মুক্তিযুদ্ধ-২ Flashcards
স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় কবে?
৯ মার্চ।
০৯ মার্চ, ১৯৭১: স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
আন্দোলন পরিচালনার জন্য সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। আন্দোলনের পরিচালনার জন্য চার নেতা হলেন: আ স ম আবদুর রব, নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ এবং আব্দুল কুদ্দুস মাখন।
বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ছাত্রসভায় গৃহীত স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করা হয় কবে?
১৮ এপ্রিল, ১৯৭১।
✔ ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ : মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়।
✔ ১১ এপ্রিল, ১৯৭১ : তাজউদ্দীন আহমেদ বেতারকেন্দ্র থেকে ভাষণ দেন।
✔ ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ : মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে।
✔ ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১: মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করা হয়।
সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত মুক্তিযুদ্ধে _____ এর কমান্ডার ছিলেন
সেক্টর ৪।
✔ ১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর রফিকুল ইসলাম।
✔ ২ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর এ টি এম হায়দার।
✔ ৩ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর কে এম শফিউল্লাহ, মেজর এ এন এম নুরুজ্জামান।
✔৪ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর সি আর দত্ত, এ রব।
✔ ৫ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার- মেজর মীর শওকত আলী।
✔ ৬ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-উইং কমান্ডার এম কে বাশার।
✔ ৭ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর নাজমুল হক, মেজর এ রব, মেজর কাজী নুরুজ্জামান।
✔ ৮ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর এম এ মনসুর।
✔ ৯ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবদুল জলিল, মেজর জয়নাল আবেদীন।
✔ ১০ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলনা।
✔ ১১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর এম আবু তাহের, ফ্লাইট লে এম হামিদুল্লাহ
১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সনে মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কে?
আবদুল মান্নান।
☑ মুজিবনগর সরকার:
স্থান: আগরতলা (ত্রিপুরার রাজধানী)।
গঠনের সময় : ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
অন্য নাম: প্রবাসী/ অস্থায়ী সরকার /বাংলাদেশের প্রথম সরকার/Govt in Exile।
☑ মুজিবনগর সরকার শপথ:
আব্দুল মান্নান: ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সনে মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। শপথের স্থান: মুজিবনগর (পূর্বনাম মেহেরপুর ভবেরপাড়া)। শপথ বাক্য পড়ান: মেহেরপুর জেলার ভবেরপাড়া ইউনিয়নের বৈদ্যনাথ তলায় অধ্যাপক ইউসুফ আলী (চিফ হুইপ)।
বিদেশিদের মধ্যে কে একমাত্র বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত হন?
উইলিয়াম ওডারল্যান্ড।
বিদেশিদের মধ্যে একমাত্র বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত হন উইলিয়াম ওডারল্যান্ড।তিনি নেদারল্যান্ডসে জন্মগ্রহণ করলেও, তার জাতীয়তা অষ্ট্রেলীয় ।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে কোন ২ জন নারী মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব ভূষিত হয়েছেন?
ডাঃ সেতারা বেগম ও তারামন বিবি।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব ভূষিত হয়েছেন ডাঃ সেতারা বেগম ও তারামন বিবি।
ডা সেতারা বেগম যুদ্ধ করেছেন ২ নং সেক্টরে। তারামন বিবি যুদ্ধ করেছেন ১১ নং সেক্টরে। অন্যদিকে, মুক্তিবেটি নামে পরিচিত কাঁকন বিবিকে ‘বীর প্রতীক’ উপাধি দেয়া হয়- ১৯৯৬ সালে। তবে এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোন গ্যাজেট প্রকাশিত হয়নি। তিনি খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর হয়ে ৫ নং সেক্টরের গুপ্তচরের কাজ করেন। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায়। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ২০১৮ সালে।
ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী জনসমাজ থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র বীর বিক্রম’ খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা কে ছিলেন?
উক্যাচিং মারমা।
ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী জনসমাজ থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র বীর বিক্রম’ খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন উক্যাচিং মারমা।
পরিচয়: মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত উপজাতি/ আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা ৷ জন্ম: বান্দরবান জেলায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ইপিআর এর সদস্য হিসেবে ৬নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় দলের হকি খেলোয়াড়।
মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন?
