বাংলাদেশের ইতহাস : সুলতানী আমল -৩ Flashcards
তাম্র মুদ্রা প্রচলন করেন কে?
মুহাম্মদ বিন তুঘলক।
তাম্র মুদ্রা প্রচলন করেন মুহাম্মদ বিন তুঘলক।
মুহাম্মদ বিন তুঘলক (১৩২৫-১৩৩৮) দিল্লির তুঘলক বংশের দ্বিতীয় সুলতান। তিনি ১৩২৫ থেকে ১৩৩৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন।
তিনি রাজধানী দিল্লী থেকে দেবগিরিতে স্থানান্তর করেন।
দিল্লি থেকে রাজধানী দেবগিরিতে স্থানান্তর করেন কে?
মুহম্মদ বিন তুগলক।
মুহম্মদ বিন তুগলক ছিলেন দিল্লির তুগলক বংশের দ্বিতীয় সুলতান।
তিনি দিল্লি থেকে রাজধানী দেবগিরিতে স্থানান্তর করেন। তিনি সোনা ও রুপার মুদ্রার পরিবর্তে ১৩৩৯ সালে ‘তাম্র মুদ্রা’ প্রচলন করেন।
অসাধারণ প্রতিভা ও অদম্য কর্মশক্তির অধিকারী মুহম্মদ বিন তুগলক জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায়- যেমন দর্শন, ইতিহাস, চিকিৎসাবিদ্যা, হস্তাক্ষর, গণিত, জোতির্বিদ্যা এবং সকল প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে গভীর জ্ঞান অর্জন করেন।
ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন-
মুহাম্মাদ ঘুরি।
মুহাম্মাদ ঘুরি ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
মুইজউদ্দিন মুহাম্মাদ জন্মনাম শিহাবউদ্দিন (মুহাম্মাদ ঘুরি বলেও পরিচিত) ছিলেন ঘুরি সাম্রাজ্যের সুলতান। তার ভাই গিয়াসউদ্দিন মুহাম্মাদের সাথে তিনি ১১৭৩ থেকে ১২০২ পর্যন্ত শাসন করেন।
মুইজউদ্দিন ঘুরি সাম্রাজ্যের অন্যতম মহান শাসক ছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিম শাসনের ভিত্তি তিনি স্থাপন করেছেন।
সিন্ধু বিজয়ের মাধ্যমে কে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেন?
মুহম্মদ বিন কাসিম।
মুহম্মদ বিন কাসিম সিন্ধু বিজয়ের মাধ্যমে কে ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করেন।
১১৯২ সালে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে মুহম্মদ ঘুরী পৃথ্বীরাজ চৌহানকে পরাজিত করে ভারত উপমহাদেশে প্রথম মুসলিম শাসনের সূচনা করেন মুহম্মদ বিন কাসিম।
মুহাম্মদ বিন কাশিম ৭১২ সালে সিন্ধু জয়ের মাধ্যমে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম ইসলামের শাসন প্রচলনের প্রচেষ্টা চালান। মুহাম্মদ বিন কাসিমের সিন্ধু জয়ের পর গজনির সুলতান মাহমুদ ১০০০-১০২৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত উপমহাদেশে ১৭ বার অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।
দিল্লির সিংহাসনে আরোহণকারী প্রথম মুসলমান নারী সুলতানা রাজিয়া কার কন্যা ছিলেন?
ইলতুতমিশ।
দিল্লির সিংহাসনে আরোহণকারী প্রথম মুসলমান নারী সুলতানা রাজিয়া ছিলেন শামসুদ্দিন ইলতুতমিশের কন্যা।
ইলতুৎমিসের জীবদ্দশাতেই তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র নাসিরউদ্দিনের মৃত্যু হয়। তাঁর অন্যান্য পুত্ররা কেউই শাসনকার্যের উপযুক্ত ছিলেন না। এই কারণে তিনি তাঁর কন্যা রাজিয়া-কে তাঁর সিংহাসনের উত্তরাধিকারিণী মনোনীত করেন
সুলতানা রাজিয়া দিল্লির সিংহাসনে আরোহণকারী প্রথম মুসলমান/একমাত্র নারী।
তাঁর আমলেই সর্বপ্রথম রাজতন্ত্রের সঙ্গে তুর্কী অভিজাতদের ক্ষমতার লড়াই শুরু হয়। এই অভিজাতবর্গ ‘চল্লিশ চক্র’ বা ‘বন্দেগান্-ই-চাহেলাগান্’ বা ‘তার্কান-ই-চিহালগানী’ নামে পরিচিত ছিল।
এই ‘তার্কান-ই-চিহালগানী’ বা ‘চল্লিশ চক্র’ রাজিয়াকে সিংহাসনচ্যুত করতে ভূমিকা রাখে।
কোন মুসলমান প্রশাসক প্রথম দক্ষিণ ভারত জয় করেন?
আলাউদ্দিন খলজি।
আলাউদ্দিন খলজি প্রথম মুসলমান প্রশাসক হিসেবে দক্ষিণ ভারত জয় করেন।
আলাউদ্দিন খলজি ছিলেন দিল্লির শ্রেষ্ঠ সুলতান। ‘পদ্মিনী উপাখ্যান’ রচিত হয়- আলাউদ্দিনের সময়। তিনি দ্রব্যমূল্য ও বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন।
ইবনে বতুতা আলাউদ্দিন খিলজকে দিল্লির শ্রেষ্ঠ সুলতান এবং ভারতের আলেকজান্ডার হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দিল্লির সুলতানদের মধ্যে তিনিই প্রথম একটি স্থায়ী সেনাবাহিনী গড়ে তোলেন।
ভারতে প্রথম প্রতীক মুদ্রা প্রবর্তন করেন-
মুহম্মদ বিন তুগলক।
ভারতে প্রথম প্রতীক মুদ্রা প্রবর্তন করেন মুহম্মদ বিন তুগলক।
মুহম্মদ বিন তুগলক(১৩২৫-১৩৩৮) দিল্লির তুগলক বংশের দ্বিতীয় সুলতান।
তিনি দিল্লি থেকে রাজধানী দেবগিরিতে স্থানান্তর করেন। তিনি সোনা ও রুপার মুদ্রার পরিবর্তে ১৩৩৯ সালে ‘তাম্র মুদ্রা’ প্রচলন করেন।
দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা-
কুতুবউদ্দিন আইবেক।
দিল্লি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবউদ্দিন আইবেক।
তুর্কিস্তানের অধিবাসী কুতুবউদ্দিন আইবেক ছিলেন মুহম্মদ ঘুরির একজন কৃতদাস। তিনি ঘুরির অনুমতিক্রমে ভারত বিজয়ের পর দিল্লিতে স্থায়ী মুসলিম শাসনের গোড়াপত্তন করেন। দিল্লিতে অবস্থিত কুতুব মিনার নির্মাণ করেন। দানশীলতার জন্য লাখবক্স/লক্ষ দাতা হিসেবে পরিচিত। ঐতিহাসিক ড. শ্রীবাস্তবের মতে, তিনি ছিলেন সমর্থ হিন্দুস্তানের প্রথম সম্রাট
সুলতান-ই-আজম উপাধি কে লাভ করেছিল?
সুলতান শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ।
সুলতান-ই-আজম উপাধি কে লাভ করেছিলেন সুলতান শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ।
সুলতান শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ ছিলেন কুতুবউদ্দিন আইবেকের জামাতা।
সুলতান শামসউদ্দিন ইলতুতমিশ হলেন দিল্লি সালতানাতের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা। তিনি মুসলমান শাসকদের মাঝে প্রথম মুদ্রা প্রচলন করেন।
প্রাচীন বাংলায় ‘স্বাধীন সুলতানী’ শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ।
প্রাচীন বাংলায় ‘স্বাধীন সুলতানী’ শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ।
বাংলায় স্বাধীন সুলতানি আমল প্রায় ২০০ বছর বিদ্যমান ছিলো। এই সময় দিল্লীর সুলতানগণ বাংলাকে তাঁদের শাসনের অধীন রাখতে পারেন নি।
ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ বাংলায় প্রথম স্বাধীন মুসলিম সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা।
তাঁর রাজধানী ছিল ঐতিহাসিক নগর সোনারগাঁয়ে।
- ১৩৩৮ খ্রিস্টাব্দে বাহরাম খানের মৃত্যু হয়।
তাঁর মৃত্যুতে তাঁরই বর্ম-রক্ষক ফখরুদ্দীন সোনারগাঁও-এ ক্ষমতা দখল করে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সুলতান ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ উপাধি গ্রহণ করেন।
শ্রীকর নন্দী কোন সুলতানের আদেশে মহাভারত অনুবাদ করেন?
নুসরত শাহ।
শ্রীকর নন্দী কোন সুলতান নুসরত শাহের আদেশে মহাভারত অনুবাদ করেন।
নাসিরউদ্দিন নুসরত শাহ ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র। তাঁর সময়ে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
গৌড়ের বারদুয়ারি বা বড় সোনা মসজিদ তাঁর আমলের কীর্তি।
তিনি বাগেরহাটের মিঠাপুকুর এর নির্মাতা।
তাঁর আদেশে কবীন্দ্র পরমেশ্বর মহাভারতের কিয়দংশ বাংলায় অনুবাদ করেন।
- জ্ঞান ও শিক্ষা প্রসারের জন্য নুসরত শাহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লাইব্রেরি স্থাপন করেন
নিজ নামে মুদ্রা জারি করেন কে?
