মুক্তিযুদ্ধ-৮ Flashcards
বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করেন কত সালে?
৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯।
১৯৬৯ সালে ৫ ই ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ‘আমাদের স্বাধীন দেশটির নাম হবে বাংলাদেশ’।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ- এর পদবি কী ছিল?
ল্যান্স নায়েক।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ- এর পদবি ছিল ল্যান্স নায়েক।
✔️ নূর মোহাম্মদ শেখ: জন্মস্থান: নড়াইল।
জন্ম তারিখ- ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬।
পদবি ছিল ল্যান্স নায়েক। ইপিআর সদস্য ছিলেন। ৮ নং সেক্টরে যুদ্ধ করতেন।
শহিদ হন: ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ তারিখ।
উনার সমাধি অবস্থিত গোয়ালহাটি, যশোর
সিপাহি মোহাম্মদ হামিদুর রহমান কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
সিপাহি মোহাম্মদ হামিদুর রহমান কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
৪।
সিপাহি মোহাম্মদ হামিদুর রহমান ৪ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
☑ হামিদুর রহমান:
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোহাম্মদ হামিদুর রহমান ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪ সালে ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ৪ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শহিদ হন ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১ সালে। তার সমাধি মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান।
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ কোথায় সমাহিত
করা হয়েছে?
মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান।
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ সমাহিত
করা হয়েছে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
☑ হামিদুর রহমান:
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোহাম্মদ হামিদুর রহমান ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪ সালে ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ৪ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শহিদ হন ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১ সালে। তার সমাধি মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন কোন গানবোটের Engine Room Artificer নিযুক্ত ছিলেন?
পলাশ।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন পলাশ গানবোটের Engine Room Artificer নিযুক্ত ছিলেন।
☑ রুহুল আমীন:
বীরশ্রেষ্ঠ স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমীন ১৯৩৪ সালে নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ১০ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শহিদ হন ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। তার সমাধি খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীর তীরে
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের উপর ভিত্তি করে যে ছায়াছবি নির্মিত হয়েছে তার নাম কী?
অস্তিত্বে আমার দেশ।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের উপর ভিত্তি করে অস্তিত্বে আমার দেশ ছায়াছবিটি নির্মিত হয়েছে। ‘অস্তিত্বে আমার দেশ’ নির্মাণ করেছেন খিজির হায়াত খান ও মিলি রহমান। ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া এ চলচ্চিত্রের প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন হায়াত ও শশী।
☑ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান:
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ২৯ অক্টবর, ১৯৪১ সালে নরসিংদী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিমানবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি শহিদ হন ২০ আগস্ট, ১৯৭১ সালে। তার সমাধি মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান।
কার সমাধি বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় অবস্থিত?
বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর।
বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন এর সমাধি বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় অবস্থিত।
☑ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর:
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ১৯৩৪ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ৭ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শহিদ হন ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন এর সমাধি বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় অবস্থিত।
দুইটি সেক্টরে যুদ্ধ করেন কোন বীরশ্রেষ্ঠ?
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।
দুটি সেক্টরে যুদ্ধ করেন মোহাম্মদ রুহুল আমিন- প্রথমে ২ নং এবং পরে নৌবাহিনীদের নিয়ে গঠিত ১০ নং সেক্টরে।
☑ রুহুল আমীন:
বীরশ্রেষ্ঠ স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমীন ১৯৩৪ সালে নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ১০ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শহিদ হন ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। তার সমাধি খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীর তীরে।
কত সালে সায়মন ড্রিং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা লাভ করেন?
0/1
২০১২।
২০১২ সালে সায়মন ড্রিং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা লাভ করেন।
✔️ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু সায়মন ড্রিং ৬ মার্চ, ১৯৭১ সালে ঢাকায় আসেন। সাইমন ড্রিং ছিলেন একজন সাংবাদিক, তিনি বিশ্বের কাছে মুক্তিযুদ্ধকালীন ভয়ানক অবস্থা তুলে ধরেছিলেন। তিনি ঢাকায় কর্মরত ব্রিটিশ “ডেইলি টেলিগ্রাফের” সাংবাধিক। তিনি ৩১ মার্চ, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যার খবর Tanks Crush Revolt in Pakistan শিরোনামে “ডেইলি টেলিগ্রাফ” পত্রিকায় প্রকাশ করেন। তাকে ২০১২ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি ২০২১ সালের ১৬ জুলাই রোমানিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।
ফাদার মারিও ভেরেনজি কোন দেশের নাগরিক?
ইতালি।
ফাদার মারিও ভেরেনজি-ইতালির নাগরিক। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধে নিহত হন।
যশোর কবে শত্রুমুক্ত হয়?
৬ ডিসেম্বর।
প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোর। যশোর শত্রুমুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। মুক্তিযুদ্ধে যশোর ৮ নং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল
কোন জন মুজিব বাহিনীর সদস্য ছিলেন না?
শাজাহান সিরাজ।
মুজিব বাহিনীর সদস্য ছিলেন না শাজাহান সিরাজ।
☑ মুজিব বাহিনী:
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের শেষের দিকে শেখ ফজলুল হক মনি, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ ও সিরাজুল আলম খান - এই চার যুবনেতার উদ্যোগে এই বিশেষ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এই বাহিনী অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভুত ছিল। একই সঙ্গে এই বাহিনী স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সেনাপতি জেনারেল অরোরার নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল।
এই বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল সুজন সিং উবান।
মুজিব ব্যাটারি কোন ফোর্সের আন্ডারে ছিল?
K force।
মুজিব ব্যাটারি ক-ফোর্সের আন্ডারে ছিল।
☑ মুজিব ব্যাটারি:
মুজিব ব্যাটারী হল বাংলাদেশের প্রথম আর্টিলারী ইউনিট বা ভারী অস্ত্র সংবলিত ইউনিট, যাকে ফার্স্ট ফিল্ড রেজিমেন্ট বলা হয়। ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই ৬টি কামান নিয়ে ভারতের কোনাবান অঞ্চলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ইউনিট প্রথম প্রতিষ্ঠা লাভ করে, যাকে মেজর খালেদ মোশাররফ মুজিব ব্যাটারি নামে নামকরণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আগস্টের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা গোলন্দাজ বাহিনীর ৮০ জন বাঙালী সদস্যকে নিয়ে ত্রিপুরায় এই বাহিনী গঠিত হয়। এটি মুক্তিবাহিনীর কে ফোর্সের অধীনে ছিল।
☑ মুক্তিবাহিনীর তিনটি ব্রিগেড ফোর্সের নাম: ‘কে’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর খালেদ মোশাররফ, ‘এস’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ, ‘জেড’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর জিয়াউর রহমান।
হিট এন্ড রান” পদ্ধতিতে অসংখ্য আক্রমণ পরিচালনা করে কোন বাহিনী?
ক্র্যাক প্লাটুন।
☑ ক্র্যাক প্লাটুন:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদেরবিরুদ্ধে ঢাকা শহরে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একদলতরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের ২ নং সেক্টরের অধীনে একটি স্বতন্ত্র সংগঠিত দল ছিলো ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ । এই দলটি অত্যন্তদক্ষতার সাথে “হিট এন্ড রান” পদ্ধতিতে অসংখ্য আক্রমণ পরিচালনা করে। এইদুঃসাহসী তরুণেরা ১৯৭১ সালের ৯ জুন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে সরাসরি ঢাকায় হোটেলইন্টারকন্টিনেন্টালে গ্রেনেড হামলা করে কয়েকজনকে হত্যা করলে খালেদ মোশাররফ(বীর উত্তম) বলেন, ‘দিজ অল আর ক্র্যাক পিপল’!
তিনিই প্রথম এই দলটিকে “ক্র্যাক”আখ্যা দেন; যা থেকে পরবর্তীতে এই প্লাটুনটি ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিত হয়। এইবাহিনীর সদস্য ভারতের মেলাঘর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।ঢাকা শহরে তারা মোট ৮২টি অপারেশন পরিচালনা করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ আগস্ট বুধবারে, ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকায় পরিচালিত হয় ক্র্যাক প্লাটুন খ্যাত গেরিলা দলের শেষ অপারেশন ‘অ্যাটাক অন দ্য মুভ’। এই অপারেশনের পর ২৯ ও ৩০ আগস্ট শহীদ জননী খ্যাত জাহানারা ইমামের জৈষ্ঠ্যপুত্র শাফি আহমেদ রুমী-সহ আরও কয়েজন গ্রেফতার হন। পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।