বাংলাদেশের ইতিহাস: ১৭৫৭ থেকে বঙ্গভঙ্গ-১ Flashcards
উপমহাদেশে ফরাসিদের কুঠি ছিল-
সুরাটে।
উপমহাদেশে (ভারতে) ফরাসিদের কুঠি ছিল সুরাটে। বাংলায় প্রথম কুঠি ছিল চন্দননগর।
পর্তুগীজদের ভারতে প্রথম কুঠি ছিলে কোচিনে এবং বাংলায় প্রথম কুঠি হুগলী।
ইংরেজদের ভারতে প্রথম কুঠি ছিল সুরাট এবং বাংলায় প্রথম কুঠি হরিহরপুর।
ভারতবর্ষকে ‘দারুল হাব’ বা বিধর্মীর দেশ বলে ঘোষণা করেন কে?
হাজী শরীয়তুল্লাহ।
ভারতবর্ষকে ‘দারুল হাব’ বা বিধর্মীর দেশ বলে ঘোষণা করেন হাজী শরীয়তুল্লাহ। উনি ফরায়েজি আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন।
ফরায়েজি আন্দোলন:
উনিশ শতকে ভারতবর্ষে মুসলিম সমাজে সংস্কার আন্দোলনগুলোর মধ্যে ফরায়েজি আন্দোলন অন্যতম।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত, অনৈসলামিক অনুশাসন ও আবওয়ারের (খাজনা) বিরুদ্ধে মুসলিমদের সজাগ হওয়ার জন্য হাজী শরীয়তউল্লাহ ১৮১৮ সাল থেকে উপমহাদেশে বাংলায় যে আন্দোলন করেন তা ফরায়েজি আন্দোলন নামে পরিচিত।
ফরায়েজি আন্দোলন মূলত একটি ধর্মীয় সংস্কার আন্দোলন। পরবর্তীতে কৃষক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের রূপ নেয়।
আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো ফরিদপুর জেলা। আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হাজী শরীয়তউল্লাহ।
হাজী শরীয়তউল্লাহর মৃত্যুর পর ফরায়েজি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন- তাঁর যোগ্য পুত্র মুহম্মদ মুহসিন উদ্দিন আহমদ ওরফে দুদু মিয়া।
ফরায়েজি আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেন দুদু মিয়া। “জমি থেকে খাজনা আদায় আল্লাহর আইনের পরিপন্থী’’ উক্তিটি করেন দুদু মিয়া।
The Spirit of Islam’ বইয়ের লেখক কে?
সৈয়দ আমীর আলী।
সৈয়দ আমীর আলী ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক, লেখক ও আইনজ্ঞ।
তিনিই প্রথম মুসলমান নেতা, যিনি বিশ্বাস করতেন মুসলমানদের জন্য একটি পৃথক রাজনৈতিক সংগঠন থাকা প্রয়োজন। ভারতের আইনে মুসলিম আইন প্রবর্তনে ভূমিকা পালন করেন।
তিনি Central National Mohammedan Association প্রতিষ্ঠা করেন। (১৮৭৭ খ্রিঃ)
তিনি লন্ডনের প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
তার কিছু বিখ্যাত বই হচ্ছে The Spirit of Islam এবং A Short History of Saracens.
কোন আন্দোলনটি ব্রিটিশ বিরোধী ছিল না?
আলীগড়।
মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই প্রগতিশীল ভাবধারা গড়ে তোলার জন্য স্যার সৈয়দ আহমদ খান যে আন্দোলনের সূত্রপাত করেন তা ‘আলীগড় আন্দোলন’ নামে পরিচিত।
অন্যদিকে আসহযোগ, ফরায়েজী, এবং খেলাফত আন্দোলন ছিল ব্রিটিশ বিরোধী।
ভারতে মুসলিম জাগরণের প্রথম অগ্রদূত কে?
স্যার সৈয়দ আহমেদ খান।
স্যার সৈয়দ আহমেদ খান ছিলেন ভারতের মুসলিম জাগরণের প্রথম অগ্রদূত।
মুসলমানদের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষা ও পাশ্চাত্য ভাবধারা প্রচারের উদ্দেশ্যে ১৮৭৫সালে আলীগড়ে ‘Muhammadan Anglo Oriental College’ প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি ১৯২০ সালে ‘আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ এ উন্নীত হয়।
পরবর্তীতে, মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রেই প্রগতিশীল ভাবধারা গড়ে তোলার জন্য স্যার সৈয়দ আহমদ খান যে আন্দোলনের সূত্রপাত করেন তা ‘আলীগড় আন্দোলন’ নামে পরিচিত।
বাংলাদেশে রেল লাইন চালু করেন কে?
লর্ড ক্যানিং।
বাংলাদেশে রেল লাইন চালু করেন লর্ড ক্যানিং। তিনি ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল ছিলেন। তিনি সিপাহী বিদ্রোহ দমন করেন।
তিনি ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় ছিলেন। কোম্পানির কাছ থেকে শাসনক্ষমতা ইংল্যান্ডের মহারানির হাতে হস্তান্তর করেন।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। চা-কফি চাষ শুরু করেন।
তিনি ফৌজধারী কার্য প্রণালী বিধি (Criminal Procedure Code ) প্রকাশ করেন। কাগজী মুদ্রা চালু করেন (১৮৬১)। পুলিশ প্রশাসন চালু করেন (১৮৬১)।
লর্ড ক্যানিং উপমহাদেশে প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন (১৮৬০)।
অন্যদিকে, উপমহাদেশে প্রথম রেল লাইন চালু করেন লর্ড ডালহৌসি।
বিধবা বিবাহ আইন প্রণয়ন করেন কে?
লর্ড ডালহৌসি।
হিন্দু বিধবা বিবাহের প্রচলন হয়-ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহায়তায়। বিদ্যাসাগরকে সমর্থন করে বিধবা বিবাহ আইন প্রণয়ন করেন লর্ড ডালহৌসি।
লর্ড ডালহৌসি প্রথম টেলিগ্রাফ লাইন স্থাপন করেন (১৮৫০)।
তিনি ডাকটিকেট চালু করেন (১৮৫৪ )।
তিনি উপমহাদেশে প্রথম রেল লাইন চালু করেন ।
তিনি স্বত্ব বিলোপ নীতি/Doctrine of Lapse প্রণয়ন করেন।
স্বত্ব বিলোপ নীতিটা ছিল ‘ব্রিটিশের শাসনাধীন যেকোনো আশ্রিত রাজ্যের রাজা অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে এবং তার রাজবংশে কোনো উত্তরাধিকার না থাকলে সেই রাজা সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হবেন’।
উপমহাদেশে সংস্কৃত ও ফারসির পাশাপাশি ইংরেজি শিক্ষার প্রবর্তন করেন-
লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক।
আদালতে ফারসি ভাষার পরিবর্তে ইংরেজ দেশীয় ভাষার প্রচলন করেন-লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক।
উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক সম্পর্কে বিশেষ তথ্য:
তিনি বাংলার সর্বশেষ গভর্নর জেনারেল ও ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন।
তিনি সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধকরণ আইন (১৮২৯) প্রণয়ন করেন।
সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধের জন্য আন্দোলন করেছিলেন রাজা রামমোহন রায়।
বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা মেজিস্ট্রেটের পদ সৃষ্টি করেন।
ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কার করেন।
সরকারি অফিস আদালতে ফার্সির পরিবর্তে ইংরেজি চালু করেন।
নিলাম সূত্রে জমি বন্দোবস্তের প্রথা চালু করেন-
ওয়ারেন হেস্টিংস।
নিলাম সূত্রে জমি বন্দোবস্তের প্রথা চালু করেন ওয়ারেন হেস্টিংস। তিনি একশালা বন্দোবস্ত চালু করেছিলেন।
ওয়ারেন হেস্টিংস সম্পর্কে বিশেষ তথ্য:
তিনি বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন।
তিনি প্রথম ভারতীয় সংবাদপত্র “বেঙ্গল গেজেট” প্রকাশ করেন।
তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা (১৭৮৪) করেন।
তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট (১৭৮৪) পাস করান।
উপমহাদেশে সর্বপ্রথম রাজস্ব বোর্ড (Board of Revenue) স্থাপন করেন।
দ্বৈত শাসনের অবসান করেন।
পাঁচশালা বন্দোবস্ত চালু করেন।
ইলবার্ট বিল’ কে প্রণয়ন করেন?
লর্ড রিপন।
লর্ড রিপন ইলবার্ট বিল প্রণয়ন করে ভারতীয় বিচারকদের ইউরোপীয় অপরাধীদের বিচার করার ক্ষমতা প্রদান করেন।
লর্ড রিপন সম্পর্কে বিশেষ তথ্য:
তিনি সংবাদপত্র আইন রহিত করেন।
তিনি শ্রমিক কল্যাণের জন্য ফ্যাক্টরি আইন চালু করেন।
তিনি ভারতে স্থানীয় স্বায়ত্বশাসনের জনক।
পোস্ট অফিস চালু করেন কে?
লর্ড ডালহৌসি।
বিশেষ তথ্য:
লর্ড ডালহৌসি প্রথম পোস্ট অফিস চালু করেন।
লর্ড ডালহৌসি প্রথম টেলিগ্রাফ লাইন স্থাপন করেন (১৮৫০)।
তিনি ডাকটিকেট চালু করেন (১৮৫৪ )।
তিনি উপমহাদেশে প্রথম রেল লাইন চালু করেন ।
তিনি স্বত্ব বিলোপ নীতি/Doctrine of Lapse প্রণয়ন করেন।
সম্রাট জাহাঙ্গীর এর দরবারের প্রথম ইংরেজ দূত-
ক্যাপ্টেন হকিন্স।
সম্রাট জাহাঙ্গীর এর দরবারের প্রথম ইংরেজ দূত ক্যাপ্টেন হকিন্স।
ইংরেজদের নিয়ে বিশেষ তথ্য:
১৬০০- ইংরেজরা প্রথম আসে সম্রাট আকবরের দরবারে।
১৬০৮- রাজা প্রথম জেমসের সুপারিশপত্র নিয়ে ক্যাপ্টেন হকিন্স সম্রাট জাহাঙ্গীরের সাথে সাক্ষাৎ করে।
১৬১৫- সম্রাট জাহাঙ্গীরের দরবারে ব্রিটিশ দূত হিসেবে স্যার টমাস রো নিযুক্ত হয়।
১৬৩৩- তারা সম্রাট শাহজাহানের অনুমতি নিয়ে বাংলার হরিহরপুরে বাণিজ্য কুঠি স্থাপন করে।
১৭১৭- দিল্লির সম্রাট ফররুখশিয়ার বাংলায় বিনা শুল্কে ইংরেজদের বাণিজ্য করার অনুমতি দেন। এই ফরমান মহাসনদ নামে পরিচিত।
১৭৬৫- সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলার দেওয়ানি লাভ করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। এর ফলে রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন চালু করে
কালিকটে প্রথম পৌঁছায় কারা?