এম মনসুর আলী।
☑ মুজিবনগর সরকার:
✔ রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
✔ সৈয়দ নজরুল ইসলাম : মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
✔ তাজউদ্দীন আহমেদ: মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
✔ এম মনসুর আলী: মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী, অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব, শিল্প-বাণিজ্য, পরিবহন, খাদ্য, বস্ত্র মন্ত্রী।
✔ এএইচএম কামরুজ্জামান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষি, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী।
✔ খন্দকার মোশতাক: পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।
কবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
১৯ মার্চ, ১৯৭২।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি একটি ২৫ বছর মেয়াদী চুক্তি যা ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে মার্চ তারিখে ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
মেয়াদ শেষ হয় ১৯৯৭ সালে। বাংলাদেশের প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি হচ্ছে ১৯৭২ সালের মৈত্রী চুক্তি। এই চুক্তিতে প্রাধান্য পেয়েছে বাণিজ্য বিষয়াদি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ২০১৮ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন যে ব্রিটিশ-
জুলিয়ান ফ্রান্সিস।
জুলিয়ান ফ্রান্সিসকে ২০১২ সাল ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ সম্মাননা দেয়া হয় । এরপর ৩ জুলাই, ২০১৮ সালে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়।
বর্তমানে দেশে মোট বীরাঙ্গনা-
৪৪৮ জন।
বর্তমানে দেশে মোট বীরাঙ্গনা ৪৪৮ জন। বীরাঙ্গনাদের ২০১৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে কে তুলে ধরেন?
এদের সবাই।
☑️ মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ব জনমত ও তাদের ভূমিকা:
✔️ The concert for Bangladesh: ১ আগস্ট ,১৯৭১ সালে নিউইয়র্ক ম্যাডিসন স্কয়ারে পন্ডিত রবি শংকরের অনুরোধে জর্জ হ্যারিসন ও তার বন্ধুরা ‘দ্যা কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এই অনুষ্টানের আয়োজন করেন। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য সাহায্য করা।
ব্যান্ডদল ছিল “দ্যা বিটলস” লন্ডনের। প্রধান শিল্পি ছিলেন জর্জ হ্যারিসন (ব্রিটিশ)। অন্যান্য শিল্পি ছিলেন-বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, লিয়ন রাসেল, বিলি প্রিস্টন, ব্যাড ফিঙ্গার এবং রিঙ্গো রকস্টার। বব ডিলান ছিলেন মার্কিন নাগরিক। অনুষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন পল সুইমার।
✔️ সাইমন ড্রিং ছিলেন একজন সাংবাদিক, তিনি বিশ্বের কাছে মুক্তিযুদ্ধকালীন ভয়ানক অবস্থা তুলে ধরেছিলেন। তিনি ঢাকায় কর্মরত ব্রিটিশ “ডেইলি টেলিগ্রাফের” সাংবাধিক। তিনি ৩১ মার্চ, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যা “ডেইলি টেলিগ্রাফ” পত্রিকায় প্রকাশ করেন। তাকে ২০১২ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি ২০২১ সালের ১৬ জুলাই রোমানিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।
✔️ মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ রচিত একটি কবিতা হচ্ছে September on Jessore Road. এটাতেও মুক্তিযুদ্ধে শরণার্থীদের কথা বলা হয়েছে।
✔️ অ্যান্থনিম্যাস কারেনহাস ঢাকায় কর্মরত পাকিস্তানি মর্নিং নিউজ পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন। তিনি একজন পাকিস্তানি। লন্ডনে আত্মগোপন করে ‘সানডে টাইমস’ পত্রিকায় বাংলাদেশে পাকবাহিনীর গণহত্যার তথ্য প্রকাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ২টি বই লিখেন তিনি-The Rape Of Bangladesh (1972) এবং Bangladesh: A legacy of Blood.
✔️ ইয়েভগান ইয়েভ তুসোস্কর ছিলেন একজন রাশিয়ান কবি। মুক্তিযুদ্ধে অর্থ সংগ্রহের জন্য কবিতা পাঠের আয়োজন করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী দ্বিতীয় দেশ কোনটি?
