মুক্তিযুদ্ধ-৩ Flashcards
বিদেশে কোন মিশনে বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলিত হয়-
কলকাতা।
১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল সার্কাস অ্যাভিনিউ, কলকাতার পাকিস্তান ডেপুটি হাইকমিশন অফিসের সব বাঙালি কর্মকর্তা–কর্মচারী একযোগে আনুগত্য প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এবং ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ হোসেন আলীর নেতৃত্বে উড়ানো হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।
বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক ছিল এমন ফরাসি দার্শনিক
আঁন্দ্রে মারলো।
আঁন্দ্রে মারলো ডিএসও ছিলেন একজন ফরাসি ঔপন্যাসিক, প্রত্নতত্ত্ববিদ, শিল্পকলা তাত্ত্বিক এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের ইংরেজি অনুবাদক-
সৈয়দ আলী আহসান।
বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের ইংরেজি অনুবাদক সৈয়দ আলী আহসান।
☑ জাতীয় সঙ্গীত:
✔ জাতীয় সঙ্গীত- আমার সোনার বাংলা’র প্রথম দশ চরণ। “আমার সোনার বাংলা”গানটির রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৯০৫ সাল)।
✔ রচনার প্রেক্ষাপট: বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন।
✔ গানটি নেওয়া হয়েছে: রবীন্দ্রনাথের ‘গীতাবিতান’ কাব্যগ্রন্থের স্বরবিতান কাব্য থেকে।
✔ সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় : বঙ্গদর্শন পত্রিকায় (১৯০৫)।
✔ গানটিতে প্রাধান্য পায় : বাংলার প্রকৃতির কথা।
✔ গানটির ইংরেজি অনুবাদক : সৈয়দ আলী আহসান।
✔ মোট চরণ: ২৫টি। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতটি মূল কবিতার প্রথম ১০টি চরণ এবং কোন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বাজানো হয় প্রথম ৪টি চরণ।
✔ জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়: ৩ মার্চ, ১৯৭১ সালে।
✔ সরকারিভাবে গৃহীত হয়: ১২ জানুয়ারি, ১৯৭২ সালে।
কোন আরব দেশ সর্বপ্রথম বাংলাদেশেকে স্বীকৃতি দিয়েছিল?
ইরাক।
আরব ভূখণ্ডের দেশ হিসেবে প্রথম ইরাক ৮ জুলাই ১৯৭২।
☑ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী দেশসমূহ:
প্রথম দেশ - ভুটান (৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, সকালে)।
দ্বিতীয় দেশ - ভারত (৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, দুপুরে)।
প্রথম এশীয় মুসলিম দেশ- মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া (২৫ ফেব্রু. ১৯৭২)।
প্রথম আরব দেশ এবং প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের দেশ - ইরাক (৮ জুলাই ১৯৭২)।
প্রথম মুসলিম দেশ/ আফ্রিকান দেশ/অনারব মুসলিম দেশ - সেনেগাল (১ ফেব্রু.১৯৭২)।
প্রথম ইউরোপের দেশ - পূর্ব জার্মানি (১১ জানুয়ারি ১৯৭২)।
প্রথম সমাজতান্ত্রিক দেশ- পূর্ব জার্মানি।
প্রথম আমেরিকান দেশ – কানাডা।
প্রথম ওশেনিয়া (অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের) দেশ – টোঙ্গা।
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী সর্বশেষ দেশ -ব্রুনাই।
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার স্থাপিত হয়েছে?
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, থাইল্যান্ড
ব্রাসিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাজিল সাস্কাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, কানাডা ইত্যাদি
সেক্টর নং ৮-এর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন-
লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী।
সেক্টর নং ৮-এর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন-লে. কর্নেল আবু ওসমান চৌধুরী।
✔ ১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর রফিকুল ইসলাম।
✔ ২ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর এ টি এম হায়দার।
✔ ৩ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর কে এম শফিউল্লাহ, মেজর এ এন এম নুরুজ্জামান।
✔৪ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর সি আর দত্ত, এ রব।
✔ ৫ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার- মেজর মীর শওকত আলী।
✔ ৬ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-উইং কমান্ডার এম কে বাশার।
✔ ৭ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর নাজমুল হক, মেজর এ রব, মেজর কাজী নুরুজ্জামান।
✔ ৮ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবু ওসমান চৌধুরী, মেজর এম এ মনসুর।
✔ ৯ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর আবদুল জলিল, মেজর জয়নাল আবেদীন।
✔ ১০ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার ছিলনা।
✔ ১১ নং সেক্টর: সেক্টর কমান্ডার-মেজর এম আবু তাহের, ফ্লাইট লে এম হামিদুল্লাহ।
আত্মসমর্পণের পর পাক সেনাদের নিরাপত্তার জন্য ভারতে যুদ্ধবন্দি হিসেবে নেয়া হয়। ১৯৭২ সালের ২ জুলাই মিসেস ইন্দিরা গান্ধী ও জুলফিকার আলী ভুট্টো কোন চুক্তির মাধ্যমে বন্দি পাকিস্তানি সেনাদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়?
