ভাষা আন্দোলন -১ Flashcards

1
Q

বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দেশের বাইরে প্রথম নির্মিত শহিদ মিনার কোথায়?

A

জাপান।

বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দেশের বাইরে প্রথম শহিদ মিনার নির্মিত হয়েছে জাপানের ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে।

কিন্তু দেশের বাইরে প্রথম শহিদ মিনার নির্মিত হয়েছে ওল্ডহ্যাম যুক্তরাজ্যে।

শহিদ মিনার সম্পর্কে বিশেষ তথ্য:

‘শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ’ প্রথম শহিদ মিনার একুশের রাতেই রাজশাহী কলেজ চত্বরে একুশের প্রথম শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়। স্থাপিত হয়- ২১ফেব্রুয়ারি ১৯৫২।

ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহিদ মিনার: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে (২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২)। ডিজাইনার ছিলেন ডা. বদরুল আলম।
উদ্বোধন করেন শহিদ শফিউরের পিতা মৌলভী মাহবুবুর রহমান, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার: স্থপতি-হামিদুর রহমান এবং অবস্থান-ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

স্মৃতির মিনার: স্থপতি-হামিদুজ্জামান এবং অবস্থান-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

দেশের বাহিরে শহিদ মিনার: ওল্ডহ্যাম, ম্যানচেস্টার, যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বিদেশে প্রথম শহিদ মিনার (১৯৯৭)। মুসলিম দেশের মধ্যে প্রথম নির্মিত শহিদ মিনার অবস্থিত ওমানে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দেশের বাইরে প্রথম শহিদ মিনার নির্মিত হয়েছে জাপানের ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
2
Q

১৯৪৭ সালে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেন -

A

আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

১৯৪৭ সালে হিন্দীকে ভারতের রাষ্ট্র ভাষা করার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য জিয়াউদ্দিন আহমদ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।

এর প্রতিবাদে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা সমস্যা’ শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছিলেন, ‘বাংলাদেশের কোর্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার পরিবর্তে উর্দু ভাষা গ্রহণ করা হইলে উহা রাজনৈতিক পরাধীনতারই নামান্তর হইবে’। এক ভাষণে তিনি আরও বলেন, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালি’‘।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
3
Q

প্রথম যে শহিদ মিনার নির্মিত হয় তার নকশা করেন -

A

: ড. সাঈদ হায়দার।

প্রথম শহিদ মিনারের নকশা আঁকার ভার দেওয়া হয়েছিল বদরুল আলমের ওপর। এ কাজে তার দক্ষতা ও সক্ষমতা দুই-ই ছিল। সে যে নকশা নিয়ে আসে, শৈল্পিক ব্যঞ্জনায় তা অতীব সুন্দর; কিন্তু দুটি বাঁক থাকায় ঢালাইয়ের প্রয়োজন হবে বলে এক রাতে শেষ করা যাবে না।

ড. সাঈদ হায়দার একটা মোটামুটি নকশা দেখান বদরুল আলমকে । এই সহজ-সরল প্ল্যানটা শুধু ইট-সিমেন্টেই শেষ হবে বলে সহজসাধ্য। বদরুল আলম বরুরও পছন্দ হলো। আমরা উভয় চূড়ান্ত ড্রয়িংটা শেষ করে নিয়ে এলে ছাত্র ইউনিয়নের নেতারাসহ ছাত্রকর্মী সবারই পছন্দ হয়।

সুতরাং, বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত প্রহরের দুই দিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তৈরি করেন প্রথম শহিদ মিনার। সাঈদ হায়দার ছিলেন ওই শহিদ মিনারের নকশাকার।

১৯৫২ সালের ২৪ তারিখে ডা. সাঈদ হায়দারের নকশা অনুসারে মেডিকেল কলেজের গেইটের সামনে শহিদ মিনার উদ্বোধন করা হয়। ২৬ তারিখে পুলিশ শহিদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে।

ভাষা সংগ্রামে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার সাঈদ হায়দারকে ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।

ভাষাসংগ্রামী ও শহিদ মিনারের অন্যতম এই উদ্যোক্তা ২০২০ সালে মারা যান।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
4
Q

বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম ভাষা হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়-

A

১৯৫৬ সালে।

বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম ভাষা হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৯৫৬ সালে।

