বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ-১ Flashcards
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস কবে?
১৯ মার্চ, ১৯৭১।
☑️ ‘১৯ মার্চ, ১৯৭১; মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ’:
বিদ্রোহ করেন: গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টের বীর সেনা ও জনতা।
বিদ্রোহীদের দমনে নেতৃত্বে ছিল: পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেব।
ওইদিন ইয়াহিয়া-মুজিব বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে শেখ মুজিব বলেন, “আমি সব সময় ভালোই আশা করি এবং খারাপের জন্য প্রস্তুত থাকি”।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?
৩০ অক্টোবর, ২০১৭।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ৩০ অক্টোবর, ২০১৭ সালে।
☑ ‘৭ মার্চের ভাষণ’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ দেন- রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে)।
ভাষণের ১ম লাইন: ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
ভাষণের শেষ লাইন: এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।
ভাষণটি ছিল : ১৮ মিনিটের।
** ৭ ই মার্চের ভাষণের দাবি ছিল ৪ দফা-
ক. চলমান সামরিক আইন প্রত্যাহার।
খ. সৈন্যদের ব্যারাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।
গ. গণহত্যার তদন্ত করা।
ঘ. নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত চলচ্চিত্রের নাম কী?
দ্যা স্পিচ।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত চলচ্চিত্রের নাম দ্যা স্পিচ।
☑ ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
৭ মার্চের ভাষণটি বাংলাদেশের সংবিধানের ৫ম তফসিল এর ১৫০(২) অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে।
৭ মার্চের ভাষণকে UNESCO ওয়ার্ল্ডস ডকুমেন্টারি হেরিটেজ (৭৭তম তালিকায়) হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ৩০ অক্টোবর, ২০১৭ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে ইউনেস্কোর ৩৯তম সভায়।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্রের নাম- দ্য স্পিচ।
৭ মার্চের ভাষণের আদলে নির্মিত দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য - সোনারগাঁয়ের লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সামনে (ভাস্কর শ্যামল চৌধুরী)।
৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন-এর গেটিসবার্গ অ্যাড্রেসের সাথে তুলনা করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে?
ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।
মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট।
☑️ ‘১৯ মার্চ, ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ’:
বিদ্রোহ করেন: গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর ক্যান্টনমেন্টের বীর সেনা ও জনতা।
বিদ্রোহীদের দমনে নেতৃত্বে ছিল: পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেব।
বঙ্গবন্ধুকে কবে ‘জাতির জনক’ ঘোষণা করা হয়?
৩ মার্চ, ১৯৭১।
৩ মার্চ, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুকে ‘জাতির জনক’ উপাধি দেন ডাকসুর ভিপি আ.স.ম আব্দুর রব। ওইদিন স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা হয়।
☑ স্বাধীনতার ইশতেহার:
০৩ মার্চ, ১৯৭১-স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা। ঘোষণাকারী সংগঠন: স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।ন ইশতেহার ঘোষণা বা পাঠ করেন: ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ। সভায় সভাপতিত্ব করেন: ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী।
এই ইশতেহার- ✔ পাকিস্তানি উপনিবেশবাদের কবল হতে মুক্ত হয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি চালু করে ‘কৃষক শ্রমিকরাজ’ কায়েম করার শপথ গ্রহণ করা হয়। ✔ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক’ ঘোষণা করা হয়।
✔ “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
স্বাধীনতার ইশতেহারে ৩টি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করা হয়-বাঙালির ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির পূর্ণবিকাশ, বৈষম্যের নিরসন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহিদ ছিলেন?
শঙ্কু সমজদার।
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহিদ-শঙ্কু মজুমদার (৩ মার্চ, ১৯৭১)।
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম নারী শহিদ-কবি মেহেরুন্নেসা (২৭ মার্চ, ১৯৭১)।
কোন জেলে বঙ্গবন্ধুর বিচারকার্য সম্পন্ন করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছিল?
ফয়সালাবাদ (লায়লাপুর)।
বঙ্গবন্ধুর বিচারকার্য সম্পন্ন করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছিল ফয়সালাবাদ (লায়লাপুর) জেল থেকে।
☑ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার ও বিচার প্রক্রিয়া:
গ্রেপ্তার: ২৫ শে মার্চ, ১৯৭১; রাত- ১.৩০ মিনিট (২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে)।
গ্রেপ্তার করা হয়: ৩২ নম্বরের ৬৭৭ নম্বর বাসভবন থেকে।
গ্রেপ্তার করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যাওয়া হয়: ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে।
২৬ মার্চ রাখা হয়: ফ্ল্যাগস্টাফ হাউসে।
২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে নেয়া হয়: করাচিতে।
করাচি থেকে বঙ্গবন্ধুকে নেয়া হয়: লায়ালপুরে অবস্থিত মিয়ানওয়ালী কারাগারে।
বিচার শুরু: ১১ আগস্ট, ১৯৭১ [সামরিক আদালতে]।
অভিযোগ ছিলো: ১২ টি।
অন্যতম অভিযোগ ছিল: রাষ্ট্রদ্রোহিতা, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ও বাংলাদেশকে স্বাধীন করার ষড়যন্ত্র।
রায় ঘোষণা হয়: ৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১।
রায়ে বঙ্গবন্ধুকে দেয়া হয়: মৃত্যুদণ্ডাদেশ [যে সেলে বঙ্গবন্ধু ছিলেন, তার পাশে কবরও খোড়া হয়।]।
বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন: ২৮৮ দিন বা ৯ মাস ১৩ দিন।
জাতীয় গণহত্যা দিবস’ কবে?
