মুক্তিযুদ্ধ-২ Flashcards
স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় কবে?
৯ মার্চ।
০৯ মার্চ, ১৯৭১: স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
আন্দোলন পরিচালনার জন্য সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। আন্দোলনের পরিচালনার জন্য চার নেতা হলেন: আ স ম আবদুর রব, নূরে আলম সিদ্দিকী, শাজাহান সিরাজ এবং আব্দুল কুদ্দুস মাখন।
বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ছাত্রসভায় গৃহীত স্বাধীন বাংলাদেশ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করা হয় কবে?
১৮ এপ্রিল, ১৯৭১।
✔ ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ : মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়।
✔ ১১ এপ্রিল, ১৯৭১ : তাজউদ্দীন আহমেদ বেতারকেন্দ্র থেকে ভাষণ দেন।
✔ ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ : মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে।
✔ ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১: মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন করা হয়।
সেক্টর কমান্ডার সি আর দত্ত মুক্তিযুদ্ধে _____ এর কমান্ডার ছিলেন
সেক্টর ৪।
✔ ১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর রফিকুল ইসলাম।
✔ ২ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর এ টি এম হায়দার।
✔ ৩ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর কে এম শফিউল্লাহ, মেজর এ এন এম নুরুজ্জামান।
✔৪ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর সি আর দত্ত, এ রব।
✔ ৫ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার- মেজর মীর শওকত আলী।
✔ ৬ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-উইং কমান্ডার এম কে বাশার।
✔ ৭ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর নাজমুল হক, মেজর এ রব, মেজর কাজী নুরুজ্জামান।
✔ ৮ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর এম এ মনসুর।
✔ ৯ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবদুল জলিল, মেজর জয়নাল আবেদীন।
✔ ১০ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলনা।
✔ ১১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর এম আবু তাহের, ফ্লাইট লে এম হামিদুল্লাহ
১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সনে মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কে?
আবদুল মান্নান।
☑ মুজিবনগর সরকার:
স্থান: আগরতলা (ত্রিপুরার রাজধানী)।
গঠনের সময় : ১০ এপ্রিল ১৯৭১।
অন্য নাম: প্রবাসী/ অস্থায়ী সরকার /বাংলাদেশের প্রথম সরকার/Govt in Exile।
☑ মুজিবনগর সরকার শপথ:
আব্দুল মান্নান: ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সনে মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। শপথের স্থান: মুজিবনগর (পূর্বনাম মেহেরপুর ভবেরপাড়া)। শপথ বাক্য পড়ান: মেহেরপুর জেলার ভবেরপাড়া ইউনিয়নের বৈদ্যনাথ তলায় অধ্যাপক ইউসুফ আলী (চিফ হুইপ)।
বিদেশিদের মধ্যে কে একমাত্র বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত হন?
উইলিয়াম ওডারল্যান্ড।
বিদেশিদের মধ্যে একমাত্র বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত হন উইলিয়াম ওডারল্যান্ড।তিনি নেদারল্যান্ডসে জন্মগ্রহণ করলেও, তার জাতীয়তা অষ্ট্রেলীয় ।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে কোন ২ জন নারী মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব ভূষিত হয়েছেন?
ডাঃ সেতারা বেগম ও তারামন বিবি।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের জন্য বীর প্রতীক খেতাব ভূষিত হয়েছেন ডাঃ সেতারা বেগম ও তারামন বিবি।
ডা সেতারা বেগম যুদ্ধ করেছেন ২ নং সেক্টরে। তারামন বিবি যুদ্ধ করেছেন ১১ নং সেক্টরে। অন্যদিকে, মুক্তিবেটি নামে পরিচিত কাঁকন বিবিকে ‘বীর প্রতীক’ উপাধি দেয়া হয়- ১৯৯৬ সালে। তবে এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোন গ্যাজেট প্রকাশিত হয়নি। তিনি খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিবাহিনীর হয়ে ৫ নং সেক্টরের গুপ্তচরের কাজ করেন। তাঁর বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলায়। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ২০১৮ সালে।
ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী জনসমাজ থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র বীর বিক্রম’ খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা কে ছিলেন?