১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশ পাকিস্তান গণপরিষদের বিবেচনার জন্য প্রেরণের একটি প্রস্তাব স্বয়ং মুসলিম লীগ পাস করে। যদিও গণপরিষদে তা বাধার সম্মুখীন হয়।

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের আগে এ বিষয় কোন অগ্রগতি হয়নি।
যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২১ ফেব্রুয়ারি শোক দিবস হিসেবে ছুটি ও শহিদ দিবস ঘোষণা করে। এছাড়া একই বছর গণপরিষদ পাকিস্তানের সরকারি ভাষা হিসেবে উর্দু ও বাংলা এবং পার্লামেন্টে ইংরেজী ছাড়াও উর্দু ও বাংলায় বক্তব্য রাখার বিধান করা হয়।

গণপরিষদের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের ১৯৫৬ সালের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং এইভাবে বাংলা ভাষা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃত পায়।

১৯৬২ সালের সংবিধানেও একইভাবে বাংলাকে বহাল রাখা হয় যা পাকিস্তান আমলে আর পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। এতে বাঙালির আন্দোলনের বিজয় সূচিত হয়। অন্যদিকে বাংলা ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।

☛ একনজরে রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতি:

৯ মে, ১৯৫৪; গণপরিষদ অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সিদ্ধান্ত গৃহীত।

১৬ ফেব্রু. ১৯৫৬; পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ২১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। ১৯৫৬ সালের পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। ফরিদপুরের আদেল উদ্দিন আহমদ এর প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি (সংশোধিত) সংবিধানে সংযোজিত হয়।

২৩ মার্চ, ১৯৫৬; পাকিস্তানের সংবিধান কার্যকর হলে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি লাভ করে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
5
Q

আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়-

A

২৩ জুন, ১৯৪৯।

ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজগার্ডেনে এক কর্মী সম্মেলনে পূর্ব বাংলার বাঙালি প্রগতিশীল নেতা ও কর্মী ঢাকায় মিলিত হয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠন করেন।

নবগঠিত এই দলের সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক। যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।

দলটির প্রথম সম্মলনের সভাপতি ছিলেন আতাউর রহমান খান।

১৯৫৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দলটির নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
6
Q

বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি হলো-

A

ভাষা ও সংস্কৃতি।

বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি হলো ভাষা ও সংস্কৃতি।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
7
Q

পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবি প্রথম কে উত্থাপন করেন?

A

ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবি প্রথম উত্থাপন করেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। এই অধিবেশনে ইংরেজির পাশাপাশি উর্দুতে কার্যক্রম শুরু হলে পূর্ব বাংলার কংগ্রেস সদস্য কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত গণপরিষদের ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবী পেশ করেন। কিন্তু মুসলিম লীগ সদস্যদের তীব্র বিরোধিতায় তার দাবী গৃহিত হয়নি।

☛ ভাষা আন্দোলন, ১৯৪৮:

২৬ ও ২৯ ফেব্রু. ১৯৪৮; রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।

২৯ ফেব্রু. ১৯৪৮; পূর্ব বাংলায় ১৪৪ ধারা জারি করে।

১১ মার্চ, ১৯৪৮; নবগঠিত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ থেকে অধ্যক্ষ আবুল কাশেম “বাংলা ভাষা দাবি দিবস’’ ঘোষণা দেয় এবং ধর্মঘট আহ্বান করে। বঙ্গবন্ধু প্রথম কোপ্তার হন।

১৫ মার্চ, ১৯৪৮; বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ এর ৮ দফা চুক্তি হয়।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
8
Q

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতি ছিলেন-

A

আলী আমজাদ খান।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতি ছিলেন-আলী আমজাদ খান।

১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়।

☛ এর প্রথম কমিটি:

-সভাপতি : মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
-সাধারণ সম্পাদক : শামসুল হক
-সহ সভাপতি : আতাউর রহমান খান, আলী আমজাদ খান, আলী আহমদ খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আবদুস সালাম খান।
-যুগ্ম সম্পাদক : শেখ মুজিবুর রহমান (তখন কারাগারে আটক ছিলেন), খন্দকার মোশতাক আহমদ, এ.কে রফিকুল হোসেন (খায়ের মিয়া )
-ট্রেজারার : ইয়ার মোহাম্মদ খান (যার মালিকানাধীন রোজ গার্ডেনে প্রথম সভার আয়োজন হয়)
-দলটির প্রথম সম্মলনের সভাপতি ছিলেন আতাউর রহমান খান।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
9
Q

