ভাষা আন্দোলন -১ Flashcards
বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দেশের বাইরে প্রথম নির্মিত শহিদ মিনার কোথায়?
জাপান।
বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দেশের বাইরে প্রথম শহিদ মিনার নির্মিত হয়েছে জাপানের ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে।
কিন্তু দেশের বাইরে প্রথম শহিদ মিনার নির্মিত হয়েছে ওল্ডহ্যাম যুক্তরাজ্যে।
শহিদ মিনার সম্পর্কে বিশেষ তথ্য:
‘শহিদ স্মৃতিস্তম্ভ’ প্রথম শহিদ মিনার একুশের রাতেই রাজশাহী কলেজ চত্বরে একুশের প্রথম শহিদ মিনার নির্মাণ করা হয়। স্থাপিত হয়- ২১ফেব্রুয়ারি ১৯৫২।
ঢাকায় নির্মিত প্রথম শহিদ মিনার: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সামনে (২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২)। ডিজাইনার ছিলেন ডা. বদরুল আলম।
উদ্বোধন করেন শহিদ শফিউরের পিতা মৌলভী মাহবুবুর রহমান, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার: স্থপতি-হামিদুর রহমান এবং অবস্থান-ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
স্মৃতির মিনার: স্থপতি-হামিদুজ্জামান এবং অবস্থান-জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
দেশের বাহিরে শহিদ মিনার: ওল্ডহ্যাম, ম্যানচেস্টার, যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বিদেশে প্রথম শহিদ মিনার (১৯৯৭)। মুসলিম দেশের মধ্যে প্রথম নির্মিত শহিদ মিনার অবস্থিত ওমানে। বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে দেশের বাইরে প্রথম শহিদ মিনার নির্মিত হয়েছে জাপানের ইকেবুকুরো নিশিগুচি পার্কে।
১৯৪৭ সালে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব করেন -
আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
১৯৪৭ সালে হিন্দীকে ভারতের রাষ্ট্র ভাষা করার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য জিয়াউদ্দিন আহমদ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
এর প্রতিবাদে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা সমস্যা’ শীর্ষক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছিলেন, ‘বাংলাদেশের কোর্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার পরিবর্তে উর্দু ভাষা গ্রহণ করা হইলে উহা রাজনৈতিক পরাধীনতারই নামান্তর হইবে’। এক ভাষণে তিনি আরও বলেন, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙ্গালি’‘।
প্রথম যে শহিদ মিনার নির্মিত হয় তার নকশা করেন -
: ড. সাঈদ হায়দার।
প্রথম শহিদ মিনারের নকশা আঁকার ভার দেওয়া হয়েছিল বদরুল আলমের ওপর। এ কাজে তার দক্ষতা ও সক্ষমতা দুই-ই ছিল। সে যে নকশা নিয়ে আসে, শৈল্পিক ব্যঞ্জনায় তা অতীব সুন্দর; কিন্তু দুটি বাঁক থাকায় ঢালাইয়ের প্রয়োজন হবে বলে এক রাতে শেষ করা যাবে না।
ড. সাঈদ হায়দার একটা মোটামুটি নকশা দেখান বদরুল আলমকে । এই সহজ-সরল প্ল্যানটা শুধু ইট-সিমেন্টেই শেষ হবে বলে সহজসাধ্য। বদরুল আলম বরুরও পছন্দ হলো। আমরা উভয় চূড়ান্ত ড্রয়িংটা শেষ করে নিয়ে এলে ছাত্র ইউনিয়নের নেতারাসহ ছাত্রকর্মী সবারই পছন্দ হয়।
সুতরাং, বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তাক্ত প্রহরের দুই দিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তৈরি করেন প্রথম শহিদ মিনার। সাঈদ হায়দার ছিলেন ওই শহিদ মিনারের নকশাকার।
১৯৫২ সালের ২৪ তারিখে ডা. সাঈদ হায়দারের নকশা অনুসারে মেডিকেল কলেজের গেইটের সামনে শহিদ মিনার উদ্বোধন করা হয়। ২৬ তারিখে পুলিশ শহিদ মিনার ভেঙ্গে ফেলে।
ভাষা সংগ্রামে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সরকার সাঈদ হায়দারকে ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত করে।
ভাষাসংগ্রামী ও শহিদ মিনারের অন্যতম এই উদ্যোক্তা ২০২০ সালে মারা যান।
বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম ভাষা হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়-
১৯৫৬ সালে।
বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম ভাষা হিসেবে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৯৫৬ সালে।
১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার সুপারিশ পাকিস্তান গণপরিষদের বিবেচনার জন্য প্রেরণের একটি প্রস্তাব স্বয়ং মুসলিম লীগ পাস করে। যদিও গণপরিষদে তা বাধার সম্মুখীন হয়।
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের আগে এ বিষয় কোন অগ্রগতি হয়নি।
যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২১ ফেব্রুয়ারি শোক দিবস হিসেবে ছুটি ও শহিদ দিবস ঘোষণা করে। এছাড়া একই বছর গণপরিষদ পাকিস্তানের সরকারি ভাষা হিসেবে উর্দু ও বাংলা এবং পার্লামেন্টে ইংরেজী ছাড়াও উর্দু ও বাংলায় বক্তব্য রাখার বিধান করা হয়।