ভারত।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী দ্বিতীয় দেশ ভারত।
✔️৬ ডিসেম্বর ,১৯৭১ সালে ভুটান এবং ভারত একই দিনে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে কিন্তু ভুটান ভারতের চেয়ে কিছুসময় আগে প্রদান করে। তাই ভুটান ১ম ও ভারত ২য়।
✔️ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়া না থাকলে অপশনে মালয়েশিয়া হবে।
✔️ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম ইউরোপীয় দেশ পূর্ব জার্মানি। অপশনে পূর্ব জার্মানি না থাকলে পোল্যান্ড হবে।
✔️ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দূর-প্রাচ্যের দেশ মঙ্গোলিয়া।
✔️ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম আরব/মমধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক।
✔️ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম মুসলিম/আফ্রিকান দেশ সেনেগাল।
১৯৭৩ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন-
তাজউদ্দীন আহমেদ।
তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন যা “মুজিবনগর সরকার” নামে অধিক পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসাবে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ কোথায় অবস্থিত?
মেহেরপুর।
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে অবস্থিত এবং এর স্থপতি তানভীর কবির।
শহিদ মুক্তিযোদ্ধা শাফি ইমাম রুমী মুক্তিবাহিনীর কোন গেরিলা দলের সদস্য ছিলেন?
ক্র্যাক প্লাটুন।
ক্র্যাক প্লাটুন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ২ নং সেক্টরের অধীনে ঢাকা শহরে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একদল তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘটিত দল। এ গেরিলা দলটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ‘হিট এন্ড রান’ পদ্ধতিতে অসংখ্য আক্রমণ পরিচালনা করে। মোফাজজাল হোসেন চৌধুরী (মায়া), গাজী দস্তগীর, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, খালেদ মোশাররফ, এটিএম হায়দার, ইমাম শাফি রুমি প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালকে কোথায় সমাধিস্থ করা হয়েছে?
আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালকে সমাধিস্থ করা হয়েছে আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তিনি ২ নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন। তার জন্মস্থান হচ্ছে ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজিপুর গ্রামে। তিনি সেনাবাহিনী ছিলেন।
বাংলাদেশে মোট রাষ্ট্রীয় খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা কত?
৬৭৭।
✔️ মোট খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা (৬৭৬+১) = ৬৭৭ জন।
✔️ বীরশ্রেষ্ঠ = ৭ জন,
বীর উত্তম (৬৮+১) = ৬৯ জন (সর্বশেষ= ব্রিগেডিয়ার জামিল উদ্দীন),
বীর বিক্রম = ১৭৫ জন,
বীর প্রতীক = ৪২৬ জন।
তবে বঙ্গবন্ধুর ৪ খুনির খেতাব বাতিল করায় বর্তমানে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৬৭৭ - ৪ = ৬৭৩ জন।
মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ডেভিড ফ্রস্ট ছিলেন-
একজন সাংবাদিক।
ডেভিড ফ্রস্ট বিখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কয়েকদিন পর ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক বিরাট সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি কখনও বঙ্গবন্ধুর অফিসে, কখনও তাঁর বিখ্যাত সেই ছোট্ট নীল সরকারি গাড়িতে, কখনও ৩২ নাম্বার বাড়ির শোবার ঘরে, বারান্দায় বসে নেয়া হয়েছে।
১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি নিউইয়র্ক টেলিভিশনের ডেভিড ফ্রস্ট প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়। এই সাক্ষাৎকারেই দেশবাসীর ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন বঙ্গবন্ধু। সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হওয়ার বিষয়টি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ঢাকা…..এর অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সেক্টর ২।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর দুই নং সেক্টরের অধীনে ছিল। দুই নং সেক্টরের অধীনে ছিল নোয়াখালী জেলা, কুমিল্লা জেলার আখাউড়া - ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত এবং ফরিদপুর ও ঢাকার অংশবিশেষ। ২ নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর খালেদ মোশারফ এবং মেজর এটিএম হায়দার।