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন -

A

নুরুল আমিন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমিন।

☛ ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের প্রথম সরকার:

-পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী : লিয়াকত আলী খান।
-পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী : খাজা নাজিমউদ্দিন।
-পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল : মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

☛ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়:

-পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী : খাজা নাজিমউদ্দিন।
-পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী : নুরুল আমিন
-পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল : গোলাম মুহাম্মদ।
-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য : সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
10
Q

পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে-

A

১৯৫৪ সালে।

পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে ১৯৫৪ সালে।

☛ একনজরে রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতি:

৯ মে, ১৯৫৪; গণপরিষদ অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সিদ্ধান্ত গৃহীত।

১৬ ফেব্রু. ১৯৫৬; পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ২১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। ১৯৫৬ সালের পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। ফরিদপুরের আদেল উদ্দিন আহমদ এর প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি (সংশোধিত) সংবিধানে সংযোজিত হয়।

২৩ মার্চ, ১৯৫৬; পাকিস্তানের সংবিধান কার্যকর হলে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি লাভ করে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
11
Q

বাংলা ভাষাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন-

A

কংগ্রেসের সদস্য।

বাংলা ভাষাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন কংগ্রেসের সদস্য।

পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবি প্রথম উত্থাপন করেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।

১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। এই অধিবেশনে ইংরেজির পাশাপাশি উর্দুতে কার্যক্রম শুরু হলে পূর্ব বাংলার কংগ্রেস সদস্য কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত গণপরিষদের ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবী পেশ করেন। কিন্তু মুসলিম লীগ সদস্যদের তীব্র বিরোধিতায় তার দাবী গৃহিত হয়নি।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
12
Q

একুশের প্রথম গল্প কোনটি?

A

মৌন নয়।

একুশের প্রথম গল্প মৌন নয়।

☛ ভাষা আন্দোলনের যত প্রথম:

প্রথম বই- প্রথম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
প্রথম নাটক- মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’
প্রথম উপন্যাস- জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’
প্রথম সংকলন- হাসান হাফিজুর রহমানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩)
প্রথম কবিতা- মাহবুব-উল-আলম চৌধুরীর কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি
ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প- শাহেদ আলীর ‘মন ও ময়দান’
একুশের প্রথম গল্প- শওকত ওসমানের ‘মৌন নয়’
একুশের প্রথম গান- “ভুলব না, ভুলব না একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’ (রচনা: গাজীউল হক)
প্রভাত ফেরির প্রথম গান- মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল/ভাষা বাঁচাবার তরে/ আজিকে স্মরিও তারে। রচয়িতা: প্রকৌশলী মোশারফ উদ্দিন আহমেদ। সুরকার: আলতাফ মাহমুদ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
13
Q

ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প কোনটি?

A

শাহেদ আলীর মন ও ময়দান।

ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প ‘মন ও ময়দান’ লিখেছেন শাহেদ আলী।

☛ ভাষা আন্দোলনের যত প্রথম:

প্রথম বই- প্রথম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
প্রথম নাটক- মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’
প্রথম উপন্যাস- জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’
প্রথম সংকলন- হাসান হাফিজুর রহমানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩)
প্রথম কবিতা- মাহবুব-উল-আলম চৌধুরীর কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি
ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প- শাহেদ আলীর ‘মন ও ময়দান’
একুশের প্রথম গল্প- শওকত ওসমানের ‘মৌন নয়’
একুশের প্রথম গান- “ভুলব না, ভুলব না একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’ (রচনা: গাজীউল হক)
প্রভাত ফেরির প্রথম গান- মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল/ভাষা বাঁচাবার তরে/ আজিকে স্মরিও তারে। রচয়িতা: প্রকৌশলী মোশারফ উদ্দিন আহমেদ। সুরকার: আলতাফ মাহমুদ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
14
Q

একুশের প্রথম গান কোনটি?

A

ভুলবোনা, ভুলবোনা, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবোনা।

‘ভুলবোনা, ভুলবোনা, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবোনা।’

একুশের প্রথম গান
গীতিকার: ভাষা সৈনিক গাজীউল হক
সুরকার: নিজামুল হক

ভাষা আন্দোলনের যত প্রথম:

প্রথম বই- প্রথম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
প্রথম নাটক- মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’
প্রথম উপন্যাস- জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’
প্রথম সংকলন- হাসান হাফিজুর রহমানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩)
প্রথম কবিতা- মাহবুব-উল-আলম চৌধুরীর কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি
ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প- শাহেদ আলীর ‘মন ও ময়দান’
একুশের প্রথম গল্প- শওকত ওসমানের ‘মৌন নয়’
প্রভাত ফেরির প্রথম গান- মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল/ভাষা বাঁচাবার তরে/ আজিকে স্মরিও তারে। রচয়িতা: প্রকৌশলী মোশারফ উদ্দিন আহমেদ। সুরকার: আলতাফ মাহমুদ।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
15
Q

পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি স্থান দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাশ হয় কবে?

A

২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬।

২৬ ফেব্রুয়ারি’৫৬-পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি স্থান দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাশ হয়।

☛ একনজরে রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতি:

৯ মে, ১৯৫৪; গণপরিষদ অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সিদ্ধান্ত গৃহীত।

১৬ ফেব্রু. ১৯৫৬; পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ২১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। ১৯৫৬ সালের পাকিস্তানের সংবিধানের ২১৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। ফরিদপুরের আদেল উদ্দিন আহমদ এর প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি (সংশোধিত) সংবিধানে সংযোজিত হয়।

২৩ মার্চ, ১৯৫৬; পাকিস্তানের সংবিধান কার্যকর হলে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি লাভ করে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
16
Q

বাংলা একাডেমি’ পুরস্কার কবে থেকে প্রবর্তিত হয়?

A

১৯৬০।

‘বাংলা একাডেমি’ পুরস্কার থেকে প্রবর্তিত হয় ১৯৬০ সালে।

বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫ সালে। মূল উদ্যোক্তা: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এটি ভাষা আন্দোলনের ফলে গঠিত প্রথম প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠিত হয় ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ বা ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৬২ [১৯৫৪ সালে বাংলা একাডেমি গঠনের প্রস্তাব পাস করে- যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা]। এর মূল মিলনায়তনের নাম আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তন।

বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন ড. এনামুল হক। প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ। প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম এবং প্রথম নারী মহাপরিচালক ড. নীলিমা ইব্রাহিম। বর্তমান সভাপতি সেলিনা হোসেন।

বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ৬ টি। বাংলা একাডেমি পত্রিকা (গবেষণামূলক ত্রৈমাসিক), ধান শালিকের দেশ (ত্রৈমাসিক কিশোর পত্রিকা)
বার্তা (অনিয়মিত ত্রৈমাসিক), উত্তরাধিকার (সৃজনশীল মাসিক), বাংলা একাডেমি জার্নাল (ইংরেজি ভাষার ষাণ্মাসিক পত্রিকা), বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা (ষাণ্মাসিক)।

প্রমিত বাংলা উচ্চারণের নিয়ম চালু করেছে ১৯৯২ সালে। চরিতাভিধান: প্রকাশক হচ্ছে বাংলা একাডেমি। এখানে এক হাজার বাঙালি মনীষীদের জীবনী সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে।

How well did you know this?
1
Not at all
2
3
4
5
Perfectly
17
Q

নজরুল মঞ্চ অবস্থিত কোথায়?

A

বাংলা একাডেমি।

নজরুল মঞ্চ অবস্থিত বাংলা একাডেমি।

রবীন্দ্র ও রোকেয়া চত্বর, নজরুল চত্বর ও নজরুল মঞ্চ: বাংলা একাডেমিতে।

18
Q

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?

A

সেগুনবাগিচা, ঢাকা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অবস্থিত সেগুনবাগিচা, ঢাকা।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট চালু হয় ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালে। এটি মাতৃভাষা চর্চা ও গবেষণার স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।

19
Q

ইউনেস্কোর কততম অধিবেশনে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে’ ইউনেস্কোর ক্যাটাগরি-২ ইনস্টিটিউটে উন্নীত করার প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে?

A

৩৮তম।

ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে ইউনেস্কোর ৩৮তম সাধারণ অধিবেশনে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে ইউনেস্কোর ক্যাটাগরি-২ ইনস্টিটিউটে উন্নীত করার প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট চালু হয় ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালে। এটি মাতৃভাষা চর্চা ও গবেষণার স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এটি অবস্থিত সেগুনবাগিচা, ঢাকায়।

20
Q

বাংলাকে জীবনের সর্বস্তরে ব্যবহারের জন্য আইন পাশ হয় কবে?

A

১৯৮৭।

বাংলাকে জীবনের সর্বস্তরে ব্যবহারের জন্য আইন পাশ-১৯৮৭।

☛ বিশেষ তথ্য:

২১ ফেব্রু. ১৯৫৩; প্রথমবারের মত দেশব্যাপী শহিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

১৯৬১-র ১৯শে মে ভারতের আসামের বরাক উপত্যকায় তৎকালীন অবিভক্ত কাছাড় জেলার শিলচরে বাংলা ভাষাকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য ১১ জন বাঙালীর আত্মাহুতি দেন।

১২ মার্চ, ১৯৭৫; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কাজে বাংলা ব্যবহার করার নির্দেশ জারি করেন।

21
Q

স্ফুলিঙ্গ’ এর স্থপতি কে?

A

কনক কুমার পাঠক।

‘স্ফুলিঙ্গ’ ভাস্কর্যের স্থপতি কনক কুমার পাঠক। এর অবস্থান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।

✔ ভাষা শহিদদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য: জননী ও গর্বিত বর্ণমালা (স্থপতি: মৃণাল হক, অবস্থান: পরিবাগ, ঢাকা), মোদের গরব (স্থপতি: অখিল পাল, অবস্থান: বাংলা একাডেমি চত্বর), অমর একুশে (স্থপতি: জাহানারা পারভীন, অবস্থান: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), বৈশ্বিক ভাষা বৃক্ষ (স্থপতি: আসমা জাহান, অবস্থান: এশিয়াটিক সোসাইটি)।

22
Q

বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়-

A

১৯৫৫ সালে।

বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫ সালে। মূল উদ্যোক্তা: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এটি ভাষা আন্দোলনের ফলে গঠিত প্রথম প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠিত হয় ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ বা ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৬২ [১৯৫৪ সালে বাংলা একাডেমি গঠনের প্রস্তাব পাস করে- যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা]। এর মূল মিলনায়তনের নাম আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তন।

বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন ড. এনামুল হক। প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ। প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম এবং প্রথম নারী মহাপরিচালক ড. নীলিমা ইব্রাহিম। বর্তমান সভাপতি সেলিনা হোসেন।

বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ৬ টি। বাংলা একাডেমি পত্রিকা (গবেষণামূলক ত্রৈমাসিক), ধান শালিকের দেশ (ত্রৈমাসিক কিশোর পত্রিকা)
বার্তা (অনিয়মিত ত্রৈমাসিক), উত্তরাধিকার (সৃজনশীল মাসিক), বাংলা একাডেমি জার্নাল (ইংরেজি ভাষার ষাণ্মাসিক পত্রিকা), বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা (ষাণ্মাসিক)।

প্রমিত বাংলা উচ্চারণের নিয়ম চালু করেছে ১৯৯৪ সালে। ✔ চরিতাভিধান: প্রকাশক হচ্ছে বাংলা একাডেমি। এখানে এক হাজার বাঙালি মনীষীদের জীবনী সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে।

23
Q

ভাসানী যখন ইউরোপে’ বইটির লেখক-

A

খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস।

খোন্দকার মোহাম্মদ ইলিয়াস এর বিখ্যাত বই গুলো হলো ভাসানী যখন ইউরোপে, মুজিববাদ, প্রসঙ্গ শেখ মুজিব।

24
Q

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়-

A

১৯৫২।

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫২ সালে।

এশিয়াটিক সোসাইটি ১৭৮৪ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এশিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা স্যার উইলিয়াম জোন্স। ভারত বিভাগের পর ৩ জানুয়ারি ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় পাকিস্তান এশিয়াটিক সোসাইটি। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে এর নাম হয় বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি।

প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি : আবদুল হামিদ (১৯৫২ - ১৯৫৩) ও সাধারণ সম্পাদক : ড. আহমদ হাসান দানী (১৯৫২-১৯৫৩)।

২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে ‘বাংলাপিডিয়া’ নামে (দশ খণ্ড) এনসাইক্লোপিডিয়া বের হয়। এর প্রধান সম্পাদক: অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম। বাংলাপিডিয়া হচ্ছে জাতীয় জ্ঞানকোষ।

25
Q

কোন সালে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের একটি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়?

A

১৯৫৬।

১৯৫৬ সালে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের একটি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

✔ একনজরে রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতি: ৯ মে, ১৯৫৪; গণপরিষদ অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সিদ্ধান্ত গৃহীত।

১৬ ফেব্রু. ১৯৫৬; পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ২১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। ১৯৫৬ সালের পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। ফরিদপুরের আদেল উদ্দিন আহমদ এর প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি (সংশোধিত) সংবিধানে সংযোজিত হয়।

২৩ মার্চ, ১৯৫৬; পাকিস্তানের সংবিধান কার্যকর হলে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি লাভ করে।

26
Q

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি - গানের বর্তমান সুরকার কে?

A

আলতাফ মাহমুদ।

ব্যাখ্যা:

'’আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’’ গানটির প্রথম সুরকার আবদুল লতিফ। দ্বিতীয় দফায় গানটিতে সুরারোপ করেন আলতাফ মাহমুদ এবং বর্তমানে এই সুরেই গাওয়া হয়। গীতিকার আবদুল গাফফার চৌধুরী।

ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের গেটে একুশে ফেব্রুয়ারিতে আহত ও নিহতদের দেখে ৮ লাইনের এই কবিতাটি লিখেন।

১৯৫৩ সালে আব্দুল লতিফ কবিতাটির সুর দেন। এরপর করাচী থেকে ঢাকা ফিরে ১৯৫৪ সালে আলতাফ মাহমুদ নতুন করে সুরারোপ করেন। সেই থেকে ওটা হয়ে গেল একুশের প্রভাতফেরির গান।

বর্তমানে আলতাফ মাহমুদের সুরা করা গানটিই গাওয়া হয়। ১৯৫৪ সালে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত একুশে সংকলনে প্রকাশিত হয় গানটি। তৎকালীন সরকার সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে। গানটি সুইডিশ ও জাপানিজসহ ১২টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

[বিবিসি শ্রোতা জরিপে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ গানের তালিকার এটি তৃতীয় স্থান লাভ করেছে।]

27
Q

ভাষা শহিদদের স্মরণে ‘জননী ও গর্বিত বর্ণমালা’ ভাস্কর্যটির ভাস্কর-

A

মৃণাল হক।

ঢাকার পরিবাগে নির্মাণ করা হয়েছে একুশের এ ভাস্কর্যটি ‘জননী ও গর্বিত বর্ণমালা’। এটির নকশা করেছেন শিল্পী মৃণাল হক।

✔ ভাষা শহিদদের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য: জননী ও গর্বিত বর্ণমালা (স্থপতি: মৃণাল হক, অবস্থান: পরিবাগ, ঢাকা), মোদের গরব (স্থপতি: অখিল পাল, অবস্থান: বাংলা একাডেমি চত্বর), অমর একুশে (স্থপতি: জাহানারা পারভীন, অবস্থান: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়), বৈশ্বিক ভাষা বৃক্ষ (স্থপতি: আসমা জাহান, অবস্থান: এশিয়াটিক সোসাইটি)।

28
Q

কবর নাটকটি সর্বপ্রথম অভিনীত হয়-

A

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।

প্রখ্যাত নাট্যকার মুনীর চৌধুরীর ভাষা আন্দোলনের উপর রচিত নাটক ‘কবর’। ১৯৫৩ সালে রণেশ দাশগুপ্তের অনুরোধে তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে রচনা করেন এবং রাজবন্দীদের দ্বারা নাটকটি সর্বপ্রথম এখানেই অভিনীত হয়।

29
Q

পাকিস্তানের কোন প্রধানমন্ত্রী সর্বপ্রথম রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে বলে ঘোষণা করেন?

A

লিয়াকত আলী খান।

১৮ নভেম্বর , ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সমাবেশে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান সর্বপ্রথম রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে বলে ঘোষণা করেন।

✔ উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণা নিয় বিশেষ তথ্য: ২১ মার্চ, ১৯৪৮ রেসকোর্স ময়দানে উর্দু কে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রথম ঘোষণা করেন পাকিস্তানের গভর্নর মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ। আবার ২৪ মার্চ, ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাবির কার্জন হলে এই ঘোষণা দেন।

২৬ জানুয়ারি, ১৯৫২ পাকিস্তানের অ্যাসেম্বলিতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওইদিনই পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে বলে ঘোষণা করেন।

30
Q

১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে তৎকালীন পাকিস্তানের একজন নেতা ঘোষণা করেন ‘উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’ কে এই নেতা?

