মুক্তিযুদ্ধ-৮ Flashcards
বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করেন কত সালে?
৫ ডিসেম্বর, ১৯৬৯।
১৯৬৯ সালে ৫ ই ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন ‘আমাদের স্বাধীন দেশটির নাম হবে বাংলাদেশ’।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ- এর পদবি কী ছিল?
ল্যান্স নায়েক।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ- এর পদবি ছিল ল্যান্স নায়েক।
✔️ নূর মোহাম্মদ শেখ: জন্মস্থান: নড়াইল।
জন্ম তারিখ- ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৬।
পদবি ছিল ল্যান্স নায়েক। ইপিআর সদস্য ছিলেন। ৮ নং সেক্টরে যুদ্ধ করতেন।
শহিদ হন: ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ তারিখ।
উনার সমাধি অবস্থিত গোয়ালহাটি, যশোর
সিপাহি মোহাম্মদ হামিদুর রহমান কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
সিপাহি মোহাম্মদ হামিদুর রহমান কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেন?
৪।
সিপাহি মোহাম্মদ হামিদুর রহমান ৪ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেন।
☑ হামিদুর রহমান:
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোহাম্মদ হামিদুর রহমান ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪ সালে ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ৪ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শহিদ হন ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১ সালে। তার সমাধি মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান।
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ কোথায় সমাহিত
করা হয়েছে?
মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান।
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের দেহাবশেষ সমাহিত
করা হয়েছে মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
☑ হামিদুর রহমান:
বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহি মোহাম্মদ হামিদুর রহমান ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩৪ সালে ঝিনাইদহে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ৪ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শহিদ হন ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১ সালে। তার সমাধি মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন কোন গানবোটের Engine Room Artificer নিযুক্ত ছিলেন?
পলাশ।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন পলাশ গানবোটের Engine Room Artificer নিযুক্ত ছিলেন।
☑ রুহুল আমীন:
বীরশ্রেষ্ঠ স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমীন ১৯৩৪ সালে নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ১০ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শহিদ হন ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। তার সমাধি খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীর তীরে
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের উপর ভিত্তি করে যে ছায়াছবি নির্মিত হয়েছে তার নাম কী?
অস্তিত্বে আমার দেশ।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানের উপর ভিত্তি করে অস্তিত্বে আমার দেশ ছায়াছবিটি নির্মিত হয়েছে। ‘অস্তিত্বে আমার দেশ’ নির্মাণ করেছেন খিজির হায়াত খান ও মিলি রহমান। ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া এ চলচ্চিত্রের প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন হায়াত ও শশী।
☑ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান:
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ২৯ অক্টবর, ১৯৪১ সালে নরসিংদী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিমানবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি শহিদ হন ২০ আগস্ট, ১৯৭১ সালে। তার সমাধি মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান।
কার সমাধি বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় অবস্থিত?
বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর।
বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন এর সমাধি বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় অবস্থিত।
☑ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর:
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ১৯৩৪ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ৭ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শহিদ হন ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন এর সমাধি বৃহত্তর রাজশাহী জেলায় অবস্থিত।
দুইটি সেক্টরে যুদ্ধ করেন কোন বীরশ্রেষ্ঠ?
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন।
দুটি সেক্টরে যুদ্ধ করেন মোহাম্মদ রুহুল আমিন- প্রথমে ২ নং এবং পরে নৌবাহিনীদের নিয়ে গঠিত ১০ নং সেক্টরে।
☑ রুহুল আমীন:
বীরশ্রেষ্ঠ স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমীন ১৯৩৪ সালে নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ১০ নং সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন। তিনি শহিদ হন ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সালে। তার সমাধি খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীর তীরে।
কত সালে সায়মন ড্রিং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা লাভ করেন?
0/1
২০১২।
২০১২ সালে সায়মন ড্রিং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা লাভ করেন।
✔️ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু সায়মন ড্রিং ৬ মার্চ, ১৯৭১ সালে ঢাকায় আসেন। সাইমন ড্রিং ছিলেন একজন সাংবাদিক, তিনি বিশ্বের কাছে মুক্তিযুদ্ধকালীন ভয়ানক অবস্থা তুলে ধরেছিলেন। তিনি ঢাকায় কর্মরত ব্রিটিশ “ডেইলি টেলিগ্রাফের” সাংবাধিক। তিনি ৩১ মার্চ, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যার খবর Tanks Crush Revolt in Pakistan শিরোনামে “ডেইলি টেলিগ্রাফ” পত্রিকায় প্রকাশ করেন। তাকে ২০১২ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি ২০২১ সালের ১৬ জুলাই রোমানিয়ায় মৃত্যুবরণ করেন।
ফাদার মারিও ভেরেনজি কোন দেশের নাগরিক?
ইতালি।
ফাদার মারিও ভেরেনজি-ইতালির নাগরিক। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধে নিহত হন।
যশোর কবে শত্রুমুক্ত হয়?
৬ ডিসেম্বর।
প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা যশোর। যশোর শত্রুমুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। মুক্তিযুদ্ধে যশোর ৮ নং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল
কোন জন মুজিব বাহিনীর সদস্য ছিলেন না?
শাজাহান সিরাজ।
মুজিব বাহিনীর সদস্য ছিলেন না শাজাহান সিরাজ।
☑ মুজিব বাহিনী:
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের মে মাসের শেষের দিকে শেখ ফজলুল হক মনি, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমদ ও সিরাজুল আলম খান - এই চার যুবনেতার উদ্যোগে এই বিশেষ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়।
এই বাহিনী অস্থায়ী মুজিবনগর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভুত ছিল। একই সঙ্গে এই বাহিনী স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সেনাপতি জেনারেল অরোরার নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল।
এই বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জেনারেল সুজন সিং উবান।
মুজিব ব্যাটারি কোন ফোর্সের আন্ডারে ছিল?
K force।
মুজিব ব্যাটারি ক-ফোর্সের আন্ডারে ছিল।
☑ মুজিব ব্যাটারি:
মুজিব ব্যাটারী হল বাংলাদেশের প্রথম আর্টিলারী ইউনিট বা ভারী অস্ত্র সংবলিত ইউনিট, যাকে ফার্স্ট ফিল্ড রেজিমেন্ট বলা হয়। ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই ৬টি কামান নিয়ে ভারতের কোনাবান অঞ্চলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ইউনিট প্রথম প্রতিষ্ঠা লাভ করে, যাকে মেজর খালেদ মোশাররফ মুজিব ব্যাটারি নামে নামকরণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন আগস্টের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা গোলন্দাজ বাহিনীর ৮০ জন বাঙালী সদস্যকে নিয়ে ত্রিপুরায় এই বাহিনী গঠিত হয়। এটি মুক্তিবাহিনীর কে ফোর্সের অধীনে ছিল।
☑ মুক্তিবাহিনীর তিনটি ব্রিগেড ফোর্সের নাম: ‘কে’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর খালেদ মোশাররফ, ‘এস’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর কে এম সফিউল্লাহ, ‘জেড’ ফোর্স এর নেতৃত্ব দেন মেজর জিয়াউর রহমান।
হিট এন্ড রান” পদ্ধতিতে অসংখ্য আক্রমণ পরিচালনা করে কোন বাহিনী?
ক্র্যাক প্লাটুন।
☑ ক্র্যাক প্লাটুন:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদেরবিরুদ্ধে ঢাকা শহরে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একদলতরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের ২ নং সেক্টরের অধীনে একটি স্বতন্ত্র সংগঠিত দল ছিলো ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ । এই দলটি অত্যন্তদক্ষতার সাথে “হিট এন্ড রান” পদ্ধতিতে অসংখ্য আক্রমণ পরিচালনা করে। এইদুঃসাহসী তরুণেরা ১৯৭১ সালের ৯ জুন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে সরাসরি ঢাকায় হোটেলইন্টারকন্টিনেন্টালে গ্রেনেড হামলা করে কয়েকজনকে হত্যা করলে খালেদ মোশাররফ(বীর উত্তম) বলেন, ‘দিজ অল আর ক্র্যাক পিপল’!
তিনিই প্রথম এই দলটিকে “ক্র্যাক”আখ্যা দেন; যা থেকে পরবর্তীতে এই প্লাটুনটি ‘ক্র্যাক প্লাটুন’ নামে পরিচিত হয়। এইবাহিনীর সদস্য ভারতের মেলাঘর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।ঢাকা শহরে তারা মোট ৮২টি অপারেশন পরিচালনা করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ আগস্ট বুধবারে, ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকায় পরিচালিত হয় ক্র্যাক প্লাটুন খ্যাত গেরিলা দলের শেষ অপারেশন ‘অ্যাটাক অন দ্য মুভ’। এই অপারেশনের পর ২৯ ও ৩০ আগস্ট শহীদ জননী খ্যাত জাহানারা ইমামের জৈষ্ঠ্যপুত্র শাফি আহমেদ রুমী-সহ আরও কয়েজন গ্রেফতার হন। পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু প্রথম নেতা হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলা ভাষায় বক্তব্য দেন কত সালে, কত তারিখে?
১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন।
☑ ‘জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ’:
✓ জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে ১৩৬তম সদস্য পদ লাভ করে বাংলাদেশ - ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালে।
✓ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সর্বপ্রথম বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন।
✓ জাতিসংঘের মহাসচিব হিসাবে প্রথম বাংলাদেশে সফর করেন - কুর্ট ওয়াল্ডহেইম।
✓ জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের বিরুদ্ধে ভেটো প্রদানকারী রাষ্ট্র - চীন।
✓ হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম বাংলাদেশি সভাপতি- ১৯৮৬ সালে, ৪১তম অধিবেশন।
✓ আনোয়ারুল করিম চৌধুরী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম বাংলাদেশি সভাপতি। ২০০১ সালের জুন মাসের জন্য।
✓ বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথম অংশগ্রহণ করে- ১৯৮৮ সালে, জাতিসংঘ ইরাক-ইরান সামরিক পর্যবেক্ষণ গ্রুপ (UNIIMOG)।
✓ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সর্বপ্রথম শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করে- ১৯৮৯ সালে নামিবিয়ার শান্তি মিশনে (UNTAG)।
✓ বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নেতৃত্ব দেন - এসপি মিলি বিশ্বাস।
বঙ্গবন্ধু বাংলায় বক্তব্য দানকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি কে ছিলেন ?
আবদুল আজিজ বুতাফ্লিকা।
বঙ্গবন্ধু বাংলায় বক্তব্য দানকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি ছিলেন আবদুল আজিজ বুতাফ্লিকা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৯তম অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন।
☑ ‘জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ’:
✓ জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে ১৩৬তম সদস্য পদ লাভ করে বাংলাদেশ - ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ সালে।
✓ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সর্বপ্রথম বাংলায় ভাষণ প্রদান করেন।
✓ জাতিসংঘের মহাসচিব হিসাবে প্রথম বাংলাদেশে সফর করেন - কুর্ট ওয়াল্ডহেইম।
✓ জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের বিরুদ্ধে ভেটো প্রদানকারী রাষ্ট্র - চীন।
✓ হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রথম বাংলাদেশি সভাপতি- ১৯৮৬ সালে, ৪১তম অধিবেশন।
✓ আনোয়ারুল করিম চৌধুরী জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রথম বাংলাদেশি সভাপতি। ২০০১ সালের জুন মাসের জন্য।
✓ বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথম অংশগ্রহণ করে- ১৯৮৮ সালে, জাতিসংঘ ইরাক-ইরান সামরিক পর্যবেক্ষণ গ্রুপ (UNIIMOG)।
✓ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সর্বপ্রথম শান্তি মিশনে অংশগ্রহণ করে- ১৯৮৯ সালে নামিবিয়ার শান্তি মিশনে (UNTAG)।
✓ বাংলাদেশের প্রথম নারী হিসেবে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নেতৃত্ব দেন - এসপি মিলি বিশ্বাস।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করেন কে?
আ ফ ম মোহিতুল ইসলাম।
১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর বাড়ির কেয়ারটেকার ও পিএ আ ফ ম মহিতুল ইসলাম বাদী হয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ এর ভাষন সংবিধান এর কোন অনুচ্ছেদে আছে?
১৫০ (২)।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ এর ভাষন সংবিধান এর ১৫০(০২) অনুচ্ছেদে আছে।
☑ আমাদের সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ সংবিধানের পঞ্চম তফসিল দ্বারা আমাদের সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
✔️ পঞ্চম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ১৯৭১সালের ৭মার্চ তারিখে ঢাকার রেসকোর্সময়দানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ।
✔️ ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ১৯৭১সালের ২৫মার্চ মধ্যরাত শেষে অর্থাৎ ২৬মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা।
✔️ সপ্তম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ১০এপ্রিল ১৯৭১ এর মুজিব নগর সরকারের জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
আইয়ুব খান রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে, শেখ মুজিব ছাত্র নেতাদের নিয়ে গোপন এ কোন সংগঠন গড়ে তোলেন?
স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ।
আইয়ুব খান রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে, শেখ মুজিব ছাত্র নেতাদের নিয়ে গোপন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ সংগঠনটি গড়ে তোলেন।
☑ স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ:
স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ গঠিত হয় ১৯৬২ সালে। এটি ছাত্রলীগের গোপন পাঠচক্র। এর সদস্য ছিলেন ৩জন-সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক এবং কাজী আরেফ আহমেদ। এটি নিউক্লিয়াস নামেও পরিচিত।
কত সালে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন?
১৯৪৪।
##footnote
১৯৪৪ সালে বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজনীতিতে অভিষিক্ত হন।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে কত তারিখকে বীমা দিবস হিসেবে ঘােষণা করা হয়?
: ১ মার্চ।
১৯৬০ সালে ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু তৎকালীন আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দেন। তাই ১ মার্চ কে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা ছিল কতটি?
১২টি।
১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়ে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। এ সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা এবং বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করা। বাঙালি কর্মকর্তাদের নিয়ে সরকার প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করেন। এতে মোট ১২টি মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ছিল।
১৯৭১ সালের ২০ অক্টোবর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংগঠন ও কার্যাবলীর ওপর তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব একটি প্রতিবেদন পেশ করেন।
এই প্রতিবেদনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে ১২টি মন্ত্রণালয়/বিভাগে সংগঠিত করা হয়েছিল:
১. প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়,
২. পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,
৩. অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়,
৪. মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয়,
৫. সাধারণ প্রশাসন বিভাগ,
৬. স্বাস্থ্য ও কল্যাণ বিভাগ,
৭. তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়,
৮. স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,
৯. ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়,
১০. সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়,
১১. কৃষি বিভাগ,
১২. প্রকৌশল বিভাগ।
১৯৭১ সালে সংঘটিত বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারায় -
শিক্ষাবিদ।
বুদ্ধিজীবী হত্যা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি বুদ্ধিজীবী নিধন ইতিহাসের নৃশংসতম ও বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ। বাঙালি বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানি, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদগণ এই সুপরিকল্পিত নিধনযজ্ঞের শিকার হন।
জানা যায় যে, বুদ্ধিজীবী নিধনের নীলনকশা পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীর নেতৃত্বে অন্যূন দশ জনের একটি কমিটি কর্তৃক প্রণীত হয়। পরবর্তীকালে জানা যায় যে, ১৪ ডিসেম্বরের নিধনযজ্ঞ সরাসরি রাও ফরমান আলী কর্তৃক পরিচালিত হয়।
শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির উদ্দেশে বাংলাদেশে ১৪ ডিসেম্বর শোকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়। সব শহিদ বুদ্ধিজীবীর পরিচয় দূরের কথা, তাঁদের প্রকৃত সংখ্যাই অদ্যাবধি নিরূপণ করা সম্ভব হয় নি। প্রাপ্ত তথ্যসূত্র থেকে শহীদদের মোটামুটি একটা সংখ্যা দাঁড় করানো যায়।
এঁদের মধ্যে ছিলেন ৯৯১ জন শিক্ষাবিদ, ১৩ জন সাংবাদিক, ৪৯ জন চিকিৎসক, ৪২ জন আইনজীবী, ৯ জন সাহিত্যিক ও শিল্পী, ৫ জন প্রকৌশলী, এবং অন্যান্য ২ জন।