গণপরিষদের এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের ১৯৫৬ সালের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং এইভাবে বাংলা ভাষা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃত পায়।
১৯৬২ সালের সংবিধানেও একইভাবে বাংলাকে বহাল রাখা হয় যা পাকিস্তান আমলে আর পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। এতে বাঙালির আন্দোলনের বিজয় সূচিত হয়। অন্যদিকে বাংলা ভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
☛ একনজরে রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতি:
৯ মে, ১৯৫৪; গণপরিষদ অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সিদ্ধান্ত গৃহীত।
১৬ ফেব্রু. ১৯৫৬; পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ২১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। ১৯৫৬ সালের পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। ফরিদপুরের আদেল উদ্দিন আহমদ এর প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি (সংশোধিত) সংবিধানে সংযোজিত হয়।
২৩ মার্চ, ১৯৫৬; পাকিস্তানের সংবিধান কার্যকর হলে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি লাভ করে।
আওয়ামী মুসলিম লীগ’ প্রতিষ্ঠিত হয়-
২৩ জুন, ১৯৪৯।
ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজগার্ডেনে এক কর্মী সম্মেলনে পূর্ব বাংলার বাঙালি প্রগতিশীল নেতা ও কর্মী ঢাকায় মিলিত হয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠন করেন।
নবগঠিত এই দলের সভাপতি নির্বাচিত হন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শামসুল হক। যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান।
দলটির প্রথম সম্মলনের সভাপতি ছিলেন আতাউর রহমান খান।
১৯৫৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দলটির নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।
বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি হলো-
ভাষা ও সংস্কৃতি।
বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ভিত্তি হলো ভাষা ও সংস্কৃতি।
পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবি প্রথম কে উত্থাপন করেন?
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবি প্রথম উত্থাপন করেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। এই অধিবেশনে ইংরেজির পাশাপাশি উর্দুতে কার্যক্রম শুরু হলে পূর্ব বাংলার কংগ্রেস সদস্য কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত গণপরিষদের ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবী পেশ করেন। কিন্তু মুসলিম লীগ সদস্যদের তীব্র বিরোধিতায় তার দাবী গৃহিত হয়নি।
☛ ভাষা আন্দোলন, ১৯৪৮:
২৬ ও ২৯ ফেব্রু. ১৯৪৮; রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘট পালিত হয়।
২৯ ফেব্রু. ১৯৪৮; পূর্ব বাংলায় ১৪৪ ধারা জারি করে।
১১ মার্চ, ১৯৪৮; নবগঠিত রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ থেকে অধ্যক্ষ আবুল কাশেম “বাংলা ভাষা দাবি দিবস’’ ঘোষণা দেয় এবং ধর্মঘট আহ্বান করে। বঙ্গবন্ধু প্রথম কোপ্তার হন।
১৫ মার্চ, ১৯৪৮; বঙ্গবন্ধু মুক্তি পান। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের সঙ্গে ‘রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’ এর ৮ দফা চুক্তি হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতি ছিলেন-
আলী আমজাদ খান।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ-সভাপতি ছিলেন-আলী আমজাদ খান।
১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়।
☛ এর প্রথম কমিটি:
-সভাপতি : মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
-সাধারণ সম্পাদক : শামসুল হক
-সহ সভাপতি : আতাউর রহমান খান, আলী আমজাদ খান, আলী আহমদ খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আবদুস সালাম খান।
-যুগ্ম সম্পাদক : শেখ মুজিবুর রহমান (তখন কারাগারে আটক ছিলেন), খন্দকার মোশতাক আহমদ, এ.কে রফিকুল হোসেন (খায়ের মিয়া )
-ট্রেজারার : ইয়ার মোহাম্মদ খান (যার মালিকানাধীন রোজ গার্ডেনে প্রথম সভার আয়োজন হয়)
-দলটির প্রথম সম্মলনের সভাপতি ছিলেন আতাউর রহমান খান।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন -
নুরুল আমিন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নুরুল আমিন।
☛ ১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের প্রথম সরকার:
-পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী : লিয়াকত আলী খান।
-পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী : খাজা নাজিমউদ্দিন।
-পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল : মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
☛ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময়:
-পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী : খাজা নাজিমউদ্দিন।
-পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী : নুরুল আমিন
-পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল : গোলাম মুহাম্মদ।
-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য : সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন।
পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে-
১৯৫৪ সালে।
পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষাকে অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে ১৯৫৪ সালে।
☛ একনজরে রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতি:
৯ মে, ১৯৫৪; গণপরিষদ অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সিদ্ধান্ত গৃহীত।
১৬ ফেব্রু. ১৯৫৬; পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ২১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। ১৯৫৬ সালের পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। ফরিদপুরের আদেল উদ্দিন আহমদ এর প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি (সংশোধিত) সংবিধানে সংযোজিত হয়।
২৩ মার্চ, ১৯৫৬; পাকিস্তানের সংবিধান কার্যকর হলে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি লাভ করে।
বাংলা ভাষাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন-
কংগ্রেসের সদস্য।
বাংলা ভাষাকে গণপরিষদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ছিলেন কংগ্রেসের সদস্য।
পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবি প্রথম উত্থাপন করেন ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
১৯৪৮ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পাকিস্তান গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে। এই অধিবেশনে ইংরেজির পাশাপাশি উর্দুতে কার্যক্রম শুরু হলে পূর্ব বাংলার কংগ্রেস সদস্য কুমিল্লার ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত গণপরিষদের ভাষা হিসেবে বাংলা ভাষা ব্যবহারের দাবী পেশ করেন। কিন্তু মুসলিম লীগ সদস্যদের তীব্র বিরোধিতায় তার দাবী গৃহিত হয়নি।
একুশের প্রথম গল্প কোনটি?
মৌন নয়।
একুশের প্রথম গল্প মৌন নয়।
☛ ভাষা আন্দোলনের যত প্রথম:
প্রথম বই- প্রথম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
প্রথম নাটক- মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’
প্রথম উপন্যাস- জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’
প্রথম সংকলন- হাসান হাফিজুর রহমানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩)
প্রথম কবিতা- মাহবুব-উল-আলম চৌধুরীর কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি
ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প- শাহেদ আলীর ‘মন ও ময়দান’
একুশের প্রথম গল্প- শওকত ওসমানের ‘মৌন নয়’
একুশের প্রথম গান- “ভুলব না, ভুলব না একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’ (রচনা: গাজীউল হক)
প্রভাত ফেরির প্রথম গান- মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল/ভাষা বাঁচাবার তরে/ আজিকে স্মরিও তারে। রচয়িতা: প্রকৌশলী মোশারফ উদ্দিন আহমেদ। সুরকার: আলতাফ মাহমুদ।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প কোনটি?
শাহেদ আলীর মন ও ময়দান।
ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প ‘মন ও ময়দান’ লিখেছেন শাহেদ আলী।
☛ ভাষা আন্দোলনের যত প্রথম:
প্রথম বই- প্রথম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
প্রথম নাটক- মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’
প্রথম উপন্যাস- জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’
প্রথম সংকলন- হাসান হাফিজুর রহমানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩)
প্রথম কবিতা- মাহবুব-উল-আলম চৌধুরীর কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি
ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প- শাহেদ আলীর ‘মন ও ময়দান’
একুশের প্রথম গল্প- শওকত ওসমানের ‘মৌন নয়’
একুশের প্রথম গান- “ভুলব না, ভুলব না একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলব না’ (রচনা: গাজীউল হক)
প্রভাত ফেরির প্রথম গান- মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল/ভাষা বাঁচাবার তরে/ আজিকে স্মরিও তারে। রচয়িতা: প্রকৌশলী মোশারফ উদ্দিন আহমেদ। সুরকার: আলতাফ মাহমুদ।
একুশের প্রথম গান কোনটি?
ভুলবোনা, ভুলবোনা, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবোনা।
’
‘ভুলবোনা, ভুলবোনা, একুশে ফেব্রুয়ারি ভুলবোনা।’
একুশের প্রথম গান
গীতিকার: ভাষা সৈনিক গাজীউল হক
সুরকার: নিজামুল হক
ভাষা আন্দোলনের যত প্রথম:
প্রথম বই- প্রথম ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস
প্রথম নাটক- মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’
প্রথম উপন্যাস- জহির রায়হানের ‘আরেক ফাল্গুন’
প্রথম সংকলন- হাসান হাফিজুর রহমানের ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩)
প্রথম কবিতা- মাহবুব-উল-আলম চৌধুরীর কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি
ভাষা আন্দোলনের প্রথম গল্প- শাহেদ আলীর ‘মন ও ময়দান’
একুশের প্রথম গল্প- শওকত ওসমানের ‘মৌন নয়’
প্রভাত ফেরির প্রথম গান- মৃত্যুকে যারা তুচ্ছ করিল/ভাষা বাঁচাবার তরে/ আজিকে স্মরিও তারে। রচয়িতা: প্রকৌশলী মোশারফ উদ্দিন আহমেদ। সুরকার: আলতাফ মাহমুদ।
পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি স্থান দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাশ হয় কবে?
২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬।
২৬ ফেব্রুয়ারি’৫৬-পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি স্থান দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাশ হয়।
☛ একনজরে রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতি:
৯ মে, ১৯৫৪; গণপরিষদ অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সিদ্ধান্ত গৃহীত।
১৬ ফেব্রু. ১৯৫৬; পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকেও পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আবু হোসেন সরকার ২১ ফেব্রুয়ারিকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। ১৯৫৬ সালের পাকিস্তানের সংবিধানের ২১৪ নং অনুচ্ছেদে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গৃহীত হয়। ফরিদপুরের আদেল উদ্দিন আহমদ এর প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি (সংশোধিত) সংবিধানে সংযোজিত হয়।
২৩ মার্চ, ১৯৫৬; পাকিস্তানের সংবিধান কার্যকর হলে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি লাভ করে।
বাংলা একাডেমি’ পুরস্কার কবে থেকে প্রবর্তিত হয়?
১৯৬০।
‘বাংলা একাডেমি’ পুরস্কার থেকে প্রবর্তিত হয় ১৯৬০ সালে।
বাংলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫ সালে। মূল উদ্যোক্তা: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা, গবেষণা ও প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত। এটি ভাষা আন্দোলনের ফলে গঠিত প্রথম প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠিত হয় ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৫ বা ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৩৬২ [১৯৫৪ সালে বাংলা একাডেমি গঠনের প্রস্তাব পাস করে- যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা]। এর মূল মিলনায়তনের নাম আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তন।
বাংলা একাডেমির প্রথম পরিচালক ছিলেন ড. এনামুল হক। প্রথম সভাপতি ছিলেন মাওলানা আকরাম খাঁ। প্রথম মহাপরিচালক ড. মাযহারুল ইসলাম এবং প্রথম নারী মহাপরিচালক ড. নীলিমা ইব্রাহিম। বর্তমান সভাপতি সেলিনা হোসেন।
বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকা ৬ টি। বাংলা একাডেমি পত্রিকা (গবেষণামূলক ত্রৈমাসিক), ধান শালিকের দেশ (ত্রৈমাসিক কিশোর পত্রিকা)
বার্তা (অনিয়মিত ত্রৈমাসিক), উত্তরাধিকার (সৃজনশীল মাসিক), বাংলা একাডেমি জার্নাল (ইংরেজি ভাষার ষাণ্মাসিক পত্রিকা), বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকা (ষাণ্মাসিক)।
প্রমিত বাংলা উচ্চারণের নিয়ম চালু করেছে ১৯৯২ সালে। চরিতাভিধান: প্রকাশক হচ্ছে বাংলা একাডেমি। এখানে এক হাজার বাঙালি মনীষীদের জীবনী সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে।