Chapter-3: Diffusion, Osmosis, and Excretion Flashcards
আতর ছড়ালে সুবাস ছড়িয়ে পড়ে কেন?
ব্যাপন প্রক্রিয়ার কারণে আতর ছড়ালে তার সুবাস চারদিকে
ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপন হলো একই তাপমাত্রা ও বায়ুমণ্ডলীয় চাপে বেশি
ঘনত্বের স্থান থেকে কম ঘনত্বের স্থানের অণুগুলো ছড়িয়ে পড়া।
ব্যাপনের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
ব্যাপনের দুটি বৈশিষ্ট্য হলো—
১.ব্যাপন প্রক্রিয়ায় পদার্থের অণু উচ্চ ঘনত্বের স্থান থেকে নিম্ন ঘনত্বের স্থানের দিকে ছড়িয়ে পড়ে ।
২. ব্যাপন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি চোষক শক্তির সৃষ্টি হয় যার মাধ্যমে
উদ্ভিদ সহজেই মাটি থেকে পাতায় পানি পরিবহন করতে পারে।
ব্যাপনের দুটি গুরুত্ব উল্লেখ কর।
ব্যাপনের দুটি গুরুত্ব হলো-
১.ব্যাপন ক্রিয়ার দ্বারা কোষে অক্সিজেন প্রবেশ করে এবং কার্বন
ডাইঅক্সাইড বের হয়ে যায়।
২. উদ্ভিদদেহে শোষিত পানি বাষ্পাকারে প্রস্বেদনের মাধ্যমে দেহ থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় বের করে দেয় ।
প্রাণীদের শ্বসনে ব্যাপন কী ভূমিকা পালন করে?
প্রাণীদের শ্বসনের সময় অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের আদান-প্রদান, রক্ত থেকে পুষ্টি উপাদান, অক্সিজেন প্রভৃতি লসিকায় বহন এবং লসিকা থেকে কোষে পরিবহন করা ব্যাপন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয় ।
ডিমের খোসার ভিতরের পর্দাকে অর্ধভেদ্য পর্দা বলা হয় কেন ?
যে পর্দা দিয়ে কেবল দ্রবণের দ্রাবক অণু চলাচল করতে পারে কিন্তু দ্রব অণু চলাচল করতে পারে না তাকে অর্ধভেদ্য পর্দা বলে। ডিমের খোসার ভিতরের পর্দার মধ্য দিয়েও দ্রাবক অণু চলাচল করতে পারে কিন্তু দ্রব অণু চলাচল করতে পারে না। এ কারণেই ডিমের এ
পর্দাকে অর্ধভেদ্য বলা হয় ।
অভিস্রবণের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
অভিস্রবণের দুটি বৈশিষ্ট্য হলো—
১. অভিস্রবণ কেবলমাত্র তরলের ক্ষেত্রে ঘটে।
২. দ্রাবক পদার্থের অণুগুলো কম ঘনত্বের দ্রবণ থেকে অধিক ঘনত্বের
দিকে যায় ৷
অভিস্রবণের দুটি গুরুত্ব লেখ।
অভিস্রবণের দুটি গুরুত্ব হলো—
১. অভিস্রবণ প্রক্রিয়ার দ্বারা উদ্ভিদ কোষের রসস্ফীতি ঘটে।
২. অভিস্রবণের মাধ্যমে প্রাণীর অন্ত্রে খাদ্য শোষিত হতে পারে।
পর্দা কত প্রকার ও কী কী?
পর্দাকে সাধারণত তিনভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. অভেদ্য পর্দা, ২. ভেদ্য পর্দা ও ৩. অর্ধভেদ্য পর্দা।
অর্ধভেদ্য পর্দার দুটি উদাহরণ লেখ।
অর্ধভেদ্য পর্দার দুটি উদাহরণ হলো-
১. কোষপর্দা এবং ২. মাছের পটকা।
কোষপ্রাচীরকে ভেদ্য পর্দা বলা হয় কেন?
ভেদ্য পর্দা হলো ঐসব পর্দা যার মধ্য দিয়ে দ্রাবক ও দ্রব উভয়েরই অণু সহজে চলাচল করতে পারে। কোষপ্রাচীরের মধ্য দিয়েও দ্রাবক ও দ্রব উভয়ের অণুই সহজে চলাচল করতে পারে বিধায় কোষপ্রাচীরকে ভেদ্য পর্দা বলা হয় ।
উদ্ভিদের খনিজ লবণের শোষণ কতভাবে সম্পন্ন হয়?
উদ্ভিদের খনিজ লবণের শোষণ দুইভাবে সম্পন্ন হয়। যথা :
১. নিষ্ক্রিয় শোষণ ও ২. সক্রিয় শোষণ ।
সক্রিয় শোষণ ও নিষ্ক্রিয় শোষণের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।
সক্রিয় শোষণ ও নিষ্ক্রিয় শোষণের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ-
সক্রিয় শোষণ
১. বিপাকীয় শক্তির প্রয়োজন
হয়।
২. রাসায়নিক প্রক্রিয়া ।
ভৌত প্ৰক্ৰিয়া ।
১. বিপাকীয় শক্তির প্রয়োজন
হয় না ।
২.ভৌত প্ৰক্ৰিয়া ।
উদ্ভিদের পানি ও লবণ শোষণ প্রক্রিয়া ভিন্ন কেন?
উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের উৎস হচ্ছে মাটিস্থ পানি
মাটিস্থ পানিতে খনিজ লবণগুলো দ্রবীভূত থাকলেও পানি শোষণের
সঙ্গে উদ্ভিদের লবণ শোষণের কোনো সম্পর্ক নেই, দুটো প্রক্রিয়াই
ভিন্ন। কারণ, উদ্ভিদ কখনো লবণের সম্পূর্ণ অণুকে শোষণ করতে
পারে না। লবণগুলো কেবল আয়ন হিসেবে শোষিত হয়। কিন্তু উদ্ভিদ
পানির সম্পূর্ণ অণুকে শোষণ করে ।
সেলুলোজকে পানিগ্রাহী পদার্থ বলা হয় কেন?
সেলুলোজকে পানিগ্রাহী পদার্থ বলা হয়। কারণ, সেলুলোজ তরল পদার্থের সংস্পর্শে এলে তা সহজেই তরল পদার্থ অথবা পানি শুষে নেয়, আবার তরল পদার্থের অভাবে সংকুচিত হয়ে যায় ।
দুটি কলয়েডধর্মী পদার্থের নাম লেখ।
দুটি কলয়েডধর্মী পদার্থ হলো- ১. স্টার্চ ও ২. জিলেটিন ।
হাইড্রোফিলিক পদার্থ কী? উদাহরণ দাও ।
যেসব পদার্থ পানি শোষণ করে স্ফীত হয় তাদেরকে হাইড্রোফিলিক পদার্থ বলে। যেমন— সেলুলোজ, স্টার্চ, আঠা, প্রোটিন, জেলাটিন ইত্যাদি ।
ইমবাইবিশন কেন হয়?
উদ্ভিদ অঙ্কুরোদগমের সময় অধিক পরিমাণে মাটি থেকে ইমবাইবিশন প্রক্রিয়ায় তরল পদার্থ শোষণ করে নেয়। উদ্ভিদ তার অঙ্কুরোদগমের সময় পানি ও অন্যান্য জৈব চাহিদার ঘাটতি পূরণ করতে ইমবাইবিশন প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে।
প্রস্বেদনের প্রকারভেদ উল্লেখ কর।
প্রস্বেদন কোথায় সংঘটিত হচ্ছে তার ভিত্তিতে প্রস্বেদন তিন
প্রকার। যথা— ১. পত্ররন্দ্রীয় প্রস্বেদন, ২. ত্বকীয় বা কিউটিকুলার
প্রস্বেদন ও ৩. লেন্টিকুলার প্রস্বেদন ।
প্রস্বেদন কীভাবে উদ্ভিদদেহকে ঠান্ডা রাখে?
প্রস্বেদনের মাধ্যমে উদ্ভিদ তার প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত পানি
পাতায় অবস্থিত রন্ধ্র অর্থাৎ পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে বের করে দেয় । ফলে
পাতা অধিক তাপমাত্রা থেকে রক্ষা পায় এবং উদ্ভিদদেহকে ঠাণ্ডা রাখে ।
প্রস্বেদন কীভাবে বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে?
উদ্ভিদ মূলরোমের সাহায্যে মাটি থেকে প্রচুর পরিমাণ পানি শোষণ করে। শোষিত পানির কিছু অংশ তার বিভিন্ন বিপাকীয় কাজে ব্যবহার করে এবং বাকি অংশ পত্ররন্ধ্রের মাধ্যমে বা বাষ্পাকারে বায়ুমণ্ডলে ত্যাগ করে। পরবর্তীতে এই বাষ্প ঘনীভূত হয়ে প্রথমে মেঘ এবং মেঘ থেকে বৃষ্টি আকারে পৃথিবীতে ফিরে আসে। এভাবে
প্রস্বেদন বৃষ্টিপাত ঘটাতে সাহায্য করে ।
অভিস্রবণ ও প্রস্বেদনের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।
অভিস্রবণ ও প্রস্বেদনের মধ্যে দুটি পার্থক্য হলো—
অভিস্রবণ
১. অভিস্রবণের মাধ্যমে উদ্ভিদ
খনিজ লবণ ও পানি শোষণ
করে।
২. অভিস্রবণ দুইভাবে ঘটে।
প্রস্বেদন
১. প্রস্বেদনের মাধ্যমে উদ্ভিদ
অতিরিক্ত পানি বাষ্পাকারে
বায়ুমণ্ডল ত্যাগ করে ।
২. প্রস্বেদন তিনভাবে ঘটে ।
প্রস্বেদনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা উল্লেখ কর।
প্রস্বেদনের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিম্নরূপ
১. প্রস্বেদনের ফলে কোষরষের ঘনত্ব বৃদ্ধি পায়।
২. প্রস্বেদনের ফলে উদ্ভিদ তার দেহ থেকে পানিকে বের করে অতিরিক্ত পানির চাপ থেকে মুক্ত থাকে।
পানি পরিবহনে প্রস্বেদন গুরুত্বপূর্ণ কেন?
প্রস্বেদনের ফলে খাদ্য তৈরির জন্য পাতায় অবিরাম পানি সরবরাহ
সম্ভব হয়। প্রস্বেদনের ফলে জাইলেম বাহিকায় পানির যে টান সৃষ্টি হয়, তা মূলরোম কর্তৃক পানি শোষণ ও উদ্ভিদের শীর্ষে পরিবহনে সাহায্য করে।
প্রস্বেদন কীভাবে আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে?
প্রস্বেদনের ফলে প্রতিনিয়ত উদ্ভিদদেহ থেকে পানি তথা জলীয়বাষ্প পরিবেশে নিষ্কাশিত হচ্ছে। এ জলীয়বাষ্প আবহাওয়াকে আর্দ্র রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । অর্থাৎ প্রস্বেদন পরিবেশকে আর্দ্র ও ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ঘটায় এভাবে উদ্ভিদের প্রস্বেদন আবহাওয়াকে প্রভাবিত করে ।