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ।
নিজ নামে মুদ্রা জারি করেন ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ।
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহ ছিলেন বাংলার প্রথম স্বাধীন সুলতান।
১৩৩৮ সালে তিনি সোনারগাঁওয়ের শাসনক্ষমতা দখল ও স্বাধীনতা ঘোষনা করেন।
ফখরুদ্দিনের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় বসেন তার পুত্র গাজী শাহ।
কৃত্তিবাস রামায়ন রচনা করেন কার পৃষ্ঠপোষকতায়?
জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ।
কৃত্তিবাস রামায়ন রচনা করেন জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহের পৃষ্ঠপোষকতায়।
মহারাজ গণেশ ছিলেন বাংলার একজন হিন্দু শাসক। তিনি বাংলার ইলিয়াস শাহি রাজবংশকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় এসে সমগ্র বাঙ্গালা জুড়ে স্বাধীন হিন্দু সাম্রাজ্য স্থাপন করেন। তাঁর পুত্র ছিলেন সুলতান যদুনারায়ণ বা জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ।
জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ এর পৃষ্ঠপোষকতায় কৃত্তিবাস রামায়ন রচনা করেন।
হাবশী শাসন উচ্ছেদ করেন কোন সুলতান?
আলাউদ্দীন হুসেন শাহ।
হাবশী শাসন উচ্ছেদ করেন আলাউদ্দীন হুসেন শাহ।
বাংলায় ছয় বছর হাবশী শাসন জারি ছিল। হাবশী শাসন উচ্ছেদ করে সিংহাসনে বসেন সৈয়দ হোসেন। নাম ধারণ করেন আলাউদ্দীন হুসেন শাহ।
আলাউদ্দীন হুসেন শাহ ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ স্বাধীন সুলতান।
তার আমলে বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়।
তাঁর সময় শ্রী চৈতন্য বৈষ্ণব ধর্ম প্রচার করেন।
তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় মালাধর বসু শ্রীমদ্ভাগবৎ ও কবীন্দ্র পরমেশ্বর মহাভারত বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন।
বাংলার শেষ স্বাধীন মুসলমান শাসক কে?
গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহ।
বাংলার শেষ স্বাধীন মুসলমান শাসক ছিলেন গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহ।
গিয়াসউদ্দীন মাহমুদ শাহ (১৫৩৩-১৫৩৮) বাংলার হোসেন শাহী বংশের শেষ সুলতান। তিনি তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র সুলতান আলাউদ্দীন ফিরুজকে হত্যা করে ১৫৩৩ খ্রিস্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং পাঁচ বছর শাসন করেন।
ভ্রাতুষ্পুত্রকে ক্ষমতাচ্যুত করে গিয়াসউদ্দীন মাহমুদ শাহ অমাত্যদের মধ্যে নিজের শত্রু সৃষ্টি করেন এবং নিজ রাজ্যে অন্তর্বিরোধের বীজ বপন করেন। তাই সিংহাসনে আরোহণের পর তিনি খুব জটিল পরিস্থিতির সম্মুখীন হন।
বাংলার রাজধানী হিসেবে সােনারগাঁও এর পত্তন কে করেন?
ঈশা খা।
বাংলার রাজধানী হিসেবে সােনারগাঁও এর পত্তন করেন ঈশা খা।
ইসা খানের জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে। তিনি ছিলেন সরাইলের জমিদার, ভাটি অঞ্চলের শাসক এবং বারো ভূঁইয়াদের নেতা।
তিনি ছিলেন বারো ভূঁইয়াদের নেতা। তিনি মুঘলদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করে, ‘মসনদ-ই-আলা’ উপাধি নেন।
শূর ও কররানি’ বাংলায় কোন আমলের শাসকগােষ্ঠীদের বংশ?
আফগান।
‘শূর ও কররানি’ বাংলায় আফগান আমলের শাসকগােষ্ঠীদের বংশ।
আফগান শাসন (১৫৩৮ ও ১৫৩৯-১৫৭৬ খ্রি.) হোসেন শাহী আমলের অবসানের পর বাংলায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
শেরখান শূর (শের শাহ) ১৫৩৮ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে হোসেন শাহী বংশের শেষ সুলতান গিয়াসউদ্দীন মাহমুদ শাহকে পরাজিত করে বাংলা অধিকার করেন এবং সেখানে শূর বংশীয় আফগান শাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
কররানি রাজবংশ সুলতান তাজ খান কররানি কর্তৃক ১৫৬৪ সালে স্থাপিত হয়।
উপমহাদেশের প্রামাণ্য দলিল ‘ইন্ডিকা’ গ্রন্থটি কার লেখা?
