Chapter-14: Environment and Ecosystem Flashcards
পৃথিবীজুড়ে স্থানভেদে বিচিত্র সব জীবের বসতির কারণ কী?
পৃথিবীর বিভিন্ন পরিবেশে বিভিন্ন জীব বসবাস করে। প্রতিটি বাসস্থানের বিভিন্ন এলাকায় জলবায়ু, আবহাওয়া ও অন্যান্য অজীব এবং জীব উপাদানের মধ্যে প্রচুর পার্থক্য দেখা যায়। এসব পার্থক্যের কারণে পৃথিবীজুড়ে স্থানভেদে বিচিত্র সব জীবের বসতি।
বাস্তুতন্ত্রের উপাদান কতটি ও কী কী?
বাস্তুতন্ত্রের প্রধান উপাদান দুটি । যথা-
১. অজীব উপাদান ও ২. জীব উপাদান।
বাস্তুতন্ত্রের অজীব উপাদান বলতে কী বুঝায়?
বাস্তুতন্ত্রের প্রাণহীন সব উপাদানই অজীব উপাদান নামে
পরিচিত । অজীব উপাদান দুই ধরনের । যথা—
১. অজৈব বা ভৌত উপাদান এবং ২. জৈব উপাদান ।
অজৈব উপাদানসমূহ উল্লেখ কর।
বাস্তুতন্ত্রের অজৈব উপাদানের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার খনিজ লবণ, মাটি, আলো, পানি, বায়ু, তাপ, আর্দ্রতা ইত্যাদি ।
বাস্তুতন্ত্রের জীব উপাদানের প্রকারভেদ উল্লেখ কর ।
বাস্তুতন্ত্রকে কার্যকরী রাখার জন্য জীব যে ধরনের ভূমিকা রাখে
তার ভিত্তিতে জীব উপাদানকে তিনভাগে ভাগ করা হয় । যথা—
১. উৎপাদক, ২. খাদক ও ৩. বিয়োজক ।
উৎপাদকের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উৎপাদকের দুটি বৈশিষ্ট্য হলো—
১. উৎপাদক নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে ।
২. উৎপাদকের উপর বাস্তুতন্ত্রের অন্যান্য সকল প্রাণী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল ।
বাস্তুতন্ত্রে কত ধরনের খাদক রয়েছে? উল্লেখ কর।
বাস্তুতন্ত্রে তিন ধরনের খাদক রয়েছে। যথা—
১. প্রথম স্তরের খাদক, ২. দ্বিতীয় স্তরের খাদক ও ৩. তৃতীয় স্তরের খাদক ।
প্রথম স্তরের খাদক বলতে কী বুঝ?
যে সকল প্রাণী উদ্ভিদভোজী তারাই হলো প্রথম স্তরের খাদক।
এরা তৃণভোজী নামেও পরিচিত। তৃণভোজী প্রাণীদের মধ্যে রয়েছে
ছোট কীটপতঙ্গ থেকে শুরু করে অনেক বড় প্রাণী। যেমন- গরু, ছাগল ইত্যাদি ।
কোন স্তরের খাদককে মাংসাশী বলা হয়?
বাস্তুতন্ত্রে দ্বিতীয় স্তরের খাদককে মাংসাশী বলা হয়। এরা প্রথম স্তরের খাদকদেরকে খেয়ে বাঁচে। যেমন- পাখি, ব্যাঙ, মানুষ ইত্যাদি।
বাস্তুতন্ত্রে বিয়োজক গুরুত্বপূর্ণ কেন?
বাস্তুতন্ত্রের অন্যতম উপাদান হলো বিয়োজক। বিয়োজকগুলো বাস্তুতন্ত্রে অবস্থিত বিভিন্ন প্রাণীর মৃত্যু হলে তাকে পচিয়ে ফেলে। এ পচনের ফলে মৃতদেহগুলো মাটির সাথে সহজে মিশে যায়। এতে পরিবেশ সুন্দর থাকে। এ কারণেই বাস্তুতন্ত্রে বিয়োজক গুরুত্বপূর্ণ।
ফাইটোপ্লাঙ্কটন বলতে কী বুঝায়?
জলজ বাস্তুসংস্থানে বসবাসকারী নানা ধরনের ভাসমান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ‘আণুবীক্ষণিক উদ্ভিদকে ফাইটোপ্লাঙ্কটন বলে। যেমন- কচুরিপানা, শাপলা ইত্যাদি ।
উৎপাদক ও খাদকের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।
উৎপাদক ও খাদকের মধ্যে দুটি পার্থক্য নিম্নরূপ-
উৎপাদক
১. এরা নিজের খাদ্য নিজে
তৈরি করতে পারে ।
২. এরা ষভোজী।
খাদক
১. এরা নিজের খাদ্য নিজে
তৈরি করতে পারে না।
২. এরা তৃণভোজী কিংবা মাংসাশী ।
খাদক ও বিয়োজকের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।
খাদক ও বিয়োজকের মধ্যে দুটি পার্থক্য হলো-
খাদক
১. খাদ্যের জন্য উৎপাদকের
উপর নির্ভরশীল।
২. উদাহরণ— ১ম স্তরের খাদক, ২য় স্তরের খাদক, ৩য় স্তরের খাদক ।
বিয়োজক
১. মৃত জীবদেহে থেকে খাদ্য
সংগ্রহ করে ।
২.উদাহরণ- ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ।
উৎপাদক ও বিয়োজকের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।
উৎপাদক ও বিয়োজকের মধ্যে দুটি পার্থক্য হলো—
উৎপাদক
১. এরা স্বভোজী।
২. সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় শর্করা
জাতীয় খাদ্য তৈরি করে।
বিয়োজক
১.এরা মৃতজীবী।
২. মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণী থেকে খাদ্য গ্রহণ করে।
অণুজীবকে বিয়োজক বলা হয় কেন?
ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি অতিক্ষুদ্র জীব বা অণুজীব উদ্ভিদ
এবং প্রাণীর বর্জ্য পদার্থ ও মৃতদেহ থেকে তাদের খাদ্য গ্রহণ করে
এবং এসব বর্জ্য বিয়োজিত হয়ে মাটিতে বা পানিতে মিশিয়ে দেয়।
এই মিশে যাওয়া উপাদান তখন উদ্ভিদের পক্ষে আবার খাদ্য হিসেবে
গ্রহণ করা সম্ভব হয়। এ কারণেই অণুজীবকে বিয়োজক বলা হয় ।
প্রাকৃতিক পরিবেশে বাস্তুতন্ত্র কত প্রকার ও কী কী?
প্রাকৃতিক পরিবেশে দু’ধরনের বাস্তুতন্ত্র রয়েছে। যথা—
১. জলজ বাস্তুতন্ত্র ও ২. স্থলজ বাস্তুতন্ত্র
বাংলাদেশের বনভূমি অঞ্চলের প্রকারভেদ লেখ।
বাংলাদেশের বনভূমি অঞ্চলকে প্রধান দুটি অঞ্চলে ভাগ করা
হয় । যথা—
১. সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বনাঞ্চল এবং
২. খুলনায় সমুদ্র উপকূলবর্তী সুন্দরবন অঞ্চল ।
সুন্দরবন অঞ্চলের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
সুন্দরবন অঞ্চলের দুটি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. জোয়ার ভাটার কারণে এ অঞ্চলের মাটির লবণাক্ততা বেশি।
২. এখানকার উদ্ভিদের মূল মাটির নিচে না গিয়ে খাড়াভাবে মাটির উপরে উঠে
ম্যানগ্রোভ বনের পাঁচটি উৎপাদকের নাম লেখ ৷
ম্যানগ্রোভ বনের পাঁচটি উৎপাদকের নাম হলো—
১. সুন্দরী, ২. গরান, ৩. কেওড়া, ৪. গোলপাতা, ৫. গেওয়া।
সুন্দরবনের দুটি প্রথম স্তরের খাদকের নাম উল্লেখ কর ।
সুন্দরবনের দুটি প্রথম স্তরের খাদক হচ্ছে- ১. পাখি ও ২. পোকামাকড় ।
জলজ বাস্তুতন্ত্রের প্রকারভেদ উল্লেখ কর।
জলজ বাস্তুতন্ত্র প্রধানত তিন ধরনের । যথা— ১. পুকুরের বাস্তুতন্ত্র, ২. নদ-নদীর বাস্তুতন্ত্র ও ৩. সমুদ্রের বাস্তুতন্ত্র।
খাদ্য শৃঙ্খলের দুটি উদাহরণ লিখে দেখাও।
খাদ্যশৃঙ্খলের দুটি উদাহরণ হলো—
১. ঘাস → পতঙ্গ → ব্যাঙ → সাপ → ঈগল
২. সবুজ উদ্ভিদ → ছোটমাছ → মানুষ
কীভাবে বাস্তুতন্ত্রের সকল জীব ধারাবাহিকভাবে সংযুক্ত?
বাস্তুতন্ত্রের উৎপাদক হচ্ছে সবুজ উদ্ভিদ। এই উৎপাদকের উপর
প্রথম স্তরের খাদক খাদ্যের জন্য নির্ভরশীল। আবার দ্বিতীয় স্তরের
খাদক নির্ভরশীল প্রথম স্তরের খাদকদের উপর। এভাবে একটি বাস্তুতন্ত্রে সকল জীব পুষ্টি চাহিদার দিক থেকে ধারাবাহিকভাবে সংযুক্ত ।
খাদ্যশৃঙ্খল কীভাবে তৈরি হয়?
একটি বাস্তুতন্ত্রে খাদ্য উৎপাদনকারী উপাদান বা উৎপাদক ও খাদ্যগ্রহণকারী উপাদান বা খাদক উপস্থিত থাকে। এই উৎপাদক ও খাদকের পারস্পরিক ক্রিয়ার ফলে খাদ্যশৃঙ্খল তৈরি হয় ।