২৫ মার্চ।
২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস।
☑ ২৫ মার্চ, ১৯৭১: প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। রাত ১১টা ৩০ মিনিটে অপারেশন সার্চলাইট শুরু হয়। পরিকল্পনা মোতাবেক একযোগে পিলখানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজারবাগে আক্রমণ চালানো হয়।
ইকবাল হলের ২০০ জন ছাত্র, শিক্ষক নিহত হয়। শুধু ঢাকায় ৭ হাজার বাঙালি নিহত হয়। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়।
✔ ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরিচালিত হয় - ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরীহ বাঙালির উপর।
১৯৭১ সালে ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিলেন- জেনারেল রাও ফরমান আলী। ঢাকার বাইরের দায়িত্বে ছিলেন খাদিম হুসাইন রাজা। ২০১৭ সাল থেকে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে।
ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন-
রাও ফরমান আলী।
✔ ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরিচালিত হয় - ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরীহ বাঙালির উপর। ১৯৭১ সালে ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিলেন- জেনারেল রাও ফরমান আলী। ঢাকার বাইরের দায়িত্বে ছিলেন খাদিম হুসাইন রাজা। ২০১৭ সাল থেকে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে।
২৬ মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয় কখন?
১৯৮০।
২৬ মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয় কখন- ১৯৮০ সালে।
☑ ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
পৃথিবীর যে দুটি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র রয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন- ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত বারোটার পর অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে ওয়ারলেসের মাধ্যমে।
২৬ মার্চ অপরাহ্ন ২টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেন। ২৭শে মার্চ ১৯৭১ সালে মেজর জিয়াউর রহমান প্রথমে নিজ নামে এবং পরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয় ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে। (মুজিবনগর হতে)
নিন্মের কোন ঘটনাটি আগে ঘটেছিল
আওয়ামী লীগের ছয় দফা ঘোষণা।
ছয়দফা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়- ২৩ মার্চ, ১৯৬৬ সালে।
অন্যদিকে, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা- ৩ জানুয়ারি, ১৯৬৮; ১১ দফা আন্দোলন- ৪ জানুয়ারি, ১৯৬৯; এবং উনিশ দফা আন্দোলন- ৩০ এপ্রিল, ১৯৭৭ সালে সংঘটিত হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের ইংরেজি অনুবাদক
সৈয়দ আলী আহসান।
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের ইংরেজি অনুবাদক সৈয়দ আলী আহসান।
☑ জাতীয় সঙ্গীত:
✔ জাতীয় সঙ্গীত- আমার সোনার বাংলা’র প্রথম দশ চরণ। “আমার সোনার বাংলা”গানটির রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯০৫ সাল)।
✔ রচনার প্রেক্ষাপট: বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন।
✔ গানটি নেওয়া হয়েছে: রবীন্দ্রনাথের ‘গীতাবিতান’ কাব্যগ্রন্থের স্বরবিতান কাব্য থেকে।
✔ সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় : বঙ্গদর্শন পত্রিকায় (১৯০৫)।
✔ গানটিতে প্রাধান্য পায় : বাংলার প্রকৃতির কথা।
✔ গানটির ইংরেজি অনুবাদক : সৈয়দ আলী আহসান।
✔ মোট চরণ: ২৫টি। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতটি মূল কবিতার প্রথম ১০টি চরণ এবং কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাজানো হয় প্রথম ৪টি চরণ।
✔ জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়: ৩ মার্চ, ১৯৭১ সালে।
✔ সরকারিভাবে গৃহীত হয়: ১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে।
২৬ মার্চকে বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালন করে-
নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটন।
ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসকে ‘বাংলাদেশ দিবস’ ঘোষণা করেছেন ২০১৮ সালে।
কোন সাংকেতিক নামে পাকিস্তানী বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতে নিরীহ বাঙালীদের উপর হামলা শুরু করেছিল?