A

মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে তৎকালীন পাকিস্তানের গভর্নর মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন ‘উর্দু এবং একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’।

আবার ২৪ মার্চ, ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাবির কার্জন হলে এই ঘোষণা দেন।
১৮ নভেম্বর, ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সমাবেশে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খান সর্বপ্রথম রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে বলে ঘোষণা করেন।

পরে ২৬ জানুয়ারি, ১৯৫২ পাকিস্তানের অ্যাসেম্বলিতে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওইদিনই পল্টন ময়দানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দীন রাষ্ট্রভাষা উর্দু হবে বলে ঘোষণা করেন।

31
Q

এখানে রমনার বটমূলে, কৃষ্ণচূড়ার নিচে/কাঁদতে আসিনি, ফাসির দাবি নিয়ে এসেছি” কবিতাটি কার রচনা?

A

মাহবুবুল আলম চৌধুরী।

কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি কবিতাটি ভাষা আন্দোলন নিয়ে লিখিত প্রথম কবিতা। তাই কবিতাটিকে একুশের প্রথম কবিতাও বলা হয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি কবিতাটি রচনা করেন ভাষাসৈনিক মাহবুব উল আলম চৌধুরী।

32
Q

ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছিলেন-

A

মোয়াজ্জেম হোসেন।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন চলাকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন। তাঁর মেয়াদকাল ছিল ২২ অক্টোবর, ১৯৪৮ থেকে ০৮ নভেম্বর, ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।

33
Q

এসএম গাফফারের সভাপতিত্বে দেশের প্রথম শহিদ মিনার গড়ে তোলা হয় কোথায়?

A

রাজশাহী কলেজে।

২১শে ফেব্রুয়ারী রাতেই রাজশাহী কলেজ চত্বরে ১ম শহিদ মিনার ‘‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’’ স্থাপন করা হয়।

✔ শহিদ মিনার সম্পর্কে বিশেষ তথ্য:

☛ ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ প্রথম শহিদ মিনার একুশের রাতেই রাজশাহী কলেজ চত্বরে একুশের প্রথম শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়। স্থাপিত হয়- ২১ফেব্রুয়ারি ১৯৫২।

☛ ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহিদ মিনার: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে (২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২)। ডিজাইনার ছিলেন ডা. বদরুল আলম।
উদ্বোধন করেন শহিদ শফিউরের পিতা মৌলভী মাহবুবুর রহমান, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।

☛ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার: স্থপতি-হামিদুর রহমান এবং অবস্থান-ঢাকা মেডিকেল কলেজ।

☛ স্মৃতির মিনার: স্থপতি-হামিদুজ্জামান এবং অবস্থান-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

☛ দেশের বাহিরে শহিদ মিনার: ওল্ডহ্যাম, ম্যানচেস্টার, যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বিদেশে প্রথম শহিদ মিনার (১৯৯৭)। মুসলিম দেশের মধ্যে প্রথম নির্মিত শহিদ মিনার অবস্থিত ওমানে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দেশের বাইরে প্রথম শহিদ মিনার নির্মিত হয়েছে জাপানের ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে।

34
Q

মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ্ উর্দুকে মুসলিম লীগের ভাষা করার প্রস্তাব করলে প্রতিবাদ করে কোন বাঙালি?

A

ফজলুল হক।

১৯৩৭ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলিম লীগের দাপ্তরিক ভাষা উর্দু করার প্রস্তাব করলে বাঙ্গালিদের নেতা শেরে বাংলা এ.কে.ফজলুল হক এর বিরোধিতা করেন।

35
Q

একুশের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আইন পরিষদ থেকে পদত্যাগকারী প্রথম সদস্য ছিলেন কে?