উক্যাচিং মারমা।
ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী জনসমাজ থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র বীর বিক্রম’ খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন উক্যাচিং মারমা।
পরিচয়: মুক্তিযুদ্ধে একমাত্র বীরবিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত উপজাতি/ আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা ৷ জন্ম: বান্দরবান জেলায়। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ইপিআর এর সদস্য হিসেবে ৬নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। তিনি ছিলেন পাকিস্তানের জাতীয় দলের হকি খেলোয়াড়।
মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী কে ছিলেন?
এম মনসুর আলী।
☑ মুজিবনগর সরকার:
✔ রাষ্ট্রপতি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
✔ সৈয়দ নজরুল ইসলাম : মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি।
✔ তাজউদ্দীন আহমেদ: মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, পরিকল্পনা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
✔ এম মনসুর আলী: মুজিবনগর সরকারের অর্থমন্ত্রী, অর্থ ও জাতীয় রাজস্ব, শিল্প-বাণিজ্য, পরিবহন, খাদ্য, বস্ত্র মন্ত্রী।
✔ এএইচএম কামরুজ্জামান: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষি, সরবরাহ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী।
✔ খন্দকার মোশতাক: পররাষ্ট্র, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী।
কবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়?
১৯ মার্চ, ১৯৭২।
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী চুক্তি একটি ২৫ বছর মেয়াদী চুক্তি যা ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৯শে মার্চ তারিখে ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
মেয়াদ শেষ হয় ১৯৯৭ সালে। বাংলাদেশের প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক চুক্তি হচ্ছে ১৯৭২ সালের মৈত্রী চুক্তি। এই চুক্তিতে প্রাধান্য পেয়েছে বাণিজ্য বিষয়াদি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ২০১৮ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব লাভ করেন যে ব্রিটিশ-
জুলিয়ান ফ্রান্সিস।
জুলিয়ান ফ্রান্সিসকে ২০১২ সাল ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ সম্মাননা দেয়া হয় । এরপর ৩ জুলাই, ২০১৮ সালে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়া হয়।
বর্তমানে দেশে মোট বীরাঙ্গনা-
৪৪৮ জন।
বর্তমানে দেশে মোট বীরাঙ্গনা ৪৪৮ জন। বীরাঙ্গনাদের ২০১৫ সালে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে কে তুলে ধরেন?
এদের সবাই।
☑️ মুক্তিযুদ্ধে বিশ্ব জনমত ও তাদের ভূমিকা:
✔️ The concert for Bangladesh: ১ আগস্ট ,১৯৭১ সালে নিউইয়র্ক ম্যাডিসন স্কয়ারে পন্ডিত রবি শংকরের অনুরোধে জর্জ হ্যারিসন ও তার বন্ধুরা ‘দ্যা কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এই অনুষ্টানের আয়োজন করেন। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য সাহায্য করা।
ব্যান্ডদল ছিল “দ্যা বিটলস” লন্ডনের। প্রধান শিল্পি ছিলেন জর্জ হ্যারিসন (ব্রিটিশ)। অন্যান্য শিল্পি ছিলেন-বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, লিয়ন রাসেল, বিলি প্রিস্টন, ব্যাড ফিঙ্গার এবং রিঙ্গো রকস্টার। বব ডিলান ছিলেন মার্কিন নাগরিক। অনুষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন পল সুইমার।
✔️ সাইমন ড্রিং ছিলেন একজন সাংবাদিক, তিনি বিশ্বের কাছে মুক্তিযুদ্ধকালীন ভয়ানক অবস্থা তুলে ধরেছিলেন। তিনি ঢাকায় কর্মরত ব্রিটিশ “ডেইলি টেলিগ্রাফের” সাংবাধিক। তিনি ৩১ মার্চ, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যা “ডেইলি টেলিগ্রাফ” পত্রিকায় প্রকাশ করেন। তাকে ২০১২ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি ২০২১ সালের ১৬ জুলাই রোমানিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।
✔️ মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ রচিত একটি কবিতা হচ্ছে September on Jessore Road. এটাতেও মুক্তিযুদ্ধে শরণার্থীদের কথা বলা হয়েছে।
✔️ অ্যান্থনিম্যাস কারেনহাস ঢাকায় কর্মরত পাকিস্তানি মর্নিং নিউজ পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন। তিনি একজন পাকিস্তানি। লন্ডনে আত্মগোপন করে ‘সানডে টাইমস’ পত্রিকায় বাংলাদেশে পাকবাহিনীর গণহত্যার তথ্য প্রকাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ২টি বই লিখেন তিনি-The Rape Of Bangladesh (1972) এবং Bangladesh: A legacy of Blood.
✔️ ইয়েভগান ইয়েভ তুসোস্কর ছিলেন একজন রাশিয়ান কবি। মুক্তিযুদ্ধে অর্থ সংগ্রহের জন্য কবিতা পাঠের আয়োজন করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী দ্বিতীয় দেশ কোনটি?
ভারত।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী দ্বিতীয় দেশ ভারত।
✔️৬ ডিসেম্বর ,১৯৭১ সালে ভুটান এবং ভারত একই দিনে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে কিন্তু ভুটান ভারতের চেয়ে কিছুসময় আগে প্রদান করে। তাই ভুটান ১ম ও ভারত ২য়।
✔️ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়া না থাকলে অপশনে মালয়েশিয়া হবে।
✔️ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম ইউরোপীয় দেশ পূর্ব জার্মানি। অপশনে পূর্ব জার্মানি না থাকলে পোল্যান্ড হবে।
✔️ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম দূর-প্রাচ্যের দেশ মঙ্গোলিয়া।
✔️ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম আরব/মমধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাক।
✔️ বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম মুসলিম/আফ্রিকান দেশ সেনেগাল।
১৯৭৩ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন-
তাজউদ্দীন আহমেদ।
তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন যা “মুজিবনগর সরকার” নামে অধিক পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসাবে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ কোথায় অবস্থিত?
মেহেরপুর।
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে অবস্থিত এবং এর স্থপতি তানভীর কবির।
শহিদ মুক্তিযোদ্ধা শাফি ইমাম রুমী মুক্তিবাহিনীর কোন গেরিলা দলের সদস্য ছিলেন?
ক্র্যাক প্লাটুন।
ক্র্যাক প্লাটুন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ২ নং সেক্টরের অধীনে ঢাকা শহরে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একদল তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘটিত দল। এ গেরিলা দলটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ‘হিট এন্ড রান’ পদ্ধতিতে অসংখ্য আক্রমণ পরিচালনা করে। মোফাজজাল হোসেন চৌধুরী (মায়া), গাজী দস্তগীর, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, খালেদ মোশাররফ, এটিএম হায়দার, ইমাম শাফি রুমি প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালকে কোথায় সমাধিস্থ করা হয়েছে?
আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালকে সমাধিস্থ করা হয়েছে আখাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তিনি ২ নং সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন। তার জন্মস্থান হচ্ছে ভোলা জেলার দৌলতখান থানার পশ্চিম হাজিপুর গ্রামে। তিনি সেনাবাহিনী ছিলেন।
বাংলাদেশে মোট রাষ্ট্রীয় খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা কত?