অপারেশন সার্চলাইট।
অপারেশন সার্চলাইট সাংকেতিক নামে পাকিস্তানী বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের রাতে নিরীহ বাঙালীদের উপর হামলা শুরু করেছিল।
✔ Operation Searchlight: ‘অপারেশন সার্চলাইট’ পরিচালিত হয় - ২৫ মার্চ মধ্যরাতে নিরীহ বাঙালির উপর। ১৯৭১ সালে ঢাকা শহরে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালনার মূল দায়িত্বে ছিলেন- জেনারেল রাও ফরমান আলী। ঢাকার বাইরের দায়িত্বে ছিলেন খাদিম হুসাইন রাজা। ২০১৭ সাল থেকে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালিত হচ্ছে।
✔ অপারেশন ক্লিন হার্ট- অপরাধ বিরোধী একটি যৌথ অপারেশনের নাম। এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ রাইফেলস, বাংলাদেশ পুলিশ এবং বাংলাদেশ আনসার সদস্যদের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হয়েছিলো।
✔ অপারেশন ব্লু স্টার ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি সামরিক অভিযান।
✔ অপারেশন রেবেল হান্ট হলো ২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান।
আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র কবে জারি করা হয়?
১৭ এপ্রিল, ১৯৭১।
১৯৭১ সালে ১০ এপ্রিল মুজিব নগর সরকার গঠিত হয়। ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর সরকার শপথ গ্রহণ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে জারি হয় ১৭ এপ্রিল ১৯৭১।
বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
শেখ মুজিবুর রহমান।
✔ বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।
✔ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ছিলেন ১ম উপরাষ্ট্রপতি।
✔ আবু সাঈদ ছিলেন ১ম সাংবিধানিক রাষ্ট্রপতি।
✔ খন্দকার মোশতাক ছিলেন পররাষ্ট্র, আইন, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী (মুজিব নগর সরকার)।
কোন পত্রিকা বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজনীতির কবি’ উপাধি দিয়েছিলেন?
নিউজ উইকস।
নিউজউইক ম্যাগাজিন ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল তাদের প্রচ্ছদজুড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে লিড নিউজে তাকে অভিহিত করে ‘পয়েট অব পলিটিক্স’ বা ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের জন্যই তাকে এ উপাধি দেওয়া হয়।
কোথায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা করা হয় ?
পল্টন ময়দান।
পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
☑ স্বাধীনতার ইশতেহার:
০৩ মার্চ, ১৯৭১-স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা। ঘোষণাকারী সংগঠন: স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।ন ইশতেহার ঘোষণা বা পাঠ করেন: ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ। সভায় সভাপতিত্ব করেন: ছাত্রলীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী।
এই ইশতেহার- ✔ পাকিস্তানি উপনিবেশবাদের কবল হতে মুক্ত হয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি চালু করে ‘কৃষক শ্রমিকরাজ’ কায়েম করার শপথ গ্রহণ করা হয়। ✔ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক’ ঘোষণা করা হয়।
✔ “আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি” গানটিকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
স্বাধীনতার ইশতেহারে ৩টি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করা হয়-বাঙালির ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতির পূর্ণবিকাশ, বৈষম্যের নিরসন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তাটি কোন সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল স্থানে প্রচারিত হয়েছিল ?
ইপিআর।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তাটি ইপিআর এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল স্থানে প্রচারিত হয়েছিল।
☑ ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
পৃথিবীর যে দুটি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র রয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন- ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত বারোটার পর অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে ওয়ারলেসের মাধ্যমে।
২৬ মার্চ অপরাহ্ন ২টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেন। ২৭শে মার্চ ১৯৭১ সালে মেজর জিয়াউর রহমান প্রথমে নিজ নামে এবং পরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয় ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে। (মুজিবনগর হতে)ইপিআর।
ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তাটি ইপিআর এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল স্থানে প্রচারিত হয়েছিল।
☑ ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
পৃথিবীর যে দুটি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র রয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন- ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত বারোটার পর অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে ওয়ারলেসের মাধ্যমে।
২৬ মার্চ অপরাহ্ন ২টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেন। ২৭শে মার্চ ১৯৭১ সালে মেজর জিয়াউর রহমান প্রথমে নিজ নামে এবং পরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয় ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে। (মুজিবনগর হতে)ইপিআর।
ব্যাখ্যা:
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তাটি ইপিআর এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সকল স্থানে প্রচারিত হয়েছিল।
☑ ‘স্বাধীনতার ঘোষণা’ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
পৃথিবীর যে দুটি দেশের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র রয়েছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র।
বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন- ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাত বারোটার পর অর্থাৎ ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে ওয়ারলেসের মাধ্যমে।
২৬ মার্চ অপরাহ্ন ২টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি প্রচার করেন। ২৭শে মার্চ ১৯৭১ সালে মেজর জিয়াউর রহমান প্রথমে নিজ নামে এবং পরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয় ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে। (মুজিবনগর হতে)
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মুক্তিবাহিনীর চিফ অব স্টাফ কে ছিলেন?
লে.কর্নেল আব্দুর রব।
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মুক্তিবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ছিলেন লে.কর্নেল আব্দুর রব। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন এম.এ. জি.ওসমানী।
ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ছিলেন এ. কে. খন্দকার এবং খালেদ মোশাররফ ছিলেন ২ নং সেক্টর কমান্ডার।