0/1
সিমলা চুক্তি।
আত্মসমর্পণের পর পাক সেনাদের নিরাপত্তার জন্য ভারতে যুদ্ধবন্দি হিসেবে নেয়া হয়। ১৯৭২ সালের ২ জুলাই মিসেস ইন্দিরা গান্ধী ও জুলফিকার আলী ভুট্টো সিমলা চুক্তির মাধ্যমে বন্দি পাকিস্তানি সেনাদের পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়।
যুদ্ধবন্দীদের মুক্তি এবং ভারত -পাকিস্তানের স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ২ জুলাই ভারতের সিমলায় ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে বীরত্বের জন্য ‘বীর প্রতীক’ খেতাবপ্রাপ্ত একমাত্র বিদেশি নাগরিক কোন দেশের?
অস্ট্রেলিয়ার।
বিদেশিদের মধ্যে একমাত্র বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত হন উইলিয়াম ওডারল্যান্ড।তিনি নেদারল্যান্ডসে জন্মগ্রহণ করলেও, তার জাতীয়তা অষ্ট্রেলীয়। তিনি ২ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র ইংরেজি অনুবাদ করেছেন
ফকরুল আলম।
ইংরেজি ভাষায় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’-র অনুবাদক ড. ফকরুল আলম। ২০১২ সালের ১৮ই জুন বাংলা সংস্করণের সাথে এটিও প্রকাশিত হয়। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ লিখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আমার দেখা নয়া চীন ‘’ কার রচনা?
বঙ্গবন্ধু।
'’আমার দেখা নয়া চীন’’ ১৯৫২ সালের রাজনৈতিক জীবনের প্রথম দিকের গণচীন ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে একটি ডায়েরির পুস্তকি রূপ। এটি বঙ্গবন্ধুর রচিত ৩য় গ্রন্থ। জন্মশতবর্ষকে কেন্দ্র করে ২০২০ সালে বাংলা একাডেমি প্রকাশ করে।
কোন পত্রিকা বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজনীতির কবি’ উপাধি দিয়েছিলেন?
নিউজ উইকস।
নিউজউইক ম্যাগাজিন ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল তাদের প্রচ্ছদজুড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দিয়ে লিড নিউজে তাকে অভিহিত করে ‘পয়েট অব পলিটিক্স’ বা ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের জন্যই তাকে এ উপাধি দেওয়া হয়।
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মুক্তিবাহিনীর চিফ অব স্টাফ কে ছিলেন?
লে.কর্নেল আব্দুর রব।
স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মুক্তিবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ছিলেন লে.কর্নেল আব্দুর রব। মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি ছিলেন এম.এ. জি.ওসমানী।
ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ছিলেন এ. কে. খন্দকার এবং খালেদ মোশাররফ ছিলেন ২ নং সেক্টর কমান্ডার
কারাগারের রোজনামচা উল্লেখপূর্বক এদেশ হতে বিরোধী দল মুছে যেত-
তফাজ্জল হোসেন মাণিক মিয়া ও ইত্তেফাক না থাকলে।
কারাগারের রোজনামচা উল্লেখপূর্বক এদেশ হতে বিরোধী দল মুছে যেত তফাজ্জল হোসেন মাণিক মিয়া ও ইত্তেফাক না থাকলে। ‘‘কারাগারের রোজনামচা’’ বইটি লিখেছেন বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রথম বিমান বাহিনীর প্রধান কে ছিলেন?
ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার তথা মুজিবনগর সরকারের বিমান বাহিনীর প্রধান ছিলেন ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকার।
বীরের প্রত্যাবর্তন’ ভাস্কর্যটি কোথায় স্থাপিত?
সোইলমাদ গ্রাম, ভাটারা, বাড্ডা, ঢাকা।
বীরের প্রত্যাবর্তন গুলশান দুই নম্বর ঘেঁষে ভাটারা ইউনিয়নে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে এলাকাটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ এক অঞ্চল। মোজাম্মেল হক বীরপ্রতীকের উদ্যোগে স্থাপিত হয়েছে ভাস্কর্যটি। বীরের প্রত্যাবর্তন’ ভাস্কর্যটির ভাস্কর সুদীপ্ত মল্লিক
মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ছিল কতটি?
১২টি।
☑ মুজিবনগর সরকার মন্ত্রণালয়:
মুজিবনগর সরকারের মোট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ১২টি। সচিব ছিল: ১০ জন।
অর্থ সচিব ছিল: খন্দকার আসাদুজ্জামান। পররাষ্ট্রসচিব: জনাব মাহবুবুল আলম চাষী। কেবিনেট সচিব ছিলেন এইচ টি ইমাম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত তারিখে জন্মগ্রহণ করেন?
১৭ মার্চ, ১৯২০ খ্রিষ্টাব্দ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ তারিখে ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলা) টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৭ মার্চ ছিল বুধবার