনিধি),
খন্দকার মোশতাক আহমদ (মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি)।
অপারেশন জ্যাকপট বলতে কী বুঝেন?
মুক্তিযুদ্ধে নৌ কমান্ডোদের অভিযান।
১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট মুক্তিবাহিনীর নৌ-কমান্ডোরা পরিচালিত প্রথম অভিযান অপারেশন জ্যাকপট নামে পরিচিত। এদিন নৌ-কমান্ডোরা একযোগে চট্টগ্রাম, মংলা, চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পাকবাহিনীর উপর হামলা চালায়।এতে পাকবাহিনীর ২৬টি নৌযান ধ্বংস হয়। মোট ১৪৮ জন নৌ-কমান্ডোরা চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে এ অপারেশনে অংশ নেয়।
বর্তমানে দেশে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনার সংখ্যা কত?
৪৪৮ জন।
২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকার প্রথমবারের মতো ৪৩ জন বীরাঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বর্তমানে দেশে বীরাঙ্গনার সংখ্যা ৪৪৮ জন।
১৯৭১ সালে পল্টন ময়দানে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন-
শাহজাহান সিরাজ।
৩ মার্চ, ১৯৭১ সালে ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ। ঐদিনই বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির জনক’ উপাধি দেন ডাকসুর ভিপি আ.স.ম আব্দুর রব।
বর্তমানে খেতাবপ্রাপ্ত মোট বীর মুক্তিযোদ্ধা-
৬৭২ জন।
ব্যাখ্যা:
১৫ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের খেতাব প্রদান করেন।
মুক্তিযুদ্ধের খেতাব ৪ পর্বে বিভক্ত। যথা- বীরশ্রেষ্ঠ ৭ জন, বীর উত্তম ৬৮ জন, বীর বিক্রম ১৭৫ জন এবং বীর প্রতীক ৪২৬ জন। মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মোট যোদ্ধার সংখ্যা ৬৭৬ জন।
কিন্তু ৬ জুন, ২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলায় দণ্ডিত ৪ খুনির বীরত্বসূচক রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল জন্মগ্রহণ করেন-
ভোলা।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল ১৯৪৭ সালে ভোলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর সিপাহী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।তিনি ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে শহিদ হন। তাঁর সমাধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায়।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কয়টি দাবি উত্থাপন করেছিলেন?
৭ই মার্চ।
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪টি দাবি উত্থাপন করেন। উত্থাপিত দফাগুলো হলো:
১. সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে হবে,
২. সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে,
৩. গণহত্যা’র তদন্ত ও বিচার করতে হবে এবং
৪. নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কবে “জাতির জনক” ঘোষণা করা হয় ?
: ৩ মার্চ, ১৯৭১।
১৯৭১ সালে ৩ মার্চ স্বাধীনতা ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে আ.স. ম. আবদুর রব বঙ্গবন্ধু কে জাতির জনক উপাধি প্রদান করেন।
শহিদ আসাদ দিবস কবে?
২০ জানুয়ারি।
আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৯ সালে আইয়ুব খানের পতনের দাবীতে মিছিল করার সময়ে পুলিশের গুলিতে মারা যায়। এই জন্য ২০ জানুয়ারি শহিদ আসাদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন করা হয়?
২ মার্চ।
০২ মার্চ, ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিলো।
৭ মার্চের ভাষণকে কবে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেসকো?
২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর।
২০১৭ সালের ৩০শে অক্টোবরে ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে “ডকুমেন্টারি হেরিটেজ” (বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য) হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
নিউজউইক ম্যাগাজিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কত তারিখে ‘রাজনীতির কবি’ বলা হয়েছে?
৫ এপ্রিল ১৯৭১।
১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল ম্যাগাজিনটি তাদের প্রচ্ছদজুড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে তাকে অভিহিত করে ‘পয়েট অব পলিটিক্স’ বা ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে।
ঢাকা বেতারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়?
৮ মার্চ ১৯৭১।
ঢাকা বেতারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয় ০৮ মার্চ, ১৯৭১ সালে।
☑ ‘৭ মার্চের ভাষণ’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ দেন- রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে)।
ভাষণের ১ম লাইন: ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
ভাষণের শেষ লাইন: এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।
ভাষণটি ছিল : ১৮ মিনিটের।
** ৭ ই মার্চের ভাষণের দাবি ছিল ৪ দফা-
ক. চলমান সামরিক আইন প্রত্যাহার।
খ. সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
গ. গণহত্যার তদন্ত করা।
ঘ. নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
১৯৭১ এর ২৬ মার্চ দুপুরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনাপত্র পাঠ করেন-
এম এ হান্নান।
২৫ মার্চ, ১৯৭১ রোজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ১টা ৩০ মি. এ বঙ্গবন্ধু কে গ্রেফতার করা হয়। সেই দিন দিনের বেলা বুয়েটের অধ্যাপক নুরুল্লাহ সহ ৩২ নং বাড়িতে ট্রান্সমিটার স্থাপন করেন। বন্দী হওয়ার পূর্বে ২৬ মার্চ প্রথম পহরে ১২টা ২০মি. এ বঙ্গবন্ধু ওয়ারল্যাস যোগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং এটি চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ এর কাছে পাঠানো হয় ওয়ারল্যাসের মাধ্যমে।
২৬ মার্চ দুপুরে চট্টগ্রাম বেতারকেন্দ্র থেকে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ.হান্নান পাঠ করেন। সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মি. এ আবুল কাশেম সন্দ্বীপ বাংলা থেকে পাঠ করেন। ২৭ মার্চ অপরাহ্ণে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষণা টি পাঠ করেন।