মেগাস্থিনিস।
উপমহাদেশের প্রামাণ্য দলিল ‘ইন্ডিকা’ গ্রন্থটি মেগাস্থিনিসের লেখা।
মেগাস্থিনিস ছিলেন একজন প্রাচীন গ্রীক ইতিহাসবিদ, কূটনীতিবিদ এবং হেলেনিস্টিক যুগে ভারতীয় নৃতত্ত্ববিদ ও অনুসন্ধানকারী। তিনি প্রাচীন গ্রিস এর একজন পর্যটক এবং ভূগোলবিদ। সিরিয়ার রাজা প্রথম সেলুকাসের দূত হিসেবে ভারতীয় রাজা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য এর রাজদরবারে আসেন। তিনি যখন ভারতে আসেন তখন চন্দ্রগুপ্তের রাজদরবার ছিল ভারতের পাটালিপুত্র নামক স্থানে।
বখতিয়ার খিলজির রাজধানী কোথায় ছিল?
গৌড়।
বখতিয়ার খিলজির রাজধানী ছিল গৌড়।
বাংলায় প্রথম মুসলিম শাসক ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ-বিন-বখতিয়ার খলজি (১২০৪)। তিনি সেন বংশের শেষ রাজা লক্ষণ সেনকে বিতাড়িত করে বাংলা দখল করেন ১২০৪ সালে। তিনি বাংলার রাজধানী স্থাপন করেন লক্ষণাবতী (গৌড়), তখন লক্ষণাবতী লখনৌতি নামে পরিচিত ছিল।
গ্রীষ্মের দাবদাহ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সাথে তুলনা করতে গিয়ে বাংলাকে ‘দোজখ-ই-পুর নিয়ামত’ অর্থাৎ প্রাচুর্যপূর্ণ নরক বলে অভিহিত করেন কোন পরিব্রাজক?
ইবনে বতুতা।
ইবনে বতুতা গ্রীষ্মের দাবদাহ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সাথে তুলনা করতে গিয়ে বাংলাকে ‘দোজখ-ই-পুর নিয়ামত’ অর্থাৎ প্রাচুর্যপূর্ণ নরক বলে অভিহিত করেছিলেন।
ইবনে বতুতা দিল্লিতে ভ্রমণ করেন মুহম্মদ বিন তুঘলকের আমলে এবং বাংলায় ভ্রমণ করেন ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ এর আমলে। কিতাবুল রেহালা বা সফরনামা তার লেখা একটি গ্রন্থ।
সমগ্র বাংলার প্রথম মুসলিম অধিপতি-
ইলিয়াস শাহ।
সমগ্র বাংলার প্রথম মুসলিম অধিপতি ছিলেন ইলিয়াস শাহ।
ইলিয়াস শাহ এর শাসনামল থেকে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল পরিচিত হয়ে ওঠে বাঙ্গালাহ নামে। তাঁর উপাধি ছিল শাহ্-ই-বাঙ্গালা ও শাহ-ই-বাঙালিয়ান। তার সময় হতেই বাংলার অধিবাসীগণ পরিচিতি পায় বাঙালি নামে।
মুসলিম শাসকদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌ বাহিনী গড়ে তােলেন কে?
ইওয়াজ খিলজি।
মুসলিম শাসকদের মধ্যে সর্বপ্রথম নৌ বাহিনী গড়ে তােলেন ইওয়াজ খিলজি।
ইওজ খলজী ১২১২ থেকে ১২২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত মুসলিম রাজ্য লখনৌতির সুলতান ছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম হুসামউদ্দীন ইওজ খলজী। তিনি ছিলেন উত্তর আফগানিস্তানের গরমশির-এর এক নগণ্য বাসিন্দা। কথিত আছে, প্রথম জীবনে তিনি মালবাহী গাধার চালক হিসেবে দূরবর্তী স্থানে মালামাল পৌঁছে দিতেন। এমনি এক সফরে তিনি কয়েকজন দরবেশকে খাদ্য ও পানি দিয়ে তুষ্ট করেন এবং তাঁরা, তাঁকে আশীর্বাদ করে ভারতবর্ষে যেতে নির্দেশ দেন।
পথিমধ্যে বখতিয়ার খলজীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘটে এবং তাঁরা ১১৯৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতে পৌঁছেন। বখতিয়ারের সহকারী হিসেবে তিনি উদন্তপুর বিহার জয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
ঐতিহাসিক পানামনগর’ কোথায়?
সোনারগাঁতে।
‘ঐতিহাসিক পানামনগর’ নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁতে অবস্থিত।
পানাম সোনারগাঁয়ের একটি প্রাচীন এলাকা। তেরো শতকের শেষদিকে সোনারগাঁয়ে হিন্দু আমলের রাজধানী শহরটি এখানেই অবস্থিত ছিল বলে ধারণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে পুরনো রাজধানী শহরের দক্ষিণে যে মুসলিম রাজধানী শহর গড়ে ওঠে, তারও অংশ ছিল এ পানাম এলাকা। এখানে তখন মুসলিম শাসনকর্তাদের আবাসস্থল ছিল।
মুগলদের সোনারগাঁও অধিকারের পর মহাসড়ক ও সেতু নির্মাণ করে রাজধানী শহরের সঙ্গে পানাম এলাকার সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
খ্রিস্টপূর্ব কত শতকে মুদ্রার প্রচলন হয়?
৪।
খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকে মুদ্রার প্রচলন হয়।
ভারতের প্রথম মুদ্রার প্রচলন করেন ইলতুতমিশ।
গৌড়ের সোনা মসজিদ কার আমলে নির্মিত হয়?
হুসেন শাহী আমলে।
গৌড়ের সোনা মসজিদ হুসেন শাহী আমলে নির্মিত হয়।
আলাউদ্দীন হুসেন শাহ ছিলেন সুলতানী আমলে হুসেন শাহী বংশের প্রথম ও শ্রেষ্ঠ শাসক। তার শাসনকালকে মুসলমান শাসনের স্বর্ণযুগ বলা হয়।
তাঁর শাসনকালেই আবির্ভাব ঘটে বৈষ্ণব ধর্মের প্রচারক শ্রীচৈতন্যে দেবের এবং মালাধর বসু ‘শ্রীমস্তগবদু’ ও ‘পুরাণ’ এবং পরমেশ্বর ‘মহাভারত’ বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন। তিনি নির্মাণ করেন গৌড়ের ছোট সোনা মসজিদ।
বাংলার প্রাচীন নগর কর্ণসুবর্ণ এর অবস্থান ছিল ?
মুর্শিদাবাদ।
বাংলার প্রাচীন নগর কর্ণসুবর্ণ এর অবস্থান ছিল মুর্শিদাবাদ।
কর্ণসুবর্ণ ছিল বাংলার প্রথম স্বাধীন শাসক শশাঙ্কের রাজধানী। শশাঙ্ক ছিলেন স্বাধীন রাজ্য ‘গৌড়ের’ রাজা। তিনি পুরো বাংলাকে একত্র করে শাসন করেছিলেন। এজন্য তাকে বাংলার প্রাচীন বাংলার প্রথম সার্বভৌম শাসক বলা হয়।
কররাণীদের বাংলার রাজধানী ছিল -
তাণ্ডায়
কররাণীদের বাংলার রাজধানী ছিল তাণ্ডায়।
সর্দার তাজ খান কররানি বাংলায় কররানি বংশ প্রতিষ্ঠা করেন (১৫৬৪ খ্রি.)।
তাজ খান কররাণী ও সুলায়মান খান কররাণী শের শাহের সেনাপতি ছিলেন।
দাউদ কররাণী ছিলেন বাংলায় শেষ আফগান শাসক।
কর্ণসুবর্ণ বাংলার গৌড় রাজ্যের প্রথম স্বাধীন শাসক শশাঙ্ক-এর রাজধানী।
সুলতানী আমলে বাংলার রাজধানী ছিল প্রথমে সোনারগাঁও (১৩৩৮-১৩৫২ খ্রি.)।
পরে রাজধানী স্থানান্তরিত হয় গৌড়ে (১৪৫০-১৫৬৫ খ্রি.)।
সপ্তম শতকে শশাঙ্ককে গৌড়রাজ বলা হতো। এ সময় গৌড়ের রাজধানী ছিলো কর্ণসুবর্ণ।
কোন শাসকের সময় থেকে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল পরিচিত হয়ে উঠে বাঙ্গালাহ নামে ?
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ।
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের সময় থেকে সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল পরিচিত হয়ে উঠে ‘বাঙ্গালাহ’ নামে। ১৩৫২ সালে তিনি সমগ্র বাংলা অধিকার করেন।
তিনি ছিলেন সমগ্র বাংলার অধিপতি হওয়া প্রথম মুসলিম। তাঁর উপাধি ছিল ‘শাহ্-ই-বাঙ্গালা’ ও ‘শাহ-ই-বাঙালিয়ান’। তার সময় হতেই বাংলার অধিবাসীগণ পরিচিতি পায় বাঙালি নামে।
নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ্ নাম গ্রহণ করেন-
বুঘরা খান।
দিল্লির সুলতান গিয়াসউদ্দীন বলবন এর কনিষ্ঠ পুত্র বুগরা খান ‘নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ’ নাম গ্রহণ করেন।
১২৮৭ সালে সুলতান গিয়াসউদ্দিন বলবনের মৃত্যুর পরে বুগরা খান বাংলার স্বাধীনতা ঘোষণা করে নিজের স্বাধীন সুলতান হিসেবে দেশ পরিচালনা শুরু করেন।
তিনি প্রথম স্বাধীন সুলতান হিসেবে বাংলা শাসন করেন।
বাংলা মুসলিম শাসনের অধীনে ছিল-
১২০৪ থেকে ১৭৬৫।
বাংলা মুসলিম শাসনের অধীনে ছিল ১২০৪ থেকে ১৭৬৫ পর্যন্ত।
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি ১২০৪ সালে লক্ষণ সেনকে পরাজিত করে বাংলায় প্রথম মুসলিম শাসন প্রবর্তন করেন।
বাংলায় মামলুক শাসকগণ কত বছর শাসন করেন?