৬৭৭।
✔️ মোট খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা (৬৭৬+১) = ৬৭৭ জন।
✔️ বীরশ্রেষ্ঠ = ৭ জন,
বীর উত্তম (৬৮+১) = ৬৯ জন (সর্বশেষ= ব্রিগেডিয়ার জামিল উদ্দীন),
বীর বিক্রম = ১৭৫ জন,
বীর প্রতীক = ৪২৬ জন।
তবে বঙ্গবন্ধুর ৪ খুনির খেতাব বাতিল করায় বর্তমানে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৬৭৭ - ৪ = ৬৭৩ জন।
মুক্তিযুদ্ধের বন্ধু ডেভিড ফ্রস্ট ছিলেন-
একজন সাংবাদিক।
ডেভিড ফ্রস্ট বিখ্যাত ব্রিটিশ সাংবাদিক এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কয়েকদিন পর ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এক বিরাট সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি কখনও বঙ্গবন্ধুর অফিসে, কখনও তাঁর বিখ্যাত সেই ছোট্ট নীল সরকারি গাড়িতে, কখনও ৩২ নাম্বার বাড়ির শোবার ঘরে, বারান্দায় বসে নেয়া হয়েছে।
১৯৭২ সালের ১৮ জানুয়ারি নিউইয়র্ক টেলিভিশনের ডেভিড ফ্রস্ট প্রোগ্রাম ইন বাংলাদেশ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়। এই সাক্ষাৎকারেই দেশবাসীর ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর চালানো নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন বঙ্গবন্ধু। সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হওয়ার বিষয়টি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ঢাকা…..এর অন্তর্ভুক্ত ছিল।
সেক্টর ২।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর দুই নং সেক্টরের অধীনে ছিল। দুই নং সেক্টরের অধীনে ছিল নোয়াখালী জেলা, কুমিল্লা জেলার আখাউড়া - ভৈরব রেললাইন পর্যন্ত এবং ফরিদপুর ও ঢাকার অংশবিশেষ। ২ নং সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর খালেদ মোশারফ এবং মেজর এটিএম হায়দার।
সরকারি হিসেবে বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন মোট
৩০৫৩ দিন।
সরকারি হিসেবে বঙ্গবন্ধু জেলে ছিলেন মোট ৩০৫৩ দিন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বিখ্যাত গেরিলা দল ক্র্যাক প্লাটুন কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?
সেক্টর, ০২।
ক্র্যাক প্লাটুন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ২ নং সেক্টরের অধীনে ঢাকা শহরে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একদল তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘটিত দল। এ গেরিলা দলটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ‘হিট এন্ড রান’ পদ্ধতিতে অসংখ্য আক্রমণ পরিচালনা করে। মোফাজজাল হোসেন চৌধুরী (মায়া), গাজী দস্তগীর, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, খালেদ মোশাররফ, এটিএম হায়দার, ইমাম শাফি রুমি প্রমুখ মুক্তিযোদ্ধা ক্র্যাক প্লাটুনের সদস্য ছিলেন।
খেতাবহীন নারী মুক্তিযোদ্ধা -
কাঁকন বিবি।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের এক বীরযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা ও গুপ্তচর কাঁকন বিবি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর বিপক্ষে মুক্তিবাহিনীর হয়ে ৫ নং সেক্টরের গুপ্তচরের কাজ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। তবে এ বিষয়ে সরকারি ভাবে কোন গেজেট প্রকাশিত হয়নি।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ‘দ্যা কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়?
ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন।
✔️ The concert for Bangladesh: ১ আগস্ট, ১৯৭১ সালে নিউইয়র্ক ম্যাডিসন স্কয়ারে পন্ডিত রবি শংকরের অনুরোধে জর্জ হ্যারিসন ও তার বন্ধুরা ‘দ্যা কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এই অনুষ্টানের আয়োজন করেন। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য সাহায্য করা।
ব্যান্ডদল ছিল “দ্যা বিটলস” লন্ডনের। প্রধান শিল্পি ছিলেন জর্জ হ্যারিসন (ব্রিটিশ)। অন্যান্য শিল্পি ছিলেন-বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, লিয়ন রাসেল, বিলি প্রিস্টন, ব্যাড ফিঙ্গার এবং রিঙ্গো রকস্টার। বব ডিলান ছিলেন মার্কিন নাগরিক। অনুষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন পল সুইমার।
নিচের কোন মার্কিন সংগীতশিল্পী কনসার্ট ফর বাংলাদেশে উপস্থিত ছিলেন না?
ব্রুস স্প্রিংস্টিন।
✔️ The concert for Bangladesh: ১ আগস্ট, ১৯৭১ সালে নিউইয়র্ক ম্যাডিসন স্কয়ারে পন্ডিত রবি শংকরের অনুরোধে জর্জ হ্যারিসন ও তার বন্ধুরা ‘দ্যা কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এই অনুষ্টানের আয়োজন করেন। উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য সাহায্য করা।
ব্যান্ডদল ছিল “দ্যা বিটলস” লন্ডনের। প্রধান শিল্পি ছিলেন জর্জ হ্যারিসন (ব্রিটিশ)। অন্যান্য শিল্পি ছিলেন-বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, লিয়ন রাসেল, বিলি প্রিস্টন, ব্যাড ফিঙ্গার এবং রিঙ্গো রকস্টার। বব ডিলান ছিলেন মার্কিন নাগরিক। অনুষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন পল সুইমার।
মুক্তিযুদ্ধে “মুজিবনগর” যে সেক্টরের অধীনে ছিল?
: ৮ নং সেক্টর।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘মুজিবনগর’ অন্তর্ভুক্ত ছিল ৮ নং সেক্টরে।
১নং সেক্টর- চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার অংশবিশেষ।
২নং সেক্টর- ফরিদপুর এর পূর্বাঞ্চল, ঢাকা শহরসহ ঢাকা জেলার দক্ষিণাংশ, কুমিল্লা, নোয়াখালী জেলা।
৩নং সেক্টর- কুমিল্লা ও ঢাকা জেলার উত্তরাংশ, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।
৪নং সেক্টর- সিলেট জেলার অংশবিশেষ।
৫নং সেক্টর- সিলেট জেলার বাকি অঞ্চল এবং ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী অঞ্চল।
৬নং সেক্টর- রংপুর ও দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও মহকুমা।
৭নং সেক্টর- সমগ্র বগুড়া, রাজশাহী ও পাবনা জেলা, দিনাজপুর ও রংপুরের অবশিষ্ট অংশ।
৮নং সেক্টর- কুষ্টিয়া (মুজিবনগর) ও যশোর এর সমগ্র এলাকা, ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ, খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমা।
৯নং সেক্টর- সমগ্র বরিশাল, পটুয়াখালী ও খুলনা জেলা (সাতক্ষীরা বাদে), ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ এবং গোপালগঞ্জ।
১০নং সেক্টর- কোন আঞ্চলিক সীমানা ছিল না। কেবলমাত্র নৌ-কম্যান্ডোদের নিয়ে গঠিত। যে সেক্টরের এলাকায় কম্যান্ডো অভিযান চালানো হতো, কম্যান্ডোরা সেই সেক্টর কমান্ডারের অধীনে কাজ করত।
১১নং সেক্টর-কিশোরগঞ্জ বাদে সমগ্র ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল জেলা।
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের কবর যেই জেলায়-
চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের জন্ম ৭ মার্চ ১৯৪৯, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে।। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন। ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ তিনি পাকবাহিনীর সাথে সরাসরি যুদ্ধে শহিদ হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছোট সোনা মসজিদ প্রাঙ্গণে তাকে সমাহিত করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের দিন আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন কে?
গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
☑️ চূড়ান্ত বিজয় ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ: ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫ টায় ভারতের সেনাপ্রধান মানকেশ পাকিস্তানকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯ টার মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেন। পরে তা বিকাল ৩টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঢাকায় পাকিস্তানি জেনারেল হামিদ নিয়াজিকে জানান। ১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯ টায় জে. জ্যাকবকে আত্মসমর্পণ দলিল ঠিক করতে ঢাকায় পাঠানো হয়। পাকিস্তান আত্মসমর্পণের পরিবর্তে “যুদ্ধ বিরতি’’ করতে চাইলে জ্যাকব অনড় থাকেন।
✔️ চূড়ান্ত বিজয়: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ (বৃহস্পতিবার, বিকাল ৪ টা ৩১)।
✔️ স্থান: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।
✔️ পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ: যৌথ বাহিনীর কাছে।
✔️ আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন: ২ জন। যথা-
১. যৌথ বাহিনীর পক্ষে লে. জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা।
২. পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি। বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন এ.কে. খন্দকার।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী ঢাকার কোথায় আত্মসমর্পণ করে?
তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে।
☑️ চূড়ান্ত বিজয় ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ: ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিকাল ৫ টায় ভারতের সেনাপ্রধান মানকেশ পাকিস্তানকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯ টার মধ্যে আত্মসমর্পণের জন্য সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেন। পরে তা বিকাল ৩টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঢাকায় পাকিস্তানি জেনারেল হামিদ নিয়াজিকে জানান। ১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া ৯ টায় জে. জ্যাকবকে আত্মসমর্পণ দলিল ঠিক করতে ঢাকায় পাঠানো হয়। পাকিস্তান আত্মসমর্পণের পরিবর্তে “যুদ্ধ বিরতি’’ করতে চাইলে জ্যাকব অনড় থাকেন।
✔️ চূড়ান্ত বিজয়: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ (বৃহস্পতিবার, বিকাল ৪ টা ৩১)।
✔️ স্থান: ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।
✔️ পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ: যৌথ বাহিনীর কাছে।
✔️ আত্মসমর্পণ দলিলে স্বাক্ষর করেন: ২ জন। যথা-
১. যৌথ বাহিনীর পক্ষে লে. জেনারেল জগজিৎ সিং আরোরা।
২. পাকিস্তানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন আমির আব্দুল্লাহ খান নিয়াজি। বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন এ.কে. খন্দকার।
স্বাধীন বাংলাদেশকে কখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দান করে?
৪ এপ্রিল, ১৯৭২।
স্বাধীন বাংলাদেশেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্বীকৃতি দান করে ৪ এপ্রিল ১৯৭২। অন্যদিকে, জাতিসংঘের স্থায়ী ৫ দেশের মধ্যে প্রথম স্বীকৃতি দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন (২৪ জানুয়ারি, ১৯৭২)।
কোন তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা সরকারীভাবে গৃহীত হয়?
১৭ জানুয়ারি, ১৯৭২।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারীভাবে গৃহীত হয়। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ১৬ ডিসেম্বরে বাংলাদেশের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
বাংলার মানচিত্র প্রথম কে এঁকেছিলেন?
জেমস রেনেল।
১৭৭৯ সালে প্রকাশিত Bengal Atlas মাধ্যমে মেজল জেমস রেনেল প্রথম বাংলার মানচিত্র প্রকাশ করেন। অন্যদিকে,
জয়নুল আবেদিনের বিখ্যাত চিত্রকর্মের মধ্যে রয়েছে দুর্ভিক্ষ-চিত্রমালা, মই দেয়া, সংগ্রাম, সাঁওতাল রমণী, ঝড়, কাক, বিদ্রোহী ইত্যাদি। কামরুল হাসানের বিখ্যাত চিত্রকর্ম তিন কন্যা।
বাংলাদেশকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেয়-
১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪।
১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ১৩৬ তম সদস্য হিসেবে জাতিসংঘে যোগদান করে। যোগদানের এক সপ্তাহ পর ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন।
দ্য রেপ অব বাংলাদেশ কে লিখেছেন?
অ্যান্থনিম্যাস কারেনহাস।
অ্যান্থনিম্যাস কারেনহাস ঢাকায় কর্মরত পাকিস্তানি মর্নিং নিউজ পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন। তিনি একজন পাকিস্তানি। লন্ডনে আত্মগোপন করে ‘সানডে টাইমস’ পত্রিকায় বাংলাদেশে পাকবাহিনীর গণহত্যার তথ্য প্রকাশ করেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ২টি বই লিখেন তিনি-The Rape Of Bangladesh (1972) এবং Bangladesh: A legacy of Blood.
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভা কবে গঠিত হয়?
১০ এপ্রিল, ১৯৭১ খ্রি.।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভা গঠিত হয় ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ খ্রি.। ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ গঠিত হয় বলে তাজউদ্দিন আহমদ ঘোষণা দেয়। ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে।
মুজিবনগর সরকারের দপ্তর বন্টন করা হয় কবে?
মুজিবনগর সরকারের দপ্তর বন্টন করা হয় কবে?
১৮ এপ্রিল, ১৯৭১।
মুজিবনগর সরকারের দপ্তর বন্টন করা হয় ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১। ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ গঠিত হয় বলে তাজউদ্দিন আহমদ ঘোষণা দেয়। ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার ঘোষণা করা হয়েছিল-
১০ এপ্রিল, ১৯৭১ খ্রি.।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার ঘোষণা করা হয়েছিল- ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ খ্রি.।
বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার কোথায় গঠিত হয়?
আগরতলা।
১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ গঠিত হয় বলে তাজউদ্দিন আহমদ ঘোষণা দেয়।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় (সদর দপ্তর) কোথায় ছিল?
