Chapter-1: Animal Kingdom's Classification Flashcards
দ্বিপদ নামকরণ কী? ব্যাখ্যা কর।
একটি জীবের বৈজ্ঞানিক নাম দুই অংশ বা পদবিশিষ্ট হয় । এই
নামকরণকে দ্বিপদ নামকরণ বা বৈজ্ঞানিক নামকরণ বলে। যেমন—
মানুষের বৈজ্ঞানিক নাম Homo sapiens।
প্রজাতি বলতে কী বুঝায়?
প্রজাতি হলো শ্রেণিবিন্যাসের সবচেয়ে নিচের ধাপ বা একক।
প্রকৃতি বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস সর্বপ্রথম প্রজাতির বৈশিষ্ট্য
চিহ্নিত করেন।যেমন—
মানুষ, কুনোব্যাঙ, কবুতর ইত্যাদি এক একটি প্রজাতি ।
স্পঞ্জ কী? বুঝিয়ে লেখ।
পরিফেরা পর্বের প্রাণীদেরকে স্পঞ্জ বলা হয়। এদের
দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত এবং এই ছিদ্রপথে পানির সাথে অক্সিজেন
ও খাদ্যবস্তু প্রবেশ করে।
স্পঞ্জের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
স্পঞ্জের দুটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. এরা সামুদ্রিক প্রাণী।
২. দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে।
পরিফেরা পর্বের দুটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
১. সরলতম বহুকোষী প্রাণী ও ২. দেহপ্রাচীর অসংখ্য ছিদ্রযুক্ত।
পরিফেরা পর্বভুক্ত দুটি প্রাণীর নাম লেখ।
পরিফেরা পর্বভুক্ত দুটি প্রাণীর নাম হলো-
1. Spongilla, 2. Scypha.
নিডারিয়া পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
নিডারিয়া পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. দেহ দুটি ভ্রূণীয় কোষস্তর দ্বারা গঠিত।
২. এক্টোডার্মে নিডোসাইট নামক বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ থাকে।
সিলেন্টেরন বলতে কী বুঝায়?
নিডারিয়া পর্বের প্রাণীদের দেহগহ্বরকে সিলেন্টেরন বলে।এটির
মাধ্যমে দেহে পানি চলাচল করে। যা, কোষগুলোর জন্য পুষ্টি ও
অক্সিজেন সরবরাহ করে।
নিডোসাইট কী? ব্যাখ্যা কর।
নিডোসাইট হচ্ছে বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কোষ যা নিডারিয়া পর্বের
প্রাণীদের এক্টোডার্মে দেখা যায়। এ কোষগুলো শিকার ধরা, আত্মরক্ষা,
চলন ইত্যাদি কাজে অংশ নেয়।
প্লাটিহেলমিনথেস পর্বের দুটি প্রাণীর নাম লেখ ।
প্লাটিহেলমিনথেস পর্বের দুটি প্রাণী
১. যকৃৎ কৃমি এবং ২. ফিতা কৃমি ।
ফিতা কৃমির দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
ফিতা কৃমির দুটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. দেহ পুরু কিউটিকল দ্বারা আবৃত।
২. দেহে চোষক ও আংটা থাকে।
নেমাটোডা পর্বের দুটি উদাহরণ লেখ ।
নেমাটোডা পর্বের দুটি উদাহরণ হচ্ছে-
১. গোল কৃমি ও ২. ফাইলেরিয়া কৃমি।
নেমাটোডা পর্বের দুটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য লেখ।
নেমাটোডা পর্বের দুটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো-
১. দেহ নলাকার ও পুরু ত্বক দ্বারা আবৃত।
২. পৌষ্টিকনালি সম্পূর্ণ, মুখ ও পায়ু ছিদ্র উপস্থিত।
যকৃৎ কৃমি ও গোল কৃমির মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।
যকৃৎ কৃমি
১. দেহ চ্যাপ্টা ও উভলিঙ্গ।
২. পৌষ্টিকতন্ত্র অসম্পূর্ণ।
গোল কৃমি
১. দেহ নর্দাকার ও একলিঙ্গ ।
২. পৌষ্টিকনালি সম্পূর্ণ।
অ্যানেলিডা পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
অ্যানেলিডা পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. দেহ নলাকার ও খণ্ডিত।
২. নেফ্রিডিয়া নামক রেচন অঙ্গ থাকে।
অ্যানেলিডা পর্বভুক্ত দুটি প্রাণীর নাম লেখ ।
অ্যানেলিডা পর্বভুক্ত দুটি প্রাণী হলো— ১. কেঁচো ও ২. জোঁক ।
প্রাণিজগতের সবচেয়ে বড় পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
প্রাণিজগতের সবচেয়ে বড় পর্বটি হচ্ছে আর্থ্রোপোডা। নিচে
আর্থ্রোপোডা পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলো-
১. দেহ মস্তক, বক্ষ ও উদর এই তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত ও সন্ধিযুক্ত
উপাঙ্গ বিদ্যমান ।
২. নরম দেহ কাইটিন সমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা গঠিত।
আরশোলার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
আরশোলার দুটি বৈশিষ্ট্য হলো—
১. এরা সর্বভুক প্রাণী।
২. এদের সম্পূর্ণ দেহ কাইটিনযুক্ত শক্ত আবরণী দ্বারা আবৃত।
সিলোম ও হিমোসিলের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।
সিলোম ও হিমোসিলের মধ্যে দুটি পার্থক্য হলো—
সিলোম
১. বহুকোষী প্রাণীর পৌষ্টিকনালি ও
দেহপ্রাচীরের মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থান।
২. পুষ্টি পদার্থ পরিবহন করে না।
হিমোসিল
১.রক্তপূর্ণ দেহগহ্বর।
২. পুষ্টি পদার্থ পরিবহন করে।
কেঁচোকে অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণী বলা হয় কেন?
কেঁচোর দেহ নলাকার ও খণ্ডায়িত। দেহের প্রতিটি খণ্ডে সিটা
থাকে যা চলাচলে সহায়তা করে।কেঁচোর এই সবগুলো বৈশিষ্ট্য অ্যানেলিডা পর্বের সাদৃশ্যপূর্ণ
হওয়ায় কেঁচোকে অ্যানেলিডা পর্বের প্রাণী বলা হয়।
মলাস্কা পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
মলাস্কা পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. দেহ নরম এবং শক্ত খোলস দ্বারা আবৃত থাকে।
২. পেশিবহুল পর্দা দিয়ে এরা চলাচল করে ।
একাইনোডার্মাটা পর্বের দুটি উদাহরণ দাও ।
একাইনোডার্মাটা পর্বের দুটি উদাহরণ হলো—
১. তারামাছ ও ২. সমুদ্র শশা।
কর্ডাটা পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
কর্ডাটা পর্বের দুটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. পৃষ্ঠদেশে একক, ফাঁপা স্নায়ুরজ্জু থাকে।
২. এই পর্বের প্রাণীরা সারাজীবন অথবা ভ্রূণ অবস্থায় পৃষ্ঠীয়দেশ
বরাবর নটোকর্ড অবস্থান করে ।
কর্ডাটা পর্বের উপপর্ব কতটি ও কী কী?
কর্ডাটা পর্বের উপপর্ব তিনটি। যথা—
১. ইউরোকর্ডাটা, ২. সেফালোকর্ডাটা ও ৩. ভার্টিব্রাটা ।