পর্তুগিজরা
ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে প্রথম উপমহাদেশে (কালিকট) আসে পর্তুগিজরা ১৪৯৮ সালে।
এরপর এরা বাংলায় (হুগলি) আগমন করে ১৫১৬ সালে।
ইউরোপীয়দের মধ্যে উপমহাদেশে আসেন ক্রমানুসারে:
পর্তুগিজ (ফিরিঙ্গি): ১৪৯৮,
ইংরেজ: ১৬০০,
ডাচ (ওলন্দাজ): ১৬০২,
ড্যানিশ (দিনেমার): ১৬২০,
ফরাসি: ১৬৬৮।
ইউরোপীয়দের মধ্যে বাংলায় আসেন ক্রমানুসারে:
পর্তুগিজ (ফিরিঙ্গি): ১৫১৬
ইংরেজ: ১৬০০
ডাচ (ওলন্দাজ): ১৬৩০
ড্যানিশ (দিনেমার): ১৬৭৬
ফরাসি: ১৬৭৪
কালিকটে প্রথম পৌঁছায় কারা?
পর্তুগিজরা।
ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে প্রথম উপমহাদেশে (কালিকট) আসে পর্তুগিজরা ১৪৯৮ সালে।
এরপর এরা বাংলায় (হুগলি) আগমন করে ১৫১৬ সালে।
ইউরোপীয়দের মধ্যে উপমহাদেশে আসেন ক্রমানুসারে:
পর্তুগিজ (ফিরিঙ্গি): ১৪৯৮,
ইংরেজ: ১৬০০,
ডাচ (ওলন্দাজ): ১৬০২,
ড্যানিশ (দিনেমার): ১৬২০,
ফরাসি: ১৬৬৮।
ইউরোপীয়দের মধ্যে বাংলায় আসেন ক্রমানুসারে:
পর্তুগিজ (ফিরিঙ্গি): ১৫১৬
ইংরেজ: ১৬০০
ডাচ (ওলন্দাজ): ১৬৩০
ড্যানিশ (দিনেমার): ১৬৭৬
ফরাসি: ১৬৭৪
ইংরেজ বণিকগণ সরাসরিভাবে বঙ্গদেশে বাণিজ্য কেন্দ্র স্থাপন করেন-
শাহজাহানের আমলে।
ইংরেজ বণিকগণ সরাসরিভাবে বঙ্গদেশে বাণিজ্য কেন্দ্র স্থাপন করেন শাহজাহানের আমলে।
বিশেষ তথ্য:
ইংরেজরা প্রথম আকবরের দরবারে আসে ১৬০০ সালে।
সুরাটে বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি দেন সম্রাট জাহাংগীর (১৬০৮)।
হরিহরপুরে বাংলার প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি দেন শাহজাহান (১৬৩৩)।
হুগলিতে বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি দেন সুবাদার শাহ সুজা (১৬৫১)।
বিনাশূল্কে বাণিজ্যের জন্য ফরমান জারি করেন সম্রাট ফররুখশিয়ার (১৭১৭)।
এলাহাবাদ চুক্তির মাধ্যমে কোম্পানিকে বাংলা দেওয়ানী প্রদান করেন সম্রাট শাহ আলম (১৭৬৫)।
দিল্লির অধিকার ইংরেজদের দখলে দিয়ে দেন সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ (১৮৫৭)।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকেন্দ্র ছিল-
কলকাতা।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকেন্দ্র ছিল কলকাতা।
এর প্রধান কেন্দ্র ছিল লন্ডনে।
বিশেষ তথ্য:
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠা পায় ১৬০০ সালে।
প্রতিষ্ঠায় অনুমতি প্রদান করেন তৎকালীন বৃটিশ রানি এলিজাবেথ।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে প্রতিষ্ঠা পায় ১৬০৮ সালে ।
আর বাংলায় প্রতিষ্ঠা পায় ১৬৩৩ সালে ।
কোম্পানির পক্ষে প্রথম আগমনকারী ক্যাপ্টেন হকিন্স রাজা জেমসের সুপারিশ নিয়ে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সাথে দেখা করেন।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সমাপ্তি ঘটে ১৮৫৭ সালে ।
বক্সারের যুদ্ধের ফলে-
ইংরেজরা দেওয়ানি লাভ করে।
বক্সারের যুদ্ধের ফলে ইংরেজরা দেওয়ানি লাভ করে।
বক্সারের যুদ্ধ সম্পর্কে বিশেষ তথ্য:
প্রতিপক্ষ - ইংরেজ বাহিনী বনাম বাংলা, অযোধ্যা ও দিল্লির সম্রাটের মিত্রবাহিনী।
সময়কাল - ১৭৬৩ সালে ৪ বার; কিন্তু চূড়ান্ত যুদ্ধ হয় ২২ অক্টোবর, ১৭৬৪ সালে।
স্থান- বক্সারের প্রান্তর, বিহার।
তৎকালীন বাংলার নবাব ছিলেন- মীর কাসিম।
তৎকালীন মুঘল সম্রাট ছিলেন- দ্বিতীয় শাহ আলম।
ফলাফল- ইংরেজদের জয়।
প্রতিক্রিয়া- রবার্ট ক্লাইভ দিল্লির সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন।
দিল্লির অধিকার ইংরেজদের দখলে দিয়ে দেন কোন সম্রাট?
দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ।
দিল্লির অধিকার ইংরেজদের দখলে দিয়ে দেন সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ।
বিশেষ তথ্য:
ইংরেজরা প্রথম আকবরের দরবারে আসে ১৬০০ সালে।
সুরাটে বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি দেন সম্রাট জাহাংগীর (১৬০৮)।
হরিহরপুরে বাংলার প্রথম বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি দেন শাহজাহান (১৬৩৩)।
হুগলিতে বাণিজ্য কুঠি স্থাপনের অনুমতি দেন সুবাদার শাহ সুজা (১৬৫১)।
বিনাশূল্কে বাণিজ্যের জন্য ফরমান জারি করেন সম্রাট ফররুখশিয়ার (১৭১৭)।
এলাহাবাদ চুক্তির মাধ্যমে কোম্পানিকে বাংলা দেওয়ানী প্রদান করেন সম্রাট শাহ আলম (১৭৬৫)।
দিল্লির অধিকার ইংরেজদের দখলে দিয়ে দেন সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ (১৮৫৭)।
রাজস্ব বোর্ড স্থাপন করেন কে?
ওয়ারেন হেস্টিংস।
নিলাম সূত্রে জমি বন্দোবস্তের প্রথা চালু করেন ওয়ারেন হেস্টিংস।
তিনি একশালা বন্দোবস্ত চালু করেছিলেন।
ওয়ারেন হেস্টিংস সম্পর্কে বিশেষ তথ্য:
তিনি বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল ছিলেন।
তিনি প্রথম ভারতীয় সংবাদপত্র “বেঙ্গল গেজেট” প্রকাশ করেন।
তিনি এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা (১৭৮৪) করেন।
তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সিভিল সার্ভিস অ্যাক্ট (১৭৮৪) পাস করান।
উপমহাদেশে সর্বপ্রথম রাজস্ব বোর্ড (Board of Revenue) স্থাপন করেন।
দ্বৈত শাসনের অবসান করেন।
পাঁচশালা বন্দোবস্ত চালু করেন।
বক্সারের যুদ্ধ সংঘটিত হয় কোন নবাবের সময়কালে?
মীর কাশিম।
১৭৬৪ সালে বিহারের বক্সার নামক স্থানে বাংলার নবাব মীর কাশিম, মুঘল সম্রাট শাহ আলম এবং অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলার সম্মিলিত বাহিনীর সাথে মেজর মনরো নেতৃত্বাধীন ইংরেজ বাহিনীর যুদ্ধ হয় যা বক্সারের যুদ্ধ নামে পরিচিত।
বক্সারের যুদ্ধ সম্পর্কে বিশেষ তথ্য:
প্রতিপক্ষ- ইংরেজ বাহিনী বনাম বাংলা, অযোধ্যা ও দিল্লির সম্রাটের মিত্রবাহিনী।
সময়কাল- ১৭৬৩ সালে ৪ বার; কিন্তু চূড়ান্ত যুদ্ধ হয় ২২ অক্টোবর, ১৭৬৪ সালে।
স্থান- বক্সারের প্রান্তর, বিহার।
তৎকালীন মুঘল সম্রাট ছিলেন- দ্বিতীয় শাহ আলম।
ফলাফল- ইংরেজদের জয়।
প্রতিক্রিয়া- রবার্ট ক্লাইভ দিল্লির সম্রাট শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভ করেন।
কার বিবরণের ওপর ভিত্তি করে রচিত হয় অন্ধকূপ হত্যা?
জে.জেড হলওয়েল।
জে.জেড হলওয়েল এর বিবরণের ওপর ভিত্তি করে রচিত হয় অন্ধকূপ হত্যা।
অন্ধকূপ হত্যা ১৭৫৬ সালের ২০ জুন বাংলার নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা কর্তৃক কলকাতা দখলের সময় সংঘটিত হওয়া কথিত ঘটনা।
এ কাহিনী মূলত কলকাতা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত ইংরেজ সেনাপতি জে.জেড হলওয়েলের বিবরণের ওপর ভিত্তি করে রচিত। সে সময় থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর পর্যন্ত বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় নি।পরবর্তীকালে হিস্ট্রি অব ইন্ডিয়া (১৮৫৮) গ্রন্থের প্রণেতা ব্রিটিশ ঐতিহাসিক জেমস মিলের লেখাতেই বিষয়টি প্রথম গুরুত্বের সাথে আলোচিত হয়।
আলীনগর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় কার কার মধ্যে?
নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা ও ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।
আলীনগর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা ও ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে।
আলীনগর চুক্তি ১৭৫৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলার নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা ও ইংলিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়।
নওয়াব কলকাতার ইংরেজ বসতি অধিকার করেন (১৮-২০ জুন ১৭৫৬) এবং ইংরেজরা তাঁর প্রকৃত ক্ষতিসমূহের প্রতিবিধান করতে অস্বীকার করলে তিনি তাদের কলকাতা শহর থেকে বিতাড়িত করেন।
তিনি এ শহরের নতুন নামকরণ করেন আলীনগর।
দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন কে?
রবার্ট ক্লাইভ।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বাংলার গভর্নর রবার্ট ক্লাইভ ১৭৬৫ সালে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।
এলাহাবাদ চুক্তির (১৭৬৫) মাধ্যমে মোগল সম্রাট শাহ আলমের নিকট থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি বা রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা লাভ করে। বিপরীতে নবাবকে শাসন ও বিচারকার্য পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইতিহাসে এটিই দ্বৈতশাসন নামে পরিচিত।
পরবর্তীতে ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ সালে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বাতিল করেন।
বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের পর রবার্ট ক্লাইভ জেমস রেনেলকে সমগ্র বাংলার ম্যাপ প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন।
তিতুমীর কোথায় বাঁশেরকেল্লা নির্মাণ করেন?
নারিকেলবাড়িয়া।
ইংরেজ ও জমিদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর জন্যে তিতুমীর (সাইয়িদ মীর নিসার আলী) ১৮৩১ সালে চব্বিশ পরগণার নাড়িকেলবাড়িয়ায় বাঁশেরকেল্লা নামের বাঁশের তৈরি একটি দূর্গ নির্মাণ করে।
কিন্তু ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ বাহিনীর কামানের গোলায় তিতুমীরের বাঁশেরকেল্লা ধ্বংস হয়ে যায় এবং তিতুমীর শহিদ হন।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রথম অস্ত্র ধারণ করেন তিতুমীর।
তিতুমীরের বিদ্রোহের অপর নাম বারাসাত বিদ্রোহ।
প্রজাস্বত্ব আইন কত সালে হয়?
১৯৫০ সালে।
১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ করে ‘প্রজাস্বত্ব আইন’ পাস হয়।
ফজলুল হকের মন্ত্রীসভার অবদান:
ফ্লাউড কমিশন গঠন: বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদের জন্য ফ্রান্সিস ফ্লাউডকে প্রধান করে কমিশনটি গঠন করা হয়। ১৯৪০ সালে কমিশন রিপোর্ট প্রকাশ করে। এই রিপোর্টের আলোকে ১৯৫০ সালে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ করে ‘প্রজাস্বত্ব আইন’ পাস হয়।
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম বিদ্রোহ-
ফকির ও সন্ন্যাসী বিদ্রোহ।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ক্ষমতা লাভের পর সর্বপ্রথম যে আন্দোলন হয়েছিল ইতিহাসে তা ফকির-সন্ন্যাসী আন্দোলন নামে পরিচিত।
সময়কাল: ১৭৬০ থেকে ১৮০০।
ফকিরদের নেতা: মজনু শাহ্ (সুফি সাধক)।
সন্ন্যাসীদের নেতা: ভবানী পাঠক।
সন্ন্যাসী বিদ্রোহ নিয়ে উপন্যাস: আনন্দমঠ (বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়)।
আনন্দমঠ উপন্যাসেই বঙ্কিমচন্দ্র বন্দেমাতরম গানটি লেখেন।
১৭৮৭ সালে সন্ন্যাসী বিদ্রোহের নেতা ভবানী পাঠক নিহত হলে সন্ন্যাসী আন্দোলনেরও অবসান ঘটে।
ঢাকার বিখ্যাত তারা মসজিদ কে নির্মাণ করেন?
মির্জা গােলাম পীর।
কারুকার্যখচিত তিন গম্বুজ(বর্তমানে ৫টি গম্বুজ) বিশিষ্ট তারা মসজিদটি পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত।
তৎকালীন জমিদার মির্জা গােলাম পীর উনিশ শতকের শুরুর দিকে মসজিদটি নির্মাণ করেন।
১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজ সেনাপতি ছিল-
লর্ড ক্লাইভ।
২৩ জুন, ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলার মধ্যে। ব্রিটিশদের পক্ষে প্রধান সেনাপতি ছিলেন রবার্ট ক্লাইভ এবং বাংলার পক্ষে ছিলেন মোহন লাল।
পলাশীর যুদ্ধ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
স্থান- ভাগীরথী নদীর তীর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে সমর্থন করে ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।
বাংলার পক্ষে যুদ্ধ করা ফরাসি সেনাপতি: সিন ফ্রে।
নবাবকে কোম্পানির কর না দেয়া, কোম্পানি কর্তৃক দত্তকের অপব্যবহারই যুদ্ধের মূল কারণ।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করা হয় কত সনে?
১৭৯৩।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তন করা হয় ১৭৯৩ সনে।
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রবর্তক লর্ড কর্নওয়ালিস। কোম্পানি ও বাংলার জমির মালিকদের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাংলার জমিদারদের হুঁশিয়ারী করা হয় যে, নির্ধারিত তারিখে জমির খাজনা দিতে ব্যর্থ হলে কোম্পানি জমি নিলামে বিক্রি করবে।
এই আইনের অপর নাম সূর্যাস্ত আইন ও জমিদারি প্রথা। এই আইনের আওতায় ‘আবওয়ার’ বা খাজনা আরোপিত হয়। ১৯৫০ সালের প্রজাস্বত্ব আইনের মাধ্যমে এটি বাতিল হয়।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার জন্য অনুমতিপত্রটি কী নামে পরিচিত?
দস্তক।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করার জন্য অনুমতিপত্রটি দস্তক নামে পরিচিত।
দিল্লির সম্রাট ফররুখশিয়ার বাংলায় বিনা শুল্কে ইংরেজদের বাণিজ্যের অনুমতি দেন।
কত খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে দি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি হয়?
১৬০০।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬০০ সালে;
ভারতে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬০৮ সালে;
এবং বাংলায় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬৩৩ সালে।
ইউরােপীয় বণিকদের মধ্যে বাংলায় আসেনি-
0
প্রুশিয়ানরা।
ইউরোপীয় বণিকদের মধ্যে প্রথম বাংলায় আসে পর্তুগীজরা।
ইউরোপীয়দের মধ্যে বাংলায় আসেন ক্রমান্বয়ে:
পর্তুগিজ (ফিরিঙ্গি)১৫১৬ সালে,
ইংরেজ ১৬০০ সালে,
ড্যানিশ (দিনেমার) ১৬১৬ সালে,
ডাচ (ওলন্দাজ) ১৬৩০ সালে,
এবং সবশেষে ফরাসিরা ১৬৭৪ সালে।
প্রথম ইউরোপ থেকে ভারতবর্ষে আগমনের পথ আবিষ্কার করে বার্থোলোমিউ দিয়াজ।
প্রথম ইউরোপীয় হিসেবে জলপথে ভারতবর্ষে আগমনকারী ভাস্কো দা গামা।
ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কখন বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভ করে?
১৭৬৫ সালে।
১৭৬৫ সালে সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের কাছ থেকে বাংলার দেওয়ানি লাভ করে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সেই সময় রবার্ট ক্লাইভ দ্বৈত শাসন চালু করে।
এলাহাবাদ চুক্তির (১৭৬৫) মাধ্যমে মোগল সম্রাট শাহ আলমের নিকট থেকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি বা রাজস্ব আদায়ের ক্ষমতা লাভ করে। বিপরীতে নবাবকে শাসন ও বিচারকার্য পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ইতিহাসে এটিই দ্বৈতশাসন নামে পরিচিত।
পরবর্তীতে ওয়ারেন হেস্টিংস ১৭৭২ সালে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা বাতিল করেন।
বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের পর রবার্ট ক্লাইভ জেমস রেনেলকে সমগ্র বাংলার ম্যাপ প্রস্তুত করার নির্দেশ দেন।
ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে-
১৮৫৮।
ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে ১৮৫৮ সালে।
ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকেন্দ্র ছিল কলকাতা।
এর প্রধান কেন্দ্র ছিল লন্ডনে।
☑️ বিশেষ তথ্য:
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠা পায় ১৬০০ সালে সালে।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি প্রতিষ্ঠায় অনুমতি প্রদান করেন রানি এলিজাবেথ।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে প্রতিষ্ঠা পায় ১৬০৮ সালে;
বাংলায়: ১৬৩৩ সালে।
কোম্পানির পক্ষে প্রথম আগমন: ক্যাপ্টেন হকিন্স রাজা জেমসের সুপারিশ নিয়ে সম্রাট জাহাঙ্গীরের সাথে দেখা করেন।
সমাপ্তি ঘটে: ১৮৫৮ সালে।
লর্ড ক্যানিং ভারত উপমহাদেশে প্রথম কোন ব্যবস্থা চালু করেন?
পুলিশ ব্যবস্থা ।
বাংলাদেশে রেল লাইন চালু করেন লর্ড ক্যানিং।
তিনি ভারতের শেষ গভর্নর জেনারেল ছিলেন। ‘
তিনি সিপাহী বিদ্রোহ দমন করেন।
তিনি ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন।
কোম্পানির কাছ থেকে শাসনক্ষমতা ইংল্যান্ডের মহারানির হাতে হস্তান্তর করেন।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। চা-কফি চাষ শুরু করেন।
তিনি ফৌজধারী কার্য প্রণালী বিধি (Criminal Procedure Code ) প্রকাশ করেন; কাগজী মুদ্রা চালু করেন (১৮৬১); পুলিশ প্রশাসন চালু করেন (১৮৬১)।
লর্ড ক্যানিং উপমহাদেশে প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন (১৮৬০)।
অন্যদিকে, উপমহাদেশে প্রথম রেল লাইন চালু করেন লর্ড ডালহৌসি।
লর্ড কার্জন কবে কার্জন হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন?
১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৪।
লর্ড কার্জন ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৪ সালে কার্জন হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ।
লর্ড কার্জন ছিলেন ভারতের গভর্নর জেনারেল এবং ভাইসরয়।
তার শাসনামলকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্বর্ণযুগ বলা হয়।
তিনি ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করেন।
ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ বাংলা কোন সনে সংঘটিত হয়?
১১৭৬।
‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ ইংরেজি ১৭৭০ সালে (বাংলায় ১১৭৬) সংঘটিত হয়।
এই দুর্ভিক্ষের সময় বাংলার গভর্নর ছিলেন জন কার্টিয়ার।
এটা মূলত গভর্নর রবার্ট ক্লাইভের দ্বৈত শাসনের ফল।
এই দুর্ভিক্ষের সময় দিল্লীর সম্রাট ছিলেন শাহ আলম।
ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় কে ছিলেন?
লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয় ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
ব্রিটিশ ভারতের প্রথম ভাইসরয় ছিলেন লর্ড ক্যানিং।
লর্ড ওয়াভেল এর সময়কালে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে (বাংলা ১৩৫০) তেতাল্লিশের দুর্ভিক্ষ/পঞ্চাশের মন্বন্তর সংঘটিত হয়।
লর্ড কার্জন- ১৯০৪ সালে কার্জন হল প্রতিষ্ঠা করেন এবং ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ করেন।
লর্ড বেন্টিংক ছিলেন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল।
তিনি সরকারি অফিস আদালতে ফার্সির পরিবর্তে ইংরেজি চালু করেন।
বঙ্গভঙ্গ কালে ভারতের ভাইসরয় কে ছিলেন?
লর্ড কার্জন।
বিভেদ ও শাসননীতি (Divide & Rule Policy) অনুসরণ করে ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর ভারতের তৎকালীন বড় লাট লর্ড জজ নাথানিয়েল কার্জন বাংলা প্রেসিডেন্সি ভাগ করে দুটি প্রদেশ গঠন করেন, ইতিহাসে এটি বঙ্গভঙ্গ নামে পরিচিত।
প্রদেশ দুইটি হলো- বাংলা প্রদেশ, এবং পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশ।
যে আইনের মাধ্যমে বার্মাকে ভারতবর্ষ থেকে আলাদা করা হয়-
ভারত শাসন আইন, ১৯৩৫
সতীদাহ প্রথা কে বিলোপ করেন?
লর্ড বেন্টিঙ্ক
১৭৯৯ সালে খ্রিষ্টান যাজক ও বাংলায় গদ্য পাঠ্যপুস্তকের প্রবর্তক উইলিয়াম কেরি সতীদাহ প্রথা বন্ধের প্রয়াস নেন। গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলির কাছে তিনি সতীদাহ বন্ধের আবেদন জানান।
এরপর রামমোহন রায় ১৮১২ সালে সতীদাহবিরোধী সামাজিক আন্দোলন শুরু করেন। তিনি ও তাঁর লোকেরা বিভিন্নভাবে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে এই প্রথা শুধু অমানবিকই নয়, বরং তা শাস্ত্র ও আইনবিরুদ্ধ। ১৮২১ সালে তিনি প্রকাশ করেন ‘সহমরণ বিষয় প্রবর্ত্তক ও নিবর্ত্তকের সম্বাদ’ শিরোনামের ছোট একটি পুস্তিকা।
১৮২৮ সালে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক বাংলার গভর্নর হয়ে আসেন। তিনি সতীদাহ প্রথার কথা আগে থেকেই জানতেন। লর্ড বেন্টিঙ্কের কাছে রামমোহন রায় সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য আবেদন করেন। লর্ড বেন্টিঙ্ক রামমোহনের যুক্তির সারবত্তা অনুভব করে আইনটি পাসে উদ্যোগী হন।
ব্রিটিশ শাসনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তিনি ১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে আইন পাস করেন।
সতীদাহ প্রথা কে বিলোপ করেন?
লর্ড বেন্টিঙ্ক
১৭৯৯ সালে খ্রিষ্টান যাজক ও বাংলায় গদ্য পাঠ্যপুস্তকের প্রবর্তক উইলিয়াম কেরি সতীদাহ প্রথা বন্ধের প্রয়াস নেন। গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলির কাছে তিনি সতীদাহ বন্ধের আবেদন জানান।
এরপর রামমোহন রায় ১৮১২ সালে সতীদাহবিরোধী সামাজিক আন্দোলন শুরু করেন। তিনি ও তাঁর লোকেরা বিভিন্নভাবে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন যে এই প্রথা শুধু অমানবিকই নয়, বরং তা শাস্ত্র ও আইনবিরুদ্ধ। ১৮২১ সালে তিনি প্রকাশ করেন ‘সহমরণ বিষয় প্রবর্ত্তক ও নিবর্ত্তকের সম্বাদ’ শিরোনামের ছোট একটি পুস্তিকা।
১৮২৮ সালে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক বাংলার গভর্নর হয়ে আসেন। তিনি সতীদাহ প্রথার কথা আগে থেকেই জানতেন। লর্ড বেন্টিঙ্কের কাছে রামমোহন রায় সতীদাহ প্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য আবেদন করেন। লর্ড বেন্টিঙ্ক রামমোহনের যুক্তির সারবত্তা অনুভব করে আইনটি পাসে উদ্যোগী হন।
ব্রিটিশ শাসনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তিনি ১৮২৯ সালের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহ প্রথাকে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে আইন পাস করেন।
ফকির আন্দোলনের নেতা কে ছিলেন?
মজনু শাহ
বাংলায় ফরায়েজী আন্দোলনের উদ্যোক্তা কে ছিলেন?
হাজী শরীয়তুল্লাহ
ছিয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের সময় বাংলার গভর্নর কে ছিলেন?
লর্ড কার্টিয়ার
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতির প্রবর্তক-
লর্ড ওয়েলেসলি
স্বত্ববিলোপ নীতি আরোপ করেন-
লর্ড ডালহৌসি
স্বত্ববিলোপ নীতি ছিল একটি সাম্রাজ্যবাদী নীতি। লর্ড ডালহৌসি এই সাম্রাজ্যবাদী নীতিটি প্রবর্তন করেন। তাঁর সাম্রাজ্যবাদী নীতির মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ব্যাপক বিস্তৃতি সাধন করা।
স্বত্ববিলোপ নীতির মূলকথা ছিল, ব্রিটিশের শাসনাধীন যেকোনো আশ্রিত রাজ্যের রাজা অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে এবং তার রাজবংশে কোনো উত্তরাধিকার না থাকলে সেই রাজা সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হবেন। এই নীতির মাধ্যমে সাঁতারা, নাগপুর, ঝাঁসি ও সম্বলপুর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়।
জমি থেকে খাজনা আদায় আল্লাহর আইনের পরিপন্থী’– এটি কার ঘোষণা?
দুদু মিয়া
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ-
ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ
ফকির-সন্ন্যাসী বিদ্রোহ বলতে মূলত আঠারো শতকের শেষের দিকে (১৭৬০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দ) বাংলাতে ফকির ও সন্ন্যাসী বা মুসলিম ও হিন্দু তাপসদের তৎকালীন ব্রিটিশ শাসন বিরোধী আন্দোলনকে বোঝানো হয়ে থাকে।
ফকির বিদ্রোহের নেতা ছিলেন - মজনু শাহ
সন্ন্যাসী নেতা ছিলেন - ভবানী পাঠক
হাজী মুহম্মদ মুহসীনের বাড়ি কোথায়?
হুগলী
মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক ও ইংরেজি শিক্ষা প্রচলনের জন্য কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
নওয়াব আবদুল লতিফ
নওয়াব আবদুল লতিফ নিজে ইংরেজ অনুগত ছিলেন এবং নিজেদের স্বার্থে মুসলমানদের ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ প্রয়োজন বলে মনে করতেন। ইংরেজ শাসকদের প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা লাভের স্বার্থে তিনি মুসলমানদের ইংরেজ বিদ্বেষী মনোভাব পরিহার করে তাদের সাথে সহযোগিতার নীতি গ্রহণের জন্য মুসলমানদের অনুরোধ জানান। তাঁর প্রচেষ্ঠায় মুসলমানেরা ইংরেজদের প্রতি জেহাদী মনোভাব ত্যাগ করে। উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে।
মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক ও ইংরেজি শিক্ষা প্রচলনের জন্য কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
নওয়াব আবদুল লতিফ
নওয়াব আবদুল লতিফ নিজে ইংরেজ অনুগত ছিলেন এবং নিজেদের স্বার্থে মুসলমানদের ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ প্রয়োজন বলে মনে করতেন। ইংরেজ শাসকদের প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা লাভের স্বার্থে তিনি মুসলমানদের ইংরেজ বিদ্বেষী মনোভাব পরিহার করে তাদের সাথে সহযোগিতার নীতি গ্রহণের জন্য মুসলমানদের অনুরোধ জানান। তাঁর প্রচেষ্ঠায় মুসলমানেরা ইংরেজদের প্রতি জেহাদী মনোভাব ত্যাগ করে। উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে।
মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক ও ইংরেজি শিক্ষা প্রচলনের জন্য কে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন?
নওয়াব আবদুল লতিফ
নওয়াব আবদুল লতিফ নিজে ইংরেজ অনুগত ছিলেন এবং নিজেদের স্বার্থে মুসলমানদের ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ প্রয়োজন বলে মনে করতেন। ইংরেজ শাসকদের প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা লাভের স্বার্থে তিনি মুসলমানদের ইংরেজ বিদ্বেষী মনোভাব পরিহার করে তাদের সাথে সহযোগিতার নীতি গ্রহণের জন্য মুসলমানদের অনুরোধ জানান। তাঁর প্রচেষ্ঠায় মুসলমানেরা ইংরেজদের প্রতি জেহাদী মনোভাব ত্যাগ করে। উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে।
ভারতের মুসলিম জাগরনের প্রথম অগ্রদূত
স্যার সৈয়দ আহমদ খান
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিপ্লবের ব্যর্থতা ভারতীয় মুসলমানদের মধ্যে নিরুৎসাহ ও হতাশার সৃষ্টি করে । ইংরেজ শাসনকে মনে প্রাণে গ্রহণ করতে না পারায় এবং পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি অনীহার কারণে তারা জীবনের সর্বক্ষেত্রেই পিছিয়ে পড়ে এবং দুঃখ দুর্দশার আবর্তে নিপতিত হয়।
মুসলমানদের সেই দুর্যোগময় মুহূর্তে তাদের ত্রাণকর্তারূপে উত্তর ভারতে স্যার সৈয়দ আহমদ খানের আবির্ভাব ঘটে।
মোহামেডান অ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন-
স্যার সৈয়দ আহমদ খান
স্যার সৈয়দ আহমদ খান বেনারসে ‘ভারতীয় মুসলমানদের শিক্ষা উন্নয়ন সমিতি’, নামে একটি সংস্থা ও গঠন করেন। এ সমিতির সুপারিশে মুসলমানদেরকে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য সৈয়দ আহমদ খান ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে আলীগড়ে ‘মোহামেডান এ্যাংলো ওরিয়েন্টাল স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন।
দু’বছর পরে এটি কলেজে উন্নীত হয়। ১৮৭৭ খ্রিস্টাব্দে উক্ত ‘মোহামেডান এ্যাংলো ওরিয়েন্টাল কলেজ’ প্রতিষ্ঠার পর আলীগড় মুসলমানদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
মুসলিম সাহিত্য সমাজ বা মোহামেডান লিটারারি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা-
নওয়াব আব্দুল লতিফ
মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি একটি সামাজিক সংগঠন। ১৮৬৩ সালে নওয়াব আবদুল লতিফ কর্তৃক কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত।
আবদুল লতিফ এর ভাষায় ‘মুসলমানদের ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং সামাজিক আচরণ ও আদান-প্রদানে শিক্ষিত হিন্দু ও ইংরেজদের সমকক্ষ করে তোলাই ছিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য। এ উদ্দেশ্যে তিনি বিজ্ঞান, কলা ও চলমান সমস্যা সংক্রান্ত এবং মুসলমানদের মধ্যে শিক্ষার প্রসারের উপায় উদ্ভাবনের জন্য আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
সোসাইটি মুসলমানদের ক্ষয়িষ্ণু আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা, আধুনিক শিক্ষা প্রবর্তন ও বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনার দ্বারা সমাজ উন্নয়নের নতুন ধারার প্রবর্তনা এবং এভাবে শাসক ও শাসিতের মধ্যে এক নির্ভরশীল সেতু স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। মুসলমানদের এই ধরনের সর্বপ্রথম সংগঠন হিসেবে মোহামেডান লিটারেরি সোসাইটি কালক্রমে মুসলমানদের প্রভূত কল্যাণ সাধন করে।
কে বাংলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে ‘পরো না রেশমী চুড়ি বঙ্গনারী’ গান গেয়ে জনগণের মধ্যে স্বদেশি আন্দোলনের পক্ষে তীব্র আবেগ সৃষ্টি করেন?
কবি মুকুন্দ দাস
বাংলায় নীল চাষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সূচনা হয়-
কুষ্টিয়ায়
ব্রিটিশ বণিকদের বিরুদ্ধে একজন চাকমা জুমিয়া নেতা বিদ্রোহের পতাকা উড়িয়েছিলেন, তাঁর ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলা নাম-
জোয়ান বকস খাঁ
ফরায়েজি আন্দোলনকে কোন নেতা রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপদান করেন?
দুদু মিয়া
ফরায়েজী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা বা উদ্যোক্তা হাজী শরীয়তউল্লাহ। ফরায়েজী আন্দোলনের প্রধান কেন্দ্র ছিল ফরিদপুর জেলা। হাজী শরীয়তউল্লাহর মৃত্যুর পর ফরায়েজী আন্দোলনের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন দুদু মিয়া । দুদু মিয়া এই আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেন।
বঙ্গভঙ্গের সুপারিশ করেন-
লর্ড কার্জন
বঙ্গভঙ্গের সুপারিশ করেন তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন। তার সুপারিশের ভিত্তিতে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ হয়। কিন্তু হিন্দুদের তীব্র বিরোধিতার মুখে বঙ্গভঙ্গের রদ হয় ১৯১১ সালে।
আর বঙ্গভঙ্গ রদের জন্য সুপারিশ করেন লর্ড হার্ডিঞ্জ।
কোন বিপ্লবের পরে মোগল সম্রাটের আইনানুগ অধিকার সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়?
সিপাহি বিদ্রোহ
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের সিপাহি বিপ্লবের পরে মোগল সম্রাটের আইনানুগ অধিকারের সম্পূর্ণ বিলুপ্তি ঘটে। বিদ্রোহী সিপাহীরা যাঁকে নেতা বলে ঘোষণা করেছিল, সেই দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর বন্দী হয়ে রেঙ্গুনে নির্বাসিত হলেন এবং তাঁর পুত্র ও পৌত্রদের নিমর্মভাবে হত্যা করা হয় ।