৬০ বছর।
বাংলায় মামলুক শাসকগণ কত বছর শাসন করেন?
বাংলায় মামলুক শাসকগণ প্রায় ৬০ বছর শাসন করেন।
“মামলুক” শব্দের অর্থ ক্রীতদাস। তখনকার সময়ে যুদ্ধবন্দীদের বাজারে দাস হিসেবে বিক্রি করা হত। আব্বাসীয় খলিফা মুসতাসিম বিল্লাহ এর সময় থেকেই এসব দাসদেরকে কেনার পর সেনাবাহিনীতে ভর্তি করা হতো। মামলুকরা সিংহাসনের অধিকার আদায় করে আইয়ুবিদের সময়।
ইওজ খলজির মৃত্যুর পর থেকে ১২৮৭ সাল পর্যন্ত ষাট বছর বাংলা দিল্লীর একটি প্রদেশে পরিগণিত হয়। এ সময় ১৫ জন শাসক বাংলা শাসন করেন। তাদের মধ্যে ১০ জন ছিলেন দাস। দাসদের ‘মামলুক’ বলা হয়। এজন্য এই শাসনামলকে মামলুক শাসন বলে অভিহিত করা হয়।
তৎকালীন বুকাইনগর, বর্তমান-
ময়মনসিংহ।
তৎকালীন বুকাইনগর, বর্তমান-ময়মনসিংহ।
আবুল ফজল ও মীর্জা নাথানের মতে ‘ইছনা আশারা’ হলাে-
বারো ভূঁইয়া।
আবুল ফজল ও মীর্জা নাথানের মতে ‘ইছনা আশারা’ হলাে বারো ভূঁইয়া।
বারো ভূঁইয়া বাংলার স্থানীয় প্রধান ও জমিদার, যাঁরা আকবর ও জাহাঙ্গীর এর রাজত্বকালে মুগলবিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। বারো ভূঁইয়া শব্দটি নির্ভুলভাবে বারোজন ভূঁইয়া বা প্রধানকে বোঝায় না; বহু সংখ্যক বুঝাতে এ শব্দটি ব্যবহূত হয়েছে।
আকবরনামা এর রচয়িতা আবুল ফজল এবং বাহারিস্তান-ই-গায়েবী এর রচয়িতা মির্জা নাথান, উভয়েই বারো ভূঁইয়াদের বোঝাতে সংখ্যাসূচক ইছনা-আশারা (বারো) শব্দটি ব্যবহার করেছেন
বারো ভূঁইয়া নিয়ন্ত্রিত এলাকা ছিল বাংলার ভাটি অঞ্চল। ভাটি অঞ্চল হলো গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনার বিধৌত অঞ্চল অর্থাৎ ঢাকা, ময়মনসিংহ, ত্রিপুরা এবং সিলেটের নিম্নাঞ্চল।
কোন সুলতানের আমলে খান জাহান আলী বাংলায় আগমন করেন?
নাসির উদ্দিন মাহমুদ শাহ।
সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদ শাহের আমলে খান জাহান আলী বাংলায় আগমন করেন।
১৪৫২ খ্রিষ্টাব্দে নাসিরউদ্দিন মাহমুদ শাহ গৌড়ের সিংহাসনে বসেন।
নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শিল্প ও স্থাপত্যের একজন বড় পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, তাঁর রাজত্বকালে বহু মসজিদ, খানকাহ, সেতু ও সমাধিসৌধ নির্মিত হয়। তাঁর রাজত্বকালে নির্মিত মসজিদগুলির মধ্যে বাগেরহাটের খান জাহানের ষাটগম্বুজ মসজিদ এবং ঢাকার বখত বিনত মসজিদ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আলাউদ্দিন হুসেন শাহের রাজধানী ছিল কোনটি?
