বাংলাদেশের ইতিহাস : মুঘল আমল -৩ Flashcards
ঢাকায় সর্বপ্রথম কবে রাজধানী স্থাপিত হয় ?
১৬১০।
ঢাকা প্রথম রাজধানী হয় ১৬১০ সালে।
সম্রাট জাহাংগীর বাংলা অধিকারের জন্য সুবেদার হিসেবে ইসলাম খানকে প্রেরণ করেন এবং ইসলাম খান কর্তৃক বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর (১৬১০) করা হয় এবং ঢাকার নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীরনগর।
ঢাকা মোট রাজধানী হয় ৫ বার (১৬১০, ১৬৬০, ১৯০৫, ১৯৪৭ ও ১৯৭১)।
ভারত উপমহাদেশে প্রথম ডাক ব্যবস্থার প্রবর্তক কে?
শের শাহ।
শেরশাহ ছিলেন মধ্যযুগীয় দিল্লির একজন শক্তিশালী আফগান পশতুন।
তিনি কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুনকে পরাজিত করে দিল্লি দখল করেন।
তিনি চালু করেন ‘পাট্টা’ (ভূমি স্বত্ত্বের দলিল) ও ‘কবুলিয়াত’ (চুক্তি দলিল) প্রথা।
তিনি সংবাদ বাহনের জন্য চালু করেন ঘোড়ার ডাক।
তাঁর নির্মিত সড়ক ছিল সড়ক-ই-আযম (মহাসড়ক) বা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড।
বাংলা ও আরবি সনের মধ্যে বছরে পার্থক্য হয়-
১১ দিন।
আরবি সন চন্দ্র বছর হিসেবে ও বাংলা সন সৌর বছর হিসেবে গণনা করা হয়।
এ কারণে একই সময়কাল থেকে যাত্রা শুরু করলেও বাংলা ও আরবি সন দুটির পার্থক্য হয় ১১ দিন।
শায়েস্তা খানের নগরী হিসেবে পরিচিত
ঢাকা।
শায়েস্তা খান ঢাকার লালবাগে অবস্থিত লালবাগের কেল্লা নির্মাণ করেন।
এছাড়াও তিনি ছোট কাটরা, তিন গম্বুজ মসজিদ, সাত গম্বুজ মসজিদ, হোসেনী দালান তার অন্যান্য নির্মাণশৈলী।
বাংলায় মামলুক শাসকগণ কত বছর শাসন করেন?
৬০ বছর।
বাংলায় মামলুক শাসকগণ প্রায় ৬০ বছর শাসন করেন।
এলাহাবাদ চুক্তি’ কত সালের?
১৭৬৫।
সুজা-উদ-দৌলা ১৭৬৫ সালের ১৬ আগস্ট ব্রিটিশদের সাথে এলাহাবাদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
সুজা-উদ-দৌলা ছিলেন মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের প্রধান উজির।
এলাহাবাদ চুক্তির মাধ্যমে কোম্পানিকে বাংলার দিওয়ানী প্রদান করেন সম্রাট শাহ আলম (১৭৬৫)।
পৃথিবীর প্রথম বাজেট-
১৭২০।
১৭২০ সালে ব্রিটেনের পার্লামেন্টে পৃথিবীর প্রথম বাজেট পেশ করা হয়। উত্থাপন করেন স্যার রবার্ট ওয়ালপোল।
কোন সুলতানের আমলে খান জাহান আলী বাংলায় আগমন করেন?
নাসিরুদ্দিন মুহাম্মাদ শাহ।
নাসিরুদ্দীন মাহমুদ শাহ (১৪৩৫-১৪৫৯) ছিলেন বাংলার সুলতান এবং সুলতান শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ এর বংশধর।
তাঁর রাজত্বকালে খান জাহান আলী খুলনা-যশোহর এলাকা জয় করেন।
পর্তুগিজরা বাংলায় বাণিজ্য করতে আসে কোন আমলে?
হুসেন শাহী আমলে।
পর্তুগিজরা এদেশে বহু নতুন জিনিস আমদানি করে আনে চীনের রেশমী কাপড়, মালাক্কার মসলা, সিংহলের চীনাবাদাম ইত্যাদি।
পর্তুগিজরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলায় অনেক নতুন নতুন শস্যের আমদানি করে ও সেগুলোর কৃষিকাজ আরম্ভ করে।
শের শাহ্ কত সালে বাংলা পূর্ণাঙ্গভাবে দখল করেন?
১৫৪০।
১৫৩৩ সালে শেরশাহ বাংলার সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহকে পরাজিত করেন।
১৫৩৮ সালে হুমায়ুন শের খানকে পরাজিত করে বাংলা অধিকার করেন।
বাংলাকে ‘জান্নাতাবাদ’ নামকরণ করেন হুমায়ুন।
হুমায়ূনের সৎ ভাই হিন্দাল দিল্লির সিংহাসন দখল করবে এমন খবরে হুমায়ুন দিল্লির অভিমুখে রওয়ানা হলে ১৫৩৯ সালে চৌসারের যুদ্ধে শের খান কর্তৃক অতর্কিত হামলায় হুমায়ূন পরাজিত হন।
ফলাফলে ১৫৪০ সালে হুমায়ুন কে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করে তিনি দিল্লি ও আগ্রা দখল করেন এবং একই বছর তিনি লাহোরও দখল করেন।
শেষ মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাকে কোথায় নির্বাসন দেওয়া হয়েছিলো?
রেঙ্গুনে।
সর্বশেষ মুঘল সম্রাট ছিলেন দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ জাফর।
১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে বাহাদুর শাহ সিপাহিদের পক্ষালম্বন করেন।
ফলে সিপাহি বিদ্রোহ ব্যর্থ হলে দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে ইংরেজরা মিয়ানমারের রেঙ্গুনে নির্বাসন দেয়। সেখানেই ১৮৬২ সালে তার মৃত্যু হয়।
আকবরের আমলে কৌতুককার ছিলেন কে?
বীরবল।
আকবরের আমলে কৌতুককার ছিলেন বীরবল। আকবরের আমলে গায়ক ছিলেন তানসেন।
আকবরের সমাধি কোথায় অবস্থিত?
সেকেন্দ্রাবাদ, ভারত।
আকবরের সমাধি অবস্থিত সেকেন্দ্রাবাদ, ভারত।
আবওয়াব কর চালু করেন কে
জাহাঙ্গীর।
আবওয়াব কর চালু করেন জাহাঙ্গীর।
তাঁর আমলেই ইসলাম খান কর্তৃক বারোভূঁইয়াদের দমন করা হয়। বাংলা অধিকারের জন্য সুবেদার হিসেবে ইসলাম খানকে প্রেরণ করেন এবং ইসলাম খান কর্তৃক বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর (১৬১০) করা হয় এবং ঢাকার নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীরনগর। ১৬১২ সালে সমগ্র বাংলা মোগলদের শাসনে আনয়ন করেন।
ইতিহাসে ‘’The Prince of Builders or Engineer King” নামে খ্যাত-
শাহজাহান।
ইতিহাসে ‘’The Prince of Builders or Engineer King” নামে খ্যাত- শাহজাহান।
শাহজাহানের স্থাপত্য:
• তাজমহল,
• ময়ূর সিংহাসন,
. দিল্লি জামে মসজিদ,
• দিল্লির লালকেল্লা,
• সালিমার উদ্যান,
• খাসমহল,
• শীর্ষমহল।
তাজমহলের স্থপতি কে?
ওস্তাদ ঈসা খাঁ।
সম্রাট শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেন যেটার স্থপতি ওস্তাদ ঈসা খাঁ।
তাজমহল যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত।
তাজমহল কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
যমুনা।
সম্রাট শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেন যেটার স্থপতি ওস্তাদ ঈসা খাঁ।
তাজমহল যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত
ময়ূর সিংহাসন নির্মাণ করেন কে?
শাহজাহান।
ময়ূর সিংহাসন নির্মাণ করেন শাহজাহান। ইতিহাসে ‘’The Prince of Builders or Engineer King” নামে খ্যাত- শাহজাহান।
শাহজাহানের স্থাপত্য:
• তাজমহল,
• ময়ূর সিংহাসন,
. দিল্লি জামে মসজিদ,
• দিল্লির লালকেল্লা,
• সালিমার উদ্যান,
• খাসমহল,
• শীর্ষমহল।
দিল্লি জামে মসজিদ নির্মাণ করেন কে?
শাহজাহান।
দিল্লি জামে মসজিদ নির্মাণ করেন শাহজাহান। ইতিহাসে ‘’The Prince of Builders or Engineer King” নামে খ্যাত- শাহজাহান।
শাহজাহানের স্থাপত্য:
• তাজমহল,
• ময়ূর সিংহাসন,
. দিল্লি জামে মসজিদ,
• দিল্লির লালকেল্লা,
• সালিমার উদ্যান,
• খাসমহল,
• শীর্ষমহল।
শাহজাহান নির্মিত সালিমার উদ্যান কোথায় অবস্থিত?
লাহোর।
শাহজাহান নির্মিত সালিমার উদ্যান অবস্থিত লাহোর।
জিজিয়া কর পুনরায় চালু করেন কোন সম্রাট?
আওরঙ্গজেব।
জিজিয়া কর রহিত করেছিলেন সম্রাট আকবর। পুনরায় এটি চালু করেন আওরঙ্গজেব।
ফতোয়া-ই-আলমগীরী’’ কার নির্দেশে প্রনীত একটি আইন গ্রন্থ?
আওরঙ্গজেব।
“ফতোয়া-ই-আলমগীরী’’ আওরঙ্গজেব এর নির্দেশে প্রনীত একটি আইন গ্রন্থ।
ভারতে মুদ্রণ শিল্পের সূচনা হয়-
মোগল আমলে।
ভারতে মুদ্রণ শিল্পের সূচনা হয়-মোগল আমলে।
সম্রাট হুমায়ুন বাংলায় প্রবেশ করে গৌড় অধিকার করেন কবে?
১৫৩৮ খ্রি.।
সম্রাট হুমায়ুন বাংলায় প্রবেশ করে গৌড় অধিকার করেন ১৫৩৮ খ্রি.।
রাজমহলের যুদ্ধ কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়?
দাউদ খান কররানী ও হোসেন কুলি বেগ।
সম্রাট আকবরের সেনাপতি খান-ই-জাহান কুলী বেগ কররানী বংশের শেষ সুলতান দাউদখান কররানীকে রাজমহলের যুদ্ধে পরাজিত করে বাংলায় মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠা করেন ১৫৭৬ সালে।
সমগ্র বাংলায় মুঘল আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন কে?
ইসলাম খান।
সমগ্র বাংলায় মুঘল আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন জাহাঙ্গীরের সবাদার ইসলাম খান।
বাংলায় নিযুক্ত প্রথম সুবেদার কে ছিলেন?
ইসলাম খান।
জাহাঙ্গীরের আমলে বাংলার সুবেদার ছিলেন ইসলাম খান। তিনি বাংলায় নিযুক্ত প্রথম সুবেদার। ১৬১০ সালে ঢাকাকে সর্বপ্রথম রাজধানীর মান দেন। বারো ভূঁইয়াদের দমন করেন। ঢাকার নাম রাখেন জাহাঙ্গীরনগর। ধোলাই খাল (বুড়িগঙ্গার পূর্বনাম) খনন করেন। নৌকা বাইচের প্রচলন করেন।
'’নৌকা বাইচের’’ প্রচলন করেন কে?
ইসলাম খান।
জাহাঙ্গীরের আমলে বাংলার সুবেদার ছিলেন ইসলাম খান। তিনি বাংলায় নিযুক্ত প্রথম সুবেদার। ১৬১০ সালে ঢাকাকে সর্বপ্রথম রাজধানীর মান দেন। বারো ভূঁইয়াদের দমন করেন। ঢাকার নাম রাখেন জাহাঙ্গীরনগর। ধোলাই খাল (বুড়িগঙ্গার পূর্বনাম) খনন করেন। নৌকা বাইচের প্রচলন করেন।
১৬৬০ সালে বাংলার রাজধানী রাজমহল হতে ঢাকায় স্থানান্তর করেন কে?
মীর জুমলা।
মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেবের প্রতিনিধি ছিলেন মীর জুমলা। তিনি ঢাকা গেইট নির্মাণ করেন। মুন্সিগঞ্জের ইদ্রাকপুর দুর্গ নির্মাণ করেন। ১৬৬৩ সালে আসাম যুদ্ধ পরিচালনা করেন। ১৬৬০ সালে বাংলার রাজধানী রাজমহল হতে ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
কে চট্টগ্রামের নাম ইসলামাবাদ নামকরণ করেন?
শায়েস্তা খান।
মীর জুমলার মৃত্যুর পর সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে বাংলার শাসনকর্তা ছিলেন- শায়েস্তা খান। চট্টগ্রাম থেকে মগ জলদস্যুদের বিতাড়ন করেন এবং চট্টগ্রামের নামকরণ করেন ইসলামাবাদ। তাঁর উৎসাহে মীর মুরাদ হোসেনী দালানা নির্মাণ করেন। তাঁর সময়ে টাকায় ৮ মণ চাল পাওয়া যেত।
মগ জলদস্যুদের বিতাড়িত করেন কে?
শায়েস্তা খান।
মীর জুমলার মৃত্যুর পর সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে বাংলার শাসনকর্তা ছিলেন- শায়েস্তা খান। চট্টগ্রাম থেকে মগ জলদস্যুদের বিতাড়ন করেন এবং চট্টগ্রামের নামকরণ করেন ইসলামাবাদ। তাঁর উৎসাহে মীর মুরাদ হোসেনী দালানা নির্মাণ করেন। তাঁর সময়ে টাকায় ৮ মণ চাল পাওয়া যেত।
কে চট্টগ্রামের নাম ইসলামাবাদ নামকরণ করেন?
শায়েস্তা খান।
মীর জুমলার মৃত্যুর পর সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমলে বাংলার শাসনকর্তা ছিলেন- শায়েস্তা খান। চট্টগ্রাম থেকে মগ জলদস্যুদের বিতাড়ন করেন এবং চট্টগ্রামের নামকরণ করেন ইসলামাবাদ। তাঁর উৎসাহে মীর মুরাদ হোসেনী দালানা নির্মাণ করেন। তাঁর সময়ে টাকায় ৮ মণ চাল পাওয়া যেত।
পলাশীর যুদ্ধ কোন নদীর তীরে সংঘটিত হয়?
ভাগীরথী।
পলাশীর যুদ্ধ সংঘটিত হয় ভাগীরথী নদীর তীর, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। তারিখ: ২৩ জুন, ১৭৫৭। পক্ষসমূহ: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও বাংলার নবাব সিরাজউদ্দৌলা
করতলব খান মসজিদ কে নির্মাণ করেন?
মুর্শিদ কুলি খান।
করতলব খান মসজিদ নির্মাণ করেন মুর্শিদ কুলি খান। এটি ঢাকার বেগম বাজারে অবস্থিত।
মাল জামিনী’ নামক রাজস্ব ব্যবস্থা চালু করেন কে?
মুর্শিদ কুলি খান।
মুর্শিদ কুলি খাঁন, রাজা টোডরমল ও শাহ সুজার ভূমিরাজস্ব বন্দোবস্ত পদ্ধতির সংস্কার করেন এবং ‘মাল জামিনী’ নামক রাজস্ব ব্যবস্থা চালু করেন।
অন্ধকূপ হত্যা’ কাহিনী কার তৈরি?
হলওয়েল।
‘অন্ধকূপ হত্যা’ কাহিনী হলওয়েল এর তৈরি
কোন যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ‘বাংলার সার্বভৌমত্ব রক্ষার শেষ চেষ্টা’?
বক্সারের যুদ্ধ।
বক্সারের যুদ্ধ (১৭৬৪): বাংলার সার্বভৌমত্ব রক্ষার শেষ চেষ্টা। • জোট: মীর কাসিম (বাংলা), নবাব সুজাউদ্দৌলা (অযোধ্যা), সম্রাট শাহ আলম (দিল্লি)। • বিরোধী পক্ষ: মেজর মনরো (ইংল্যান্ড)।