A

আবুল কালাম শামসুদ্দীন।

✔ আইন পরিষদ থেকে পদত্যাগকারী প্রথম সদস্য:

একুশের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ২২ ফেব্রুয়ারি পূর্ববঙ্গ পরিষদের সদস্যপদ থেকে প্রথম পদত্যাগ করেন দৈনিক আজাদ সম্পাদক আবুল কালাম শামসুদ্দীন।

গভর্নর ও পরিষদের স্পিকারকে লেখা একটি চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা দাবি করায় ছাত্রদের ওপর পুলিশ যে বর্বরতার পরিচয় দিয়াছে, তাহার প্রতিবাদে আমি পরিষদে আমার সদস্যপদ হইতে পদত্যাগ করিতেছি। যে নূরুল আমীন সরকারের আমিও একজন সমর্থক, এ ব্যাপারে তাহাদের ভূমিকা এত দূর লজ্জাজনক যে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত এই দলের সহিত সংযুক্ত থাকিতে এবং পরিষদের সদস্য হিসাবে বহাল থাকিতে আমি লজ্জাবোধ করিতেছি।’

36
Q

প্রথম শহিদ মিনার ‘শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মিত হয় কোথায়?

A

রাজশাহী কলেজ।

‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ প্রথম শহিদ মিনার একুশের রাতেই রাজশাহী কলেজ চত্বরে একুশের প্রথম শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়। স্থাপিত হয়- ২১ফেব্রুয়ারি ১৯৫২।

37
Q

ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহিদ মিনার উদ্বোধন করা হয় কবে?

A

২৪ ফেব্রুয়ারি।

ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহিদ মিনার (২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২) অবস্থিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে। এর উচ্চতা: ১০ ফুট। এর ডিজাইনার: ডা. বদরুল আলম। শফিউর এর পিতা ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহিদ মিনার উদ্বোধন করেন ২৪ ফেব্রুয়ারি।

38
Q

ইউনেস্কোর কততম সম্মেলনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা কর হয়?

A

৩০ তম।

১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশনে বাংলাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালে বিশ্বব্যাপী ১৮৮ টি দেশ সর্বপ্রথম দিনটি পালন করে। ২০০২-ইউনেস্কোর সেই ঘোষণাকে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।

৫ ডিসেম্বর, ২০০৮ সালে আবার এই সময় এসে জাতিসংঘ নিজে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ৬৩তম সম্মেলনে।

২০১০ সালে সাধারণ পরিষদের ৬৫তম সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটা প্রস্তাব উত্থাপন করে একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের।

39
Q

জাতিসংঘ কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে কবে?

A

ডিসেম্বর, ২০০৮।

ব্যাখ্যা: জাতিসংঘ কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে ৫ ডিসেম্বর, ২০০৮।

অন্যদিকে, ইউনেস্কো কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৭ নভেম্বর, ১৯৯৯।

40
Q

দেশের বাহিরে প্রথম শহিদ মিনার-

A

ওল্ডহ্যাম, যুক্তরাজ্য।

ব্যাখ্যা: দেশের বাহিরে শহিদ মিনার: ওল্ডহ্যাম, ম্যানচেস্টার, যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বিদেশে প্রথম শহিদ মিনার (১৯৯৭)। মুসলিম দেশের মধ্যে প্রথম নির্মিত শহিদ মিনার অবস্থিত ওমানে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দেশের বাইরে প্রথম শহিদ মিনার নির্মিত হয়েছে জাপানের ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে।

41
Q

কবর নাটকটি কোন প্রেক্ষাপটে রচিত?

A

ভাষা আন্দোলন।

ব্যাখ্যা: ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত হয়েছে ‘কবর’ নাটক। নাটকটি রচনার সময় মুনীর চৌধুরী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।

কারাগারেই সহ-রাজবন্দি রণেশ দাশগুপ্ত কর্তৃক অনুরুদ্ধ হয়ে তিনি রচনা করেন আলোচ্য নাটক। ১৯৫৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি রাত দশটায় ফণি চক্রবর্তীর পরিচালনায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এটি প্রথম মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি প্রকাশ্যে প্রথম অভিনীত হয় ১৯৫৬ সালে কার্জন হলে।

‘কবর’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৫ সালের আগস্ট মাসে দৈনিক ‘সংবাদ’ পত্রিকার আজাদী সংখ্যায়। এটি প্রথম গ্রন্থভুক্ত হয় ১৯৬৬ সালে। ‘কবর’ নামের একাঙ্ক- সঙ্কলনটিতে ‘মানুষ’, নষ্টছেলে’ ও ‘কবর’- এই তিনটি একাঙ্ক নাটক গ্রথিত হয় ।