একডালা।
আলাউদ্দিন হুসেন শাহের রাজধানী ছিল একডালা। তিনি ছিলেন বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ স্বাধীন সুলতান। আলাউদ্দিন হুসেন শাহের শাসনামল ছিল বাংলায় মুসলিম শাসনের স্বর্নযুগ। তার আমলে বাংলার রাজধানী ছিল গৌড়।
তিনি গৌড়ের বিখ্যাত ছোট সোনা মসজিদ তৈরি করেন।
তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় মালাধর বসু শ্রীমদ্ভাগবৎ ও কবীন্দ্র পরমেশ্বর মহাভারত বাংলায় অনুবাদ করেছিলেন।
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ ছিলেন প্রজাদরদি ও বহুগুণের অধিকারী। তাঁর আমলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনেক উন্নতি হয় ।
শ্রীচৈতন্য তাঁর আমলেই বৈষ্ণবধর্ম প্রচার করেন। হোসেন শাহের পরেও এ বংশের তিনজন সুলতান বাংলা শাসন করেন। তাঁরাও হোসেন শাহের মতো উদারভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করে এবং শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করেন। আর এ জন্যই বাংলার হোসেন শাহি আমলকে স্বর্ণযুগ বলা হয়।
ফখরুদ্দিন মোবারক শাহের শাসনামল কোনটি?
১৩৩৮-১৪৪৯
১৩৩৮ খ্রিষ্টাব্দে সোনারগাঁওয়ের শাসনকর্তা বাহরাম খানের মৃত্যু হয়।
বাহরাম খানের বর্মরক্ষক ছিলেন ‘ফখরা’ নামের একজন রাজকর্মচারী। প্রভুর মৃত্যুর পর তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ‘ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ’ নাম নিয়ে সোনারগাঁওয়ের সিংহাসনে বসেন।
এভাবেই সূচনা হয় বাংলার স্বাধীন সুলতানী যুগের। দিল্লির মুহম্মদ-বিন-তুঘলকের এ সময় সুদূর বাঙলার দিকে দৃষ্টি দেওয়ার সুযোগ ছিল না। তাই সোনারগাঁওয়ে স্বাধীনতার সূচনা হলেও ধীরে ধীরে স্বাধীন অঞ্চলের সীমা বিস্তৃত হতে থাকে। পরবর্তী দুইশত বছর এ স্বাধীনতা কেউ কেড়ে নিতে পারেনি।
একজন স্বাধীন সুলতান হিসেবে ফখরুদ্দিন নিজ নামে মুদ্রা জারি করেছিলেন। তাঁর মুদ্রায় খোদিত তারিখ দেখে ধারণা করা যায়, তিনি ১৩৩৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৩৪৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সোনারগাঁও রাজত্ব করেন। ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ তাঁর রাজসীমা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে কিছুটা বৃদ্ধি করেছিলেন।
তিনিই সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম জয় করেন। চাঁদপুর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি রাজপথ ফখরুদ্দিন মুবারক শাহ তৈরি করেছিলেন বলে জানা যায়। ১৩৪৯ খ্রিষ্টাব্দে সোনারগাঁও টাকশাল থেকে ইখতিয়ার উদ্দিন গাজী শাহ নামাঙ্কিত মুদ্রা জারি করা হয়। গাজী শাহের নামাঙ্কিত মুদ্রায় ১৩৫২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তারিখ পাওয়া যায়। সুতরাং বোঝা যায়, ফখরুদ্দিন পুত্র গাজী শাহ পিতার মৃত্যুর পর সোনারগাঁওয়ের স্বাধীন সুলতান হিসেবে সিংহাসনে বসেন এবং ১৩৫২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিন বছর রাজত্ব করেন।
বাংলার হাবসী শাসন কত বছর স্থায়ী ছিল?