৮ নং থিয়েটার রোড, কলকাতা।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী সচিবালয় (সদর দপ্তর)ছিল ৮ নং থিয়েটার রোড, কলকাতা।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। এ সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করা। বাঙালি কর্মকর্তাদের নিয়ে সরকার প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করেন। এতে মোট ১২টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ছিল।
১৯৭১ সালের ২০ অক্টোবর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংগঠন ও কার্যাবলীর ওপর তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব একটি প্রতিবেদন পেশ করেন।
এই প্রতিবেদনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে ১২টি মন্ত্রণালয়/বিভাগে সংগঠিত করা হয়েছিল:
১. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়,
২. পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,
৩. অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়,
৪. মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়,
৫. সাধারণ প্রশাসন বিভাগ,
৬. স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিভাগ,
৭. তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়,
৮. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,
৯. ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়,
১০. সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়,
১১. কৃষি বিভাগ,
১২. প্রকৌশল বিভাগ।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ নেয় কত সালে?
১৭ এপ্রিল, ১৯৭১।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম মন্ত্রিসভা গঠিত হয় ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ খ্রি.। ১০ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ গঠিত হয় বলে তাজউদ্দিন আহমদ ঘোষণা দেয়। ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে।
মুজিবনগর দিবস’ কবে পালন করা হয়?
১৭ এপ্রিল।
‘মুজিবনগর দিবস’ পালন করা হয় ১৭ এপ্রিল। ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে। এইদিন থেকে বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।
বর্তমান মুজিবনগরের পূর্ব নাম কী?
বর্তমান মুজিবনগরের পূর্ব নাম ভবেরপাড়া।।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয় –
মুজিবনগর হতে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয় –মুজিবনগর হতে। ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ সালে মুজিবনগর থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করেন মুজিবনগর সরকারের পক্ষে সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ঘোষণাপত্র রচনা করেন ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম।
দেশের (মুজিবনগর সরকারের) প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন—
জনাব তাজউদ্দীন আহমদ।
বাংলাদেশের (মুজিবনগর সরকারের) প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন জনাব তাজউদ্দীন আহমদ।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল অস্থায়ী প্রবাসী সরকার/মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। ১৭ এপ্রিল এ সরকার শপথ গ্রহণ করে।
☑️ এই সরকারের গঠন:
রাষ্ট্রপতি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
উপরাষ্ট্রপতি ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি : সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী : তাজউদ্দিন আহমেদ।
স্বরাষ্ট্র-ত্রাণ-পুনর্বাসন মন্ত্রী : আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
অর্থ-বাণিজ্য মন্ত্রী : এম মনসুর আলী।
পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী : খন্দকার মুশতাক আহমেদ।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট কে ছিলেন?
সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল অস্থায়ী প্রবাসী সরকার/মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়। ১৭ এপ্রিল এ সরকার শপথ গ্রহণ করে।
☑️ এই সরকারের গঠন:
রাষ্ট্রপতি : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
উপরাষ্ট্রপতি ও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি : সৈয়দ নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী : তাজউদ্দিন আহমেদ।
স্বরাষ্ট্র-ত্রাণ-পুনর্বাসন মন্ত্রী : আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
অর্থ-বাণিজ্য মন্ত্রী : এম মনসুর আলী।
পররাষ্ট্র ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী : খন্দকার মুশতাক আহমেদ
বাাংলাদেশে কখন প্রথম প্রেসিেেডন্ট পদ্ধতির সরকার গঠিত হয়?
১৯৭১।
বাাংলাদেশে প্রথম প্রেসিেেডন্ট পদ্ধতির সরকার গঠিত হয় ১৯৭১ সালে।
এক নদী রক্ত পেরিয়ে’- গানটির গীতিকার (রচয়িতা) কে?
খান আতাউর রহমান ।
‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’- গানটির গীতিকার (রচয়িতা) খান আতাউর রহমান ।
একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’- গানটির গীতিকার (রচয়িতা) কে?
গোবিন্দ হালদার।
‘একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি’- গানটির গীতিকার (রচয়িতা) গোবিন্দ হালদার।
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ গানটির শিল্পী কে?
আপেল মাহমুদ।
‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ গানটির শিল্পী আপেল মাহমুদ।