Chapter-13: Food and Nutrition Flashcards
খাদ্যের দুটি কাজ উল্লেখ কর।
খাদ্যের দুটি কাজ হলো-
১. খাদ্য দেহের পুষ্টি-চাহিদা পূরণ করে ও শক্তি যোগায় ।
২. রোগ প্রতিরোধ, সুস্থতা বিধান ও শারীরবৃত্তীয় কাজ নিয়ন্ত্রণ করে ।
পুষ্টি উপাদান কী? ব্যাখ্যা কর ।
পুষ্টি উপাদান হচ্ছে প্রতিদিনের খাবারের গুণসম্পন্ন যেসব
উপাদান, যা দেহের শক্তি ও যথাযথ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে মেধা ও বুদ্ধি
বাড়ায়, রোগ প্রতিরোধ করে, অসুখ-বিসুখ থেকে তাড়াতাড়ি সেরে
উঠতে সাহায্য করে এবং মানুষকে কর্মক্ষম করে।
পুষ্টি প্রক্রিয়া কীভাবে নতুন কোষ গঠন করে?
খাদ্য উপাদানগুলো ভেঙে শোষণ উপযোগী সরল উপাদানে পরিণত
হয়। দেহ এসব সরল উপাদান শোষণ করে নেয়। শোষণের পরে খাদ্য উপাদানগুলো দেহের সকল কোষে পৌছায়। এর ফলে দেহের প্রতিটি অঙ্গের ক্ষয়প্রাপ্ত কোষের পুনর্গঠন ও দেহের বৃদ্ধির জন্য নতুন কোষ গঠন করে ।
খাদ্যের প্রকৃতি বলতে কী বুঝায়?
কোনো খাদ্য উপাদানের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে হলে ঐ খাদ্যের
প্রকৃতি সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। খাদ্যের প্রকৃতি বলতে এটা কি মিশ্র
খাদ্য, নাকি বিশুদ্ধ খাদ্য তাকে বোঝায়। মিশ্র খাদ্যে একের অধিক পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে। যেমন— দুধ, ডিম, খিচুরি, পেয়ারা ইত্যাদি। অন্যদিকে বিশুদ্ধ খাদ্যে শুধুমাত্র একটি উপাদান থাকে। যেমন— চিনি, গ্লুকোজ।
মিশ্র খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাদ্যের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।
মিশ্র খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাদ্যের মধ্যে দুটি পার্থক্য হলো-
মিশ্র খাদ্য
১. মিশ্র খাদ্যে একের অধিক
২. উদাহরণ— দুধ, ডিম, খিচুরি ।
বিশুদ্ধ খাদ্য
১.বিশুদ্ধ খাদ্যে শুধুমাত্র একটি উপাদান থাকে ।
২.উদাহরণ— চিনি, গ্লুকোজ ।
খাদ্য উপাদান কী? বুঝিয়ে লেখ ।
খাদ্য অনেকগুলো রাসায়নিক উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত। এ
রাসায়নিক উপাদানগুলোকে খাদ্য উপাদান বলা হয়। কেবলমাত্র একটি
উপাদান নিয়ে গঠিত এমন খাদ্যবস্তুর সংখ্যা খুবই কম।
শর্করার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
শর্করার দুটি বৈশিষ্ট্য হলো—
১. শর্করা সহজপাচ্য ।
২. সব শর্করাই কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন সমন্বয়ে গঠিত।
হাইপোগ্লাইসেমিয়ার দুটি লক্ষণ লেখ ।
হাইপোগ্লাইসেমিয়ার দুটি লক্ষণ হলো—
১. অতিরিক্ত ঘামানো ও
২. হৃৎকম্পন হঠাৎ বেড়ে বা কমে যায় ।
আমিষের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
আমিষের দুটি বৈশিষ্ট্য হলো—
১. কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও সালফারের সমন্বয়ে আমিষ গঠিত।
২. আমিষে ১৬% নাইট্রোজেন থাকে।
অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড বলতে কী বুঝায়?
যে সকল অ্যামাইনো এসিড দেহের অভ্যন্তরে তৈরি হয় না কিন্তু প্রোটিন তৈরির জন্য অপরিহার্য তাদেরকে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড বলে । এ অ্যামাইনো এসিডগুলো খাদ্য থেকে সংগ্রহ করতে হয়।
দেহে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের অভাবে কী কী সমস্যা হয়?
দেহে অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিডের অভাব ঘটলে নানা রোগের উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- বমি বমি ভাব, মূত্রে জৈব এসিডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, নাইট্রোজেনের ভারসাম্য বজায় না থাকা ইত্যাদি ।
শিশুদের ক্ষেত্রে আমিষের অভাবজনিত দুটি রোগের নাম লেখ।
শিশুদের ক্ষেত্রে আমিষের অভাবজনিত দুটি রোগের নাম হলো- ১. কোয়াশিয়রকর ও ২. মেরাসমাস ।
কোয়াশিয়রকর রোগের চারটি লক্ষণ লেখ ।
কোয়াশিয়রকর রোগের চারটি লক্ষণ হলো-
১. শিশুদের খাওয়ায় অরুচি হয়।
২. পেশি শীর্ণ ও দুর্বল হতে থাকে ।
৩. ত্বক এবং চুলের মসৃণতা ও রং নষ্ট হয়ে যায় ।
৪. পেট বড় হয় ।
স্নেহ পদার্থ কী? ব্যাখ্যা কর ।
ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারল সমন্বয়ে গঠিত যৌগকে স্নেহ পদার্থ বলা হয়। একে শক্তি উৎপাদনকারী উপাদান বলা হয়। এতে কার্বন হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে।
স্নেহ পদার্থের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
স্নেহ পদার্থের দুটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে—
১. এটি ফ্যাটি এসিড ও গ্লিসারলের সমন্বয়ে গঠিত যৌগ।
২. এতে কার্বন, হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি থাকে।
অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড বলতে কী বুঝায়?
সাধারণ তাপমাত্রায় যেসব স্নেহ পদার্থ তরল অবস্থায় থাকে তাকে অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড বলা হয়। যেমন— তেল, সয়াবিন ইত্যাদি ।
সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।
সম্পৃক্ত ও অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিডের মধ্যে দুটি পার্থক্য হলো-
সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড
১. সাধারণ তাপমাত্রায় কঠিন
অবস্থায় থাকে ।
২. উদাহরণ— সয়াবিন তেল,
সূর্যমুখী তেল ।
অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড
১. সাধারণ তাপমাত্রায় তরল
অবস্থায় থাকে।
২. উদাহরণ- মাখন, পনির।
স্নেহ পদার্থের অভাবজনিত দুটি লক্ষণ লেখ ।
স্নেহ পদার্থের অভাবজনিত দুটি লক্ষণ হলো-
১. ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে দেহের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।
২. শিশুদের একজিমা রোগ হয়।
শর্করা ও আমিষের মধ্যে দুটি পার্থক্য লেখ।
শর্করা ও আমিষের মধ্যে দুটি পার্থক্য হলো—
শর্করা
১. শর্করা শক্তি উৎপাদনকারী
খাদ্য।
২. কার্বন, হাইড্রোজেন ও
অক্সিজেন সমন্বয়ে গঠিত।
আমিষ
১. আমিষ দেহের গঠন
উপাদান ।
২. কার্বন, হাইড্রোজেন,
অক্সিজেন, নাইট্রোজেন ও
সালফারের সমন্বয়ে গঠিত।
আমাদের দেহে শক্তি কীভাবে ব্যয় হয়?
আমাদের দেহে দুই ভাবে শক্তি ব্যয় হয় । যথা—
১. পরিশ্রমের কাজে ও
২. দেহের অভ্যন্তরীণ কাজে অর্থাৎ মৌলবিপাকে ।
একজন লোকের দৈনিক শক্তির পরিমাণ কী কী বিষয়ের উপর নির্ভর করে?
একজন লোকের দৈনিক কী পরিমাণ শক্তির দরকার তা প্রধানত তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যথা- ১. মৌল বিপাক; ২. দৈহিক পরিশ্রম ও ৩. খাদ্যের প্রভাব ।
ভিটামিনের প্রকারভেদ উল্লেখ কর।
দ্রবণীয়তার গুণ অনুসারে ভিটামিনকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. স্নেহ জাতীয় পদার্থে দ্রবণীয় ভিটামিন, যেমন- এ, ডি, ই এবং কে ।
২. পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন, যেমন- ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এবং সি।
ভিটামিন ‘এ’-এর দুটি ভূমিকা উল্লেখ কর ।
ভিটামিন ‘এ’-এর দুটি ভূমিকা হলো-
১. দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখা ।
২. ত্বক ও শ্লেষাঝিল্লিকে সুস্থ রাখা।
ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত দুটি রোগের নাম লেখ ।
ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত দুটি রোগ হচ্ছে—
১. রাতকানা ও ২. জেরপথালমিয়া।