৬ বছর।
বাংলার হাবসী শাসন মাত্র ছয় বছর (১৪৮৭-১৪৯৩ খ্রিঃ) স্থায়ী ছিল।
এ সময় এদেশের ইতিহাস ছিল অন্যায়, অবিচার, বিদ্রোহ, ষড়যন্ত্র আর হতাশায় পরিপূর্ণ।
এ সময়ে চারজন হাবসী সুলতানের মধ্যে তিনজন হাবসী সুলতানকেই হত্যা করা হয়।
হাবসী নেতা সুলতান শাহজাদা ‘বরবক শাহ’ উপাধি নিয়ে প্রথম বাংলার ক্ষমতায় বসেন।
মুজাফফর শাহের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই বাংলায় হাবশি শাসনের অবসান ঘটে।
কররাণীদের বাংলার রাজধানী ছিল -
তাণ্ডায়
কররাণীদের বাংলার রাজধানী ছিল তাণ্ডায়।
সর্দার তাজ খান কররানি বাংলায় কররানি বংশ প্রতিষ্ঠা করেন (১৫৬৪ খ্রি.)।
তাজ খান কররাণী ও সুলায়মান খান কররাণী শের শাহের সেনাপতি ছিলেন।
দাউদ কররাণী ছিলেন বাংলায় শেষ আফগান শাসক।
কর্ণসুবর্ণ বাংলার গৌড় রাজ্যের প্রথম স্বাধীন শাসক শশাঙ্ক-এর রাজধানী।
সুলতানী আমলে বাংলার রাজধানী ছিল প্রথমে সোনারগাঁও (১৩৩৮-১৩৫২ খ্রি.)।
পরে রাজধানী স্থানান্তরিত হয় গৌড়ে (১৪৫০-১৫৬৫ খ্রি.)।
সপ্তম শতকে শশাঙ্ককে গৌড়রাজ বলা হতো। এ সময় গৌড়ের রাজধানী ছিলো কর্ণসুবর্ণ।
দাস বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
কুতুবুদ্দিন আইবেক।
কুতুবউদ্দিন আইবেক দানশীলতার জন্য লাখবক্স হিসেবে পরিচিত। তিনি সমগ্র হিন্দুস্তানের প্রথম সম্রাট।
তিনি দাস বংশের প্রতিষ্ঠাতা। কুতুবউদ্দিন আইবেক উত্তর ভারতে রাজা বিস্তার করলেও অধিবাসী ছিলেন তুর্কিস্তানের।
চল্লিশ জন তুর্কি কৃতদাস নিয়ে বন্দেগান-ই-চেহেলগান বা চল্লিশ চক্র গঠন করেন কে?
ইলতুতমিশ।
চল্লিশ জন তুর্কি কৃতদাস নিয়ে বন্দেগান-ই-চেহেলগান বা চল্লিশ চক্র গঠন করেন ইলতুতমিশ।
জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ কার পুত্র ছিলেন?
রাজা গণেশ।
মহারাজ গণেশ ছিলেন বাংলার একজন হিন্দু শাসক। তিনি বাংলার ইলিয়াস শাহি রাজবংশকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় এসে সমগ্র বাঙ্গালা জুড়ে স্বাধীন হিন্দু সাম্রাজ্য স্থাপন করেন। তাঁর পুত্র সুলতান যদুনারায়ণ বা জালালউদ্দিন মুহাম্মদ শাহ।
বাংলার আকবর বলা হয় কাকে?
আলাউদ্দীন হুসেন শাহ।
‘হোসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা- আলাউদ্দিন হোসেন শাহ।
সুলতানী শাসনামলে বঙ্গে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্পকলার উন্নতি সাধিত হয়েছিল এই জন্য তার শাসনামলকে “স্বর্ণযুগ’ বলা হয়েছে।
বাংলার আকবর বলা হয় আলাউদ্দীন হোসেন শাহকে।
বড় সোনা মসজিদ কার আমলের কীর্তি?
নুসরত শাহ।
শ্রীকর নন্দী কোন সুলতান নুসরত শাহের আদেশে মহাভারত অনুবাদ করেন।
নাসিরউদ্দিন নুসরত শাহ ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের পুত্র। তাঁর সময়ে ভারতে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
গৌড়ের বারদুয়ারি বা বড় সোনা মসজিদ তাঁর আমলের কীর্তি।
তিনি বাগেরহাটের মিঠাপুকুর এর নির্মাতা।
তাঁর আদেশে কবীন্দ্র পরমেশ্বর মহাভারতের কিয়দংশ বাংলায় অনুবাদ করেন।
জ্ঞান ও শিক্ষা প্রসারের জন্য নুসরত শাহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লাইব্রেরি স্থাপন করেন।
ইবনে বতুতা কাকে ভারতের আলেক্সান্ডার বলেছেন?
আলাউদ্দিন খলজি।
ইবনে বতুতা আলাউদ্দিন খলজিকে ভারতের আলেক্সান্ডার বলেছেন। তিনি দিল্লির শ্রেষ্ঠ সুলতান। দিল্লির শাসকদের মধ্যে তিনিই প্রথম স্থায়ী সেনাবাহিনী গড়ে তুলেন। আলাউদ্দিন খলজি চতুর্থ লুইয়ের মতো বলেন— আমিই রাষ্ট্র।
বাগেরহাটে ‘মিঠা পুকুর’ খনন করেন কোন সুলতান?
নাসির উদ্দীন নুসরাত শাহ।
গৌড়ের বিখ্যাত বড় সোনা মসজিদ (বারদুয়ারি মসজিদ) এবং কদমরসুল ভবন নুসরাত শাহের অমরকীর্তি। প্রজাদের পানির কষ্ট দূর করার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে কূপ ও পুকুর খনন করেন নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ। বাগেরহাটে ‘মিঠা পুকুর খনন করেন- নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ।